সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আশা- আশংকার সংলাপ

কোনো অঘটন না হলে বহুল আলোচিত সংলাপ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সংলাপের প্রয়োজন কেউ অস্বীকার করতে না পারলেও এর সাফল্য নিয়ে সবার মনেই সংশয় আছে। সংশয় বললেও আসলে কম বলা হয়। সম্ভবত: আশংকা কথাটিই এখানে বেশি প্রযোজ্য। আশংকার কারণ হচ্ছে সংলাপ সফল না হলে উত্তেজনা বাড়বে, সংলাপে আশা পূরণ না হওয়ার হতাশা থেকে ক্ষুব্ধ যেকোনো পক্ষই আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে। যার পরিণতি হবে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং আরও দমনপীড়ন। তবে, সংশয় বা আশংকা যাই থাকুক না কেন, সংলাপকে সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। এই উদ্যোগে রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে এমনটি আশা না করলেও এই উদ্যোগ যে সাময়িকভাবে হলেও উত্তেজনার তাপবৃদ্ধি স্থগিত করেছে সেজন্য রাজনৈতিক বিভাজনের উভয়পক্ষকেই ধন্যবাদ।  সরকারকে ধন্যবাদ, সংলাপের অনুরোধে সাড়া দেওয়ার জন্য, আর ঐক্যফ্রন্টকে ধন্যবাদ আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানোর জন্য। লিখিতভাবে আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোর ঘটনা সম্ভবত এটিই প্রথম। এর আগে, দলমতনির্বিশেষে যুগের পর যুগ রাজনীতিকরা মাঠের বক্তৃতাতেই সংলাপ দাবি করে এসেছেন, এবং তার ভিত্তিতেই সরকারগুলো বাধ্য হলে আলোচনায় বসেছে। এবারের সংলাপ আয়োজনের

উন্নত দেশে কাগজের ভোটে ভরসা কেন?

উন্নত দেশগুলো যখন কাগজের ভোটে ফিরে যাচ্ছে তখন উন্নত হওয়ার স্বপ্ন দেখানো বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধনুরভাঙ্গা পণ করেছেন। পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে যেভাবে সংসদ নির্বাচনে এটি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক দ্রুততায়   ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনার জন্য প্রকল্প তৈরি, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে সেই প্রকল্প অনুমোদন, শুরুতেই প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, নির্বাচনী আইন, আরপিও সংশোধনের খসড়া রচনা এবং তা পাশ করানোর সব আয়োজন যে গতিতে সম্পন্ন হচ্ছে তা নি:সন্দেহে এক নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। একজন কমিশনারের যৌক্তিক আপত্তি কেন নাকচ হয়েছে তারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। অথচ, ইভিএম কেনা হচ্ছে ভারতের চেয়েও ১১ গুণ বেশি দামে। কথায় কথায় আমরা ব্রিটিশ গণতন্ত্র বা ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির দৃষ্টান্ত দেই এবং তাকেই আদর্শ মানার কথা বলি। সউদি আরব ঘুরে এসে প্রধানমন্ত্রী যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানেও তিনি ব্রিটেনের নজির তুলে ধরেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলোপ ঘটানো

বিরোধী ঐক্যই গণতন্ত্র ফেরাচ্ছে

স্বদেশকে কর্তৃত্ববাদের কবল থেকে রক্ষা করতে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ শক্তি ভারতের শরণাপন্ন হওয়ার অভিজ্ঞতা যে এতোটা অস্বস্তিকর হবে তা তিনি আগে ভাবেন নি। ছুটে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ, কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন মালদ্বীপের ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। একসময়ে ভারতের ভূমিকার প্রকাশ্য সমালোচক, এবারে যে শুধু দেশটির হস্তক্ষেপ চাইলেন তা-ই নয়, তিনি চেয়েছিলেন ভারত যেন মালেতে একজন দূত পাঠায়, যার সঙ্গে যাবে একটি সেনাদল। দিল্লিতে তিনি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। কিন্তু, ভারতের প্রতিক্রিয়া যে তাঁকে হতাশ করেছিলো সেকথা প্রথমবারের মত তাঁর মুখ থেকেই শুনতে পেলাম গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লন্ডনের এক আয়োজনে। সন্ত্রাসের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নাশিদ চিকিৎসার জন্য ২০১৬ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে আসেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে স্বদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই সংগঠিত করেন। নির্বাসিত জীবনের ইতি ঘটিয়ে শনিবার তিনি লন্ডন ছেড়েছেন এবং কলম্বোতে সপ্তাহখানেকের যাত্রাবিরতি করে তারপর দেশে ফ

