সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তেঁতুলতলার নাগরিক আন্দোলন কী বার্তা দিচ্ছে

রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠ এখন পুলিশের কল্যাণে সবার মুখে মুখে। কলাবাগান থানার নিজস্ব ভবন বানানোর জন্য কাজ শুরু করতে গিয়ে পুলিশ যে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে, তার বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিবাদ বেশ সাড়া জাগিয়েছে। একজন নারী ও তাঁর নাবালক পুত্রের সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে, তাকে বেআইনি ও অন্যায় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তেঁতুলতলা মাঠকে খেলার মাঠ দাবি করে আন্দোলন না করার মুচলেকা দেওয়ার পরই মা-ছেলে থানার হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আন্দোলনের কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, থানার জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজতে বলা হয়েছে এবং তা পাওয়া গেলে সেখানে খেলার মাঠই থাকবে। অবশ্য পুলিশ পাহারায় নির্মাণ কাজ ঠিকই চলছে। এখনও বোঝা যাচ্ছে না আন্দোলন কি সফল হলো, নাকি ব্যর্থ। তারপরও এই নাগরিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনার দাবি রাখে। এই নাগরিক আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি পুরোটাই অরাজনৈতিক। নাগরিক অধিকার রক্ষায় ঢাকায় এর আগে যে আর আন্দোলন হয় নি, তা নয়। কিন্তু অনেক দিন পর এরকম একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন তৈরি হলো। বছর কয়েক আগে ওয়াসার কাছে পানযোগ্য বিশুদ্ধ পানি চেয়ে একদল ভোক্তা আন্দোলন করলেও তাতে বিশিষ্ট নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছিল ন

Twitterdom with a new king should worry us all

Elon Musk, a self-proclaimed free-speech absolutist and the world’s richest man, is the new king of Twitterdom. His takeover of Twitter may have provided the company a much needed new direction of exploring uncharted adventures, as its founder Jack Dorsy says, “Solving for the problem of it being a company, however, Elon is the singular solution I trust.” The reason for using “however” by Jack Dorsey in his tweet was in his words, “In principle, I don’t believe anyone should own or run Twitter. It wants to be a public good at a protocol level, not a company.” The way Musk, Twitter’s top troll bullied the management of the company and bought it indicates that the platform may not remain a space for public good as it becomes a private property. Here’s a reminder about the acquisition of Twitter that he said, “this is not about economics, this is about power and influence.” With 86.1 million followers, Elon Musk is the top Twitterati, but he has also courted controversy by taunting others

দ্রব্যমূল্য, ন্যায়বিচারের ব্র্যান্ড ও টিকার খরচ

  কার্যকর বিরোধী দলহীন রাষ্ট্রে আমাদের মন্ত্রীরা কি কোনো অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীর ভয়ে অস্থিরতায় ভুগছেন?, নিশ্চিত করে তা বলা মুশকিল। এই প্রশ্ন কেন উঠছে তা ব্যাখ্যার জন্যএখানে দুটি উদাহরণ দেওয়া যায়। ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করা যাঁর পেশা, সেই ব্যবসায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আত্মপক্ষ সমর্থনে সম্প্রতি বলেছেন, ``দুর্ভাগ্য আমার, উকিল যখন পার্লামেন্ট মেম্বার হয়, ডাক্তার যখন হয়, তাকে কেউ বলে না যে উকিল কেন আসছে? কিন্তু আমি ব্যবসায়ী বলে আমার অপরাধ।``  নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং টিসিবি ট্রাকের পিছনে দীর্ঘ সারির পটভূমিতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যে ধরণের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস এ দেশে রয়েছে, তার আলোকে বলতেই হয় তিনি অপরাধী তো ননই, বরং ভাগ্যবান যে তার ছিটেফোঁটাও তাঁকে দেখতে হয়নি। তবে এ কারণে তাঁর ভুলে যাওয়া উচিত হবে না, সংসদে গত কয়েক দশকে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য ওক্ষমতাকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহারের যেসব কাহিনি অনেক সাংসদের ক্ষেত্রে শোনা যায়, তাতে জন-ধারণা নাকচ করা সহজ নয়। আর একথাও ঠিক একজন ডাক্তা

Are the new online laws designed for the 2023 polls?

  The recent publications of the drafts of two long-awaited legislations on regulating usage of internet have stoked some debate on the likely impact of those on citizens and businesses. However, not much has been said about the government’s motivation and objectives behind the sudden rush in legislating these laws, which should have been enacted years ago. Both of these draft laws - the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) Regulation for Digital, Social Media and OTT Platforms, 2021 and the Data Protection Act, 2022 - have a common principle, which is to allow the government ever more control on everything we do over the internet. Hence, the draft OTT regulations have more provisions to allow state surveillance over contents on the ground of security of the state, instead of giving freedom to citizens to enjoy cyberspace without fear. Similarly, instead of affording greater protection to an individual’s privacy rights, many of the proposals under the draft data pr

নেট ব্যবহারের দুই আইনের লক্ষ্য কি আগামী নির্বাচন

ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত দুটি আইনের খসড়া প্রকাশের পর সাধারণ নাগরিক এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। এই আইনগুলো কয়েক বছর আগেই তৈরি করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি। এখন সরকারের হঠাৎ তাড়াহুড়োর  আগ্রহ এবং উদ্দেশ্য কি তারা যা বলছে তাই, নাকি আরও কিছু? এই দুটি খসড়া আইন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ২০২১ এবং ডেটা সুরক্ষা আইন ২০২২-এর একটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ইন্টারনেটে আমরা যা কিছু করি তার উপর  সরকারের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের আইনি ব্যবস্থা করা৷ সেকারণেই ওটিটি প্রবিধানের খসড়ায় নাগরিকদের নির্ভয়ে সাইবার-জগত উপভোগ করার স্বাধীনতা দেওয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে সেখানকার সবকিছুর ( সোশ্যাল মিডিয়া, মাল্টিমিডিয়া, বিনোদন ও সংবাদমাধ্যমের পোর্টাল, কথা বলা ও বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ ইত্যাদি) ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারির অনুমতি দেওয়ার সুযোগ প্রসারিত হয়েছে। একইভাবে ব্যক্তির গোপনীয়তা অধিকারের জন্য বৃহত্তর সুরক্ষা প্রদানের পরিবর্তে খসড়া ডেটা সুরক্ষা আইনের অনেক প্

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঋণী মন্ত্রীর বিপজ্জনক প্রস্তাব

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ওয়াশিংটনে সোমবার যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার প্রতি সবার একটু বাড়তি আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিবাজার এবং রাজনৈতিক দিক থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে সাম্প্রতিক কিছু টানাপোড়েনের পটভূমিতে এই আগ্রহ খুবই স্বাভাবিক; বিশেষ করে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের উপলক্ষ্যটি যখন উদযাপিত হয়েছে দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মাধ্যমে। এ ছাড়া এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা চিঠিও বেশ উৎসাহের জন্ম দেয়।  জল্পনা ছিল যে মানবাধিকার প্রশ্নে র‍্যাব ও তার সাতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেব বিষয়ে হয়তো ইতিবাচক আশ্বাস মিলবে। তবে উদ্বেগ ও শঙ্কাও ছিল যে এখনই সেরকম কিছু হবে না। কেননা, কয়েক সপ্তাহ আগেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এটা ‘জটিল ও কঠিন’ বিষয়। এরপর অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে `গর্হিত কাজ` বলেও অভিহিত করা হয়েছে।  নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ওয়াশিংটনের বৈঠকে ক