সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করোনা মোকাবিলা: নাগরিক সুরক্ষা ও মহামারি আইন

মহামারি মোকাবেলায় সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবরে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই ‘ সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ ‘ নামে একটি আইন পাশ করে। আইনটি যে কতটা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় ও অকার্যকর, তা মাত্র ১৭ মাসের মাথায় প্রমাণ হচ্ছে। এই আইন মহামারি নিয়ন্ত্রণের সব দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। আইনটির ৫ এর   (২) এ বলা হচ্ছে ‘ এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালন এবং কার্য-সম্পাদনের জন্য মহাপরিচালক দায়ী থাকিবেন ‘ । ৬ নম্বর ধারায় একটি উপদেষ্টা কমিটির বিধান রাখা হয়েছে যার প্রধান হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী। উপদেষ্টা কমিটিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আছেন, তবে তার অবস্থান দশ নম্বরে। মহামারির ব্যপকতা, জনস্বাস্থ্যের প্রতি তৈরি হওয়া হুমকির মাত্রা এবং তা মোকাবেলায় পুরো দেশের অর্থনীতি ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বন্ধ করে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত কি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সত্যিই নিতে সক্ষম ? মহাপরিচালকের মাথার ওপর আছেন অতিরিক্ত সচিব, সচিব এবং মন্ত্রী। গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার সপ্তাহখানেক পর পর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনগুলো কাটছাঁট হওয়ায় প্রথম বোঝা

মহামারির প্রস্তুতি নিয়ে লুকোচুরি ও গণমাধ্যম

বৃহস্পতিবার ঘুম থেকে উঠেই দেখি ঢাকার এক বন্ধু আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির কপি পাঠিয়েছেন। চিঠির বিষয়বস্তু তখনও ঢাকার কোনো গণমাধ্যমে খবর হিসাবে আসেনি। খবরটি হচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত বিষয়ে প্রচারণা/ গুজব মনিটরিং করার জন্য ১৫ জন উপ ও সহকারী সচিব এবং একজন সিস্টেম অ্যানালিস্টকে দেশের ৩০টি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিটি থেকে জানা গেল যে মন্ত্রণালয়ের করোনা প্রতিরোধকরণে প্রচার প্রচারণা সংক্রান্ত কমিটি গত ২৪ মার্চ বৈঠক করে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার আলোকেই এসব দায়িত্ব বন্টন। মনিটরিংয়ে গুজব চিহ্নিত হলে তা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে জানানোর যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল, স্বভাবতই তা সাংবাদিকদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করে। দিন পেরোনোর আগেই বিরুপ প্রতিক্রিয়ার মুখে চিঠিটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে, নজরদারির জন্য একটি সেল যে থাকছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেসব চ্যানেলের ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেগুলোর প্রায় সবই সরকারঘনিষ্ঠ। সরকারসমর্থক চ্যানেলগুলোর ওপর নজরদারির উদ্যোগ প্রত্যাহারের প্রকাশ্য ঘোষণা যদি একটি নিরীহ ভুল শুধরে নেওয়ার আন্তরিক প্র

করোনা মোকাবেলায় বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা কী বলে

করোনা ভাইরাসের মহামারি যে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সংকট তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এটি যেমন জনস্বাস্থ্যগত সংকট, তেমনই দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সংকট। ‘ আমাদের এমনটি হবে না ‘ ভাবনাটি ইতোমধ্যেই ভুল প্রমাণ হয়েছে।একইসঙ্গে, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাত এধরণের বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় কতটা অপ্রস্তুত তাও এখন ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশের আগে আরও শতাধিক দেশে এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। ফলে, অজানা শত্রুর ভয়ংকর থাবা থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর কৌশল বেছে নেওয়ার কিছুটা সুযোগ আমাদের সামনে রয়েছে। তাই বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে কী কী শিক্ষা আমরা নিতে পারি তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের দেশগুলোর চিত্র করোনার সংক্রমণ যেখানে প্রথম ঘটেছিল, চীনের সেই উহানে গত বৃহস্পতিবারের পর নতুন কোনো সংক্রমণ ঘটেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসুস বলেছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উহান সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে বাকি বিশ্বের জন্য আশা জাগিয়েছে। প্রতিদিনই আমরা এই ভাইরাস সম্পর্কে শিখছি বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। চীনের শাসনব্যবস্থার কর্তৃত্ববাদী চরিত্

