সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একটি মধুর সফর ও প্রবাসী ভোটার

সিঙ্গাপুরের চেয়ে ভালো অর্থনীতির দেশে মৌমাছির চাষ বাড়িয়ে মধু উৎপাদন বাড়াতে ইউরোপ যেতে চান ১৩০ জন আমলা। ‘ তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ’ শিরোনামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া এক প্রকল্প প্রস্তাবে কর্মকর্তাদের ইউরোপ সফরের এই সুযোগ রাখা হয়েছে। ( মধু ভ্রমণে ইউরোপ যাবেন ১৩০ কর্মকর্তা , দেশ রুপান্তর, ১৪ ফেব্রুয়ারি)। সফরকালে শুধু মধু চাষ দেখাই নয়, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জ্ঞান অর্জন করবেন তারা। আমলাদের মধু ভ্রমণের প্রতিযোগিতার আরও নানারকম খবর সম্প্রতি পত্রিকার পাতায় একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুকুর খনন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভণরের বাড়িতে তাপানুকুল যন্ত্র বসানোর বিষয়ে প্রশিক্ষণের মত হাস্যকর বিষয়গুলোর শিরোনামও অনায়াসে ‘ মধুর সফর ‘ হতে পারতো। সম্প্রতি লন্ডনে এরকম এক মধুর সফর করে গেছেন দেশে ‘ আর্ন্তজাতিক মানের নির্বাচন ‘ অনুষ্ঠানের কুতিত্বের দাবিদার প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মোহাম্মদ নুরুল হুদা। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কষ্ট থেকে মুক্তিদানকারী কমিশন প্রধানের এই সফরের সরকারিভাবে ঘোষিত কারণ ছিল প্রবাসীদের ভোটার করার লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা। স

প্যারোলের রাজনীতি ও আইনের প্রশ্ন

কান্ডারিহীন বিএনপি এবার প্যারোল রাজনীতির ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কেননা, প্যারোল অনুমোদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে কোনো আইন নেই এবং তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছাধীন ও পরিবর্তনশীল নীতিমালায় অনুশীলন করা হয়। অতএব, একজন সত্তুরোর্ধ ও অসুস্থ রাজনীতিকের প্যারোল নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরাও মনের মাধুরী মিশিয়ে নানাধরণের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এমনকি, বারো বছর একটানা ক্ষমতা ধরে রাখার সুবাদে অভ্যাসসূচক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে চলেছেন। অবস্থাদৃষ্টে তাই প্রশ্ন উঠছে, আন্দোলন ও নির্বাচনের মতই প্যারোলের রাজনীতিতেও কি বিএনপি বিভ্রান্তির কবলে পড়তে চলেছে?   প্যারোল কথাটা রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে অতীতে দুটো কারণে প্যারোলের কথা শোনা গেছে। একটি হচ্ছে মানবিক এবং অপরটি রাজনৈতিক। মানবিক কারণে প্যারোল বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া এর আগেও পেয়েছেন। ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যে বছরখানেক সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি একইভবনে একইধরণের কারাজীবন পার করছিলেন, সেসময়ে তাঁর মায়ের মৃত্যুতে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। আর, রাজনৈতিক কারণে যাঁরা প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তাঁ

Jihadists of Bangladeshi descent : We may be forced to welcome them, sooner than we think

The verdict rejecting the appeal of the so-called ISIS bride, Shamima Begum, has stoked an important debate in the United Kingdom, raising serious concerns and anxiety among migrant families and rights activists. Rights activists are concerned that this judgement allows the British government—or to be more precise, the Home Secretary—to revoke anyone's citizenship on the pretext of alleged terrorism offences without any prosecution, on the basis of the person's parents' origin. British anti-terror law allows the government to take away the citizenship of anyone accused of commissioning or committing terrorist acts, provided that person does not become stateless. Migrants are worried that this is making their descendants second-tier citizens despite being born in Britain. However, there is more in this judgement that should worry authorities in Bangladesh too. The three judges of the Special Immigration Appeals Commission (SIAC), in reaching their decisions, among other

সীমান্ত প্রাণঘাতি হয় কেমন বন্ধুত্বে

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন বন্ধুত্বের শিখরে পৌঁছেছে- উভয়   দেশের রাজনীতিক, কূটনীতিক এবং নীতিনির্ধারকরা গত প্রায় এক দশক ধরে অব্যাহতভাবে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে এই কথাটিই বলে চলেছেন। সন্দেহ নেই এই দাবিটি ভারতের দিক থেকে খুবই যৌক্তিক। বাংলাভাষী সব মুসলমানকে অবৈধ বাংলাদেশীর তকমা লাগিয়ে সীমান্তের এপারে ঠেলে দেওয়া যদি লক্ষ্য না হয়, তাহলে ভারতের বাংলাদেশ-নীতিতে এমন কোনো লক্ষ্য সম্ভবত আর নেই যা অর্জিত হয় নি। বাংলাদেশের ভারত-নীতিতে কী কী অর্জিত হয়েছে বা হয়নি সেবিষয়ে আলোচনা আমার আজকের উদ্দেশ্য নয়। বরঞ্চ, বৈরিরাষ্ট্রের চেয়ে বন্ধুরাষ্ট্রের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে নীতি অনুসরণ করে চলেছে সেটুকুতেই মনোননিবেশ করাই এখন বেশি জরুরি। ৭ বছর আগে ব্রিটেনের চ্যানেল ফোর এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের শিরোনাম ধার করে এই পত্রিকাতেই লিখেছিলাম বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতি সীমান্ত । ভারতের সঙ্গে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রসঙ্গে সেদিন যেসব কথা লিখেছিলাম তার যে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি তার স্বীকারোক্তি স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের কথায় সুস্পষ্ট।৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মা

মনোনয়নই যখন নির্বাচনী সাফল্যের চাবি

গতবছরের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের   একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর দলের মেয়রপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে যেসব প্রার্থী ছিলেন, তাদের সবার ব্যাকগ্রাউন্ড, গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং কার কতটা জয় পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেসব বিবেচনা করেই নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে (দক্ষিণে তাপস উত্তরে আতিক, খোকন বাদ, সমকাল ৩০ ডিসেম্বর)। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে দেখা গেল অনেকেই নতুন মেয়রদের অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। লক্ষ্যণীয় হলো তাঁরা কেউ শুভ কামনা জানানোর প্রয়োজন বোধ করেন নি। এটি ছিল আগাম অভিনন্দন। ফল তো জানাই, বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। সুতরাং, আর অপেক্ষা কেন? আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য দলীয় আবেদনপত্র কিনতে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণের বিদায়ী মেয়র বুঝে গিয়েছিলেন তাঁর কপাল পুড়ছে এবং সেজন্যে কেঁদে ফেলে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। তারপর মনোনয়ন ঘোষণা র একদিন পর দু:খ সামলে নিয়ে তিনি বলেছিলেন ‘ আমার নেত্রী আমার জন্য যা ভালো মনে করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। ‘ নিজের কোনো ভুল আছে