সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

UP Elections remind us why we need a political consensus

It seems that some of us are quite intrigued by the results of the Union Parishad (UP) elections that show official nominees of the ruling party, Awami League, having lost in a big way. According to Prothom Alo, AL nominees’ percentage of losing the electoral battle gradually went up from 24 per cent in the first phase to 49 per cent in the fourth phase. Many critics of the government see it as a sign of serious erosion of popular support to the ruling party.  The fact, however, remains that most of the winners are so-called rebels of the AL and these elections were not a direct contest with AL’s main rival, the Bangladesh nationalist party (BNP), as the latter boycotted these elections. The Information Minister, Hasan Mahmud is right to point out the rebels' win is also AL’s win. However, his assertion that the Awami League is the only alternative to the Awami League is quite a different and much more serious issue. It raises a whole range of critical questions, including whether

২০১৮ সালের ভোটের কালিমা মোছা কি সম্ভব

আজকের দিনটি আওয়ামী লীগ কীভাবে উদযাপন করছে, তার কোন ইঙ্গিত মঙ্গলবার পর্যন্ত খবরের কাগজে চোখে পড়েনি। তবে গত বছর তারা গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসাবে দিনটি উদযাপন করেছে। সেটাই তাদের করার কথা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে যত কথাই থাকুক, কিম্বা বিতর্ক-সমালোচনা হোক না কেন, তা উপেক্ষা করায় আওয়ামী লীগের খুব একটা সমস্যা হয় নি। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ, বিএনপির ছয়জন ও তাদের নির্বাচনী জোটের অপর দুই সঙ্গী গণফোরামের দুজন সাংসদ শপথ নিয়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন, তা তো নিশ্চয়ই উদযাপন করার বিষয়!  বিএনপির এসব সাংসদের সংসদে যোগদান অনেকটা মহাজোটের শরীক ওয়ার্কাস পার্টির মতো, যেখানে তাঁরা নিজেরাই বলেছেন মানুষ ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা নির্বাচিত ঘোষিত হয়েছেন অদৃশ্য আশীর্বাদে। মহাজোটের শরীকদের কথা আলাদা। কেননা, তাঁরা কোনো না কো্নোভাবে ক্ষমতার নানা সুযোগ-সুবিধার কমবেশি ভাগীদার। কিন্তু বিএনপির সাংসদদের প্রাপ্য সুবিধাগুলো সে তুলনায় নগণ্য হলেও তাঁরা তা হারাতে প্রস্তুত ছিলেন না। দলটির নেতাকর্মীরা যে বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি, নানা ঘটনায় তা বোঝা যায়। দলীয় কর্মসূচিগুলোতে তাঁদের জন্য কোন আসন

গুম-হত্যার তদন্ত নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের অজুহাত

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)  নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামালকে ধন্যবাদ যে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বলতে পেরেছেন, রচনা প্রতিযোগিতা আর সচেতনতা তৈরির মত সহজ কাজগুলো কমিশনের প্রধান করণীয় নয়। এগুলো অন্যরা করে দিতে পারবে। গত বৃহস্পতিবার আসকের এক অনলাইন অনুষ্ঠান ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও মানবাধিকারকর্মীদের সংলাপ’ -এ কমিশন চেয়ারম্যান তাঁদের ভালো কাজের কৃতিত্ব তুলে ধরে যেসব কথা বলেন, তার জবাবে আসকের পরিচালক এসব কথা বলেছেন। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁদের কথিত যেসব সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন এবং গণমাধ্যমের যে সমালোচনা করেছেন, তা কেউ খন্ডন করেছেন কি না, খবর পড়ে সেটা বোঝা গেল না। সেকারণেই এ লেখার অবতারণা।    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, আইনের কারণে কমিশন সরাসরি কিছু করতে পারছে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন। তাঁর কথায় আইন সংশোধন হলে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করতে পারবেন এবং কমিশনও শক্তিশাল

মানবাধিকার সম্পর্কে কেন এত বিভ্রান্তি

মানবাধিকার কী, তা বোঝার বিষয়ে আমাদের বড়ধরণের সমস্যা রয়ে গেছে বলে মনে হয়। সমস্যাটা অবশ্য সাধারণ মানুষের নয়, সরকার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেই এটি প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। গেল সপ্তাহখানেকের কয়েকটি ঘটনার কারণেই এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে। একটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে, আর অন্যটি আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কথা ও কাজ সম্পর্কে।  বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। ৪৭ সদস্যের এই পরিষদ ইথিওপিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের যেসব গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠনের প্রস্তাব আলোচনার উদ্দেশ্যে ১৭ ডিসেম্বর একটি বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হয়েছিল। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধ অবসানের জন্য শান্তিচুক্তি করে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এখন নিজদেশেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। গত বছরের আগস্টে নির্ধারিত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সাংবিধানিক সংকট থেকেই দেশটির একটি বড় অংশ টিগ্রে অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাতের সূচনা। গতবছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১

Misleading analysis of US sanctions must be avoided

Bangladesh’s elite force, the Rapid Action Battalion (Rab), which has been subjected to a sanction by the United States, has now been applauded by the same government for its role in tackling terrorism, according to some media reports. The 2020 Country Reports on Terrorism, published by the State Department on 16 December, which gives an overview of global counterterrorism environment, has reportedly praised Rab for its success in cutting down terror acts in Bangladesh. Some of these Bangladeshi media outlets also have quoted at least two noted experts on international relations who said that this praise proved that the sanctions were not a well-thought-out action and could have been the result of intense lobbying by some anti-Bangladeshi elements.They argued that these contradictory acts were indicative of a lack of coordination within the US State Department. If the latter report is correct, then there’s every reason to thank those experts for the correct interpretation of these disc

