সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আসামের রাষ্ট্রহীনরা মোটেও উপেক্ষণীয় নয়

জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর এর হিসাবে ২০১৮ সালের শেষে পুরো বিশ্বে রাষ্ট্রহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৮ লাখ। আর, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে একদিনে রাষ্ট্রহীন ঘোষিত হয়েছেন তার ঠিক অর্ধেক, ১৯ লাখ, যারা প্রধানত: বাংলাভাষী মানুষ। এঁরা ১৯৭১ সালের আগে ভারতের বাসিন্দা ছিলেন এমনটি প্রমাণ করতে না পারায় অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় এসব নাগরিকত্ব হারানো মানুষ হলেন ‘ ঘুণপোকা ‘ । চলতি বছরের নির্বাচনের সময়ে ওই আসামেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা ক্ষমতায় ফিরে এলে এসব অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বিতাড়ণ করবেন। এই ১৯ লাখ অসমীয় বাংলাভাষীর নাগরিকত্ব হারানোর কারণ যে শুধু তাঁরা নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে পারছেন না, তা নয়। তাঁদের মুসলমান ধর্মপরিচয় হচ্ছে এর প্রধান কারণ। কেননা, কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়পর্যায়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি, বিজেপি সরকারের ঘোষিত নীতি হচ্ছে তাঁরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ধর্মবিশ্বাসী অভিবাসীদের নাগরিকত্ব নিয়মিতকরণ বা বৈধ করে নেবেন। তালিকা প্রকাশের পরপরই বিজেপির অভিযোগ কৌশলে অনেক মুসলমানের ভারতীয় হিসাবে

স্বাধীন তদন্তই গুম-রহস্যের সমাধান

বাংলাদেশে গুমের কোনো প্রচলন নেই। বছরকয়েক ধরে মন্ত্রীরা দেশে এবং দেশের বাইরে এমনটিই দাবি করে আসছেন। সুতরাং, গতমাসে জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটিতে (ক্যাট) আইনমন্ত্রীর মুখে একই কথার পুনরুচ্চারণ অপ্রত্যাশিত ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মত উন্নত দেশগুলোতে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের পরিসংখ্যান দিয়ে এমনও বলা হয়েছে যে, ওইসব দেশে হাজার হাজার নিখোঁজ লোকজনের ব্যাপারে গণমাধ্যমে কোনো হই চই হয় না। আইনমন্ত্রী বলেছেন, অনেকেই নানাকারণে অপহৃত হন, আত্মগোপন করেন এবং পরে ফিরে আসেন। আবার, অনেকেই রাজনৈতিক কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যে এসব আত্মগোপন বা অপহরণকে গুম বলে প্রচার করেন। সরকার যেহেতু গুম বলে কোনোকিছু আমাদের বাংলাদেশে ঘটে বলে স্বীকারই করে না সেকারণে ধরে নেওয়া যায় ‘ গুম হওয়া থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার আন্তর্জাতিক সনদ ’ স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা তারা অনুভব করেনি। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এবং নাগরিক সমাজ থেকেও কখনো এই সনদ স্বাক্ষরের জন্য সরকারের ওপর জোরালো চাপ সৃষ্টি বা দাবি জানানো হয়নি। তবে, সরকার যেসব সনদে সই করেছে সেগুলোও যে মেনে চলার কোনো চেষ্টা আছে, ব্যাপারটা তা নয়। যেমন রাজনৈত

৩ শতাংশ সাজায় এতজনের ভোগান্তি!

বাংলাদেশে কারাগারগুলোর দূর্দশার কথা নতুন কিছু নয়। সিলেট এবং চট্টগ্রামের দুজন পদস্থ কারা কর্মকর্তার সাম্প্রতিক গ্রেফতারের পর প্রকাশিত তাঁদের সম্পদবিবরণীতে অবশ্য ধারণা হতে পারে কারাগারগুলো নিশ্চয়ই ধন-সম্পদের খনি। নাহলে, সেখানে কোটি কোটি টাকা উপার্জন কিভাবে সম্ভব? দেশে গণতন্ত্রের যে দৈন্যদশা তাতে অন্যসব বিষয়ের মতোই সংসদে অথবা মাঠে-ময়দানের রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিতর্কে কারাগারগুলোর আসল চিত্র জানার কোনো সুযোগ হয় না। দেশে যেহেতু বিরোধীদল বলে কোনোকিছুর অস্তিত্ত্ব নেই, সেহেতু এসব বিষয়ে কেউ কোনো প্রশ্নও করে না। সুতরাং, নিশিকালের ভোটে গঠিত সরকারের জবাবদিহিতারও কিছু নেই। তবে, গতমাসে জেনেভায় জাতিসংঘ কমিটিতে দশজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের জেরার মুখে প্রকাশ পাওয়া কিছু সরকারী তথ্যে আঁতকে উঠতে হয়। আমাদের কারাগারগুলোতে যত বন্দী আছেন তার ৮১ শতাংশ বিচারাধীন। অর্থাৎ, তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ থাকলেও তাঁরা দন্ডিত আসামী নন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা কারাগারের দেওয়ালের বাইরে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা অন্য সবার মতই নিরপরাধ। আমাদের বিচারব্যবস্থার দ

গুজব, বিকল্প সত্য ও মানবাধিকার

সপ্তাহ খানেক আগে গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে মানুষ মারার খবরগুলো যখন আর সহ্য করা যাচ্ছিলো না, তখন ক্ষমতাধরদের কেউ কেউ ডেঙ্গুর প্রকোপ বিষয়ক খবরগুলোকেও গুজব অভিহিত করেছিলেন। যদিও সামাজিক মাধ্যম তখন ডেঙ্গু আক্রান্ত – বিশেষ করে যন্ত্রণা-কাতর শিশুদের কান্নার ছবিতে সয়লাব। ফলে, গুজবের দোহাই সমস্যাকে আড়াল করার চেষ্টা ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু, মাত্র দিন দুয়েকের মধ্যেই কোনো এক রহস্যের টানে ডেঙ্গুতে প্রাণহানি আর দূর্ভোগ যে কতটা ব্যাপক, তা স্বীকার করে নিতে নিয়ন্ত্রিত ভোটের মেয়রদ্বয় বাধ্য হয়েছেন। সারাক্ষণ তিনপ্রস্থ পোশাক পরিধানের কারণে এডিস মশা হয়তো দক্ষিণের মেয়রের শরীরের নাগাল পায় নি। কিন্তু, অর্থমন্ত্রীর কপাল মন্দ। এই মশার শুঁড়ে কত যে জ্বালা তিনি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। আমার আলোচ্য অবশ্য ডেঙ্গু নয়, সুতরাং ও প্রসঙ্গ থাক। ডেঙ্গুর কথা উঠলো গুজবের সূত্র ধরে। গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির মহান দায়িত্ব নিয়ে একদল সাংবাদিক ৩ দিন ধরে ঢাকায় বিশেষ কার্য্যক্রম পরিচালনা করেছেন বলে সংবাদপত্রগুলোতে খবর ছাপা হয়েছে। সংসদ প্রতিবেদকদের এই অভাবনীয় উদ্যোগের তারিফ না করে উপায় নেই। যে সংসদে সরকারের মনোনয়