সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অক্সফোর্ডের টিকায় বিনিয়োগ ও কিছু প্রশ্ন

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশ পাবে, খবরটি অনেককেই উৎফুল্ল করবে, সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, বেক্সিমকো ২৮ অগাস্ট ঘোষণা করেছে, অক্সফোর্ড এর টিকার উৎপাদনকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রোজেনকা ভারতে যে উৎপাদন সহযোগী নিয়োগ করেছে সেই সেরাম ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে এবিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিটি বিনিয়োগ চুক্তি বলেও বেক্সিমকো উল্লেখ করেছে এবং বলেছে এর ফলে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। বেক্সিমকো আরও বলেছে আগাম বিনিয়োগ করার কারণে কম খরচে টিকা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে সরকার চীনের উদ্ভাবিত সিনোভ্যাক টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার একদিন পরই বেক্সিমকোর এই ঘোষণা পাওয়া গেলো। স্মরণ করা যেতে পারে, মানবদেহে চীনা টিকার পরীক্ষার অনুমতির বিষয়টি প্রায় এক মাস ঝুলে ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল সিনোভ্যাকের প্রস্তাবের সব খুঁটিনাটি পর্যালোচনার পর গত ২০ জুলাই তাদের সম্মতির কথা জানায়। চীন গত জুলাই মাসেই জানিয়েছিল তারা বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে। এরপর ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় চীনা টিকার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থে

রোহিঙ্গা সংকটের কূটনীতি ঘিরে কিছু প্রশ্ন

মিয়ানমারে রেহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়ণ-নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার তিনবছর পূর্তির সময়ে রোহিঙ্গাদের বাসভূমিতে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান আমরা আবারও নতুন করে শুনতে পেলাম। গত ২৫ আগস্ট একটি আর্ন্তজাতিক ই-আলোচনায় আমাদের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক তদারকিতে রাখাইনে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্মরণ করা যেতে পারে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এধরণের একটি নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে গত তিনবছরে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটি নিয়ে ঠিক কী কী কাজ করেছেন ? জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আহ্বান জানানো ছাড়া বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো কাজ আ্দৌ কি হয়েছে ? নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া এধরণের কোনো পদক্ষেপ কখনোই বাস্তবায়িত হবে না, সেটা মোটামুটিভাবে

শ্রিংলার সফর টিকা কূটনীতির চেয়েও বেশি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ঢাকায় হঠাৎ এবং ঝটিকা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রতিবেশির দূতকে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ দেওয়ার মাধ্যমে করোনা মহামারিকালে বিদেশি অতিথিদের গণভবনে প্রবেশের নিয়ন্ত্রণ প্রায় প্রায় ছয়মাস পর প্রথমবারের মতো আলগা হওয়ায় সবার কৌতুহল একটু বেড়েছে। সচিব পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় একটি বৈঠকও হয়েছে। দ্বিতীয় বৈঠকটির আলোচ্যবিষয়গুলো নিয়ে উভয় দেশের তরফেই বিবৃতি এবং বক্তব্য দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো তরফেই কিছু বলা হয়নি। সুতরাং, সফর ঘিরে কিছুটা রহস্য এবং নানাধরণের জল্পনা ও আলোচনা চলছে। এমনটি হতে পারে যে বার্তাবাহকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য বিনিময়ের বাইরে আর কিছুই আলোচনা হয়নি। তবে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো কোনো খবরে এই সাক্ষাৎ ঘন্টাখানেক স্থায়ী হওয়ার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে ইঙ্গিত মেলে কিছু না কিছু আলোচনা হয়েছে। অতীতেও দেখা গেছে এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা খুব একটা খোলাসা করতে চান না এবং দেশীয় সংবাদমাধ্যম কিছুটা স্বেচ্ছানিয়ন্ত্রণের কারণে স্পর্শকাতর বিষয়ের গভীরে প্র

বিচারবহির্ভূত সব হত্যার শুনানি হোক

  কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের পর থেকে গণমাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আসছে। সিনহা হত্যার বিষয়ে গঠিত প্রশাসনিক তদন্ত কমিটির গণশুনানিতেও বহু মানুষ তাঁদের অভিযোগ জানাতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, সিনহা হত্যার বিষয়টি ছাড়া অন্য কোনো অভিযোগ কেউ শোনেনি। গত সপ্তাহখানেকের সংবাদশিরোনামগুলো থেকে ধারণা করা যায় জাতীয় পর্যায়ে যদি কোনো গণশুনানির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে তা সামাল দিতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হবে। দু ‘ চারদিন বা সপ্তাহে, এমনকি কয়েক মাসেও তা শেষ করা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। তবে সময় যা-ই লাগুক, কিম্বা তার আয়োজন যতই কঠিন হোক, গত দুই দশকের চার হাজারেরও বেশি বিচারবর্হিভূত হত্যা এবং গুমের মত গুরুতর অপরাধের অভিযোগগুলোর বিষয়ে এধরণের শুনানি যে কতটা প্রয়োজন তা কক্সবাজারের নজির থেকে স্পষ্ট হয়েছে। স্মরণ করা দরকার, সিনহার পরিবার এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কল্যাণ সমিতি রাওয়ার পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে তাঁরা আশা করেন, সব বিচারবর্হিভূত হত্যা ও গুমের অবসান ঘটবে এবং ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিচার পাবে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাডার সার্ভিসের সদস

