সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন বন্ধের চেষ্টা কেন?

২০১৮কে স্বাগত জানাতে ঢাকার আকাশে ফানুস ওড়ানোর এবং মুর্হুমুহু পটকা ফুটানোর প্রতিযোগিতার ছবি ও ভিডিওতে সোশাল মিডিয়া এখন সয়লাব। কিন্তু, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা ছিল ঢাকায় এমনকি বাড়ির ছাদেও কোনো উৎসব চলবে না।এধরণের উৎসব-অনুষ্ঠানের সময়ে পুলিশের নিরাপত্তামূলক নির্দেশনা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, এবারে ছিল চোখে পড়ার মত বাড়াবাড়ি। কিন্তু, হেলিকক্টার নিয়ে টহল দিয়েও ঢাকাবাসীকে  খুব একটা  নিবৃত্ত করা যায় নি। পুলিশের পক্ষে বেডরুম পাহারা দেওয়া যে সম্ভব না সেকথা আমরা বছর কয়েক আগেই শুনেছি। এখন বোঝা গেল বাড়িঘরের ছাদ পাহারা দেওয়া কোনোভাবেই তার চেয়ে সহজ নয়। প্রশ্ন হচ্ছে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের থার্টিফাস্ট নাইট বা নববর্ষ পালনে বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হলো কেন? এটি কি শুধুই আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা? নাকি এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক কারণও আছে? দেড়যুগ আগে রমনায় ভোরের আলোয় বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার পর খোলা জায়গায় উন্মুক্ত উৎসব আয়োজনে নিরাপত্তার বিষয়টিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লাখো মানুষের অংশগ্রহণের ওই অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক আয়োজনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় পুলিশ বেশ ভালোই কৃতিত্ব অ

ব্যাংকিং আইন সংশোধন নয়, প্রয়োগ প্রয়োজন

সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলনে অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতা বিষয়ক বক্তৃতায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন দেশের ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতার সংকট চলছে। সংকটের পুরোটাই খেলাপি ঋণকে ঘিরে উল্লেখ করে তিনি বলেন অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ না কৌশল জেনে গেছেন। ফলে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল করার ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এটি আর্থিক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় রাজনীতিকরণ ও নিয়ন্ত্রকের ব্যর্থতাই দায়ী। তাঁর কথায় ব্যাংকার, ব্যাংক মালিক বা রাজনৈতিক সংযোগ থাকলেই ঋণ পাওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। ওই সম্মেলনেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না, এটা এখন বহুল আলোচিত। জনগণের অর্থের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ মাহবুব আলীও সেখানে বলেছেন, ব্যাংকে এক পরিবার থেকে চার পরিচালক ও একাধিক মেয়াদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে

ব্যাংক রক্ষার মানে কী

ব্যাংকিং খাতে ‘সুশাসন’ নিয়ে কথা কম হয়নি। কিন্তু যাঁদের এ ক্ষেত্রে তৎপর হওয়ার কথা, তাঁরা কোনো সমালোচনা গায়ে মেখেছেন বলে প্রমাণ মেলে না। ফারমার্স ব্যাংকের সংকট নিয়েও সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্টতই মাথা ঘামাতে চায়নি। কিন্তু বাগড়া দিয়েছে সংবাদমাধ্যম। রাজনৈতিক পরিচয়ের সুবাদে ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স পাওয়া উদ্যোক্তা পরিচালকেরা মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ব্যাংকটিকে পথে বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে অক্ষম ব্যাংকটি তার কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত, জরিমানা এবং পরিদর্শন রিপোর্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকটির সংকট ঘনীভূত হওয়ার খবর যখন দু-একটি সংবাদপত্রের পাতায় ছাপা হচ্ছিল তখনো সরকার অনেকটা ভাবলেশহীন থাকল। রাজনীতিক মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বাধীন ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকা খরচ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় সব সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করল সংকটের কথা নিছকই অপপ্রচার। কিন্তু প্রায় একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি পাওয়ার আগেই তারা বন্ড ছেড়ে পাঁচ শ কোটি টাকা তোলার উদ্যোগ নিল। তাতেও সরকারের কারও টনক নড়ল

গুমের রহস্য উদঘাটন হবে কি?

