সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সরকার ক্যাসিনোতে কোন শুদ্ধি খুঁজছে

কিছুদিন ধরে গণমাধ্যমে একের পর এক বড় বড় দূর্নীতির খবর ফাঁস হচ্ছিলো। রুপপুরের বিদ্যূৎ প্রকল্পের বালিশের দাম জানার পর যখন তা পারমাণবিক বালিশ হিসাবে পুরিচিতি পেল তখন দূর্নীতির দায় চাপাতে বলা হলে ক্রয়কর্তা বিএনপির ছাত্রসংগঠন করতেন। কিন্তু, ফরিদপুরের হাসপাতালের পর্দা, বান্দরবানের ঘরের চালের টিন, মেডিকেল কলেজের বইয়ের মত একের পর এক সরকারী ক্রয়ের যেসব বিবরণ ছাপা হয়েছে সেগুলোর শিরোনাম এক নিবন্ধে ধরানো সম্ভব নয়। সরকারের ভেতরে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় বিএনপিকর্মীর আকাল দেখা দেওয়ায় ওই অজুহাতও আর চলছিলো না। কিছুদিন পরপর ছোট-মাঝারি-বড়-অতিশয় বড় প্রকল্পগুলোর ব্যয় যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার খবর শোনা যায়, তাতে দূর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণের চেহারা বুঝতে আর কারও কষ্ট হওয়ার কথা নয়। পুলিশের ডিআইজি, কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি, দূর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের বিবরণগুলোর কথাও বা ভুলি কী করে।পাশাপাশি, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের ওসির মত দায়িত্বশীল কর্মকর্তার যৌন অপরাধের খবরগুলোতে প্রতিশ্রুত ‘ সুশাসনে ‘ র কী দূর্গতিই না প্রকাশ পাচ্ছিলো। দিন দশেক ধরে সেই আলোচনায় ছেদ ঘটিয়েছে ক্যাসিনো-বার-স্পাবিরোধী অভিযো

রোহিঙ্গা শরণার্থী: সংকটের সমাধান খুঁজতে হবে বৈশ্বিক পরিসরে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন উপলক্ষ্যে বিশ্বনেতারা এখন নিউইয়র্কে। বাংলাদেশ এবং ইসলামী সম্মেলন সংস্থা, ওআইসির যৌথ উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সেখানে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সভাটি আয়োজিত হয়েছে এমন সময়ে যা তিনটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বর্পূণ। প্রথমত: দুই বছরের মধ্যে জাতিসংঘের তদারকিতে দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়ত: জাতিসংঘের নিয়োগ করা স্বাধীন তথ্য অনুসন্ধান দল গত সপ্তাহে মানবাধিকার পরিষদে পেশ করা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে গত দুবছরে মিয়ানমারে পরিস্থিতি একটুও বদলায় নি এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ নেই। তৃতীয়ত: অনুসন্ধানী দল যেমন মিয়ানমারের চিহ্নিত জেনারেলদের আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালতে বিচার দাবি করেছে, তেমনই দাবি করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং তা গত সপ্তাহেই। সন্দেহ নেই, আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধানী দলের ‍মূল্যায়নটি বিশেষভাবে গুরুত্বর্পূণ। তাঁরা ঠিক কী বলেছেন সেটা একটু দেখে নেওয়া যাক। অনুসন্ধানী দলের প্রধান মারজুক দারুসমান মানবাধিকার পর

জরুরি জিজ্ঞাসা - বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী

কাহিনিটা অনেকটা এরকম। একটি অনগ্রসর জেলায় সম্ভাবনাময় তরুণদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে সরকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো। বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে এলাকার লোকজন তো মহা খুশি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় শুধু যে এলাকার ছেলেমেয়েদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, তা-ই নয়, অন্যান্য জায়গা থেকে জ্ঞানী-গুণীদের সমাবেশ ঘটেছে, নতুন নতুন ভবন গড়া হয়েছে , শিক্ষা-গবেষণার জন্য আধুনিক বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম এসেছে, অনেক মানুষের কাজের সংস্থান হয়েছে, স্থানীয় লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হয়ে যিনি আসেন তাঁকে ঘিরে তৈরি হয় অনেক প্রত্যাশা। এলাকার লোকজনও তাঁকে সমীহ করেন, শ্রদ্ধা এবং আস্থায় তাঁর অবস্থান অনন্য হয়ে ওঠার কথা। গত এক দশকে এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে অনেকগুলো। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘ গুণী ‘ উপাচার্যগণের অনেকেই তাঁদের পদমর্যাদার সঙ্গে অসঙ্গতির্পূণ বিভিন্ন কথাবার্তা ও কাজকর্মে তাঁরা যে শুধু বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন তা নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন ক্ষতি করছেন যা অনেককাল ধরে অনুভূত হবে। অবশ্য সরকারী অর্থে পরিচালিত পুরোনো প্রতিষ্ঠ