Justice for Sinha Can Initiate Justice for Others Too

  "The Police does not shoulder the responsibility of any misdeed committed by an individual", claims the Bangladesh Police Service Association (BPSA), a representative body of the members of the police cadre in the country. The statement was aimed at calming tensions created due to the unfortunate extrajudicial killing of Major (rtd) Rashed Md Khan Sinha in Cox's Bazar by a police team. It must be noted that till now, none of the members of the BPSA have been named in the Sinha murder case. However, the irony was, on the day the association issued the statement, one of its members, an SP of Rajshahi Range, was sued in Dhaka for the abduction and extortion of a businessman. Besides, some more stories appeared in the media in the last few days alleging police excesses, extortion, corruption and another extrajudicial killing in the same Cox's Bazar district, which appears to be a pattern throughout the country. The BPSA statement claimed that Bangladesh Police took acti

টিকটক বিতর্ক, ইন্টারনেটের বিভাজন ও স্নায়ুযুদ্ধ ২.০

বাংলাদেশে সম্প্রতি টিকটকের উঠতি তারকা অপুভাইকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যম ছাড়িয়ে মূলধারার গণমাধ্যমেও মোটামুটি একটা বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে। রুপালি পর্দার বিপরীতে ইউটিউবের তারকা হিরো আলমের মত অনেকটা ‘ বড় ‘ দের আড়ালেই অপুভাইয়ের মত বেশ কিছু টিকটক তারকার আর্বিভাব ঘটেছে। রাফিভাইইউ নামের এক তারকার অনুসারী আছেন ৭০ লাখ। ফেসবুক বা টুইটারের মত মূলধারার মাধ্যমে দাপট আছে  এমন সব বাংলাদেশি ‘ বড় তারকা ‘ দেরও এতো বিপুলসংখ্যক ফলোয়ার কারো আছে কিনা সন্দেহ। বয়সে ছোট কিশোর-তরুণদের মধ্যে টিকটক অল্পসময়েই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।   চীনা এই অ্যাপ প্রথমে আন্তদেশীয় কূটনীতিতে বিরোধের বিষয় হয়েছে ভারতে। লাদাখে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘাতের পরিণতিতে ভারত টিকটকসহ প্রায় শতাধিক চীনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে। অপু ভাইয়ের গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশীদের মধ্যে এমন আলোচনাও ওঠে যে বাংলাদেশেও হয়তো এটি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার কারণেই হয়তো এমন ধারণা ছড়িয়েছিল। ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও সেদেশে টিকটক এর ব্যবসা সেদেশীয় কোনো কোম্পানির কাছে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিক্রি না করে দিলে নিষিদ্ধ করার হুঁশ

অপরাধ দমনে বিচারবর্হিভূত হত্যা আর নয়

দেশের বিভিন্ন আইন-শৃংখলাবাহিনীর হাতে বিচারবর্হিভূত হত্যার বিরুদ্ধে গত প্রায় দেড় দশক ধরে নানাধরণের রাজনৈতিক বির্তক হয়েছে। কিন্তু, দেশের গুরুত্বর্পূণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তা নিয়ে কোনোধরণের দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের কথা কেউ কখনো শোনেনি। এমনকি, সংসদে সরকারমনোনীত বিরোধীদলও বিচারবর্হিভূত হত্যার নীতিকে সমর্থন জানিয়ে কখনও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তদের, কখনও সন্দেহজনক মাদককারবারীদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এধরণের নীতি যে অঘোষিতভাবে চালু আছে ক্ষমতাসীন দলের জৈষ্ঠ্য নেতাদের দু ‘ একজনের মুখ থেকে সংসদে তার স্বীকারোক্তিও মিলেছে। এরকম পটভূমিতে সাবেক সেনাকর্মকর্তা সিনহা মো রাশেদ খানের মৃত্যু এবং তাকে কেন্দ্র করে পুলিশের অবিশ্বাস্য ভাষ্য নিয়ে যে ক্ষোভ ও গুঞ্জন শুরু হয়েছে তা বিচারবর্হিভূত হত্যার বির্তককে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। এই বির্তকের আলোড়ন এতোটাই তীব্র যে সেনাপ্রধান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক সম্ভবত এই প্রথম যৌথভাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলেন। সেখানে তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন ‘ এই ঘটনায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ এমন কোনো আচরণ করবে না যার মাধ্যমে দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরে ‘ । সেনাপ্রধান এবং পুল

টিকার প্রতিযোগিতায় আমরা কোথায়

ওষুধ তৈরির আগেই তা বিক্রির হয়ে যায় এমন কথা আগে কখনো কেউ শুনছেন বলে মনে হয় না। কোভিড ১৯ এর ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেছে। কোভিড ১৯এর চিকিৎসায় কোনো ওষুধের কার্যকারিতা এখনও শতভাগ প্রমাণিত হয়নি সেকথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু, তারপরও নানাধরণের ওষুধ সাধারণ মানুষ যেমন কিনেছেন, তেমনই কোনো কোনো দেশের সরকার পাইকারি হারে সরবরাহের জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে আগাম টাকাও দিয়েছে। মহামারির আকস্মিক ও উচ্চ সংক্রমণের কারণে চিকিৎসাসেবীদের জন্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে এক অসম প্রতিযোগীতা। এখন একই ঘটনা ঘটছে প্রতিষেধক টিকার ক্ষেত্রে। কার্যকর প্রতিষেধক টিকার সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে বিজ্ঞানীরা যখন নিরলসভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টিকাগুলো সবার আগে পাওয়ার জন্যও শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়। টিকা পাওয়ার দৌড়ে স্বভাবতই সেই সব দেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে, যাদের উদ্ভাবন সবচেয়ে কার্যকর বলে বৈশ্বিক স্বীকৃতি লাভ করবে। উদ্ভাবনের পাশাপাশি টিকার দ্রুত এবং বিপুল পরিমাণে উৎপাদন সক্ষমতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবে। অন্য সব