সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুটি সাক্ষাৎকার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গ

মহাজোট সরকারে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এমন দুজন নেতার দুটি সাক্ষাৎকারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটের যে স্বীকারোক্তি বেরিয়ে এসেছে অনেকেই হয়তো তাকে বঞ্চিতের হতাশার বহিপ্রকাশ হিসাবে নাকচ করে দিতে পারেন। তাঁদের প্রতি করুণা বা সমবেদনা জানোনোর কিছু নেই। কিন্তু, তাঁদের স্বীকারোক্তিগুলোর একটা ঐতিহাসিক মূল্য নিশ্চয়ই আছে। সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো ওয়ার্কাস পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন বলেছেন ‘ যারা অভিযোগ করছে, তাদের একটি কথা বলতে চাই, ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। তারা ২০০৬ সালে ইট মেরে ছিল, সেটা কি ভুলে গেছে? কীভাবে আজিজ কমিশনকে দিয়ে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছিল ? এবার তার একটা পাল্টা জবাব পেয়েছে ‘ । আসন্ন উপজেলা নির্বাচন কেমন হবে তার একটা ধারণাও তিনি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘ আমরা আলাদাভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। যদিও আমরা জানি, এই নির্বাচনে কী হবে! তারপরও আমরা নির্বাচন করবো ‘ ।   নির্বাচনে কলংক  লাগলে সবার গায়ে লেগেছে মন্তব্যে   স্পষ্টতই: জাতীয় নির্বাচনকে কলংকিত করার দায় অস্বীকার না করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোও যে সাজানো এবং নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হবে তার ইঙ্

ট্রাম্পের এ কেমন শুভ কামনা ?

নির্বাচনের ১৯ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে তাঁর তৃতীয় মেয়াদের সাফল্য কামনা করেছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশটির সরকারপ্রধানের চিঠিতে বেশ উৎফুল্ল বোধ করছেন। ফলে, এক সপ্তাহ পরে হলেও চিঠিটির কপি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। গণমাধ্যমে এই সংবাদের শিরোনাম হয়েছে ‘ হাসিনাকে ট্রাম্পের অভিনন্দন ‘ ( বিনিউজ২৪.কম)। ভবিষ্যতের সাফল্য কামনাও নি:সন্দেহে গুরুত্বর্পূণ। কিন্তু, চিঠির শেষ অংশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব কথা লিখেছেন সেগুলো পড়ার পরে একজন বাংলাদেশী হিসাবে আনন্দিত হবো না ব্যাথিত হবো তা নিয়ে সংশয়ে আছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন রাজনৈতিক বিরোধী এবং তাঁদের সমর্থকদের ওপর হামলা এবং সাংবাদিকদের নির্যাতনের খবরগুলো অব্যাহত থাকায় জাতীয় নির্বাচন এবং বাংলাদেশের আর্ন্তজাতিক ভাবমূর্তি কলংকিত হচ্ছে। এর আগের বাক্যে তিনি লিখেছেন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ‘ র জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের আলোকে আপনার অঙ্গীকার বিশেষভাবে গুরুত্বর্পূণ। প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীক

সংবাদমাধ্যমের নির্বাচনী পরীক্ষা

এবারের নির্বাচন বাংলাদেশে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি কেন প্রয়োজন তা আবারও বুঝিয়ে দিয়েছে। দেশে ব্যাঙ্গের ছাতার মত অসংখ্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক এবং বলতে গেলে অপরিহার্য্য। মুক্তিযুদ্ধ কিম্বা প্রাক - গণতন্ত্র যুগে আমাদের ভরসা ছিল বিবিসি এবং অন্য আরও কিছু বিদেশি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু , গত ২৮ বছরের গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের অভূতর্পূব বিকাশেও সেই নির্ভরশীলতা কাটেনি। এজন্যে অনেকের মধ্যেই হতাশা ও দু : খবোধ আছে , কিন্তু , দৈন্য কাটানোর চেষ্টা আছে কি ? নির্বাচনটা কেমন হোল তার আসল চিত্রটা তুলে ধরতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর করুণ এবং হতাশাজনক ব্যর্থতা প্রকটভাবে ধরিয়ে দিয়েছে দুটো মাধ্যম।   ১.   সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলো – যেমন ফেসবুক , ইউটিউব ও টুইটার।   ২.   বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো। অবশ্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ছিল ব্যাতিক্রম। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে , কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া , ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের নির্বাচনী সংবাদগুলোও