গনতন্ত্রের ক্ষয়সাধন ও রাজনীতির হালচাল

গত বারো বছর ধরে ১৫ই সেপ্টেম্বর আর্ন্তজাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যেককে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা ও শান্তি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠায় তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। দূর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছে, ২০০৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে বিশ্ব জুড়েই গণতন্ত্রের অধোগতি বেড়েছে। গণতন্ত্রের মান সম্পর্কে মোটামুাটভাবে গ্রহণযোগ্য মূল্যায়নের জন্য স্বীকৃত ফ্রিডম হাউজের ২০১৯ সালের প্রকাশিত বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচক সেরকমই বলছে। তারা বলছে, সূচকে প্রতিবছরই বৈশ্বিক গড় কমেছে এবং যেসব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে তার তুলনায় অবনতির পরিমাণই বেশি। এধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোর সূচক নিয়ে বাংলাদেশে যাঁরা সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করে থাকেন, গত ডিসেম্বরের অভিজ্ঞতার পর ধারণা করি তাঁরা তা পাল্টেছেন। অনেকের কাছে এই দিবসটি পরিহাস বলেই মনে হয়। ফ্রিডম হাউজ ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের মূল্যায়নে যুক্তরাষ্ট্রও বাদ যায়নি। তাদের বিবেচনায় বৈশ্বিক মানে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র শক্তিশালী হলেও আইনের শাসন, তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতা এবং গণতন্ত্রের অন্যান্য রীতিনী

মানবিক বাংলাদেশ কেন অমানবিক হবে

প্রতিবেশী দেশ, মিয়ানমারের জাতিগত নির্মূল নীতির কারণে পরিচালিত গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে সার্মথ্য না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই মাহাত্ম্যের কারণেই   মানবিক জাতি হিসাবে গত দু ‘ বছর আমরা বিশ্ব জুড়ে প্রশংসিত হয়েছি। কিন্তু, গত কয়েকদিনের কিছু পদক্ষেপের কারণে তা হারানোর উপক্রম হতে চলেছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গটি আবারও ফিরে এসেছে। তবে, তা মোটেও সুখকর নয়। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মোবাইল ফোন সেবা বন্ধের নির্দেশই এসব শিরোনামের প্রধান কারণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরে সরকারকে সমর্থন না দিলে জাতিসংঘকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জার্মান রেডিও ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন। তাছাড়া, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কাজ করে এমন কয়েকটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওর কার্য্যক্রম বন্ধ করা , সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাবিরোধী কিছু সমাবেশ এবং মাদকের ক

সংসদীয় গণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষায় নজির গড়ল যুক্তরাজ্য

মাদার অব অল পার্লামেন্টখ্যাত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট তার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছে । কর্তৃত্ববাদী নীতি অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টের ক্ষমতা খর্ব করার যে চেষ্টা করেছিলেন , তা নাটকীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে । উপরন্তু , তা যে কতটা আত্মঘাতি হয়েছে তা তিনি মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন । মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইন সংশোধনসহ তিনটি প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে পার্লামেন্টে তিনি হেরেছেন , যা ব্রিটেনের ইতিহাসে অতীতে কখনো ঘটেনি । সংসদ পরিচালনায় সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে , প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইন সংশোধনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন । গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর সংসদ অধিবেশনে বসার পর প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রথম চমক দেখেন যে , তাঁর দলের একজন অপেক্ষাকৃত নবীন সদস্য তৃতীয় প্রধান বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটের সারিতে আসন নিয়েছেন । এটি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর নিষ্ঠুরতম চমক । এরপর নিজ দলের বিদ্রোহী এবং বিরোধী