সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গুমের শিকার পরিবারগুলোর দুঃখের কথা শুনুন

আজ থেকে ১২ বছর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে জোর করে তুলে নেওয়া বা গুমের ঘটনা বাড়তে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব পাশ করেছিল। সাধারণ পরিষদের ৬৫/২০৯ নম্বর প্রস্তাবটিতে গুমের অংশ হিসাবে গ্রেফতার, আটক, এবং অপহরণের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং গুমের শিকার ব্যাক্তির পরিবারগুলোর প্রতি হয়রানি, দূর্ব্যবহার এবং ভীতি প্রদর্শনের কথাও বলা হয়েছিল। ওই প্রস্তাবেই গুমের শিকার হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পরিবারগুলোর উদ্দেশে প্রতিবছর ৩০ আগষ্ট আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবটি যখন জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে, তখন বাংলাদেশে গুম কথাটি তেমন একটা শোনা যায়নি। কিন্তু গত প্রায় এক দশকে গুম বারবার সংবাদ শিরোনামে ফিরে আসছে। আর সাম্প্রতিক বছরগুলেতে গুমের শিকার পরিবারগুলোর কান্না ও ভয়ার্ত চেহারাও আমরা বারবার দেখছি।  ১৯৭২ সালে জহির রায়হানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিকে এখন অনেকেই গুম বলে সংজ্ঞায়িত করে বলেন যে সেটাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গুমের ঘটনা। তবে গুম বলতে এখন যা বোঝানো হয়, তা মূলত সরকারের কোনো বাহিনী কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়াকেই বোঝানো হয়। আর বেসরকারি কোনো গোষ্ঠী বা অপরাধ

Why we need to rethink the Press Council

The ongoing debate on the proposed amendment of the Bangladesh Press Council Act appears to be quite strange, as the initiator of the amendment, the Council itself, has been embroiled in  controversy. Its refusal to share the latest draft amendment, which has been approved in principle by the cabinet, despite being requested by the highest body of professional journalists - the Editors Council - raises serious questions about the Press Council’s the intention. The move first came to light in early April, when the current chairman of the Press Council, Justice Nizamul Haque Nasim, announced publicly that the law would contain provisions for penalising journalists up to Tk 10 lakh for false reporting. However, the cabinet, while giving its nod to the amendments, has reportedly changed the terms of penalties.   The current controversy over the proposed legislation seems to be revolving around following questions: 1) What is the reason for a sudden rush to amend the existing law? 2) Why so

সরকারকে আউয়াল কমিশনের উপহার

  যেসব স্কুল এসএসসিতে ছাত্রছাত্রীদের ভালো ফল চায়, তারা তাদের ছাত্রছাত্রীদের বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্য কি না, তা বাছাইয়ের জন্য টেস্ট এবং কোথাও কোথাও প্রি-টেস্ট নিয়ে থাকে। আমাদের স্কুলে সে রকমই ছিল। আমাদের আউয়াল কমিশন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নামক প্রি-টেস্টে একজন দাপুটে এমপির দাপটের কাছে চুপসে গিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছে, তা থেকে কোনো শিক্ষা তারা নিয়েছে বলে মনে হয় না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যে কতটা বিপজ্জনক, তারও প্রমাণ মিলেছে সেখানে।। দুজন প্রার্থীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৬২৯ ভোটে এগিয়ে থাকা প্রার্থী শেষ চারটি কেন্দ্রের ভোটে যে নাটকীয়তায় ৩৪৩ ভোটে হেরে গেছেন, তাতে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে ভালোই উঠে এসেছে।   কিন্তু প্রি–টেস্টের মতো টেস্টেও নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বো চ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেবে । এমনকি কমিশন সচিব অশোক কুমারের ভাষ্য অনুযায়ী

UN rights chief’s visit: Conflicting expectations and a hope for positive change

T he recent visit to Bangladesh by UN human rights chief Michelle Bachelet attracted quite a significant amount of interest among rights activists globally, as it came after her controversial trip to China in May. She went to China despite opposition from rights activists and the United States which had expressed concerns that she would not have unfettered access to people subjected to alleged torture and intimidations. Later, on June 15, she told the Human Rights Council that she was unable to meet the detained Uyghurs. Some of these activists expressed concerns that her Dhaka visit could be used by the government, who faces criticism for widespread abuses and repressive laws, in claiming that it had nothing to hide.   Prior to her Dhaka trip, nine human rights organizations, including Human Rights Watch (HRW), issued a joint statement on August 10, urging the UN rights chief to publicly call for an immediate end to serious human rights violations, including torture and disappearances

