সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নতুন মন্ত্রিসভা, সংসদ সদস্যদের শপথ ও কিছু প্রশ্ন

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাক্‌স্বাধীনতার অংশ।’ তিনি তাঁর একই বক্তৃতায় সতর্ক করে দিয়ে এ কথাও বলেছিলেন, ‘যদি কেউ স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, তা সংবাদমাধ্যমই হোক বা আইনজীবী হোক, তাকে শায়েস্তা করতে আদালতের হাত যথেষ্ট লম্বা।’ তাঁর পূর্বসূরিদেরও কেউ কেউ একইভাবে রায়ের সমালোচনাকে বাক্‌স্বাধীনতার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেই সুবাদে এবং আদালতের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে একটি সাংবিধানিক প্রশ্নের আলোচনা জরুরি হয়ে পড়েছে। যে প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা, সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আছে। তবে এ আলোচনা নিতান্তই আইনকেন্দ্রিক ও তত্ত্বগত। একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ গ্রহণে সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, এ প্রশ্ন আদালতে গড়ালে আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নতুন সংসদের সদস্যদের শপথ দেওয়ার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। মো. তাহেরুল ইসলাম (তৌহিদ) বনাম স্পিকার, জাতীয় সংস

People’s loss of faith in elections: To what extent is the EC to blame?

Since the Awami League's fourth consecutive victory in what appeared to be an essentially one-sided election, much of the discussion has centred around the future trajectory of politics and the potential impact on business and the economy. A crucial institutions - the Election Commission - should not  skip a closer scrutiny of its role in managing the election, which allowed the ruling party to manipulate the system adeptly and walk away unchallenged. During an event on January 18, Chief Election Commissioner (CEC) Kazi Habibul Awal, without taking any responsibility, finally acknowledged that ‘people's confidence in the electoral system had declined. The CEC’s realisation that ‘the election was not sufficiently participatory’, and “the crisis still remains as the polls had not been acceptable to some parties” makes us wonder how he could still claim that  “the nation could overcome a crisis through this election?”. His remarks at the thanks-giving event at the commission indic

ডামি বিরোধী দলের স্বপ্নচারীদের কথা

দেশে যে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হয়েছে, তাতে বিরোধী দল কোনটি এবং বিরোধীদলীয় নেতা কে, তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে সংবাদপত্রের পাতায় নানারকম জল্পনার কথা ছাপা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সদস্যপদ আছে, কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলের প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন, এমন কেউ কেউ বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা নিতে আগ্রহী বলে প্রকাশ্যে অথবা অপ্রকাশ্যে তাঁদের আকাঙ্খার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী নেতা হতে আগ্রহী কেউ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের নিয়ে আলাদা কোনো দল গঠনেরও উদ্যেগ নেননি। ৬২ জন স্বতন্ত্র সদস্যের ৫৮ জনই আওয়ামী লীগের এবং দলীয় পরিচয় হারাতে রাজি নন। ফলে স্বতন্ত্রদের কোনো গ্রুপ গঠিত হলেও তাকে বিরোধীদল বলার অর্থ হবে জাম গাছের ফলকে আম নামে ডাকা।  তাঁরা আশা করছেন, কোনো এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্বতন্ত্র অবস্থান নিতে বলবেন এবং তারপর তাঁরা আলাদা গ্রুপ গঠন করে বিরোধী দলের ভূমিকা গ্রহণ করবেন। আরেকটি মেয়াদে সবাই বিরোধী দলের ভূমিকায় কিছু ব্যক্তির অভিনয় প্রত্যক্ষ করবেন এবং তার বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলে পাত্তা না পাওয়া অথবা কথিত বঞ্চনার শিকার এসব ব্যক্তি বিরোধীদলের প্রাপ্য সুযোগ–সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সহজভাবে বললে এরা

Low voter turnout reflects a rejection of unilateral election

  Several economists, known for their economical use of words, find themselves echoing a sentiment on the recent polling day. After 2 p.m., Dr. Hossain Zillur Rahman took to social media platform X, tweeting enigmatically about 'The presence of absence.' It wasn't challenging to grasp his implication. Subsequently, reports emerged indicating a voter turnout slightly over 26 per cent until 3 :00pm, suggesting that a majority of voters saw little purpose in going to a polling centre when the choices were seemingly limited to the Awami League and its proxy candidates. Even if we entertain the chief election commissioner Kazi Habibul Awal's assertion of a 42 per cent turnout, with an unconvincing rate of voting making nearly one-third of the votes cast in the final hour, this figure falls well below the average voter participation in elections held under caretaker administrations in 1996, 2001, and 2008. The 2008 election, marking the commencement of AL's current rule w

