সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঘনিষ্ঠতার প্রতীকী সফরে অনাকাঙ্খিত ফল

সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির শান্তি ও সংঘাত গবেষণার ভারতীয় অধ্যাপক অশোক সোয়াইন টুইটারে বাংলাদেশে তিন দিনে সহিংসতায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন করেছেন, কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৭৪ বছরের ইতিহাসে কোথাও সফরে গেলে এমনটি কি কখনও হয়েছে? আর, বাংলাদেশীদের মনেও প্রশ্ন, আমরা কি স্বাধীনতার এমন সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কথা ভেবেছিলাম? নি:সন্দেহে সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনগুলোতে জৌলুশ ছিল, চাকচিক্য ছিল। বিশ্বনেতাদের উপচে পড়া শুভকামনা ছিল। মহামারির মধ্যেও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর নেতাদের উপস্থিতি নিশ্চয়ই এই আয়োজনের উজ্জলতা বাড়িয়েছে। কিন্তু, এসব জাকঁজমক আর বিদেশিদের প্রশংসার আকর্ষণে যে দেশের মানুষের স্বতর্স্ফূত অংশগ্রহণের পথ রুদ্ধ হয়েছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। দেশে ব্যাক্তিস্বাধীনতা যেভাবে সংকুচিত হয়ে শুধু ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া অধিকারের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন যেন তারই প্রতিফলন ঘটাল। সহিংসতা ও অঘটন ঘটার আগে কথাগুলো কেউ না বললেও এখন এমন অভিযোগ উঠেছে। দেশের ২০ জন   নাগরিক এক যৌথবিবৃতিতে বলেছেন, সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সংকীর্ণভাবে ও

৫০ বছরে বাংলাদেশ: মানচিত্র টেকসই হলো, গণতন্ত্র হলো কি

এ বছর বাংলাদেশ যেমন তার গৌরবময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে, তেমনই বিশ্বের আরও তিনটি দেশ তাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব করতে পারে। তবে, ওই তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের ফারাক অনেক। আমরা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াই করেছি, রক্ত ঢেলেছি অকাতরে, প্রাণ দিয়েছি লাখে লাখে। ভিটে-মাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছি। মরহুম শিল্পী আব্দুল লতিফের ভাষায়, ‘ দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারোর দানে পাওয়া নয় ‘ । সুতরাং, আমাদের আবেগের দিকটি যে অনেক বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। অন্য যে তিনটি দেশ ১৯৭১ এ স্বাধীনতা পেয়েছিল, তাদের একটির স্বাধীনতার তারিখ আমাদের মতোই ১৬ ডিসেম্বর। ওই তিনটি দেশই স্বাধীনতা পায় ঔপনিবেশিক শক্তি ব্রিটেনের কাছ থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয় দিবস যেদিনটি, সেই ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পায় বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমীরাত বা ইউএই স্বাধীনতা পায় ২ ডিসেম্বর আর কাতার ১৮ ডিসেম্বর। এই তিন আরব দেশের নিরাপত্তা দেওয়া আর সম্ভব নয় বলে ব্রিটেন তাদেরকে স্বাধীনতা দেয়।   ওই তিনটি আরব দেশের সঙ্গে আমাদের কোনো তুলনা চলে না। তিনটি দেশই জ্বালানি তেল এবং গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ। এদের মধ্যে মা

কলম্বোর পক্ষে ঢাকা: গণহত্যার প্রশ্নে নৈতিক অবস্থান নেই কেন

যেমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিল , ঠিক তাই হয়েছে । অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই জেনেভা , লন্ডন এবং কলম্বোয় এরকম জল্পনাই চলছিল । শ্রীলংকায় তামিল বিদ্রোহ দমনে বেসামরিক নাগরিকদের যেসব গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে , তার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ , সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতে বিচারের জন্য সম্ভাব্য কৌশল নির্ধারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরকে ম্যান্ডেট প্রদানের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ । জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে প্রস্তাবটি অবশ্য গৃহীত হয়েছে । জল্পনার কারণ হচ্ছে এই প্রস্তাবের মূল উদ্যোক্তা কানাডা , যুক্তরাজ্যসহ পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশ । প্রস্তাবটি নিয়ে কলম্বোয় কানাডার হাইকমিশনার ডেভিড ম্যাককিনন বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন , যার খবর ৬ মার্চ শ্রীলংকার দ্য আইল্যান্ড পত্রিকায় ফাঁস হয়ে যায় । এরপর ক্ষুব্ধ কানাডীয় হাইকমিশনার ম্যাককিনন ওই দিন টুইট করে জানতে চান যে তিনি নজরদারিতে রয়েছেন কিনা । স্বতন্ত্র তামিল রাষ্ট্রে