সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানবাধিকার সমস্যা সমাধানে সরকার কী করছে

  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেটকে জানিয়েছেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধের জন্য তাঁর সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। জেনেভায় হাইকমিশনারের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি বিষয়ে একথা জানান (‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে’, ইত্তেফাক অনলাইন, ২৬ মার্চ, ২০২২)। খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক সভায় অংশ নিতে জেনেভায় অবস্থানকালে আইনমন্ত্রী জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমসমূহ তাঁর কাছে তুলে ধরেন। তিনি হাইকমিশনারকে জানান যে সরকার ইতিমধ্যে একটি টেকনিকাল কমিটি গঠন করেছে এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করছে।  আইনমন্ত্রীর এ বৈঠকের বিষয়ে অবশ্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে কোনো বিবরণ প্রকাশ করা হয় নি। নানা কারণে এ বৈঠক মানবাধিকার সংগঠকদের কিছুটা কৌতুহলী করে তুলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছাড়াও মানবাধিকারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার যখন দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি, তখন এই

রুশ আগ্রাসনের চার সপ্তাহ কী ইঙ্গিত দেয়

বিশ্বজুড়ে অস্ত্র এবং তেলের ব্যবসায় নিজেদের একচেটিয়া পুঁজির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে দেশে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ও যুদ্ধ এবং নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ বহুদিনের। এসব যুদ্ধে কখনো কখনো তার ইউরোপীয় মিত্ররাও সহযোগী হয়েছে, আবার মাঝে-মধ্যে বিরোধিতাও করেছে। আফগানিস্তানে আল-কায়েদা ও তালেবানবিরোধী যুদ্ধে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী হয়েছে তার নেতৃত্বধীন সামরিক জোট ন্যাটোর বাইরেও অনেক দেশ। কিন্তু ইরাকে কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মূলের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে ইউরোপের অধিকাংশ দেশি অংশ নেয়নি, ন্যাটোও জোট হিসাবে ইরাক যুদ্ধে যুক্ত হতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তখন রাশিয়া কিম্বা চীনের মত শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কোনো পাল্টা জোট গড়ার চেষ্টা করেনি; অন্যান্য দেশের তো প্রশ্নই ওঠে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অনেকেই তাই এখন রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার চেষ্টাকে সমর্থন করছেন। তাঁদের কাছে প্রতিবেশী একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লংঘনে রাশিয়ার আগ্রাসন গুরুতর কোনো অপরাধ হিসাবে বিবেচ্য নয়; বরং রাশিয়ার পরাশক্তি হিসাবে পুনরুত্থান বিশ্বের জন্য মঙ্গলদায়ক হবে বলেই তাঁদের ধা

রুশ রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ অনাকাঙ্ক্ষিত

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন, যাকে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান অভিহিত করে একটি বিকল্প চিত্র তুলে ধরতে বিশেষভাবে তৎপর, তার অংশ হিসাবে দেশটির দূতাবাস বাংলাদেশেও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে একটি অনাকাঙ্খিত বিতর্কের সূচনা করেছে। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি এক খোলা চিঠিতে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর উদ্দেশে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ওই খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে যে পক্ষপাতদুষ্ট ও বিদ্বেষমূলক খবর প্রকাশ করছে, তার ছায়া পড়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে। তারাও একই ধরনের খবর প্রচার করছে। তাঁর এই চিঠি শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় দুঃখজনক হস্তক্ষেপের শামিল এবং নিন্দনীয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকীয় নীতি রুশ রাষ্ট্রদূতের পছন্দ না হতেই পারে, কিন্তু সেই স্বাধীনতাকে তিনি বিদ্বেষমূলক অভিহিত করতে পারেন না। রুশ সরকারের ভাষ্য যথাযথভাবে প্রতিফলিত না হয়ে থাকলে তাঁর দূতাবাস প্রতিদিন নিয়ম করে তাঁদের রণক্ষেত্রের বুলেটিন প্রকাশ করে তা সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা কর

বর্জনপীড়িত কমিশনও চায় রাজনৈতিক সমঝোতা

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল শপথ নেওয়ার পর ‘আগামী নির্বাচনে আইনের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা’র অঙ্গীকার করে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘সমঝোতা সৃষ্টির’ অনুরোধ করবেন। সুন্দরভাবে নির্বাচনটা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চুক্তির কথাও তিনি বলেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের সময় সম্ভবত তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে তাঁর মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় অর্ধেকই অংশ নেয়নি। তারা ওই বাছাই প্রক্রিয়াকে ক্ষমতাসীন দলের পছন্দকে বৈধতা দেওয়ার প্রক্রিয়া বলে অভিহিত করেছিল। আগের দুটি কমিশনের সঙ্গে নতুন কমিশনের ফারাক বিচার করলে যে বিষয় অবশ্যই বলতে হবে, তা হলো আউয়াল কমিশন গঠিত হয়েছে আইন অনুসারে, কিন্তু অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ছিল বর্জনপীড়িত; বিপরীতে আগের দুটি কমিশন হয়েছিল আইন ছাড়াই, কিন্তু অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ছিল অংশগ্রহণমূলক। বাছাই প্রক্রিয়ায় বিরোধীদের অনাস্থা ও অংশগ্রহণে অস্বীকৃতির কারণে কয়েকজন তাঁদের নাম প্রস্তাবিত তালিকায় না রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল। কেননা, তাঁরা পক্ষপাতের অভিযোগে বিতর্কিত হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি। নতুন কমিশনে যাঁ