ডিজিটাল আইনে ব্যঙ্গচিত্রের রঙ্গ

গত মঙ্গলবার ম্যানহাটানের আদালতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর বিধান লঙ্ঘন করে শপথ ভঙ্গ করেছেন। মামলা করেছে লেখক-সাহিত্যিকদের বৈশ্বিক সংগঠন ‘পেন’–এর যুক্তরাষ্ট্র শাখা। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সিএনএন ও টেলিকম কোম্পানি এটিঅ্যান্ডটির একীভূতকরণ বন্ধের চেষ্টা এবং  ওয়াশিংটন পোস্ট –এর মালিক জেফ বেজোসের কোম্পানি অামাজনের জন্য ডাকমাশুল দ্বিগুণ করতে ডাক বিভাগের প্রধানকে চাপ প্রয়োগের ঘটনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্য সিএনএন ও  ওয়াশিংটন পোস্ট –এর ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে তারা স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে না পারে। পেনের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা সাংবাদিক, তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ও হুমকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রেসিডেন্টের সমালোচনার জন্য এখন তাঁদের মূল্য দিতে হতে পারে। মামলার পরিণতি কী হবে অথবা মামলার গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা আমার উদ্দেশ্য নয়। মামলাটির প্রসঙ্গ টানার কারণ মামলার একটি বক্তব্য, যেখানে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকে তীব্রভাবে সমালোচনা করার অধিকার স

ইতিহাসের দায় পূরণ হয়েছে কী ?

স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক রাজনৈতিক হামলা ২১ আগস্ট মামলার রায় নিয়ে যে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে, শিগগির তার অবসান হবে কি না বলা মুশকিল। মামলার উভয় পক্ষই উচ্চ আদালতে আপিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে। আর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডের আদেশগুলোর আইনমাফিক পর্যালোচনা বা ডেথ রেফারেন্সেরও শুনানি হবে। সুতরাং মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো কিছুটা সময়ের ব্যাপার। এ মামলার রায়ের পর অনেকেই বলেছেন, এ বিচারের মাধ্যমে ইতিহাসের দায় পূরণ হয়েছে। তাঁদের কথাটা আংশিক ঠিক, কেননা বিচারহীনতার সংস্কৃতি যখন আমাদের পেয়ে বসেছে, তখন এ ধরনের রাজনৈতিক স্পর্শকাতর মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়াটাই একটা বড় ঘটনা। ভুক্তভোগীরা যদি সবাই ন্যায়বিচার পেয়ে থাকেন এবং এ ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে যদি এই বিচারটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়, তাহলেই বলা যাবে যে ইতিহাসের দায় মেটানো গেছে। রায়ের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। হামলার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও হামলাকারীদে

মন্ত্রীদের বিশ্বাসভঙ্গের প্রতিবাদ সম্পাদকদের সাহসী পদক্ষেপ

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্বের সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র শিল্পের সম্পাদকরা আবারও প্রতিবাদ জানানোয় তাঁদেরকে ধন্যবাদ। গণমাধ্যমের অন্য একটি অংশ বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকরা এবং সরকার-সমর্থক সাংবাদিক ইউনিয়ন যখন এই নির্বতনমূলক কালো আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে তখন সংবাদপত্রের সম্পাদকরা যে অবস্থান নিয়েছেন তা নিসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর সম্পাদক পরিষদ এক সভার পর দেওয়া বিবৃতিতে তাঁদের উদ্বেগের কথা মন্ত্রীসভায় উত্থাপনের বিষয়ে তিনজন মন্ত্রী তাঁদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় তাঁরা এটিকে আস্থা ও বিশ্বাসের লংঘন বলে অভিহিত করেছেন। বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ বলেছেন সাইবার জগত ও ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তাঁরা সমর্থন করেন। কিন্তু, রাষ্ট্রপতির সই করা বিলের নয়টি বিতর্কিত ধারা মুক্ত সংবাদমাধ্যমের পরিপন্থী, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে বিরোধাত্মক। বিবৃতিতে তাঁরা মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা শিগগিরই শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে

