সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The just-concluded Eid festival in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties. According to the Bangladesh Jatri Kalyan Samity, between April 4 and 18, there were at least 407 fatalities and 1,398 injuries from 399 road accidents. This represents an alarming increase, with crashes and deaths up by nearly 25 percent compared to last year. Even more concerning is that injuries have more than doubled, as reported by the passenger rights group. The government, however,reported figures which were considerably lower - with an average of 19 deaths and 17 accidents per day, still higher than in previous years. Recently, Prothom Alo reported that over six lakh vehicles across the country are operating without fitness certificates, making it illegal for them to be on the roads. Citing the Bangladesh Road Transport Authority (BRTA), the report indicated that out of approximately 60 lakh vehicles in the country, around 44 lakh motorcycles are exempt

আওয়ামী লীগে অবাধ্যতার ভালো–মন্দ ও দায়

  গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ সংবাদপত্রে মন্ত্রী–এমপিদের স্বজনদের দলীয় নির্দেশ অমান্য করার খবর প্রধান শিরোনাম হচ্ছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে পৌঁছানোর পর উপজেলা নির্বাচনের নামে যে আরেকটি সাজানো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আয়োজন চলছে, তা নিয়ে খুব একটা প্রশ্নের অবকাশ নেই।  রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে এখন অরাজনৈতিক পরিচয়ে ভোটের আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু তারপরও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। অথচ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার গঠনের জ্বালা কী, তা তো আওয়ামী লীগের বুঝতে আর বাকি নেই। সম্ভবত: সে কারণেই উপজেলা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার তাগিদটা তারা বেশ জোরালোভাবেই অনুভব করেছে।  দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলে রাজনৈতিক বিরোধীরা ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী হবে, এমন ধারণাও হয়তো প্রবল ছিল। এখন বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার উপায় কী? সংসদ নির্বাচনে ডামি প্রার্থী দিয়েও তো একদলীয় নির্বাচনের অভিযোগ থেকে রেহাই মেলে নি। সুতরাং, মন্ত্রী–এমপিদের ক্ষমতার প্রভাব থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাঁদের পরিবারের সদস্য

ভারতের নির্বাচনে বাংলাদেশের ভাবনার কিছুই কি নেই

  আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, তার মাত্র ২৪ ঘন্টা পরই সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। রাজনৈতিক পন্ডিতদের অধিকাংশই ধরে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে চলেছেন। অবশ্য নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে যে ধরণের ধরপাকড় হয়েছে, তাতে অনেকে ভাবছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজেপি ভেতরে ভেতরে হয়তো বিজয়ের ব্যাপারে আস্থা পাচ্ছে না এবং সেকারণেই বিরোধীদের কোণঠাসা করার সবরকম চেষ্টাই চলছে। না হলে খোদ দিল্লির মূখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের আয়ের ওপর বকেয়া কর দাবি করে ব্যাংক হিসাব জব্দের মতো ঘটনার কোনো জুতসই ব্যাখ্যা তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না।  এতসব নাটকীয়তা আমাদের প্রতিবেশীর ঘরে ঘটছে, কিন্তু আমাদের দেশে তেমন কোনো আলোচনা–বিশ্লেষণ নজরে পড়ে না। আমাদের নির্বাচনের আগে ভারতীয় সাংবাদিক ও বিশ্লেষকদের ( সাবেক কূটনীতিক) পদচারণ ঢাকায় কতটা অনুভূত হয়েছে, তা নিশ্চয়ই এখনও স্মৃতিতে ফিকে হয়ে যায়নি। দিল্লিতে ভারত সরকারের মুখপত্রকেও বিভিন্ন সময়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু বিপরীতে আমাদের কোনো সংবাদমাধ্

সংবাদপত্র কেন নিজেদের অপ্রয়োজনীয় করে ফেলছে

  সংবাদ মাধ্যমে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জীবনে থেমে থাকার অবকাশ একেবারে নেই বললেই চলে। ঘটনা–দুর্ঘটনা ছুটির দিন বলে যেহেতু বিরতি নেয় না, সেহেতু সংবাদকর্মীদের সেসব দিনেও পরিবার,বন্ধু–বান্ধব ছেড়ে খবরের পেছনে ছুটতে হয়। বছরের ৩৬৫ দিনের একটি দিনেও এর কোনও ব্যতিক্রম নেই। টেলিভিশন ও রেডিওতে তাই বার্তাকক্ষে কখনোই কোনো ছুটি ছিল না, এখনো নেই। বর্তমানে যোগ হয়েছে অনলাইন বা মাল্টিমিডিয়া পোর্টাল। সেখান থেকেও ’ছুটির দিন’ কথাটা নির্বাসিত।  সংবাদপত্রে অবশ্য জাতীয় ছুটি, বিশেষত: ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবের দিনগুলোয় ছুটির প্রচলন আছে। এর কারণ মূলত: ছুটির দিনে পত্রিকা বিতরণ ব্যবস্থার সমস্যা। তবে আমাদের দেশেই সম্ভবত ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব মিলিয়ে ছুটির দিন অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। যুক্তরাজ্যে খ্রিষ্টধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনে কোনো পত্রিকা ছাপা হয়না। তবে ২৬ ডিসেম্বর কাগজ ছাপা হয় বলে ২৫ তারিখে পত্রিকা অফিস খোলা থাকে। বন্ধ থাকে মূলত ২৪ ডিসেম্বর। কয়েকটি কাগজ নববর্ষের দিন এবং ফাইনান্সিয়াল টাইমস নববর্ষ, গুড ফ্রাইডে ও বক্সিং ডেতে ছাপা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো কোনো পত্রিকা একদিনের জন্যও বন্ধ থাকে না। আবার কোনো কোনোটি কিছু কিছ

ছাত্রারজনীতি আর ক্ষমতার দাপট এক নয়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রছাত্রীদের রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পসের দাবির মুখে ছাত্রলীগের ঘোষণা ছিল, ’যে কোনো মূল্যে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি দেখতে চাই’। মানতেই হয় আদালত আমাদের ’যে কোনো মূল্য’ দেওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। ছাত্রলীগের মূল্য, অর্থাৎ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিভিন্ন ধরণের মূল্য আদায়ের কথা স্মরণ করে দেখুন। বলে নেওয়া ভালো, বর্তমানের ছাত্রলীগ আর স্বাধীনতাসংগ্রাম ও গণতন্ত্রের জন্য সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে  অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ এক নয়। গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগের ভূমিকা একেবারে বদলে গেছে। সংগঠনটি এখন ক্ষমতা ও একচেটিয়া দাপট প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রতীকে পরিণত হয়েছে।  ছাত্রলীগ করলে হলে থাকার ব্যবস্থা হয়, চাকরি মেলে, ব্যবসা–বাণিজ্যেও নানারকম সুযোগ তৈরি হয়। আর সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার ও অপব্যবহার দুটোই ঘটে। এর ফলে ছাত্রলীগ নেতারা এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন যে প্রশাসনিক শীর্ষপদে থাকা ব্যক্তিরাও তাদের তোয়াজ করে চলেন। সব ধরনের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি, কেনাকাটায় এদের অদৃশ্য ভূমিকা অপরিহার্য্য হয়ে ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের কমিশন নিয়ে ফাঁস হওয়া টে