সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বয়কটের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রশ্ন

  বিশ্বের এক নম্বর ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডসের প্রধান নির্বাহী ক্রিস কেম্পজিনস্কি  চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি হঠাৎ করে প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি দিলেন যে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কারণে মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরেও তাঁর কোম্পানির ব্যবসায় ’উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ হয়েছে। একইরকম ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কফি চেইন স্টারবাকস। এই দুই আমেরিকান কোম্পানির ইসরায়েলি শাখা হামাসবিরোধী অভিযানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করার কারণেই তাদের পণ্য বয়কটের ডাক আসে।  আসলে ইসরায়েলের পণ্য ও সেবা বয়কটের একটি বৈশ্বিক আন্দোলন কার্যকর আছে ২০০৫ সাল থেকে। তখনো ইসরায়েলের গাজা অভিযান ও দখলের প্রতিবাদেই এ বয়কট আন্দোলনের সূচনা হয়। বয়কট, বিনিয়োগ প্রত্যাহার (ডাইভেস্ট), নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন)  আন্দোলনটি বিডিএস নামে পরিচিত। এ আন্দোলন মধ্যপ্রাচ্য ও কিছু মুসলিমপ্রধান দেশের বাইরে ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু ইসরায়েলি পণ্য নয়, ইসরায়েলি কোম্পানি ও ব্যবসা থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারেও ভালো সাড়া মেলে। এমনকি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানও ইসরায়েলি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্

শিক্ষাঙ্গণে যৌন হয়রানি ও ক্ষমতার রাজনীতি

তিন–চার দশক আগেও দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোটামুটি দুই হাতের কড়ায় গোণা যেত বলে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু একটা অঘটন ঘটলে, তা নিয়ে দেশে একটা তোলপাড় শুরু হতো। কিন্তু এখন রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবলিক) সংখ্যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তালিকা অনুযায়ী ৫৫টি আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১০টি। ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র–ছাত্রীদের নানারকম হয়রানি–নির্যাতন কিম্বা কথিত শিক্ষক ও প্রশাসকদের অন্যায়–অনিয়ম বা দূর্নীতির খবরও আর সংবাদপত্রের পাতায় খুব একটা চোখে পড়ার মতো করে ছাপা হয়না।  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে শিক্ষার সঙ্গে যেহেতু বাণিজ্যের বিষয়টি জড়িত এবং অনেক ক্ষেত্রে সেটাই মূখ্য, সেহেতু সেসব প্রতিষ্ঠানে সুনাম তৈরি ও রক্ষার বিষয়গুলো একটু আলাদা গুরুত্ব পায়। রাজনৈতিক নিয়োগ বা রাজনৈতিক ভর্তির ব্যাপারগুলো ততটা চোখে পড়ে না। অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক যোগসাজশ থাকলেও বাণিজ্যের প্রয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় বিষয়টি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। তার অবশ্য অন্য খেসারত যে নেই, তা বলা যাবে না। চিন্তা ও  মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর খড়গ নেমে আসার কিছু কিছু নজির

Dhaka’s renewed denial of enforced disappearances

Bangladesh has once again denied any instances of enforced disappearance, despite facing harsh criticism from human rights activists and calls from leading Western democracies to investigate alleged cases at the United Nations Universal Periodic Review (UPR). Dhaka's response echoes the familiar refrain that "The laws of Bangladesh do not include the term 'enforced disappearances'." This issue drew significant attention and criticism during the fourth UPR held in November 2023. As the state party under review, Bangladesh, in its response to the report  of the Working Group on the Universal Periodic Review, said, “There had been ill-motivated tendency for quite some time to label all cases of missing as ‘Enforced Disappearances’ with a view to maligning the Government of Bangladesh (GoB).” Additionally, the country emphasised that its criminal laws addressed "kidnapping" or "abduction," which apply to all individuals, including law enforcement

ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদের রুপ

গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হত্যাযজ্ঞের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। আর্ন্তজাতিক আদালতের অর্ন্তবর্তী আদেশ সত্ত্বেও এ আগ্রাসনের নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতার মাত্রায় খুব একটা হেরফের ঘটেনি। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তাঘাটের বেশিরভাগ ধ্বংস করে দিয়ে এখন তাদের অনাহার ও রোগে ভুগে নি:শেষ করার চেষ্টা চলছে। মিশরের সঙ্গে রাফা সীমান্তে শত শত খাদ্য ও ওষুধবাহী ট্রাক অপেক্ষমান থাকলেও ইসরায়েল তা ঢুকতে দিচ্ছে না।  জরুরি ত্রাণসামগ্রী ঢুকতে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে সীমান্ত খুলে দিতে বাধ্য করা হলে ফিলিস্তিনিদের মানবিক সংকট হয়তো কিছুটা লাঘব হতো। আর্ন্তজাতিক আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মানবিক ত্রাণ কাজে ইসরায়েলের বাধা সৃষ্টি না করার কথা। কিন্তু ইসরায়েলকে স্থলপথে ত্রাণ ঢুকতে দিতে বাধ্য করার বদলে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় আকাশপথে ড্রোন দিয়ে খাবার পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ইউরোপ চেষ্টা করছে সমুদ্রপথে সাহায্য পাঠাতে, যদিও গাযায় কোনো বন্দর নেই এবং ওইসব ত্রাণসামগ্রী খালাস করার জন্য তাদের নতুন জেটি তৈরি করতে হবে। ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র ও পৃষ্ঠপোষকদের এমন জটিল নীতির অর্থ হচ্ছে তাদের অভিযানের জন্য আরও সময় দেওয়া। যার দু:খজনক

অনিয়ম নিয়ম হওয়ার রাজনৈতিক দায়

  ’সর্বনাশের পর হম্বিতম্বি’ শিরোনামটি পড়ে আপনাদের কী মনে হয়েছে জানি না। কিন্তু আমার কাছে এই তিন শব্দে বেইলি রোডের মর্মান্তিক আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির পর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ক্ষমতাবানদের হঠাৎ দাপট দেখানোর  প্রতিযোগিতার শুরুর একটি যথাযথ প্রতিফলন আছে। রাজধানীর ভবনগুলোর নকশাগত ত্রুটি এবং কোন কাজে ভবন ব্যবহার হচ্ছে,তা দেখার দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনুমোদনহীনভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনার জন্য ও আগুনের ঝুঁকি বিবেচনায় ভবন তালাবদ্ধ করা এবং কথিত লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তারে এগিয়ে আছে পুলিশ। তারা যে রাজউকের তত্ত্বাবধানে কাজটি করেছে, তা নয়।  আলাদাভাবে রাজউকেরও একটি অভিযান চলছে। সমান্তরালে আরেকটি অভিযান চালাচ্ছে সিটি করপোরেশন। ২০১৯ সালের বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুনে ২৭ জনের মৃত্যুর পর পাঁচ বছর এ তিন কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো অভিযান চালিয়েছেন বলে জানা যায় না। রাজউকের বিল্ডিং ইন্সপেক্টররা বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো দু–একটা অভিযান চালিয়েও থাকতে পারেন। কিন্তু এখন যেভাবে কাজ হচ্ছে, তার সঙ্গে তুলনীয় কিছু হয়নি। অথচ, গত পাঁচ বছরে রাজধানীতে রেস্তোরাঁর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে বলে অনুমান করা হলে