সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিজ্ঞাপনের ভাষায় প্রতিবেশির বন্ধুত্ব!

বিজ্ঞাপনের ভাষা এবং কথাগুলো এতো অর্থবহ ও আকর্ষণীয় হয় যে মাঝেমধ্যে ওইসব সৃজনশীল পেশাজীবির প্রতি আমার খুব ঈর্ষা হয়। কপি রাইটার নামে পরিচিত এঁদের ছোট ছোট একেকটি বাক্য যে এতো বিপুল সম্ভাবনার কথা বলে যা আমাদের মত সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে বাধ্য। কথাগুলো মনে পড়লো, ভারতীয় ঢাকার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রথম পাতায় সোমবার প্রকাশিত একটি বেসরকারী বিমান কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখে। বিজ্ঞাপনটিতে বলা হচ্ছে ‘ দিল্লি, এখন ঢাকার আরও কাছিাকাছি ‘ (ডেলহি. নাও ইভেন ক্লোজার টু ঢাকা)। কথাটির গুরুত্ব মোটামুটি সবাই বোঝেন। সংস্কৃতি, বিনোদন, অর্থনীতি, বাণিজ্য, ক্রীড়া, রাজনীতি সবক্ষেত্রেই এই নৈকট্য দৃশ্যমান। আবার সবক্ষেত্রেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর একটা প্রতিযোগিতাও আছে। সপ্তাহকয়েক আগে ‘ রাজনীতির গাড্ডায় পড়া ‘ বিএনপির নেতাদের দিল্লি সফরের পর এই প্রতিযোগিতার বিষয়টি এখন অনেকেরই আলোচনার খুব প্রিয় বিষয়। যেন এর আগে বিএনপি কখনোই দিল্লিমুখো হয় নি। অথচ, দিল্লির সহানুভূতি পেতে দলটি যে কত বেপরোয়া তা প্রমাণের জন্য ২০১৪ ‘ র ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে খালেদা জিয়ার একটি কথিত টেলিসংলাপের রেকর্ড নি

সুলতান এরদোয়ানের নির্বাচনী বিজয়

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত দেড় দশক ধরে তুরস্কের রাষ্ট্রক্ষমতায়, তবে ২০১৪ ‘ র আগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী । প্রেসিডেন্ট পদে এবার তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দেশ চালাবেন। বছর দুয়েক আগে সেনাবাহিনীর অভ্যূত্থান প্রচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করায় সফল হওয়ার পর থেকে কার্য্যত তিনি একজন অপ্রতিদ্বন্দী নেতা ছিলেন। রোববারের নির্বাচনে তাঁর সেই অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হোল। এই নির্বাচনের আগে গতবছর তিনি সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের হাতে যেসব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছেন তাতে করে তাঁর ক্ষমতা ওসমানীয় যুগের সুলতানদের চেয়ে খুব একটা কম হবে না। এতোদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে সামান্য কিছু ক্ষমতা ছিল, সেটাও প্রেসিডেন্টের কাছে ফিরে আসছে। কেননা, প্রধানমন্ত্রী পদটাই বিলুপ্ত হবে। তিনি মন্ত্রীদের নিয়োগ করবেন এবং তাঁরা তাঁর কাছেই জবাবদিহি করবেন। বিচারক নিয়োগ, প্রতিরক্ষাবাহিনীর নিয়োগ এবং যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা সবই এখন তাঁর হাতে। প্রেসিডেন্ট পদে ২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাঁর একই দলের নেতা আব্দুল্লাহ গুল। কিন্তু, নির্বাহী ক্ষমতার সিংহভাগই ভোগ করতেন এরদোয়ান। এখন ক্ষমতা

আওয়ামী লীগের একাল-সেকাল

রাশেদ সোহরাওয়ার্দী, আওয়ামী লীগের আদর্শিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে। স্থায়ীভাবে লন্ডনে আবাস গড়লেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর নাড়ির সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা ব্রিটেনে এলে তাঁদের সঙ্গে তাঁর প্রতিবারই যোগাযোগ হয়। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের বাসভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। তবে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা খুব বেশি হয়নি। ১৩ জুন প্রথম সুযোগ হলো তাঁর কিছু কথা শোনার। কতিপয় সহানুভূতিশীল ব্রিটিশ রাজনীতিকের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর জন্য আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর বক্তব্যই ছিল সবচেয়ে তীব্র এবং সমালোচনামূলক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি কমিটি কক্ষে আয়োজিত ওই সভায় তিনি আেক্ষপ করে বলেন যে আওয়ামী লীগে তাঁর বাবার কথা এখন আর কেউ উচ্চারণ করেন না। যে চার মূলনীতি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের ওপর দলটি প্রতিষ্ঠিত, তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে সেই নীতিগুলোর প্রতি তিনি অবিচল থাকতেন। রাশেদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘কার্যকর বিরোধী দলহীন নির্বাচন’ গণতন্ত্রের পর