গণতন্ত্রের জন্য ভীরু গণমাধ্যম কাম্য নয়

দেশ-বিদেশের সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, নাগরিক গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল এবং কূটনীতিকদের দাবি এবং অনুরোধ উপেক্ষা করেই বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হলো। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পাদক পরিষদের কাছে তাঁদের উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য তিনজন মন্ত্রীর আশ্বাসে যে ক্ষীণ আশাবাদ তৈরি হয়েছিলো তা মরীচিকার মতই মিলিয়ে গেল। উদ্বেগ বিবেচনার আশ্বাস যে শুধু কথার কথা ছিল না সেকথা এখন ওই মন্ত্রীরা বলতে পারবেন কি? গত সোমবার রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। তবে, মনে রাখা ভালো রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের বিষয়টি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। আমাদের সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি যদি ১৫ দিনের মধ্যে তাঁর উদ্বেগ বা আপত্তির কথা জানিয়ে বিলটি সংসদে ফেরত পাঠাতেন কেবলমাত্র তাহলেই তা আইনে পরিণত হওয়ার বিষয়টি পুর্নবিবেচনার প্রশ্ন উঠতো। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি সেই অবকাশ পেয়েছেন কিনা সেকথাও বিবেচনায় রাখা দরকার। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠানের পর পরই প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্যে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর সায় না পেলে কার্যকর বিরোধীদলবিহীন কোনো সংসদে যে

প্রতিবাদও যখন পুঁজি!

লন্ডনের র্শীষস্থানীয় নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সথেবিতে গতকাল শনিবারএক নিলামে একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম বিক্রি হয় দশ লাখ পাউন্ডে। কিন্তু, নিলামে সেটি বিক্রি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেমে বাঁধানো চিত্রকর্মটি আপনাআপনি অর্ধেকটা ফালি ফালি হয়ে ফ্রেমের নীচে নেমে গিয়ে ঝুলে থাকে। এই শিল্পকর্মের চিত্রকর ব্যাংকসি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইন্স্টাগ্রামে এর ভিডিও দিয়ে লিখেছেন ‘ গোয়িং , গোয়িং, গান ‘ । নিলামে ব্যাংকসির এই শিল্পকর্মের আত্মবিনাশ ঘিরে চলছে নানাধরণের জল্পনা-কল্পনা। ‘বেলুন হাতে বালিকা’ ( Girl with Baloon)   নামের এই ছবিটি ব্যাংকসি আঁকেন ২০০৬ সালে। রাজপথের শিল্পী যাকে বলে ব্যাংকসি ঠিক তাই। ব্যাংকসি ব্রিটেনের রাজপথের এক বিদ্রোহী চিত্রকরের ছদ্মনাম। তাঁর আসল পরিচয় এখনও অনুদঘাটিত এক রহস্য। তাঁর চিত্রকর্ম ব্যাঙ্গাত্মক এবং কখনও কখনও তাতে রাষ্ট্রদ্রোহী বার্তাও থাকে। দেওয়ালচিত্র বা গ্রাফিতির মাধ্যমেই তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেন। ব্যাংকসি তাঁর ইনস্টাগ্রামে পিকাসোকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন : ধ্বংস করার তাড়নাও একধরণের সৃজনশীল তাড়না। কিন্তু, নিলামকারী সদেবি এখন জানিয়েছে অর্ধেকটা ফালি ফালি করে কাটা এই ছবিটির দাম এখন

গায়েবি মামলা, ভিন্নমত ও নয়া আইন

পূর্বাণী বা চিত্রালী — কোনো এক বিনোদন সাপ্তাহিকে একসময়ে ‘ হাওয়া থেকে পাওয়া ‘ নামে একটি কলাম ছাপা হতো । কলামটি ছিল মূলত রুপালি পর্দার আড়ালে বা সিনেমা জগতের বাইরে নায়ক - নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে নানা ধরনের গালগল্প বা শোনা কথার নাটকীয় বিবরণ । পাঠকদের নজর কাড়াই ছিল সেসব চটুল হাওয়াই খবরের মূল উদ্দেশ্য । সম্প্রতি খবরে আবার সেই ‘ হাওয়া থেকে পাওয়া ’– জাতীয় কাহিনিগুলো ফিরে এসেছে । তবে এখনকার খবরের চরিত্রগুলো রুপালি পর্দার তারকা নন । ছোট পর্দায় তাঁরা সারাক্ষণই আসেন , কখনো খবর হয়ে , কখনো বির্তক করতে । তাঁরা যে একেবারে অভিনয় করেন না , তা – ও বলা যাবে না । কেননা , তাঁরা সবার সামনে যা বলেন , সব সময়ে তা যে বিশ্বাস করেন বা প্রতিপালন করেন , তা নয় । এখনকার ‘ হাওয়া থেকে পাওয়া ’ ঘটনাবলিতে তাঁদের কোনো কিছুই করতে হয় না । কারও সঙ্গে গোপন অভিসারের কোনো প্রশ্নই তো ওঠে না । কেননা , এখনকার হাওয়া থেকে পাওয়া খবরগুলো তৈরি করেন কতিপয় অতীব সৃজনশীল পুলিশ কর্তা । অবশ্য এর কৃতিত্ব যে