সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নির্বাচনী সহিংসতার লক্ষণ ও ট্রাম্পের আচরণ

  বিশ্ব জুড়ে ২৫ বছর ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন এমন কয়েকজন বিশেষজ্ঞের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য সহিংসতার আলামতগুলো কী কী? তাঁরা যেসব আলামতের কথা বলেছেন, সেগুলো হচ্ছে: -          যে নির্বাচনে লাভ-ক্ষতির মাত্রাটা অনেক বেশি, উভয়পক্ষই যেখানে তাদের সাফল্যকে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বলে মনে করে কিম্বা তুলে ধরে; -          ভোটাররা যেখানে দুই মেরুতে বিভাজিত; -          বিদ্বেষমূলক বা ঘৃণাবাচক বক্তব্য ও ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও এর মধ্যে অর্ন্তভুক্ত; -          আগে থেকেই বিদ্যমান জাতি বা সম্প্রদায়গত কিম্বা বর্ণবাদী উত্তেজনা; উভয়পক্ষই যখন বিশ্বাস করে প্রতিপক্ষ জালিয়াতি না করলে তারাই জিতবে; -          নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি একটি বা উভয়পক্ষের অবিশ্বাস; -          তথ্যসূত্রগুলোর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা, যেখানে একপক্ষ অন্যপক্ষের সূত্রগুলোর সত্যবাদিতা নাকচ করে দেয়; -          খুব সামান্য ব্যবধানে জয় নির্ধারণের সম্ভাবনা; -          অস্ত্রের ছড়াছড়ি; -          রাষ্ট্রীয়বাহিনী নয়, কিন্তু সশস্ত্র মিলিশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন, ধর্মবিশ্বাস ও বিচারপতি নিয়োগ

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে প্রফেসর এমি কনি ব্যারেটের মনোনয়নে অনুমোদন দেওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন এই বিচারপতি আমাদের ‘ একটি রাজনৈতিক সম্পদ ‘ । বিচারপতি নিয়োগে সিনেটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ এবং রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এই মনোনয়ন অনুমোদিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনের আগে এতো তড়িঘড়ির পিছনে অবশ্য প্রধান কারণ নির্বাচনে খৃষ্টান ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে যাঁরা গোঁড়া, তাঁদের সমর্থন আদায়। গোঁড়া ক্যাথলিক খৃষ্টান ধর্মবিশ্বাসী এমি কনি ব্যারেটকে তিনবছর আগে ফেডারেল আপিল কোর্টেও বিচারক হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সাত সন্তানের মা ৪৮ বছর বয়সী এমি ব্যারেট গর্ভপাতবিরোধী হিসাবে পরিচিত, যিনি রক্ষণশীলদের কাছে আদর্শ হিসাবে বিবেচিত হবেন। ধর্মীয় রক্ষণশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কতটা গুরুত্বর্পূণ তার বেশ কিছু নজির তুলে ধরেছেন পুলিৎজারবিজয়ী সাংবাদিক বব উডওর্য়াড তাঁর সদ্য প্রকাশিত সাড়াজাগানো বই রেজ-এ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বর্পূণ হতে পারে সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা সং

হেফাজতে মৃত্যু আইন ও একজন মায়ের অনশন

সিলেটের যে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে ৩৪ বছর বয়সী তরুণ মো. রায়হান আহমদ নিহত হয়েছেন, সেই বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে তাঁর মা ছালমা বেগম স্বজনদের নিয়ে রোববার আমরণ অনশনে বসেছেন। এই ঘটনার মূল হোতাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর এ অনশন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর হাতের পোস্টারে লেখা ‘ আমার ছেলে কবরে, খুনি কেন বাহিরে ‘ । রায়হানের মায়ের এই অনশন কর্মসূচির সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছাড়াও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা একাত্ম হয়েছেন। অভিযোগ হচ্ছে ১০ অক্টোবর রায়হানকে এই ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়, যার পরিণতিতে পরদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পরদিন ১১ অক্টোবর হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে যে মামলা করেন, তাতে প্রধান অভিযুক্ত হলেন ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন। নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনটি হয়েছিল আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে, ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর। আইনটির শিরোনাম হচ্ছে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা অমর্যাদাকর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সনদের কার্যকারিতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রণীত আইন। আর এ আইন তৈরির কার

