সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোহিঙ্গাদের জন্য মানচিত্র বদলের প্রস্তাব!

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার স্বদেশে ফেরার বিষয়ে যেমনটি আশংকা করা হয়েছিল, তেমনটিই ঘটেছে। যত শিগগির সম্ভব তাদেরকে দেশে ফেরানোর কাজ শুরু হবে বলে মিয়ানমারের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা যে ভূল ছিল, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের কারণে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি বলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন যে দেশটি মিথ্যাচার করছে।  তাঁর পূর্বসুরি অবশ্য নীতিকৌশলে কোনো ভুলের কথা মানতে রাজি ছিলেন বলে মনে হয় নি। বিশেষত; আর্ন্তজাতিক ফোরামে সমস্যাটির সমাধানের কৌশল অনুসরণের দাবি উঠলেও চীন এবং ভারতের উৎসাহে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে সমাধান সন্ধানেই তিনি আস্থা রেখেছিলেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গত প্রায় দু ‘ বছরে বহু কথা লেখা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, এই জটিল সংকট এখন আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্নটি বিবেচনা জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন যে জটিলতার আশংকা দেখা যাচ্ছে তার ইঙ্গিত মেলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়ার

বৈষম্যের উন্নয়নে বাজেট

উন্নয়নের অর্থনীতিতে দেশে বৈষম্য বেড়েছে এবং এখনো বাড়ছে - এবিষয়ে কারোরই দ্বিমত করার অবকাশ নেই। সরকারের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই দেশের অর্থনীতিবিদরা যেমন এই বৈষম্য বাড়ার বিষয়টির কথা বলেছেন, ঠিক তেমনই আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সহযোগীরাও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার তাগিদ দিয়েছেন। এরকম বাস্তবতায় হঠাৎ করেই বাজেট নাটকীয়ভাবে দরিদ্রবান্ধব হবে অথবা ধনীদের ভোগ করতে থাকা রাষ্ট্রীয় সুবিধাগুলো কমবে বা বন্ধ হবে এমনটি যাঁরা আশা করেছিলেন তাঁদের আশাবাদের তারিফ করতে হয়। কিন্তু, একইসঙ্গে এই রুঢ় সত্যটাও বলা দরকার যে তাঁরা মোটেও বাস্তববাদী নন। বাজেটের বিষয়ে গত দু-তিনদিনে বিভিন্ন ব্যাক্তি-দল-গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক   মানুষ বাজেটে ভিন্নতা আশা করেছিলেন। হতে পারে, অর্থমন্ত্রী হিসাবে দশবছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটার কারণেই হয়তো এমন ধারণা। যাঁরা আশাহত হয়েছেন তাঁদের প্রতিক্রিয়াগুলোর একটি উদ্ধৃত করলে আলোচনাটা সহজ হবে : ‘‘ সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে ধনীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির পিছনে যাঁরা মূল শক্তি সেই কৃষক, শ্রমিক, নারী উদ্যোক্তারা বাজেট

'লিখতে পারি না' বলার স্বাধীনতা

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিকতম সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক গণমাধ্যম সংকটের মধ্যে রয়েছে বলে সাংবাদিকদের চাকরি হারানোর কিছু ঘটনার প্রতি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। গণমাধ্যম সংকটে আছে, সন্দেহ নেই। তবে, গণমাধ্যম সরকারের ভর্তুকিতে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এমন ধারণা আত্মঘাতি। সরকারী সহায়তানির্ভর গণমাধ্যম আর যাই পারুক, সরকারের জবাবদিহিতা চাওয়ার সামর্থ্য পুরোটাই হারাবে। গণমাধ্যম সংকটে কেন ? এই প্রশ্নটার বস্তুনিষ্ঠ জবাব না পেলে এর বাস্তবসম্মত সমাধানও সম্ভব নয়। এই খাতে নতুন যত বিনিয়োগ হয়েছে, তার সবটুকুর পিছনে যে জনসেবার মহান উদ্দেশ্যই প্রধান সেকথা কেউই বলবেন না। বরঞ্চ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে সুরক্ষা দেওয়া, অতিরিক্ত সুবিধা পেতে প্রভাব খাটানো এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা পাওয়ার বাসনাই প্রধান। শ্রোতা-দর্শক-পাঠক কি চান, সেই চাহিদা পূরণের সামর্থ্য আছে কিনা এবং বাণিজ্যিকভাবে তা লাভজনক হবে কিনা এসব বিষয়ে সমীক্ষা করে কেউ টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স নিয়েছেন বা পত্রিকা প্রকাশ করেছেন – এমন নজির বিরল। ফলে, তিন ডজনেরও বেশি টিভি চ্যানেল এবং তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি সংবাদপত্র না পারছে দর্শক-প

মধ্যম আয়ের বালিশবিলাস!

নিম্নবিত্তরা স্বপ্ন দেখার ফুরসৎ পায় না। কেননা, দু:স্বপ্ন সারাক্ষণ তাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। কিন্তু, মধ্যবিত্ত স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নবিলাসেই তার ভরসা। স্বপ্ন তাকে এগিয়ে চলার উৎসাহ দেয়, উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগুতে সাহায্য করে। আগে আমরা স্বপ্ন দেখার অবকাশ ছিল না, তাই আমরা ছিলাম নিম্ন-আয়ের দেশ। এখন আমরা স্বপ্নবাজ এবং আমাদের দেশটাও তাই তরতরিয়ে মধ্যম আয়ের গোত্রভুক্ত দাবি করে উৎসবও করে ফেলেছি। আর, মধ্যম আয়ের দেশ হলে পারমাণবিক বিদ্যূৎের স্বপ্ন দেখবো না, তা কি হয়? রুপপুরের পরমাণু বিদ্যূৎ কেন্দ্রের স্বপ্ন রুপায়ণ তাই আমাদের উন্নয়নের অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্প। ইউরোপের দেশগুলো যখন ঝুঁকি বিবেচনায় পরামাণু বিদ্যূত থেকে সরে আসছে, জার্মানির মত ধনী দেশ ২০২২ এর মধ্যে চালু পরমাণু বিদ্যূত কেন্দ্রগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তখন আমরা পরমাণু বিদ্যূতকেই ভবিষ্যতের অংশ ভাবছি। এমনকি, এতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ার পরও আমরা দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নিতেও পিছপা হইনি। মর্যাদার কাছে টাকা যে কোনো বিষয় নয় সেটা আমাদের উন্নয়ন তত্ত্বের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। তাই, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্পণ্য করা মানায় না। রুপপুর প্রক