ইচ্ছে হলেই বন্ধ, এ কেমন নীতি

যেসব ধরনের হয়রানির আশঙ্কা নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাবিত খসড়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছিল, তা নিরসন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন একাধিক মন্ত্রী এবং সংসদীয় কমিটি। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা অপপ্রয়োগের ভোগান্তি তো আর কম হয়নি। মাত্র কয়েক দিন আগে সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকেও এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে ইন্টারনেটে দুটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটের পথে সাময়িকভাবে প্রতিবন্ধক তৈরি করে সরকার সেই আশঙ্কাই আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। ওই দুটি সংবাদমাধ্যমের একটি হচ্ছে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক  ডেইলি স্টার , আর অপরটি ওয়েবভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। প্রথমটির অনলাইন পোর্টালে প্রবেশপথ বন্ধ করা হয় ২ জুন এবং পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রেও ১৮ জুন একই ধরনের পদক্ষেপ নেয় বিটিআরসি। সরকারি মহলে বহুদিন ধরেই সমালোচিত  ডেইলি স্টার । কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহের অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত। বিপরীতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর সরকারি মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত। এই দুটি বিপরীতধর্মী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ ধরনের অস্বাভাবিক

ইন্টরনেটে ইচ্ছে হলেই বন্ধের নীতি কাম্য নয়

মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে ইন্টারনেটে দুটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটের পথে প্রতিবন্ধক বসিয়ে কয়েকঘন্টা পরই তা আবার সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি। একটি হচ্ছে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি ষ্টার, আর অপরটি ওয়েবভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। প্রথমটিতে পত্রিকাটির অনলাইন পোর্টালে প্রবেশপথ বন্ধ করা হয় ২ জুন এবং সারাদিন পর রাতের বেলা তা প্রেত্যাহার করে নেওয়া হয়। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রেও দিনের প্রথমভাগে একই পন্থা অবলম্বন করে রাতের বেলায় তা সরিয়ে নেওয়া হয়। ডেইলি স্টার সরকারীমহলে বহুদিন ধরেই সমালোচিত এবং বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ সরকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রবেশাধিকারও নিয়ন্ত্রিত। তবে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ঠিক তার বিপরীত, সরকারীমহলে বিশেষভাবে সমাদৃত এবং সরকারের অনেক দপ্তরেই অন্যদের তুলনায় তাদের জন্য দরোজা অধিক প্রসারিত। এই দুটি বিপরীতধর্মী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এধরণের অস্বাভাবিক আচরণের কারণ সরকারীভাবে যেহেতু বলা হয় নি, সেহেতু আমরা তা জানি না। তবে, তাতে করে অনুমান করা থেকে তো কেউ আমাদের বিরত রাখতে পারে না। এবং লক্ষ্যণীয়ভাবে জনমনের অনুমানে কোনো ত

মিয়ানমার-জাতিসংঘ চুক্তি ঘিরে গোপনীয়তা কেন?

ঈদের নামাজের পর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মোটেও স্বাভাবিক কোনো দৃশ্য নয়। উৎসবের এই দিনে সাধারণত ঈদ জামাতের পর পরিচিতজনেরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব ভালো খাবার নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। কিন্তু, বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে এবারে সেই অস্বাভাবিক ঘটনাই ঘটেছে। বিক্ষোভ করেছেন রোহিঙ্গারা। বিক্ষোভ অবশ্য আশ্রয়দাতা দেশ বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সিদ্ধান্ত বা আচরণের বিরুদ্ধে নয়। এটি জাতিসংঘের বিরুদ্ধে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, ইউএনডিপি এবং জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এই প্রতিবাদ তার বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের দাবি তাদের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়ে তাদের মতামত নিতে হবে। তারা স্পষ্ট করে বলেছে প্রত্যাবাসন হতে হবে মর্যাদার সঙ্গে , যার মানে হচ্ছে জাতিগত গোষ্ঠী হিসাবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি এবং ফূর্ণাঙ্গ নাগরিক অধিকার। এরপর তারা নিরাপত্তার নিশ্চয়তার কথাও বলেছে। ইউএনএইচসিআর এর প্রতি তাদের খোলামেলা দাবি সমঝোতা স্মারক, এমওইউ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ইউএনড

