সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতের নৌ বিদ্রোহের ৭৫ বছর ও এক বিদ্রোহীর কথা

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অথচ কম আলোচিত বা স্বীকৃত একটি ঘটনা হচ্ছে ১৯৪৬ এর নৌ বিদ্রোহ, যার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই বছরের ১৮ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ৭৪টি যুদ্ধজাহাজ ও ২০টি স্থাপনার কুড়ি হাজারের বেশি সাধারণ নাবিক ও নিম্নপদস্থ অফিসার ধর্মঘটে অংশ নেন, যা মিউটিনি বা বিদ্রোহ হিসাবে পরিচিতি পায় । ঐতিহাসিকদের অনেকেই এর মূল্যায়নে বলে থাকেন ব্রিটিশ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বিস্মৃত বিদ্রোহগুলো ভারতের স্বাধীনতার জন্য যতটা ভূমিকা রেখেছে ততটা স্বীকৃতি পায়নি। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতা হরণের পর ভারতে ব্রিটিশ রাজ মূলত দুটি সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখোমুখি হয় - প্রথমটি ঠিক একশো বছর পর ১৮৫৭ সালের সেনা বিদ্রোহ এবং দ্বিতীয়টি তার ঠিক ৮৯ বছর পর নৌবিদ্রোহ। আগে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও কৌশলের কাছে স্বাধীনতাকামীরা পরাস্ত হলেও নৌ বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় রাজনীতিকদের কারণে।  নৌ বিদ্রোহের ৭৫ বছর পূর্তিতে তাই উপমহাদেশে তেমন কোনো আয়োজন ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে নতুন কিছু গবেষণা হচ্ছে, বই বেরুচ্ছে। ইতিহাসের ছাত্র হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিষয়ে আমার তেমন একটা জানার সুযোগ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই

রাজনীতি নয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে কূটনীতি চাই

মিয়ানমারে   রোহিঙ্গাদের   জাতিগত   নির্মূলকরণের   অংশ   হিসাবে   যে   গণহত্যা   সংঘটনের   অভিযোগ   বর্তমানে   আর্ন্তজাতিক   আদালতে   বিচারাধীন   সেই   গণহত্যার   চার   বছর   পূর্ণ   হতে   চলেছে  ২৫আগস্ট। এই    একই   অভিযোগের   বিষয়ে   আর্ন্তজাতিক   অপরাধ   আদালতও   আলাদাভাবে   আরেকটি   তদন্ত   করছে ,  যার   ভিত্তিতে   অপরাধে   জড়িত   দায়ী   সামরিক-বেসামরিক   ব্যাক্তিদের   বিচারের   সম্ভাবনাও   রয়েছে । এই   গণহত্যা   প্রায়   দশ   লাখ   রোহিঙ্গা   নারী-পুরুষ-শিশুকে   জীবন   বাঁচানোর   জন্য   পালিয়ে   সীমান্ত   অতিক্রম   করে   বাংলাদেশে   আশ্রয়   নিতে   বাধ্য   করেছে । এঁরা   এখন   বাংলাদেশের   সরকার  ও  জনগণের   মানবিক   সহায়তার   ওপর   নির্ভরশীল ।  ফলে   অন্য   দেশের   সামরিকবাহিনীর   নিষ্ঠুর   নৃশংসতার   দ্বিতীয়  সবচেয়ে   ক্ষতিগ্রস্ত   দেশ   হচ্ছে   বাংলাদেশ   এবং   তার   জনগোষ্ঠী ।     আশ্রিত   এসব   উদ্বাস্তু   রোহিঙ্গার   অবস্থান   যত   দীর্ঘায়িত   হবে ,  আমাদের   ওপর   চাপও   তত   বাড়বে । সুতরাং ,  স্বাগতিক   জনগোষ্ঠীর   ধৈর্যচ্যূতির   আশংকা   নাকচ করে   দেওয়া   যায়   না । এসব   উ