সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আইনের আগে দরকার রাজনৈতিক সমঝোতা

  বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসার কারণেই কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নতুন করে আলোচনায় ফিরে এসেছে। ৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এ জন্য আইন তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। আর ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা বলেছেন এর আগেও যেভাবে কমিশন গঠিত হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। সার্চ কমিটি উপযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে সেই তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি যে  বিরোধীদল বিএনপির পছন্দ হয়নি, সেকথা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। গত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দিতার পর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বিরোধীদলের আসনে আসীন জাতীয় পার্টিও কমিশন গঠনের জন্য আইন তৈরির কথা বলেছে। এসব বক্তব্যে স্পষ্টতই বোঝা যায়, নতুন কমিশন গঠনে আইনের কথা সংবিধানে থাকলেও তার আবশ্যকতা নিয়ে রাজনৈতিক কোনো মতৈক্য নেই।  তবে এই নেতিবাচক অবস্থানের মধ্যেও মন্দের ভালো একটি উপাদান আছে। রাজনীতির প্রধান এই দুই প্রতিপক্ষ - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই কমিশন গঠনের আইনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। অতীতেও তারা তা প্রয়োজনীয় মনে করেনি এ

উপজেলা পরিষদের সাইনবোর্ড বদল কেন জরুরি

উপজেলা পরিষদের বিষয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দুটি নির্দেশনা এসেছে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য। তবে,রুপালি পর্দার বহুল আলোচিত তারকা পরীমনির রিমান্ড, ই-ধাপ্পার বিভিন্ন কারবারিদের হাজার কোটি টাকা লোপাটের কাহিনি, সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব নিয়ে টানাটানির মত বিষয়গুলোর ভিড়ে উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন ও মর্যাদার বিষয়ে উচ্চ আদালতের এই দুটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি।  বলে নেওয়া ভালো, ক্ষমতাসীন জোট ও নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় উপজেলা চেয়ারম্যানরাও জনপ্রতিনিধির মর্যাদা হারিয়েছেন।  প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের সংস্কৃতিতে নাগরিকেরা যখন অসহায়, তখন জনগণের অংশগ্রহণ-বর্জিত রাজনীতির এই খেসারত তাঁরা এড়াবেন কীভাবে?     তবে উপজেলা চেয়ারম্যনের আসনে যে-ই আসীন থা্কুন না কেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় তাঁদের পদের আইনপ্রদত্ত মর্যাদা ও ক্ষমতা অন্য কেউ হরণ করবে, সেটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সেকারণেই হাইকোর্টের এই আদেশ দুটি নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। বিষয়টিতে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের ঘাটতি লক্ষ্য করে জেলা ও দায়রা আদালতের একজন বিচারক

Looking back at the 1971 Concert in Sympathy

It was 50 years ago today, when hundreds of Londoners flocked to Sadler’s Wells theater to show their support and donate to the cause of Bangladesh’s war of independence. It too was a concert, though not as spectacular as the Madison Square Garden’s Concert for Bangladesh organised by Beatles guitarist George Harrison and Sitar Maestro Ravi Shankar. The London Concert and seven other concerts in following weeks in various other English cities were known as “Concert in Sympathy”. Sadler’s Wells had three shows on the day. And, the key organiser of the series was Birendra Shankar, one of the nephews of Ravi Shankar.    Birendra too courted support from politicians, artists from both parts of Bengal, celebrities including Hollywood’s top actress Glenda Jackson, and businesses for his concerts. Birendra Shankar, who founded the Sanskritik Centre of Indian Arts, was well known for his devotion in promoting Indian classical music in Britain. Unfortunately, there is not much information avai

সাংবাদিকদের ভয় দেখাতেই ব্যাংক হিসাব তলব

গণতন্ত্রের অব্যাহত ক্ষয়সাধন রোধে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ধারাবাহিক ব্যর্থতার পটভূমিতে মুক্ত সংবাদমাধ্যমের টিকে থাকা যখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তখন আরও বেশি হতাশার কারণ হয়েছে সাংবাদিকদের অনৈক্য। বলা যায়, রাজনৈতিক বিভাজনের ধারায় সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর বিভক্তিতে লাভবান হয়েছে সরকার। একদিকে টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার-সমর্থকদের আধিক্য এবং অন্যদিকে সাংবাদিক ইউনিয়নের দলীয়করণ গণমাধ্যমের স্বাধীন ও সুস্থ বিকাশ অনেকটাই রুদ্ধ করে ফেলেছে। এ রকম পটভূমিতে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব করার পদক্ষেপ অনেককেই বিস্মিত করেছে। ইউনিয়নগুলো এই অস্বাভাবিক পদক্ষেপকে ‘স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’ হিসেবেই বিবেচনা করছে। বোঝা যাচ্ছে সরকার স্বস্তিতে নেই। এই পদক্ষেপ সরকারের অস্বস্তি ও অস্থিরতারই বহিঃপ্রকাশ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই অস্থিরতা কেন এবং সাংবাদিক নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রভাব কী হতে পারে। শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো, ইউনিয়নগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও সাংবাদিক নেতারা ব্যাংকগুলোর কাছে তাঁদের হিসাব তলবের বিষয়ে বেশ জোরালোভাবেই বলেছেন যে তাঁরা চান বিষয়টি নিয়ে যেন কো

