সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারত-বাংলাদেশ মোড় ঘোরানো সম্পর্কের লাভ-ক্ষতি

ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসকে ধন্যবাদ যে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তির উন্নয়নে ভারত কতটা লাভবান হয়েছে, তা অকপটে স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ নামের এক বৈশ্বিক সংলাপে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সংযোগ সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যে চাঞ্চল্য বা উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তা থেকে এই সংযোগের গুরুত্ব বোঝা যায়। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ভারতকে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার সাম্প্রতিক চুক্তিগুলো, দুই দেশের মধ্যে রেল ও সড়কপথের সংযোগগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এগুলো হচ্ছে ভারতের জন্য গেম-চেঞ্জারস। তিনি একই সঙ্গে বলেছেন, এ কথা বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। অনেকের পক্ষেই অবশ্য তাঁর বক্তব্যের শেষ অংশটুকুর সঙ্গে একমত হওয়া সম্ভব নয়। ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল: অবকাঠামো এবং প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনায় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে ভারত যে আট শ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে, তার ৮০ শতাংশই ব্যয় হয়েছে সংযোগ প্রকল্পগুলোতে। আমাদের ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশীর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ককে স্মরণকালের মধ্যে সেরা বলে অনেকেই অভিহিত করে থাকেন

ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রীর হিসাবের গরমিল

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল ও তাঁর পরিবার ৭ কোটি টাকা কর দিয়েছেন বলে ১৫ নভেম্বরের সংবাদপত্রগুলো আমাদেরকে জানিয়েছে। নাগরিকরা কে কত কর দেন তা আইনত: রাষ্ট্র প্রকাশ করতে পারে না। বিপরীতে, কোনো নাগরিকই তার ব্যাক্তিগত আয় বা সম্পদের খবর অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে চান না। ব্যক্তিগত সম্পদের তথ্য প্রকাশ করে অন্য কারো হিংসা বা লোভের শিকার হওয়াটা কোনো কাজের কথা নয়। এতে   ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। রাজনীতিকদের ক্ষেত্রে অবশ্য এর আংশিক ব্যতিক্রম ঘটেছে। নির্বাচনকে অধিকতর স্বচ্ছ্ব ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করার উদ্দেশ্যে নাগরিক সমাজের উদ্যোগ এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জনপ্রতিনিধি হতে হলে নির্বাচনের জন্য সম্পদের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুর সময় এটি বাধ্যতামূলক করা হয়।  নির্বাচন না থাকলে এবিষয়ে  আইনে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু, তারপরও অর্থমন্ত্রী তাঁর এবং পরিবারের সদস্যদের আয়কর, গতবছরের আয় এবং মোট সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করেছেণ। তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর অনেক সম্পদ মেয়েদের নামে হস্তান্তর করে দিয়েছেন জানিয়ে বলেছেন যে একারণে এবছরে তাঁর

জনসন-করবিন টিভি বিতর্ক: ব্রেক্সিটই কি ভোটের ফল নির্ধারণ করবে

শীতের বিষণ্নতায় নিষ্প্রভ ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম সপ্তাহের প্রচারে ভোটাররা যে খুব একটা উজ্জীবিত হয়েছেন, তা মনে হয় না। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি করবিন ছোট পর্দায় যে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেবেন, সেই আয়োজন ভোটারদের কিছুটা চাঙা করে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তাঁদের প্রথম টেলিভিশন বিতর্কটির আয়োজক বাণিজ্যিক টেলিভিশন চ্যানেল, আইটিভি। জনসন ও করবিন অবশ্য আরও একবার মুখোমুখি হবেন বিবিসির ক্যামেরায় ভোটের ছয় দিন আগে, ৬ ডিসেম্বর। ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ, ব্রেক্সিট নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে এই নির্বাচনের আয়োজন করায় যৌক্তিকভাবে ধারণা করা হয় যে নির্বাচনের ফলাফল হয়তো ব্রেক্সিট বিতর্কের সমাধান করবে। প্রধানমন্ত্রী জনসন তাই ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) নির্বাচন হিসেবেই অভিহিত করে স্লোগান তুলেছেন ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’। তাঁকে ভোট দিয়ে পুনর্নির্বাচিত করলে স্বল্পতম সময়ে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হবে—এটাই তাঁর নির্বাচনী বার্তা। কিন্তু সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের বিচ

বলতে না পারা গণমাধ্যমের বিকাশ

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান ছবিটি কেমন তার উত্তর দু ‘ ভাবে দেওয়া যায়। একটি হচ্ছে – এমন বিকাশ অভূতর্পূব। যেন মাও সে তুংয়ের ‘ শত ফুল ফুটতে দাও ‘ তত্ত্বটি এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে অনুসরণ করা হয়েছে। কয়েক ডজন টেলিভিশন চ্যানেল, ডজনখানেকের বেশি এফএম রেডিও, কয়েকশ জাতীয় দৈনিক, হাজারের ওপর আঞ্চলিক পত্রিকা এবং অসংখ্য অনলাইন পোর্টাল। এই উত্তরটি সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল বা জোটের নেতারা বেশ জোরালো গলায় প্রচার করে বোঝাতে চান - এই সংখ্যাধিক্যই হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রমাণ। একই কথা বা ভাষ্যের বহুল পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে মানুষকে গণমাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করার কৌশল হিসাবে এটি কতটা কার্যকর তা বেশ ভালোভাবেই অনুভূত হচ্ছে। গণমাধ্যমের হালচাল সম্পর্কে দ্বিতীয় জবাবটি হচ্ছে গণমাধ্যম গভীর সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই ব্ক্তব্যটি মূলত গণমাধ্যমের ভেতরের লোকেরাই সবচেয়ে বেশি বলে থাকেন। সংকটের কথা শুধু সংবাদসম্পর্কিত তা নয় – বিনোদন এবং শিল্পমাধ্যম হিসাবে যেসব প্রতিষ্ঠান চালু আছে তাঁদেরও কথা। সম্পাদকরা বলছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে – যে কথা লিখতে চাই তা লিখতে পারি না। সংবাদপত্র প্রকাশকরা বলছ