সংক্রমণ মোকাবেলার প্রস্তুতি কি যথেষ্ট

ইতালিফেরতরাই ভয়ের কারণ কিম্বা হাসপাতাল ছেড়ে পালালেন করোনার রোগী শিরোনামগুলোতে পাঠকের মধ্যে কী ধারণা তৈরি হতে পারে? প্রথমটিতে মনে হবে ইতালিফেরতরা না আসলে বাংলাদেশ করোনামুক্ত থাকতো। আর, দ্বিতীয়টিতে মনে হয় করোনা ভাইরাস এমন একটি রোগ যাতে মৃত্যু অবধারিত অথবা রোগটির কথা প্রকাশ হয়ে পড়লে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সমাজে পরিত্যাক্ত হবেন। অথচ, দুটো ধারণাই ভুল।চীনে করোনা সংক্রমণের সময় সবার আগে ইতালি চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেও সংক্রমণ সীমান্ত মানেনি। বিশ্বের দেড়শোরও বেশি দেশি এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্য হচ্ছে, কোনো দেশ ‘ আমাদের এমনটি হবে না ‘ মনে করলে তারা একটি মারাত্মক ভুল করছে। আর, করোনায় আক্রান্ত হলেই মৃত্যু অবধারিত এই ধারণাও ভুল। করোনায় মৃত্যুর হার অন্যান্য ফ্লুর থেকে বেশি হলেও আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি বেঁচে আছেন। শতাংশের হিসাবে মৃত্যুর হার কম হলেও সংখ্যায় তা কম নয়। আর, অসুস্থদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার চাপ সামলানোর ক্ষমতা যেহেতু সব দেশের নেই, সেহেতু মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এতো বেশি গুরুত্বর্

শিগগির মুক্তি নেই মহামারি থেকে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেকর্ডে গতবছরের শেষ দিন, ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা প্রথম জানা গিয়েছিল। সেই হিসাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চীনের সময় লেগেছে দুই মাসেরও বেশি।   সেটাও সম্ভব হয়েছে কর্তৃত্ববাদি শাসনের কঠোর বিধিবিধান এবং তা প্রয়োগের মাধ্যমে। ইউরোপে এর সূত্রপাত গতমাসে এবং সংস্থার প্রধানের ভাষায় এই সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল এখন ইউরোপ। পুরো ইউরোপেই এটি ছড়িয়ে পড়ছে এবং বিশেষজ্ঞদের কথা ও সরকারগুলোর গৃহীত নানা পদক্ষেপে ইঙ্গিত মিলছে সহসা এই রোগ থেকে মুক্তি নেই। স্বভাবতই, প্রশ্ন উঠছে কত দীর্ঘায়িত হবে এই বৈশ্বিক মহামারি।   করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে বিপজ্জনক মাত্রায় বিস্তৃত হতে শুরু করার পরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফেব্রুয়ারি মাসে এই রোগের সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেনি। অথচ, ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এরকম ঘোষণা প্রত্যাশা করেছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে বৈশ্বিক মহামারির সম্ভাব্যতা থাকলেও সংক্রমণ দমন করা যাচ্ছে না এমনটি মনে হচ্ছে না।তখন এমন কথাও বলা হয়েছিল যে অসর্তকভাবে বৈশ্বিক মহামারি বা প্যান্ডেমিক পরিভাষা ব্যবহার ক

করোনা থেকে সুরক্ষায় স্বার্থপরতা নয়

মাস্ক, জীবাণুনাশক ( হ্যান্ড স্যানিটাইজার), তরল সাবান কিম্বা টিস্যূর জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন এবং ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত এগুলোর দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগে ফেসবুক সয়লাব। অনেকেই এটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সুবিধাবাদী চরিত্র বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে পুঁজিবাদের মুনাফাসন্ধানী চরিত্র বিশ্ব জুড়ে একই। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের সুবিধা নিয়ে মুনাফা করা মুক্তবাজার ব্যবস্থায় কোনো অপরাধ নয়। অর্থনীতির চাহিদা ও সরবরাহের সূত্র দিয়ে তার যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা আমাদের সবারই জানা। চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি হতে পারে এই আশংকায় ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশেই এগুলোর সংকট দেখা গেছে। এসব দেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তরল সাবান, টয়লেট পেপার, পাস্তা এবং টিনজাত খাদ্য নিয়ে বড় বড় দোকানগুলোতেও টানাটানির দৃশ্য গণমাধ্যমে খবর হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় টয়লেট পেপার সরবরাহে সংকট দেখা দেওয়ায় রসবোধের জন্য পরিচিত এন টি নিউজ নামের একটি পত্রিকা পাঠকদের জন্য একদিন আট পৃষ্ঠা খালি রেখেছিল যাতে তা টয়লেটে ব্যবহার করা যায়। অবশ্য, নিউজপ্রিন্টে টয়লেটের পাইপ বন্ধ হয়ে গেলে তার সমাধান পত্রিকাটি কিছু দিয়েছে, এমন