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের উদ্দেশ্যেই গলদ

ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষায় সরকার নতুন একটি আইন করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিয়ে  ইতিমধ্যেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। এসব আলোচনা আপাতদৃশ্যে খুবই জরুরি, তবে তা আদৌ কোনো কাজে আসবে বলে আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। অতীতের রেকর্ড অন্তত তা-ই বলে।  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথাই স্মরণ করে দেখুন। এর পূর্ববর্তী আইন - তথ্য প্রযুক্তি আইনের নিবর্তনমূলক বৈশিষ্ট্য ও যথেচ্ছ অপব্যবহারের প্রতিবাদের মুখে ডিজিটাল আইনের খসড়া নিয়ে কত আলোচনাই না হলো। সরকারের ক্ষ্মতাধর মন্ত্রীরা একযোগে আমাদের আশ্বস্ত করলেন, আমাদের উদ্বেগগুলো বিবেচনা করা হবে। যাঁর হাত দিয়ে আইন হয়, পেশাদার আইনজীবী আইনমন্ত্রী সম্পাদক পরিষদকেও কথা দিলেন, অচিরেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। পরিবর্তন তো দূরের কথা, ওই আইনে এতো বেশিসংখ্যক সম্পাদক- সাংবাদিক মামলায় পড়েছেন ও জেলে গেছেন যে তার হিসাব রাখাই কঠিন।          গণমাধ্যমের আলোচনা কিম্বা ময়দানের বক্তৃতা ও রাজপথের শ্লোগান কোনোকিছুই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকদের ওপর কোনো দাগ কাটে না। আমাদের কথিত `গণতন্ত্রে` সাংসদদের কাছে যেহেতু ভোটারদের কোনো মূল্য নেই, তাই সংসদে বিল উত্থাপিত হলে কোনো বিতর্

বিজ্ঞাপনের প্রতিশ্রুতিতে তারকাদের দায়

ই-অরেঞ্জ নামের একটি অনলাইন বাণিজ্য বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে এখন নানারকম অভিযোগ ও কেলেংকারির কথা প্রকাশ পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি গুলশান থানায় প্রায় রেকর্ড সময় চাকরি করার বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর সোহেল রানার বেনামি বিনিয়োগের একটি প্রকল্প বলেও জানা যাচ্ছে। অত্যন্ত প্রতাপশালী এই ইন্সপেক্টর কপালের ফেরে দেশান্তরি হওয়ার চেষ্টার সময়ে ভারতে আটক হয়েছেন। সাম্প্রতিক অন্যান্য আর্থিক কেলেংকারির মত ইন্সপেক্টর সোহেল রানার সহায়-সম্পদের সেসব বিবরণ গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। আমার লেখার বিষয় অবশ্য ওই আলাদিনের চেরাগের মালিক ইন্সপেক্টর নন, বা তাঁর বেনামি কোম্পানি ই-অরেঞ্জ নয়; ই-অরেঞ্জ এবং তার মত আরও যেসব অপরীক্ষিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে দেশের প্রতিষ্ঠিত তারকাদের ইমেজকে কাজে লাগায়, সেই তারকাদের উদ্দেশ্যে।           মেধা, যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই তারকারা খ্যাতি অর্জন করেন এবং জনমানসে তাঁদের যে ইমেজ বা ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে, তার সর্ব্বোচ্চ আর্থিক মূল্য আদায় ও ভোগ করা তাঁদের ন্যায্য অধিকার। সুতরাং তাঁরা বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে অথবা কোনো পণ্য, পরিসেবা বা ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রসারে অ

A less merry Christmas awaits Britain

  Imagine a scenario where a restaurant chain, famous for chicken dishes, is forced to shut down dozens of its outlets due to supply shortage. Food shops too are trimming their menus and superstores leaving some of their shelves partly empty because they are unable to replenish their depleted stocks. But, it’s real, and it's happening in Britain.   These breakdowns in supply chains are not only affecting small or medium size business entities, but big brand multinationals too. Nando’s has run out of chicken, Macdonald’s has stopped selling milkshakes, superstores have been struggling with dairy products. The latest global giant joining the list of struggling with supply chain crisis is Coca-Cola, which has reported shortage of aluminium cans. Coca-Cola’s trouble is reported to have spread beyond the UK and affecting bottling plants in Europe. The reason behind the crisis is shortage of truckers known as HGV (Heavy Goods Vehicle) drivers. It doesn't matter whether someone drinks

আমলাদের রাজনীতি ও রাজনীতির পেশাজীবী

বরিশালের মেয়রের সমর্থকদের সঙ্গে সেখানকার বিদায়ী ইউএনওর বিরোধের যে ভাষ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেটাই সত্য, না-কি তার বাইরেও কিছু ছিল, তা হয়তো আমাদের আর কখনোই জানা হবে না। কেননা, প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতিকদের আপসরফা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার ব্যাক্তিদের মুক্তি দেওয়াও শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত কিংবা বিচারপ্রক্রিয়ায় সত্য প্রকাশের সম্ভাবনার ইতি ঘটেছে। তবে সেখানকার জেলা প্রশাসকের `ইউএনওকে যে আঘাত করে, সে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করে` মন্তব্যটিতে আভাস মিলছে, প্রশাসন তার দাপট বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে তাঁরাও `প্রধানমন্ত্রীর লোক` পরিচয় ব্যবহারে দ্বিধা করেন না। প্রশাসন ক্যাডারের সমিতির বিবৃতির ভাষা নিয়ে ব্যপক সমালোচনার পরও সমিতির একজন সদস্য জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্যকে জনমতকে বুড়ো আংগুল দেখানো ছাড়া আর কী বলা যায়?  প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি কী ছিল, যা এত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে? বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সমিতি বলেছিল, `রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত`দের আইনের মাধ্যমেই