অতিথির জন্য স্থায়ী বসতির ভ্রান্তিবিলাস

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান যখন ক্রমশই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, তখন সাম্প্রতিক কয়েকটি খবর উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে সাম্প্রতিক সহিংসতা তার অন্যতম, যাতে অন্তত পাঁচজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমে এই সহিংসতার কারণ হিসাবে প্রধানত মাদকের কারবারে জড়িতদের দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে মিয়ানমার এবং কক্সবাজারের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে এর ভূমিকা ব্যপকভাবে আলোচিত। মাদকের কারবারে যে শুধুমাত্র রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরাই জড়িত নয়; বরং, স্থানীয়দের একটি বড় অংশের দাপটই এক্ষেত্রে মূখ্য।   প্রভাবশালী ক্ষমতাধরদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে স্থানীয় ও উদ্বাস্তু অপরাধীরা মিলেমিশে এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আশার কথা, উগ্রবাদী সন্ত্রাসে এঁদের জড়িয়ে পড়ার যে আশংকা ছিল, গত তিন বছরে সেরকম কিছু ঘটেনি।    দশ লাখেরও বেশি উদ্বাস্তুর জীবনের অনিশ্চয়তা যতই দীর্ঘতর হবে সেখানকার আঞ্চলিক পরিবেশ-পরিস্থিতিতে অস্থিরতাও ততই বাড়বে। ইঙ্গিত মিলছে উদ্বাস্তুদের এক দশমাংশকে কক্সবাজার থেকে সরিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তরকেই সম

EU-Myanmar Human Rights dialogue: Does supporting election justify exclusion of Rohingyas?

The European Union, barely three weeks before the general election in Myanmar, has held a bilateral dialogue on human rights with the regime seeking re-election. Following the dialogue a joint statement issued on October 14 by the EU and Myanmar noted that the EU reaffirmed its strong support for Myanmar’s democratic transition, notably in the context of Myanmar’s upcoming general election, as well as for its peace and reconciliation process and inclusive socio-economic development.  In the 393-word statement, however, not once did the term Rohingya appear, which describes   the distinct identity of the ethnic minority group that has been the subject of a prolonged persecution in Myanmar since the enactment of the Citizenship law in 1982 that stripped of their nationality. It is quite shocking as it ignores the fact that the International Court of Justice (ICJ) earlier this year in its interim order affirmed Rohingyas as a distinctive ethnic group of Myanmar and ordered that country

সাংবাদিকতা: হত্যা, ডিজিটাল আইন ও করোনার ঝুঁকি

নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা, দৈনিক বিজয়ের একজন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর রোববার রাতে বন্দর থানায় তাঁকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের একজনকে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে এবং পুলিশ পরে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ গ্যাসের সংযোগ এবং মাদকব্যবসার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহের কথা বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস-সংযোগের দূর্নীতি জনজীবনের জন্য যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জেই গতমাসের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা। ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩৪। সাংবাদিকতা পেশার ঝুঁকি কতটা, ইলিয়াস হোসেন জীবন দিয়ে তা আবারও সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন। তাঁর এই মৃত্যুতে আরও দুটো বিষয় স্পষ্ট হয়েছে – প্রথমত: সাংবাদিকরা শুধু যে সরকার বা ক্ষমতাধর রাজনীতিকদের বৈরিতার শিকার হন, তা নয়। অন্যান্য অপরাধীরাও সাংবাদিকদের শত্রুতুল্য গণ্য করে। দ্বিতীয়ত: রাজধানীর বাইরে মফস্বলের সাংবাদিকদের ঝুঁকি কোনো অংশেই কম নয়। সন্দেহভাজন অপরাধীদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় ইলিয়াস হোসেনের হত্যাকারীদের বিচার   দ্রুতই সম্পন্ন হওয়া সম