নারীর সমতা ও গণতন্ত্রের উল্টোযাত্রা

নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জনের লক্ষ্যে সবচেয়ে জোরালো একটি বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার ২৫ বছর পর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বেইজিং ঘোষণার রজত জয়ন্তি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আলোচনায় তিনি বলেনছেন নারী অধিকারে অবনতি, উদ্বেগজনক হারে নারী হত্যা, নারী অধিকার কর্মীদের ওপর হামলা এবং তাঁদেরকে বঞ্চিত করা অথবা বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করার মত আইন ও নীতি বজায় থাকায় তিনি উদ্বিগ্ন। ওই একই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট নারী-পুরুষের সমতার প্রশ্নে প্রাচীন বৈষম্যভিত্তিক ভাষ্যগুলোর পুনরুত্থান ঘটার উল্লেখ করে বলেছেন নারী অধিকার এখন হুমকি ও আক্রমণের মুখে।তাঁর ভাষায় নারী অধিকার রাজনীতির হাওয়া বদলের সঙ্গে তাল মেলানোর বিষয় নয়। আলোচনায় মূল কথা যা উঠে এসেছে তা হলো বেইজিং ঘোষণায় যেসব অধিকারের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটেছিল, ২৫ বছর পর তা অনেকটাই বদলে গেছে। আর, মঙ্গলবার ৩রা মার্চ জাতিসংঘ শিশু তহবিল, ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল এক

Crossfire deaths in Teknaf : Why have there been so many?

The deaths of seven suspected Rohingya robbers in a single incident of so-called crossfire are not normal, even in an environment where such extrajudicial killings have become the new normal. The latest incident of an alleged gunfight with suspected criminals in the Teknaf area in Cox's Bazar involved the elite force Rapid Action Battalion (RAB). The sheer scale of these killings in a single operation on March 2 has alarmed most rights' activists, who are fearful of a return to the past when RAB earned global criticism and international organisations like Human Rights Watch called for the disbanding of the force. Following a global outcry, RAB in recent years have seemingly shown some restraint, although crossfire remains a favoured tactic of security forces in the fight against drugs, terrorism and other crimes. But, more worryingly, a new investigation shows that Cox's Bazar accounts for more than one-fourth of all crossfire-deaths in the country, even before these seve

দিল্লি থেকে গুজরাটের ছায়া সরবে কি

রোববার অনেক কাগজেই শিরোনাম হয়েছে ‘ স্বাভাবিক হচ্ছে দিল্লি ‘ । কিন্তু, যে বিদ্বেষের রাজনীতি এতো বড় একটা সহিংসতার জন্ম দিয়েছে সেই রাজনীতিতে তা কিভাবে সম্ভব? একসময়ে বিবিসিতে আমার সহকর্মী ছিলেন, এখন কোলকাতার আনন্দবাজারে কাজ করেন ঈশানী দত্ত রায়। ঈশানী এই ধন্দের কথা ফেসবুকে লিখেছেন : কাজ করতে করতে হঠাৎ হোঁচট খেতে হয়। যা এত দিন নিয়মমাফিক লেখা হয়েছে, তা লিখতে গিয়ে মনে হয়, এটা কি লেখা যায়? যেমন ধরুন, সংবাদ সংস্থা লিখছে, normalcy is returning to Delhi. বাংলায় লেখা হয়েছে এত দিন বা হবে, দিল্লির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। স্বাভাবিক? সংঘর্ষ নতুন করে হয়নি, অন্তত খবর আসেনি, দোকানপাট অল্প খুলছে। লোকজন বাড়ির বাইরে পা রেখেছেন। সেটা স্বাভাবিক? স্বাভাবিক কাকে বলে? এ ধরনের ঘটনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়? হতে পারে? মানুষের ঘর, মন স্বাভাবিক হয়ে যাবে ? সব স্বাভাবিক বোঝাতে পারলে, লেখাতে পারলে শাসক গোষ্ঠীর সুবিধা। বা আমাদের মতো মানুষেরও সুবিধা, যারা আকছার বলি, আর তো কেউ মরেনি, তা হলেই হল! ঈশানী আরো লিখেছেন, ‘ আবার ধরুন দিল্লিতে একাধিক মানুষ বলছেন, বানানো নাম বলে নিগ্রহ বা মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। য