সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফেসবুক বিতর্কে বাংলাদেশের নির্বাচন

দিন দশেক আগে লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী সাপ্তাহিক অবজারভার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যাক্তিগত তথ্যের বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক অপব্যবহারের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে বিশ্বের নানাপ্রান্তে এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ওই খবরের মূল কথা হচ্ছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি ব্রিটিশ কোম্পানি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মনোবিদের কাছ থেকে ফেসবুকের পাঁচকোটি ব্যবহারকারীর মনস্তাত্ত্বিক গঠনপ্রকৃতির তথ্য-উপাত্ত কিনে তা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে কাজে লাগিয়েছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ( সিএ) অন্যান্য দেশেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একইধরণের কাজে যুক্ত ছিল এবং আছে বলে খবরটিতে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যে তো বটেই বিতর্কে আমাদের প্রতিবেশি ভারতও পিছিয়ে নেই। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা – যেসব দেশে সিএর কার্য্যক্রমের কথা উঠেছে সেসব দেশে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। তবে, বাংলাদেশ হচ্ছে এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম – আগামী নির্বাচনে তাদের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার খবর নিয়ে কোথাও কোনো কথা নেই। অবজারভারের প্রথম খবরটি প্রকাশের একদিন পর উনিশে মার্চ ভারতীয় পত্রিকা

সংবিধানের ৭০ ধারার রায় কি ইঙ্গিত দেয়?

বাহাত্তরের মূল সংবিধানের বিধানের বৈধতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বলে হাইকোর্ট বিভাগের নতুন রায় যে বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ সন্দেহ নেই। আপিল বিভাগ এর আগে একাধিক মামলায় বাহাত্তরের সংবিধানের অনেক পরিবর্তন সম্পর্কে রায় দিলেও হাইকোর্ট বিভাগের এই নতুন সিদ্ধান্ত বিচারবিভাগের ভবিষ্যতের জন্যও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে সংসদীয় আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা প্রশ্নে আনীত রিট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক বেঞ্চ রোববার, ১৮ মার্চ খারিজ করে দিয়েছেন। পুর্ণাঙ্গ রায়ের কপি এখনও প্রকাশিত হয় নি। তবে, আইনজীবিরা জানিয়েছেন, রিট খারিজ করার আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ ছিল, সেহেতু এই অনুচ্ছেদটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ দিতে পারে না। আমরা জানি ষোড়শ সংশোধনীর মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংবিধানের দলত্যাগ-নিরোধ সংক্রান্ত ৭০ অনুচ্ছেদকে সংসদ সদস্যদের ‘ নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন ’ ভূমিকা গ্রহণ

সুখের সূচক নাকি অসুখের ?

অনেকদিন ধরে ‘ ভালোই তো আছি ‘ ধরণের একটি বোধ অনেকের মধ্যে জেঁকে বসে আছে। এমন একটি আবহ দেশে বজায় থাকুক সেটা সব সরকারের মতই আমাদের সরকারও চায়। আর, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা চ্যানেলগুলোতেও এরকম একটি ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টাও বেশ লক্ষণীয়। বিশ্বে কোন দেশের নাগরিক কতটা ভালো আছেন, নিজেদের কতটা সুখী ভাবেন তার ওপর বছর কয়েক ধরে একটি বার্ষিক সমীক্ষা প্রকাশ করছে জাতিসংঘ। এবারের সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে ১৪ মার্চ বুধবার। এতে দেখা যাচ্ছে ১৫৫ টি দেশের মধ্যে ফিনল্যান্ড হচ্ছে সবচেয়ে সুখী, আর সবচেয়ে কম সুখী দেশ হচ্ছে বুরুন্ডি। বাংলাদেশ আগেও যে খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল তা নয়। কিন্তু, এবছরে তার আরও অবনতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫তে। বাংলা কাগজগুলোর অনেকেই খবরটি অবশ্য প্রকাশযোগ্য মনে করেনি। ইংরেজি একটি পত্রিকার শিরোনামের অনুবাদ দাঁড়ায় ‘ বাংলাদেশ ভারত এবং শ্রীলংকার চেয়ে সুখী ‘ । শিরোনামটি থেকে ধারণা করা অন্যায় হবে না আমরা সবকিছু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখতেই পছন্দ করি। খবরটিতে আমাদের দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশিরা কারা এগিয়ে আছেন সেগুলোর দিকে নজর না দিয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি যারা আমাদের থেকে পিছিয়ে আছে তাদের দিক

সি’র আজীবনের ক্ষমতায়ন কতটা বিপজ্জনক ?

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম কংগ্রেসে যখন সি চিন পিংয়ের রাজনৈতিক ভাবনাকে সি - র চিন্তাধারা হিসাবে স্বীকৃত দেওয়া হয় , তখনই ধারণা করা হয়েছিল এ রকম কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে । চীনা বিপ্লবের নেতা ও পার্টির চেয়ারম্যান মাও জে দংয়ের রাজনৈতিক ভাবনা যেভাবে মাওয়ের চিন্তাধারা হিসেবে দলে স্বীকৃতি পেয়েছিল এবং অনুসৃত হয়েছিল , দলের সেক্রেটারি জেনারেল সি - র রাজনৈতিক দিশার অনুরূপ স্বীকৃতিলাভ ইঙ্গিতবহ ছিল বৈকি । মাওয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় ১৫ বছরের কিশোর সি দলের নির্দেশে লাখো তরুণের মতোই দেশকে জানতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ফিরে গিয়েছিলেন । বলা হয় , তিনি গুহায় জীবন যাপন করেছেন । শাংসি প্রদেশের লিয়াংজিয়াহে সাত বছর কাটানোর পর  তিনি বলেছিলেন , তিনি আত্মবিশ্বাসে পরির্পূণ এবং তাঁর জীবনের লক্ষ্য তিনি ঠিক করে ফেলেছেন । তাঁর জীবনের সেই লক্ষ্য কী ছিল , তা আমাদের অনেকেরই জানা ছিল না । কিন্তু ধারণা করি , ১১ মার্চ রোববার চীনের পার্লামেন্ট বা পিপলস কংগ্রেস তাঁর সেই লক্ষ্য পূরণ করেছে । দেড় ‘ শ কোট