মুবাশ্বার এবং উৎপল ফেরৎ এসেছেন এগুলো ভালো খবর। অনিরুদ্ধ, জোহাদের মত আরও কয়েকজন যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁদের ফিরে আসাও আনন্দের। কিন্তু, খারাপ খবর হচ্ছে অপরাধটির কথা আমরা ভুলে যাচ্ছি। এতোবড় ঘৃণ্য অপরাধের বিচারটাও তাঁরা চাইতে পারছেন না। তাঁরা এবং তাঁদের পরিবারগুলো কখনেই কি আতংকমুক্ত হতে পারবে? তানাহলে সত্যও জানা হবে না। এতোটা ঘন জনবসতির দেশে এমন জায়গা কতোগুলো আছে যেসব জায়গায় এতোজনকে মাসের পর মাস আটকে রাখা যায়? অনেকেই যে এখনও ফেরেননি সেকথাটি আমরা ভুলে যাচ্ছি নাতো? কাউকে কাউকে পাওয়া  গেছে লাশ হিসাবে, আর কারো কারো পরিবার বছরের পর পর বছর অপেক্ষায় আছে। অরাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিদের কেউ গুম হলে তা নিয়ে নাগরিক সমাজে যতটা কথা হয় রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য ততটা কি হয়? রাজনৈতিক নেতাকর্মী যাঁরা গুম হয়েছেন তাঁদের কেউ ফিরে এসেছেন বলে শোনা যায় না। এঁদের অনেকের পরিবারই সবচেয়ে খারাপ পরিণতিটাই ধরে নিয়ে চোখের পানি সামলাচ্ছেন।  গুমের রহস্য উদঘাটন হওয়া প্রয়োজন। কেউ স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করে থাকলে তারও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। টাকা আদায়ের জন্য কোনো অপরাধীচক্র অপহরণ করে থাকলে সেই অপরাধীদের বিচার করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সুত

হায় হায় ব্যাংকের দায় কার?

ফারমার্স ব্যাংকের মরণদশার দায় কার? এই ব্যাংকটিসহ কথিত চর্তুথ প্রজন্মের নয়টি ব্যাংকের অনুমোদনের সময়ে (আওয়ামী লীগের আগের মেয়াদে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভণর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক আতিউর রহমান। রাষ্ট্রীয় মুদ্রাভান্ডারের প্রায় শত কোটি ডলার খোয়ানোর কৃতিত্বের অধিকারী এই সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার বুধবার ২০ ডিসেম্বর বলেছেন ব্যাংকটিকে বাঁচাতে হলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে ( ‘ ফারমার্স ব্যাংক বিষয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে ‘, প্রথম আলো, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ) । কি চমৎকার দায়িত্ববোধ! শুধুমাত্র রাজনৈতিক নির্দেশনায় প্রচলিত নিয়মনীতিগুলোর বেশিরভাগ উপেক্ষা করে জনসাধারণের কষ্টের আমানত লুটে নেওয়ার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য তাঁর মধ্যে ন্যূনতম কোনো অনুশোচনা নেই। কোনোধরণের দু:খপ্রকাশ ছাড়াই তিনি সেই মৃত্যুপথযাত্রী ব্যাংককে বাঁচানোর জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। যার মানে হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জনগণের করের টাকা ব্যয় করা, যে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শুণ্যের কোটায়।  ফারমার্স ব্যাংকের এই অধ:পতনের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে। আদর্শ গণতন্ত্রে নিশ্চ

গুমের স্বীকারোক্তি

গুমের ব্যাপারে সরকারীভাবে অন্তত একটি স্বীকৃতি পাওয়া গেল। স্বীকারোক্তিটি এসেছে ঢাকা মহানগর ‍পুলিশের একজন উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এর মুখ থেকে ( সব সময় বলতে পারি না: জঙ্গি নিয়ে পুলিশ , বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) । বৃহস্পতিবার ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের এক সভায় তিনি বলেছেন তাঁরা কাউকে কাউকে নিয়ে গেলেও কৌশলগত কারণে তা বলতে পারেন না। জঙ্গিবাদবিরোধী ওই সভায় তিনি ওই হাসপাতালের একজন ইর্ন্টান চিকিৎসক শামীম খানকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। শামীম খানকে ত্রিশ ঘন্টা পর অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়া যাঁরা শেষপর্যন্ত ফিরে এসেছেন তাঁরাও যেমন তাঁদের অজ্ঞাতবাসের রহস্য নিয়ে মুখ খোলেননি , ডঃ শামীমও তাঁর ব্যাতিক্রম নন। ঘটনার সাক্ষী সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের জবাবে জানান যে, “চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলায় জড়িত দুজনকে ওই ছাত্র মেডিকেলের ছাত্রাবাসে আশ্রয় দিয়েছিল বলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়েছিল। পর

ব্যাক্তিভেদে সংকটমুক্তি!