সুবর্ণজয়ন্তীর রুপকল্প ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

  স্বাধীন বাংলাদেশ দখলদার পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের লড়াইয়ে যে বিজয় অর্জন করেছিল, সেই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে কেমন বাংলাদেশ নিয়ে উৎসব হওয়ার কথা ছিল, তা আমাদের সবারই জানা। ২০০৪-২০০৫ সালের দিকে নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে `আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই` তার একটি রুপরেখা রুপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল। বছর কয়েকের মধ্যে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের নামও ছিল রুপকল্প ২০২১। কী ছিল সেই রুপকল্প, তা এখন আর জানার কোনো উপায় নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশে  ইন্টারনেটে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আর আমাদের সংবাদপত্রগুলোর অনলাইন আর্কাইভেও ২০০৯ সালের আগে যে কোনো সংবাদপত্র ছিল, তা বোঝার উপায় নেই। এখন শুধুই রুপকল্প ২০৪১-এর কথা। উইকিপিডিয়ায় ওই নির্বাচনী ইশতেহারের রুপকল্প ২০২১- এর কিছু সারাংশ পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায়, লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা যেখানে,দারিদ্র্য সম্পূর্ণরূপে দূর হবে, গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা হবে, রাজনৈতিক কাঠামোয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন

Press freedom: 50 years of unending struggle

THE media’s 50-year journey in Bangladesh is similar to our tumultuous politics. Its characteristics, purpose and behaviour over the five decades have transformed according to changes in the custodians in power. Accordingly, its development can be broadly defined in different segments of time that includes two brief periods of media freedom. However, the second episode was the brightest that took place following the restoration of democracy in the 1990s. The first period of freedom was very brief, lasting for less than two years after independence. But as the civic liberty and democracy started gradually shrinking and reduced to a one-party rule, our press had suffered the worst. But again, in between two different military regimes — there were contrasting scenarios. The military regime that ruled between 1975 and 1982 reversed the blanket nationalisation of newspapers that was brought in by BAKSAL, the lone political party created through dissolution of the Awami League and few other

দুর্বল গণতন্ত্রের দ্বিতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণের আশা

যত দিন যাচ্ছে ততই আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হচ্ছি।  তাঁর সর্বসাম্প্রতিক ব্যাখ্যা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করেছেন, সেই সম্মেলনে বাংলাদেশ কেন আমন্ত্রণ পেল না - এ রকম এক প্রশ্নের উত্তরেই তাঁর ওই ব্যাখ্যা; সিদ্ধান্তটি যদিও আয়োজক বাইডেন প্রশাসনের। তাছাড়া কারো অনুষ্ঠানে আমি কেন আমন্ত্রণ পেলাম না, এ প্রশ্ন খুব একটা শোভনীয়ও নয়। তবুও আমাদের আগ্রহের অন্ত নেই। তাই আয়োজকের ব্যাখ্যার অপেক্ষায় না থেকে প্রশ্নটি ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের প্রতি। আয়োজক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্ট বলছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোকে গণতন্ত্র সম্মেলনে ডেকেছে, যে কারণে আমন্ত্রিতদের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। আমরা যে উন্নত গ্ণতন্ত্র সে বিষয়ে যাতে কেউ সন্দেহ পোষণ করতে না পারেন, এ জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে পরিষ্কার করে বলেছেন, সেখানে অনেক লোককে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। আফগা

বিদেশে চিকিৎসায় বাধা আইনি, না রাজনৈতিক?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার প্রশ্ন নিয়ে একটি অনাকাঙ্খিত ও অশোভনীয় বিতর্ক অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার পরিবার গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে উপূর্যপুরি অনুরোধ, আবেদন ও দাবি জানিয়ে আসছেন। সত্তরোর্ধ্ব একজন নারীর অসুস্থতা যখন বাড়াবাড়ি রূপ নেয়, তখন তাঁর পরিবার এবং দল উৎকন্ঠা ও আবেগের কারণে উন্নত চিকিৎসার সুযোগের জন্য আবেদন-নিবেদন করবে, সেটাই স্বাভাবিক। সরকারও সেই দাবি পূরণ করে নিজেদের মানবিক ও উদার হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ নিতে পারে; বিশেষ করে দেশে-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে যখন নিষ্ঠুরভাবে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা ও সমালোচকদের কন্ঠরোধের অভিযোগ আছে। তবে সরকার যে সেপথে হাঁটতে রাজি নয়, তা তারা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।  ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলছি একারণে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার আবেদন গেলেও তিনি সরাসরি তা নাকচ করেন নি। তিনি জানান যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তা যথাযথ জায়গায় তিনি পাঠিয়ে দেবেন। আবেদন অনুমোদনের সুযোগ আইনে না থাকলে, অথবা আইনের পরিপন্থী হলে এবং সেটি নজিরবিহীন হলে আবেদনকারিকে তাঁ

‘Bloodstained’ UP elections and the CEC’s alternative truth

V ideo footage and reports have been emerging daily on both traditional and social media exposing how violent and intimidating our elections have become. It has been going on throughout the country and in all the phases of local government elections—mostly union parishads (UPs) but in a few municipalities too. Death counts from these acts of violence are between 39 and 50, depending on official and unofficial statistics. The Chief Election Commissioner (CEC) Khan Mohammad Nurul Huda, however, said "the elections were not violent and there were only a few incidents of violence", whereas his fellow Commissioner Mahbub Talukder termed it as "bloodstained".  A closer scrutiny of the facts shows that during the first two phases of UP elections, at least 200 chairmen were elected uncontested, which is suggestive of intimidation by candidates favoured by local administration in order to force likely contenders to quit the race. Such administrative favours, though unlawful