ঈদ আনন্দ, ফুটবল উন্মাদনা ও রাজনীতি

ঈদে শুভেচ্ছা জানাতে কার্ড পাঠানোর চল এখনও আছে। তবে, সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে ডিজিটাল ঈদ শুভেচ্ছা। ঈদে এবার অনেক বাড়তি আনন্দেরও উপাদান আছে। আশা করি সবাই এসব উপাদানের কিছু না কিছু উপভোগ করতে পারবেন। যাই হোক যেসব বাড়তি আনন্দের উপকরণের কথা বলছিলাম, তার মধ্যে অবধারিতভাবেই আছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। বাঙ্গালীর মত ফুটবলপ্রেমি সারা বিশ্বে বিরল। জমি বেচে পছন্দের দলের পতাকা বানানো কিম্বা সংসারের বছরের বাজার খরচের টাকা দিয়ে পুরো ছয়-সাততলা ভবন অন্য একটি দেশের পতাকার রঙ্গে রাঙ্গানোর দৃশ্য আর কোথায় দেখা যাবে বলুন। ফুটবলের আগে আনন্দে ভাসিয়েছে আমাদের মেয়ে ক্রিকেটাররা। ছেলেরা এতোদিন ধরে ক্রিকেট খেলে আমাদের দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকে তুঙ্গে নিয়ে গেছে ঠিকই, কিন্ত্র প্রথম আর্ন্তজাতিক শিরোপাটি মেয়েরাই এনে দিয়েছে। তাও আবার মেয়েদের ক্রিকেটের এশিয়ার মুকুট যাদের কাছে ছিল সেই ভারতকে টুর্নামেন্টে দু ‘- দু ‘ বার হারিয়ে দিয়ে। এখানেও বাড়তি পাওনা আনন্দ-উচ্ছাসে উচ্ছসিত জাতি এতোদিনে নারী-পুরুষের আয়বৈষম্যের বিষয়েও সচেতন হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নারী ক্রিকটারদের পারিশ্রমিক কম কেন? খেলার আনন্দে দেশ মাতোয়ারা থাকলে সরক

বাজেট নিয়ে কিছু রাজনৈতিক প্রশ্ন

অর্থমন্ত্রী হিসাবে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের রেকর্ডটি বেশ চমকপ্রদ। ৭ জুন তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করেন গণমাধ্যমে তাকে তাঁর দশম বাজেট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, আসলে এটি হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের একটানা দশম বাজেট, অর্থমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দ্বাদশ। কেননা, প্রায় ছত্রিশ বছর আগে তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অর্থমন্ত্রী হিসাবেও তিনি ১৯৮২-৮৩ অর্থবছর এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরেরও বাজেট পেশ করেছিলেন। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে বারোটি বাজেটের কোনটির ক্ষেত্রেই তাঁকে কার্য্যত কোনো বিরোধীতার মুখে পড়তে হয় নি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের সময়কালে সংসদে বিরোধীদল হিসাবে বিএনপি ছিল বটে তবে তারা ছিল ইতিহাসের ক্ষুদ্রতম বিরোধীদল। আর, বর্তমান মেয়াদে সংসদের বিরোধীদলে যাঁরা আছেন তাঁরা তো সরকারেরই অংশ। বাজেট প্রস্তাব নিয়ে তাঁকে কখনোই তেমন বড়ধরণের কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। যতটুকু রদবদল করতে হয়েছে তা সরকারপ্রধানের ইচ্ছাতেই হয়েছে। একসময়ে সংসদে বাজেট উত্থাপনের পরপরই তাকে গণবিরোধী অভিহিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখানো হোত। হরতালের কর্মসূচিও ছিল অবধার

মধ্যবিত্ত তো আর (ঋণ)খেলাপি নয়!

