সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্রেক্সিট বিতর্কে গণতন্ত্রের নতুন রুপ

ব্রিটেনে সবচেয়ে পুরোনো বাংলা সংবাদপত্র সাপ্তাহিক জনমতের অর্ধশত বছর পূর্তির বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনপর্বটি কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত হলো হাউজ অব কমন্সের একটি কক্ষে। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার মুখে ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদের বাইরে একজন বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা একটি ফেস্টুনে চোখ আটকে গেল। ইউরোপীয় জোট থেকে বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকটে বেশ কিছুদিন ধরেই পার্লামেন্টের বাইরে ব্রেক্সিটের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে। উভয়পক্ষই পাশাপাশি ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা নিয়ে অবিরাম পরষ্পরবিরোধী শ্লোগান দিয়ে চলেছে। একপক্ষের কথা হচ্ছে লিভ মিনস্ লিভ (বিচ্ছেদ মানে বিচ্ছেদ) এবং তার জন্য যা-ই করতে হয় করতে হবে। অন্যপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে বিচ্ছেদের চুক্তিতে প্রমাণ মিলছে যে গণভোটের আগে যা বলা হয়েছিল তা ছিল ভুল বা প্রতারণা। সুতরাং, আরেকটি গণভোট ছাড়া কোনো বিচ্ছেদ নয়। এসব বক্তব্য ও শ্লোগানের মাঝে যে ফেস্টুনটিতে আমার চোখ আটকে গিয়েছিল তাতে লেখা ছিল ‘ গাই ফক্স যা করতে চেয়েছিল আমারও তাই ইচ্ছে করছে ‘ । ইতিহাসে আগ্রহীরা জানেন ১৬০৫ সালে গান পাউডার দিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ উড়িয়ে দেওয়ার এক ষ

শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাস ও ‘তোমরাই আমরা’

‘ভূমিকম্পের শহরে কী অপেক্ষা করছে’ শিরোনামটি ছিল ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তৃতীয় টেস্ট সামনে রেখে। ১৫ মার্চ শুক্রবার ঢাকার খবরের কাগজগুলোর মধ্যে যুগান্তর–এর এই শিরোনাম চোখে পড়ার আগেই ক্রাইস্টচার্চে অন্য ধরনের এক ভূমিকম্প ঘটে গেছে। শহরটির দুটি মসজিদে জুমার নামাজে বর্ণবাদী সন্ত্রাস কেড়ে নিয়েছে ৫০ জনের প্রাণ, হাসপাতালেও প্রায় সমানসংখ্যক আহত মানুষের জীবন রক্ষার লড়াই। এই বর্ণবাদী সন্ত্রাস যে শুধু ক্রাইস্টচার্চকেই আন্দোলিত করেছে, তা নয়। পুরো নিউজিল্যান্ড এবং বিশ্বকেই নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে। বর্ণবাদ বিশ্বে নতুন কোনো সমস্যা নয়। তবে গণতান্ত্রিক বিশ্বে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা যে পরাস্ত হয়নি বা নিঃশেষ হয়ে যায়নি, তার আলামত বেশ কিছুদিন ধরেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছিল। কিন্তু এ রকম মুসলিমবিদ্বেষী সন্ত্রাসী হামলা যে ক্রাইস্টচার্চের মতো একটি শহরে ঘটবে, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তা–ও একজন সন্ত্রাসীর পক্ষে প্রায় ছয় মাইল দূরত্বের দুটি মসজিদে হত্যাকাণ্ড চালানো কীভাবে সম্ভব, তা রীতিমতো ব্যাখ্যার অতীত। মাত্র ৪৪ লাখ অধিবাসীর দেশ নিউজিল্যান্ডে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে য

ছাত্র-তারুণ্যের অরাজনৈতিক উত্থান?

৭০ ‘ এ মাওলানা ভাসানি ‘ ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর ‘ আওয়াজ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। কিন্তু, আক্ষরিক অর্থে ভোটের বাক্সে তখন কেউ লাথি মারেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল একাধিকবার নির্বাচন বর্জন করলেও কাউকে ভোটের বাক্সে লাথি মারতে দেখা যায়নি। কিন্ত এবারের ডাকসু নির্বাচনে তেমনটি ঘটেছে। নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। নানা অঘটনের এই নির্বাচনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন, সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাড়া প্রায় সবাই প্রহসন বলে অভিহিত করেছেন। এমনকী, বর্তমান উপাচার্যের পূর্বসুরি এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী শিক্ষকরাও তাঁদের লজ্জা এবং হতাশার কথা বলেছেন। পরদিন মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, দেশের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে দেশের দুজন আলোচিত চরিত্রের সংমিশ্রণে একটি ক্যারিকেচার ছাপা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মোহাম্মদ নুরুল হুদার – দুজনের মুখের অর্ধাংশ মিলিয়ে এটি আঁকা হয়েছে। এঁরা দুজনে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে

ভোটের আগের রাতের রহস্য ভেদ করবে কে

৩০ ডিসেম্বর কী ঘটেছিল, কর্তাব্যাক্তিরা একটু একটু করে তার স্বীকারোক্তি দিতে শুরু করেছেন। এসব স্বীকারোক্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের বাক্স ভরা হয়েছে আগের রাতেই। এসব কথা আগে ছিল অভিযোগ এবং অভিযোগকারীরা ছিলেন হয় বিরোধীদল, নয়তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তার সঙ্গে ছিল বিবিসির মত বিদেশি সংবাদমাধ্যমসহ সাংবাদিকদের অভিজ্ঞতার বিবরণ। কিন্তু, এখন যোগ হয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ স্বীকারোক্তি এবং তা আসছে ক্ষমতাসীন জোটের ছোট শরীক এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান - নির্বাচন কমিশনের ভাষ্যে। আগের রাতে ভোট হয়ে যাওয়ার বিষয়ে এসব স্বীকারোক্তি সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বর্পূণ সন্দেহ নেই। কিন্তু, তার চেয়েও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে নির্বাচনে অদৃশ্য শক্তির প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা এবং সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। রাশেদ খান মেননের বক্তব্যটি রাজনীতিকদের আর দশটা মেঠো বক্তব্য নয়। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়  দেশ

পিঠা উৎসব থেকে ভোটার দিবস

প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে ধন্যবাদ। মাত্র দু ‘ মাসের ব্যবধানে তিনি অন্তত একটা সত্য স্বীকার করে নিয়েছেন। দেশের বৃহত্তম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের দিন তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন যে ‘ ভোটকেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের। এ দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। ‘ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় সরকারের কাছে স্বাধীনতা বিসর্জনের পর তিনি যে ভোটারহীন সিটি নির্বাচনের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সেজন্য এই কৃতজ্ঞতাটুকু তাঁর প্রাপ্য। ভোটাররা যে ভোটকেন্দ্রে আসেননি এই সত্যটির স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেওয়ার পাশাপাশি তিনি যদি আরেকটু সাহসী হয়ে বাকি সত্যটুকুও বলতে পারতেন তাহলে তাঁকে আমরা আরো বড় করে ধন্যবাদ দিতে পারতাম। বাকি সত্য যেগুলো তিনি বলতে পারতেন, কিন্তু বলেন নি, তার মধ্যে সবার আগে আসে – ভোটারদের ভোটকে মূল্যহীন করে ফেলার কথা। এই কাজটিতে নিজেদের দায় স্বীকার করার মত সাহস তাঁর কাছ থেকে কেউই আশা করে না। কিন্তু, এই কাজটিতে ক্ষমতাসীন দল, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী যে গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের মত করতে পারলো না সেটুকু অন্তত