সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শান্তিরক্ষী ছাত্রলীগ!

গৌরবের সত্তুর বছর ঘটা করে উদযাপনের মাত্র তিন সপ্তাহ পার না হতেই ছাত্রলীগের ‘ শান্তিরক্ষীর ভূমিকা ‘ নিয়ে অনাকাঙ্খিত বিতর্ক এখন তুঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক ভূমিকাই এই বিতর্কের কারণ। কি করেছে ছাত্রলীগ? সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ঘেরাওয়ে অবরুদ্ধ থাকা উপাচার্যকে রক্ষা করতে গেছে এবং অবরোধকারীদের  মারধোর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে তোলপাড় এবং মূলধারার গণমাধ্যমেও ঘটনাটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদের শিরোনাম এবং ভাষ্য ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরতে পেরেছে কিনা সেটা অবশ্য প্রশ্নসাপেক্ষ। কেউ কেউ লিখেছেন অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করলে ছাত্রলীগ, কেউ বলেছেন উদ্ধার করেছে, আবার কারো কারো ভাষায় উপাচার্যের ত্রাতার ভূমিকায় ছাত্রলীগ। যাদেরকে নিয়ে এতো কথা তাদের ভাষ্যটি কি? ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেছেন অছাত্রদের হামলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ‘ উদ্ধার ‘ করতে ও উপাচার্যের সম্মান রক্ষায় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেছেন ছাত্রলীগ সেখানে মারামারি করতে যায়নি। ছাত

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারত্বে প্রতিবেশীরা কোথায়?

প্রায় দুই দশক ধরে সন্ত্রাসবাদকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি প্রধান হুমকি গণ্য করে বিশ্বরাজনীতি আবর্তিত হলেও এখন তাতে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, তাঁর দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রাথমিক নজর এখন সন্ত্রাসবাদে নয়, বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল বিষয়ে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ক্ষতি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য চীন ও রাশিয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শনকে আমরা প্রতিহত করব।’ নির্বাচনে জেতার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি পুতিন কিংবা রাশিয়ার যত সমর্থনই থেকে থাকুক না কেন, কিংবা ট্রাম্প-সি সম্পর্কে যতই উষ্ণতার প্রকাশ ঘটে থাকুক না কেন, তাতে বৈশ্বিক পরিসরে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা একটুও কমছে না। বরং নতুন মেরুকরণ এবং নতুন সমীকরণে ছোট রাষ্ট্রগুলোর জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটিও এ রকমই একটি দৃষ্টান্ত। জেমস ম্যাটিসের বক্তব্য আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত

পরিবারের নতুন সংজ্ঞায়ন!

পরিবারের সংজ্ঞাটি কি সরকার বদলে ফেলেছে? প্রশ্নটি খুবই হাস্যকর মনে হতে পারে। কেননা, পরিবারের সংজ্ঞা সরকার বা সংসদ বদলে দিলেও রক্তের বন্ধন বদলানো যায় না। কিন্তু, আইনে প্রত্যেক করদাতার স্বাতন্ত্র্য স্বীকৃত বলেই স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, পুত্র-কন্যা, মা-বাবা এই সম্পর্কগুলো উপেক্ষার এক অদ্ভূত নির্দেশনা পাওয়া গেল আমাদের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে। মঙ্গলবার সংসদে ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের সংশোধনের  পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এই অভাবনীয় যুক্তি দিয়েছেন। আইন সংশোধনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘ বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারায় অস্পষ্টতা রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকগণ-সংক্রান্ত তিনটি ধারায় অস্পষ্টতা দূর করা না হলে ব্যাংকগুলোর গতি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায়। কোনো পরিবারের কেউ পৃথকভাবে ব্যবসা করলে ও নিজেই করদাতা হলে তাকে পরিবারের ওপর নির্ভরশীল বলা যায় না। ‘ এই একই আইন এর আগে ২০১৩ সালেও সংশোধন করা হয় এবং তখনও সংশোধনী আইন তৈরি ও অনুমোদন করিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। সেসময়ে ব্যাংকগুলোর কথিত ‘ গতিবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ‘ পরিচালকদের প