ঠিক একবছর আগের কথা , দিনটা ছিল রোববার। তবে, তারিখ একই – ১১ ডিসেম্বর। সুপ্রিম কোর্টকে সেদিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হলো যে রাষ্ট্রপতি মনে করেন নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃংখলাবিধির বিষয়ে কোন গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপতি এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে আইন মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করে এবং সেই নোটিশের কথা আদালতকে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর কয়েক মাস আগে থেকেই এই শৃংখলাবিধির খসড়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সরকার সময়ক্ষেপণের কৌশল অনুসরণ করে আসছিল। এখন গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার রাষ্ট্রপতি নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃংখলাবিধির গেজেট প্রকাশ করলেন। কিন্তু, সরকারী ঘোষণায় রাষ্ট্রপতি কেন সিদ্ধান্ত বদলালেন তার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না। ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত হিসাবে যে নোটিশ জারি করেছিল সেটি কি তাহলে ভুল ছিল? ওই ভুলের ব্যাখ্যা কি? দেশের বিদ্যমান শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির মোহর বা স্বাক্ষর সরকার যে যথেচ্ছভাবে ব্যবহারে সক্ষম এই সিদ্ধান্তে কি তা আবারও প্রমাণ হলো না? মঙ্গলবারের সংবাদপত্রগুলোতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একটি মন্তব্য বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপ

মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের হতাশা

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গত মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর এব বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর রাষ্ট্রীয় সহিংসতার কঠোর নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে, পরিষদ রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠী ছাড়াও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর সবার সুরক্ষা ও মৌলিক মানবাধিকারসমূহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। পরিষদের সপ্তবিংশতি বিশেষ অধিবেশনে এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে সউদি আরব এবং বাংলাদেশ। মানবাধিকার পরিষদের এই বিশেষ অধিবেশনটিও ডাকা হয় বাংলাদেশের উদ্যোগে। ৪৭ সদস্যের এই পরিষদে এধরণের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হলে অন্তত ষোলোটি দেশের সমর্থন প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের উদ্যোগে সমর্থন দেয় তেত্রিশটি সদস্য রাষ্ট্র এবং চল্লিশটি পর্যবেক্ষক দেশ। আপাতদৃশ্যে এটি বাংলাদেশের কূটনীতির একটি ভালো সাফল্য। কিন্তু, প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাশ না হওয়ায় বাংলাদেশ হতাশা প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবটি ভোটে দেওয়া হয় চীনের আপত্তিতে। চীন প্রকাশ্য এবং রেকর্ডকৃত ভোট দাবি করে। ভোটের হিসাবে দেখা যায় বিপক্ষে ভোট পড়েছে চীন, বুরুন্ডি এবং ফিলিপাইনের। ভারত, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভেনিজুয়েলা, কেনিয়া, মঙ্গোলিয়া,

সোফিয়া যেসব কারণে ভাগ্যবতী!

সউদি আরবের রক্ষণশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় নারীর অধিকার ও মর্য্যাদার বিষয় নিয়ে বিশ্ব জুড়েই জোর বির্তক রয়েছে। সউদি নারীরা পুরুষ সঙ্গী ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। কিধরণের পোশাক পরা যাবে সেই বিষয়েও তাঁদের স্বাধীনতা সীমিত। কিছুদিন আগে পর্য্যন্ত তাঁদের গাড়ি চালানোর অধিকার ছিল না – যা নতুন যুবরাজ সালমান তাঁর সংস্কার কর্মসূচির আওতায় অনুমোদন করেছেন। সেই সউদি আরবের একজন নারী বাংলাদেশে একাকী শত শত নারী-পুরুষের সামনে দেখা দিয়েছেন, কথা বলেছেন। তাঁর পরণে রক্ষণশীল  পোশাকের বদলে ছিল – বাংলাদেশের মানদন্ডে আধুনিক পরিধেয়। রোবট হলেও নারী এবং সউদি আরবের নাগরিকত্বের অধিকারী, সোফিয়ার এই সামাজিকতাকে নারী অধিকারের সংগ্রামে একধাপ অগ্রগতি বলা যাবে? অবশ্য, সোফিয়া যে শুধু বাংলাদেশেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনসমক্ষে আর্বিভূত হয়েছেন তা নয়। এর আগে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সউদি আরবেই দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এক সভাতেও সে অংশ নিয়েছে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় তখনও তার পরণে ছিল মোটামুটি আধুনিক পোশাক। রোবট-তরুণী সোফিয়াকে নিয়ে বাংলাদেশে যতটা মাতামতি দেখা গেল ততটা যদি তার দেশ সউদি আরবে ঘটতো তাহলে সউদি