সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজনীতিতে হিসাবের যত গরমিল

যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে গণমাধ্যমে মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে তুমুল আলোচনা চলছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে ছাত্রলীগের ছোট নেতাদের কোটি টাকা কমিশন পাওয়ার পর বড় নেতাদের বড় অংকের ‘ ন্যায্য পাওনা ‘ দাবির টেলিফোন ফাঁস হওয়া থেকে সম্ভবত এসব আলোচনার শুরু। এরপর আসলো হাজার হাজার কোটি টাকার টেন্ডার বাগানো এবং ক্যাসিনোর কারবারে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের অঢেল বিত্ত-বৈভব অর্জনের কথা। টেন্ডার এবং ক্যাসিনোর মত পরিবহন ব্যবসাতেও যে উন্নতির গতি প্রায় রকেটের সমান তাও এবার প্রমাণিত হয়েছে। এসব চোখ-ধাঁধানো উন্নতি কীভাবে অস্বীকার করা যাবে?   কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এতোটা সমৃদ্ধি ঘটে থাকলে মূল দলের নেতারা সবাই কি সাধু-সন্তের মত সংযম সাধনা করেছেন ? তাঁরা কেন আলোচনায় নেই ? এখন পর্যন্ত যাঁরা আটক হয়েছেন তাঁদের কেউ কেউ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অনেকেই নির্বাচনে মনোনয়নের লড়াইয়ে ছিলেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচন করাই তাঁদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য। বলা চলে, তাঁদের এই টাকার পেছনে দৌড়ানোর অন্যতম একটি কারণ নির্বাচন। গত মাসের ২৯ তারিখে

প্রতিবেশীর সম্পর্কে ন্যায্যতা কোথায়

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফেসবুকে ফাহাদ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের সর্বসাম্প্রতিক অবস্থার বিষয়ে হতাশা ও ক্ষোভমিশ্রিত মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড যৌক্তিকভাবেই পুরো দেশের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। স্বভাবতই ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সাম্প্রতিক চুক্তি বা সমঝোতাগুলোর বিষয়ে নিবিড় পর্যালোচনা এখন অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। এই অস্বস্তিদায়ক এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনা – বিতর্ক যত কম হয় ততই ভালো বলে কারো কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু, চাপা অসন্তোষ যে ধীরে ধীরে বড়ধরণের বিপত্তির কারণ হতে পারে, সেকথাটি মনে রেখে বিতর্কের সুযোগ আরও প্রসারিত করা প্রয়োজন। চুক্তির খুঁটি-নাটি এবং আনুষঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা উচিত। জনধারণা এবং প্রকৃত সত্য সবসময় এক নাও হতে পারে। কিন্তু, জনধারণা সবসময়েই গুরুত্বর্পূণ। তা সে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হোক কিম্বা কর্তৃত্ববাদী। গণতন্ত্রে জনধারণায় বিভ্রান্তি প্রতিকারের সেরা উপায় হচ্ছে স্বচ্ছ্বতা, যাতে তথ্যনির্ভর যৌক্তিক বিতর্কে সত্য প্রতিষ্ঠা পায়। আর, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থায় সত্য প্রকাশ পেলে শাসকের ক্ষমতার ভিত ধসে পড়ার আশংকার কারণে উল্টোটাই বেশি ঘটে। বিভ্রান্তি সৃষ্ট

আবরারের মায়ের প্রশ্নের জবাব দিন

ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের ৫ থেকে ৬ ঘন্টার দৈহিক নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন প্রশ্ন করেছেন কোন অপরাধে তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন করা হলো ? এই প্রশ্নের জবাব দেয়নি কেউ। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে আবরার দেশের সেরা যে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিল সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয় নি। সরকারের পক্ষ থেকেও কেউ কোনো জবাব দেন নি। প্রশ্নটা কিন্তু আবরারের মায়ের একার নয়। এখন এই প্রশ্ন সবার – দেশের সব মায়ের, সব পিতার, সব ভাইয়ের, সব বোনের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন আরও অনেক। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পর সোমবার ৭ অক্টোবর তাঁরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছেন ‘ আবরার ফাহাদের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ‘ ঘটনায় তাঁরা থানায় জিডি করেছেন। হত্যার ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হিসাবে বর্ণনা করার কারণটা কী কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা করবেন? আমাদের কি একথা বিশ্বাস করতে হবে যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যাক্তিরা ঠান্ডা মাথার হত্যাকান্ড আর অপ্রত্যাশিত বা আচমকা দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ফারাক বোঝেন না ? নাকি, ছাত্রলীগের এসব দৃবৃর্ত্তকে রক্ষার অঘোষিত দায়িত্বপালনের উদ্দেশ্যেই তাঁরা ঠান্ডা মাথার খুনিদের ঘৃণ্যতম অপর

মানবাধিকার না আমলা পুনর্বাসন

বাংলাদেশের সাংবিধানিক এবং আধা বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরের পালায় এবার নতুন মাত্রা সংযোজিত হয়েছে। রাজনৈতিক আনুকূল্য পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের প্রাধান্যের কারণে নির্বাচন কমিশন কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তা নিয়ে খুব একটা বিতর্কের অবকাশ নেই। এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও এর সংক্রমণ ঘটেছে। যদিও এর আগে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ও অনুগতদের প্রাধান্য মানবাধিকার কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর সরকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান, পূর্ণকালীন সদস্য এবং খণ্ডকালীন সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার পর দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়ায় সে রকম বক্তব্যই উঠে এসেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করে, এমন বেসরকারি কয়েকটি সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মানবাধিকারসংক্রান্ত কাজের কোনো অভিজ্ঞতা যাঁদের নেই, তাঁরাই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছেন। ফোরাম বলেছে, নাগরিক সমাজের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হলেও নানা কারণ