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোন পথে হাঁটছেন?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে যখন ঢাকা বিভাগের কলেজগুলো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো পড়াতো সেগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হোত। সুতরাং, এখন মাত্র সাতটি কলেজকে ফিরিয়ে নিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্য্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন ধারণা অযৌক্তিক। কিন্তু, কোন দাবি অযৌক্তিক হলেই যাঁরা সেই দাবিতে শ্লোগান তুলছেন, প্রতিবাদ করছেন তাদেরকে হেনস্থা করতে হবে এ কেমন কৌশল? সোমবার ১৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা কিসের লক্ষণ? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের এটি কোনধরণের সমঝোতা যে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাধীনভাবে কিছুই করতে পারবে না? ছাত্রলীগ দিয়ে আন্দোলন ঠেকাল ঢাবি প্রশাসন শিরোনামে  ১৬ জানুয়ারির  দৈনিক ইত্তেফাকে বলা হয়েছে    ‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল দাবিতে ক্লাসবর্জনসহ দিনভর আন্দোলন করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন দমন করতে ছাত্রলীগকে ডেকে আনেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগ আন্দোলনরত ছাত্রদের মারধর ও ছাত্রীদের উত্যক্ত এবং অন্যভাবে শ্লীলতহানি করে আন্দোলন প্রতিহত করে। ঘটনাস্থলে খবর সংগ্রহ করত

ভুঁয়া খবর , ফেসবুক, টুইটার ও নির্বাচন

যে বছর বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সেবছরই ফেক নিউজ কথাটি জোরেশোরে শোনা গেল। বাংলায় এর প্রতিশব্দ ভুঁয়া বা বানোয়াট খবর। ২০১৬ সালে অক্সর্ফোড ডিকশনারির বিবেচনায় বছরের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ছিল ফেক নি্উজ। ২০১৭ তেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কল্যাণে শব্দটি শীর্ষ আলোচিত শব্দাবলীর তালিকায় ছিল। তবে, পরিহাসের বিষয় হলো যেসব খবরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের কেলেংকারির কথা প্রকাশিত হয় সেগুলোকেই তিনি বানোয়াট খবর বলে উড়িয়ে দেন। বিপরীতে তাঁর অনুসারী কট্টর ডানপন্থী কিছু গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অজস্র বানোয়াট তথ্য ব্যবহার করে অপপ্রচার চালায়।আর, সেই বানোয়াট খবরের সফল প্রচারই তাঁর নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ। ভূঁয়া খবর ছড়িয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা কিভাবে সম্ভব এটি এখন আর কোনো প্রশ্ন নয়। বরং, প্রশ্ন হচ্ছে এটি কেন মোকাবেলা করা সম্ভব হয় নি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে ফেসবুক, টইটার এবং গুগুলকে এখন সেজন্যে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এমনকি, তাদের বিরুদ্ধে ওই অপপ্রচারে সচেতন বা অচেতনভাবে সহায়তা করারও অ

রাজনৈতিক চমক ও বিচারকদের শৃংখলাবিধি

বিনা প্রতিদ্বন্দিতার সরকার নতুন নির্বাচনের মাত্র একবছর আগে মন্ত্রীসভায় সামান্য রদবদল ঘটিয়ে গণমাধ্যমের আলোচনাকে ক্ষমতাসীন জোটের রাজনীতির দিকে ঘুরিয়ে দিতে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে। অথচ, যেবিষয়টি আলোচনায় তেমন একটা প্রাধান্য পায়নি সেটি হচ্ছে দেশের বিচারব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ অংশ  –  অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর জারি হওয়া সরকারী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপে সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি। নতুন নিয়োগ পাওয়া এবং দায়িত্ব বদল হওয়া মন্ত্রীরা বাষ্ট্রব্যবস্থায় কর্তৃত্ব করবেন বড়জোর বছরখানেক। কিন্তু, আদালতের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী হবে ততদিন যতদিন না দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে।    বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য তেসরা জানুয়ারি ২০১৮ একটি মোড় ঘুরানো দিন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। শেষপর্য্যন্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজ্ঞ বা আইনবিদদের আশংকাই সত্য হলো। যে আইনবিদরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে জরুরি এই বিষয়টিতে আশংকা প্রকাশ করেছিলেন তাঁদের দুজন আমাদের সংবিধান রচয়িতাদের অন্যতম যাঁরা বেঁচে আছেন। সাধারণ নাগরিকরা বিচার পাওয়ার প্রাথমিক ভরসার জায়গা হিসাবে এতোদিন যে