অর্থমন্ত্রীদের বাজেট বক্তৃতা হচ্ছে সেই যাজকের মত যিনি তাঁর প্রার্থনাসভায় আসা পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে আমার কাছে একটা সুসংবাদ আছে, তার সাথে অবশ্য একটা দু:সংবাদও আছে। সুসংবাদ হলো শিগগিরই আমরা আমাদের নতুন গির্জাভবনে যেতে পারবো। স্বাভাবিকভাবেই সবার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ঊঠলো, তাঁরা খুশি হলেন যে এরকম ছোট, স্যাঁতসেতে, দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে একটা ভালো জায়গায় গিয়ে খোলামেলা, আলো ঝলমলে ভবনে প্রার্থনাসভায় মিলিত হওয়া যাবে। তখনই যাজক বললেন যে দু:সংবাদ হচ্ছে ভবনটি বানানোর টাকা এখনও আপনাদের পকেটে, আপনারা যত তাড়াতাড়ি তা দিয়ে দেবেন আমরা ততো তাড়াতাড়ি সেই নতুন ভবনের কাজ শুরু করতে পারবো। অর্থমন্ত্রীর কাব্যিক শিরোনাম ‘ সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রা ‘ র বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ নিশ্চয়ই সেই সুখানুভূতি জাগানোর মত সুসংবাদ। কিন্তু, কর প্রস্তাবের খুঁটিনাটিগুলো পরিষ্কার হতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে এখন রব উঠেছে যে এটি হচ্ছে মধ্যবিত্তের জন্য দু:সংবাদ। মধ্যবিত্তের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই শ্রেণীটি আকাঙ্খাতাড়িত। ভালো জীবনের আকাঙ্খা। ভালো জীবন মানে ছেলেমেয়ের ভালো লেখাপড়া, ভালো চাকরি, ভালো কাপড়, ভালো খাওয়া, ভাল

প্রতিদান নয়, পাওনাটা তো চাইতে হবে

আমাদের সবচেয়ে বড় ও ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই যে প্রশ্নটি অনেকের মধ্যে ঘুরেফিরে আলোচিত হয়ে আসছে তার একটা উত্তর মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাম্প্রতিকতম সংবাদ সম্মেলনে এর উত্তর দিয়েছেন। একটি অকপট জবাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি বলেছেন ‘ আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, সেটা ভারত সারা জীবন মনে রাখবে। অতীতের গুলি, বোমাবাজি – আমরা কিন্তু তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিযেছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে। আমরা কোনো প্রতিদান চাই না। তবে হ্যাঁ, স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি ‘ । ভারতের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদান চেয়েছেন বলে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে তিনি কী আশ্বাস পেয়েছেন বা কোনো প্রতিদান চেয়েছেন কিনা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি কোনো প্রতিদান চাই না। প্রতিদানের কী আছে এখানে? কারও কাছে চাওয়ার অভ্যাস আমার একটু কম, দেওয়ার অভ্যাস বেশি। বাংলাদেশ যে প্রতিবেশির প্রতি বেশি উদার সেটি তাঁর কথায় স্পষ্ট। ঠিক বছরখানেক আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতে স

অশ্রুপাতের বদলে গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ হোক

সমাজে যাঁদের নিরাপত্তা দেবার কথা সেরকম একটি বাহিনীর সদস্যদের হাতে প্রিয়জনকে হত্যার মুর্হুতগুলো টেলিফোনে শোনার কষ্ট অবর্ণনীয় সন্দেহ নেই। নিহত একরামের পরিবারের কষ্ট পুরো দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে। অবশ্য, ব্যাতিক্রমও আছে। যেমন এর মধ্যেও আমরা শুনেছি ‘এতো বড় অভিযানে দু ‘ একটা ভুল হতেই পারে‘। আরও আছেন তাঁরা যাঁরা শুধু ম্যাজিষ্ট্রেটের তদন্তে সব সুরাহা হয়ে যাবে বলে আমাদেরকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, আমরা যাঁরা এই কান্নার রোলে অংশ নিচ্ছি তাঁরাই বা কতটা নৈতিক অবস্থান নিয়েছি?   বিনাবিচারে হত্যার বিরুদ্ধে অশ্রুপাত করা বেশ সহজ কাজ। প্রতিবাদ করা খুব কঠিন। বিশেষ করে, যদি ভয়   সমাজকে গ্রাস করে থাকে। গণমাধ্যম সেই ভীতি থেকে মুক্ত থাকবে এমনটা আশা করা অযৌক্তিক। কেননা, সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলগুলো কেউই বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয় না। কিন্তু, কোনো পরিবেশেই বস্তুনিষ্ঠতার দায়বদ্ধতা এড়ানো সমীচিন নয়। একরামের মৃত্যুকালীন অডিও প্রকাশের পরও গণমাধ্যম সেই বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছে কি? গত দুদিনের প্রধান প্রধান পত্র-পত্রিকাগুলোর খবরগুলোতে যাদেরকে সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা