সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নাগরিক সংগঠনের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব কেন

  গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’অবাধ ও সুষ্ঠূ হয়নি’ বলে মতপ্রকাশের পর মাসখানেকের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে ঢাকা ঘুরে গেছে। সাধারণভাবে সফরটিকে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের অংশ হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে। সফরকারীদের মধ্যে ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক  জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার এডমিরাল আইলিন লাউবাকের এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। ব্যবসা–বাণিজ্য বাড়ানো, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা এবং ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় সহায়তার বিষয়গুলো সরকারি আলোচনায় প্রাধান্য পেলেও শ্রম মান ও অধিকার এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলো যে বাদ গেছে, তা নয়।  তবে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় মন্ত্রীরা যে স্বস্তি পেয়েছেন, তা বোঝা যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘তারা (বিএনপি) যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায়, ওয়াশিংটনের কাছে যা চায়, সেই চাওয়াটা তারা পায়নি। তারা শুনতে চেয়েছিল, সরকারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসবে।’ বিপরীতে আফরিন আক্তারের সঙ্গে বিএনপির স

Without the restoration of democracy press freedom remains unattainable

  “Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart information and ideas through any media and regardless of frontiers.”- This is what article 19 of the Universal Human Rights Declaration promised 75 years ago . As a signatory to this declaration, Bangladesh is duty-bound to uphold these rights for all its citizens. At the heart of this commitment lies the crucial role of journalists and media outlets, entrusted with the responsibility of delivering fact-based, unbiased information. Nevertheless, within the current political environment and economic realities, the cherished ideal of press freedom appears increasingly elusive.   Even more disheartening is the unprecedented level of assault on journalism worldwide. Governments, large corporations, tech giants, transnational criminal syndicates, and various interest groups are all intimidated by \ revelations, fiercely striving t

উপমহাদেশে নির্বাচনে আমরা কেন আলাদা

  বলা হচ্ছে, ২০২৪ সাল বিশ্বের নির্বাচনের বছর। ইতিহাসে আর কোনো বছরে এত বেশিসংখ্যক দেশে এত বেশিসংখ্যক ভোটার এর আগে কখনো ভোট দেয়নি। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৬৪টি দেশে চলতি বছরেই নির্বাচন হচ্ছে। টাইম সাময়িকীর হিসাবে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশের এ বছরে ভোট দেওয়ার কথা। পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনের বিষয়ে তেমন কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু বছরের শুরুতেই নির্বাচন নিয়ে উপমহাদেশে যেসব নাটকীয় নজির তৈরি হয়েছে, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর প্রভাব ভবিষ্যতেও অনুভূত হবে।  পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। সেখানেও নির্বাচনে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দল ইমরান খানের পিটিআইকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী এবং মুসলিম লীগ–পিপিপি জোটের চেষ্টায় কোনো ঘাটতি ছিল না। তবে তারা ভোটারদের ভোট দেওয়ায় বাধা দেয়নি। ভোটাররা দল ও দলের প্রতীকবঞ্চিত পিটিআইয়ের প্রার্থীদের নিরাশ করেনি। ফলে পিটিআইকে ঠেকাতে ভোট গণনায় কারচুপির আশ্রয় নিতে হয়েছে। এখন একটু একটু করে সত্য প্রকাশ পাচ্ছে, পাকিস্তান উত্তাল হয়ে উঠছে।  পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের নির্বাচন তুলনীয় নয়

  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ২৮ জানুয়ারি আমাদের জানিয়েছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারত আমাদের পাশে জোরালোভাবে দাঁড়িয়েছে। এটা খুব জরুরি ছিল, যা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কারণ, কোনো কোনো বিরোধী দল কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল। নির্বাচনের আগে অবশ্য ভারতের তরফ থেকে প্রকাশ্যে খুব বেশি কিছু বলা হয়নি। নির্বাচনকে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে নিরপেক্ষতা দেখানোর চেষ্টা করলেও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা বলতে ভোলে নি।  ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে ২৮ জানুয়ারির বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদেরের কথা থেকে নিশ্চিতভাবে জানা গেল যে ভারত শুধু সক্রিয় ভূমিকাই রাখেনি, তা জোরালো ছিল এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ভাষায় ’জরুরি’ ছিল। দেশ রুপান্তর পত্রিকার খবর অনুযায়ী ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে আঞ্চলিক রাজনীতি ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের আর আমাদের রাজনীতির মধ্যে অভিন্নতা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে উন্নয়নের রাজনীতিই আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য। একই পত্রিকা গত ৭ ফেব্রুয়ারি জানায়,

বাইডেনের চিঠিতে স্বস্তি–অস্বস্তির প্রশ্ন

  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি পাঠিয়ে বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থনের পাশাপাশি একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্নপূরণে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রায় বছরখানেকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র একটি ’স্বচ্ছ্ব, অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের জন্য প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে এসেছে। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও তারা ঘোষণা করেছিল। ফলে সরকারের সঙ্গে একধরনের টানাপোড়েন তৈরি হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র এ দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটাতে চায় বলে অভিযোগ করা হয়। এ পটভূমিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠিতে সরকারের পক্ষে–বিপক্ষের অনেকেই চমকিত হয়েছেন। অনেকেই এ চিঠিকে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের শুরু হিসাবে বর্ণনা করছেন। আবার কেউ কেউ ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এক ধরণের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে বলেও বিষয়টি ব্যাখ্যা করছেন। আবার এক দল একে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের আশা–আকাঙ্খাকে বাণিজ

Election violence, minority, and erasure of data

The life of Barun Kumar Ghosh, a supporter of the Awami League, met a tragic end on January 9 near his residence in Hamdo Ghoshpara, Jhenaidah. The assailants attacked the 35-year-old, dragging him to a location outside a local shop, where they amputated one of his legs. Despite being rushed to Jhenaidah Sadar Hospital by locals, doctors pronounced him dead. Barun was identified as a supporter of Tahjeeb Alam Siddiqui, the official nominee of the Awami League for the Jhenaidah-2 parliamentary seat. Barun’s killing has been cited in discussions on electoral violence against minorities. Reports of violence against minorities during and after the boycott-ridden controversial election have raised questions about the ruling party, Awami League’s claimed commitment to  protecting the minorities. A seminar organised by Arpita Sampatti Pratyarpan Ain Bastobayon Jatiyo Nagorik Samonway Cell on February 2, it was said that at least 13 incidents of torture and attacks on minorities - all election

স্থানীয় নির্বাচনের আগে ভোটে আস্থা ফেরান

গত মঙ্গলবার যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সুছনা হয়েছে, তার বর্ণনায় দুটি দৈনিকের শিরোনাম বেশ চোখে পড়ে। দেশের অন্যতম পুরোনো দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, ’অন্য রকম এক সংসদের যাত্রা শুরু’। আর বাংলা ট্যাবলয়েড মানবজমিন শিরোনাম করেছে ’আজব কিসিমের পার্লামেন্ট”। এ দুটো শিরোনামে নির্বাচনের পরও যে দেশের রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত আছে এবং সহসা তা থেকে পরিত্রাণের সম্ভাবনা নেই, তা পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। থবরের ভেতরে শিরোনামের ব্যাখ্যাও মেলে। ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে মধ্যে এক হিসাবে ২৮০, অন্য হিসাবে ২৮২ জন আওয়ামী লীগের নেতা। বিরোধী দল নামের যাঁরা আছেন, তাঁরাও আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া আসনের প্রতিনিধি। ফলে যে নামেই ডাকা হোক, এটি একটি একদলীয় সংসদ।  অরাজনৈতিক নাগরিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) ভাষায় যা ছিল, অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী, একই দলের ‘স্বতন্ত্র’ ও অন্য দলের সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের “পাতানো খেলা”। এটিকে তারা  বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য “অশনিসংকেত” বলে বর্ণনা করেছে। নির্বাচন বর্জনকারীদের