পরাজিত নেতারা কোন কারচুপির কথা বলছেন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিকেরা আসন ভাগাভাগিতে প্রত্যাশা অনোযায়ী তো দূরের কথা, আগের দুই নির্বাচনের তুলনায়ও কমসংখ্যক আসন ভাগে পেয়িছেল। ফলে তারা মনের কষ্ট মনে রেখে নির্বাচনে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে মরিয়া ছিল।  এসব দলের শীর্ষ নেতারা  বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিজেদের জন্য নিশ্চিত করেছিলেন। দলের ছোট মাপের নেতাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামিয়ে দিয়ে এসব শীর্ষ নেতা নৌকা প্রতীকের বিপরীতে যেন আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না থাকেন, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশেরই ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে জয়–পরাজয় স্বাভাবিক। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোট ও  দলের নেতারা পরাজয়ের কারণ হিসাবে যা বলেছেন, বা যেসব অভিযোগ করেছেন, তাতে কৌতুহলী মনের প্রশ্ন, জয়–পরাজয় কোথায় নির্ধারণ হয়েছে?  জোটের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তিনি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তিনি হেরেছেন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে। তাঁর অভিযোগ প্রশাসন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। 

অনুপস্থিত ভোটারদের কথা কি শুনতে পেয়েছেন

  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত কয়েক মাসে বহুবার একটি জরিপের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ৭০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আছে, তিনি আবার নির্বাচিত হবেন। ওই জরিপ গত আগস্টে প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)। বহুল আলোচিত সেই জনমত জরিপে রেকর্ড ৯২ শতাংশ ভোটার জানিয়েছিলেন তাঁরা ভোট দিতে চান।  যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উল্লেখ করা ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটকে সঠিক বলে গণ্য করা হয়, তাহলেও ভোট দিতে আগ্রহী অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে যান নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক। কেননা, ভোট শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে যেখ্নে ভোটের হার ছিল ২৬ শতাংশ, সেখানে এক ঘন্টায় আগের সাত ঘন্টার অর্ধেকেরও বেশি ভোট পড়া শুধু অস্বাভাবিক নয়, সম্ভব কিনা – সেটাও প্রশ্ন।    এই যে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভোট দিতে না যাওয়া, তার কারণ যে বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য নির্বাচন বর্জনকারীদের হরতাল কর্মসূচি, এমন দাবি কেউই করেননি, করবেনও না। কারণ, হরতাল আহ্বানকারীরা কেউ হরতাল কার্যকর করার কোনো চেষ্টাই করেনি। তা সে মাঠে মিছিল–পিকেটিংয়ের

সুষ্ঠু ভোটের অক্ষমতা থেকেই কি দেখানোর আয়োজন

  বছরের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মুখে শোনা গেল, নির্বাচন শুধু সুষ্ঠু হলে চলবে না, নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে৷ তিনি আরো বলেছেন, ”ইনকারেক্ট পারসেপশন (ভুল ধারণা) হতে দেওয়া যাবে না৷ আমাদের দায় জনগণ ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর প্রতি৷ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে খাটো করে দেখা যাবে না, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কমিউনিটির অংশ"। এর একদিন পর কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ হয়ে যাবে।  মনে হচ্ছে, আমাদের নির্বাচন কমিশন হঠাৎ যেন জেগে উঠে বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন নামক একটু অতি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক অনুশীলনের যথাযথ ব্যবস্থা করার দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে এসে পড়েছে। অথচ গত ৬ ডিসেম্বর কমিশনারদের একজন মো. আলমগীর বলেছেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে  কমিশনের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই এবং চাপ দেওয়ার কোনো অধিকারও তাঁদের নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, গত সপ্তাহ চারেক সময়ে কী ঘটেছে এবং কী তাঁরা আশা করেছিলেন যে নিরুদ্বেগ ভাব ছেড়ে এখন তাঁরা এতটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন?   অতিরঞ্জন, আংশিক সত্য কিম্বা তথ্য বিকৃতির সঙ্গে রাজনীতির এক

Dr Yunus’ conviction sets a repugnant precedent

  Bangladesh has once again set a new record by convicting a Nobel laureate for alleged violations of the country's law. The only other Nobel laureate punished after winning the prize is Myanmar’s dethroned leader Aung San Su Kyi, whose conviction was purely political and a consequence of a military takeover. There is a host of Nobel laureates who won this prestigious accolade while they were in prison. But imprisoning a Nobel laureate is an occurrence rarer than rare. Rather, in a recent incident, we saw the exoneration of Philippines' celebrated journalist Maria Ressa in a tax avoidance case after she won the award.  In Bangladesh’s case, it is ironic that the apprehension expressed by176 world leaders and Nobel laureates that Professor Yunus has been targeted with “continuous judicial harassment,” has become a reality over a period of  four months. The conviction of 83-year-old Nobel Laureate Dr Yunus and three of his colleagues, in many ways, sets a new example. The frequen