বিচারহীনতায় দৃষ্টান্তমূলক সাজার প্রশ্ন

  মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ছাপা না হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল প্রচারিত কয়েকটি ছবির কথা না বললেই নয়। যে ছবিগুলোর কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই, সেগুলোতে উঠে আসা কথাগুলোর গুরুত্ব আলাদা। ছবি দুটোই শাহবাগ থানার সামনে। একটিতে কয়েকজন মেয়ে বিভিন্ন বক্তব্য লেখা পোস্টার ধরে দাঁড়িয়ে আছে। একটিতে একজন পুলিশ একজন প্রতিবাদকারীর খুব কাছে গিয়ে পোস্টার পড়ছে। পোস্টারগুলোয় লেখা ছিল ‘এখানে ধর্ষণের বিচার পাওয়া যায় না’, ‘বাহ পুলিশ চমৎকার, ধর্ষকদের পাহারাদার’। প্রতিবাদকারীদের পোস্টারের বক্তব্যগুলো পুলিশকে ক্ষুব্ধ করেছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু এগুলো যে নিষ্ঠুর সত্য, সে কথা তো অস্বীকার করা যাবে না। আইন আছে, আইনের শাসন নেই; আইন প্রয়োগের প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু দলীয়করণ আর দুর্নীতির কারণে তা অকার্যকর; সরকার আছে, যার কোনো জবাবদিহি নেই। বছর দুয়েক আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে শিক্ষার্থীরা আলোড়িত করেছিল, তারাও কিন্তু রাষ্ট্রকে অসুস্থ বলে রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছিল। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কথা কজনার মনে আছে, জানি না। পছন্দমতো ভোট দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে চার সন্তানের এক জননীকে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন স্বামী-সন্তা

End privacy breaches now

In an era when civil and political rights have been shrinking gradually, we have witnessed a welcome intervention by the Supreme Court. A 3-member bench of the High Court Division of the Supreme Court has said the practice of collection of call list/audio discussion from public/private phone companies without any formal requisition and formal seizure, and also without the knowledge of the subscriber must be stopped. Three justices of the bench, unanimously and without any ambiguity, have said the citizens’ right to privacy in correspondence and other means of communication is guaranteed under article 43 of the Constitution which cannot be easily violated at the whims of any interested quarter.   The judgement was the outcome of a death reference and two appeals one criminal and the other a jail appeal in a case of the killing of a seven-year old child. In the original criminal case, the prosecution significantly relied on the alleged suspects’ call lists and records, which were ob

ফোনে আড়িপাতার অসাংবিধানিক চর্চা এবার থামুক

আমাদের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সদ্য প্রকাশিত এক রায়ে বলা হয়েছে যে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে গোপনীয়তার অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর জন্য সহজেই লঙ্ঘন করা যাবে না। হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া ওই রায়ে অভিমত এসেছে যে সরকারি-বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর কোম্পানি থেকে আনুষ্ঠানিক লিখিত চাহিদা ছাড়া এবং গ্রাহককে অবহিত না করে কললিস্ট বা কল রেকর্ড (কথোপকথন) সংগ্রহ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। হাইকোর্টের এই রায় নি:সন্দেহে ব্যাক্তিগত গোপনীয়তার নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় একটি গুরুত্বর্পূণ ও আশা জাগানিয়া পদক্ষেপ। সংবাদপত্রের খবরে রায়ের এই অংশকে পর্যবেক্ষণ হিসাবে বর্ণনা করা হলেও প্রকাশিত রায়ে তা যেভাবে বলা হয়েছে, তাকে সাধারণভাবে আমরা যেগুলোকে আদালতের পর্যবেক্ষণ বলে জানি, সেরকমটি বলা যাবে না। আদালত আলাদা করে কোনো পর্যবেক্ষণ দেন নি। রায়ের মধ্যেই কথাগুলো বলেছেন। সুতরাং, একে আদালতের আদেশ হিসাবে গণ্য করাই যৌক্তিক বলে মনে করা চলে। বিচারপতিরা লিখেছেন যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষায় সাংবিধানিক অঙ্গীকার (ম্যান্ডেট) যথাযথ