ব্যাশেলেতের সফরে মানবাধিকারের কিছু হবে কি

মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের সর্ব্বোচ্চ কর্মকর্তা হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বাংলাদেশে চার দিনের যে সফর করে গেলেন, তাতে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, পড়লে কতটুকু, তা আগামী দিনগুলোতে বোঝা যাবে। তবে সফরটি ঘিরে যেহেতু সরকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠনগুলো তাদের প্রত্যাশার কথা আগেই জানিয়েছে, তাই এর প্রাথমিক একটা মূল্যায়ন হওয়া দরকার। বিশেষতঃ সফর শেষে তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে সরেজমিন সফরে কূটনৈতিক ও একান্ত আলোচনাগুলোয় তিনি আমাদের মানবাধিকার সম্পর্কে কেমন ধারণা নিয়ে গেলেন, তার প্রতিফলন মেলে।  মিশেল ব্যাশেলেতের সফর-সমাপনী সংবাদ-সম্মেলনের বিবৃতিটি কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি থেকেই বোঝা যায়। নাম প্রকাশ না করা ওই জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তার মতে মিস ব্যাশেলেত তাঁর মেয়াদ শেষ করার আগে আগামী মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সভায় যে বক্তৃতা দেবেন, তাতে বাংলাদেশের কথা থাকবে এবং সেই বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আলো ওই প্রতিবেদনে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য

Can we follow India redrawing its data protection law?

Following protests by opposition parties, rights groups and businesses, the Indian government has withdrawn its proposed Data Protection Bill. The draft bill received 81 amendment suggestions at the joint parliamentary committee. Reports suggest that the government is now considering bringing in a fresh bill, taking into consideration all the suggestions that came through the parliamentary committee.  While the government in India has listened to the opposition, in Bangladesh, the government has brushed aside the civil societies’ concerns about a similar bill and published the third draft with further expansion of authoritative controls over personal data and privacy.  In India, the bill had been sent to the parliamentary panel in 2019 after opposition parties said the data privacy law violated fundamental rights of the citizens. They said the law gave sweeping powers to the government to access personal data of individuals under opaque conditions citing national security and other rea

পুলিশ ও লাঠিয়ালে ফারাক করার উপায় কী

  সোমবারের দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় ছাপা হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও কয়েকজন লাঠিয়াল কয়েকজন তরুণ–তরুণীকে বেধড়ক পেটাচ্ছে। অনেকে এধরনের মারকে গরু পেটানোও বলে থাকেন। বর্তমান বিশ্বে অবশ্য প্রাণী অধিকারবাদীদের কারণে অধিকাংশ সভ্য দেশেই কোনো জীবের প্রতি এধরনের নিষ্ঠুরতা ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে, অপরাধীর কপালে জেল-জরিমানা নিশ্চিত।  বিক্ষোভকারীদের বেধড়ক পিটুনির ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার হয়েছে এবং অনেকের কাছে তাই অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়বে না। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ছবিটি শুধু পুলিশী নিষ্ঠুরতার অকাট্য দলিলই নয়, এতে অনেক গুরুতর আইনি প্রশ্নও নিহিত আছে। ভোলায় পুলিশের গুলিতে বিরোধীদল বিএনপির দুজন স্থানীয় নেতা আব্দুর রহিম ও নূরে আলম নিহত হওয়ায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ মোকাবিলায় পুলিশী কৌশলে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ ওঠার পরও এমন নির্মম পিটুনির ঘটনাটি ঘটেছে । পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি গুরুতর। কেননা, যেভাবে মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে আলামত মেলে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি চালানো হয়েছিল । নয়তো মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য শূন্যে গুলি ছুঁড়ে

নির্বাচন কমিশনের দুটি অর্থহীন সংলাপ

  বর্তমান নির্বাচন কমিশন বেশ কৌশলী। আগের দুটি কমিশন ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য চাপ ও প্রত্যাশা পূরণ করে বিতর্কিত হয়েছে। কিন্তু তাদের গঠনপ্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছিল। এবার কমিশন গঠিত হয়েছে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক আইনে, কিন্তু মনোনয়নপ্রক্রিয়া ছিল বর্জনপীড়িত। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল যাদের প্রতিপক্ষ মনে করে, সেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় অর্ধেকই মনোনয়ন প্রক্রিয়া বয়কট করেছিল। ফলে সরকারের সুবিধাভোগী ও পছন্দের আমলাদের নিয়ে গঠিত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন শুরুতেই নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করেছে। মাত্র মাস চারেকের কম সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে দুই দফা আমন্ত্রণ জানিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী মাসে তারাই সব দলকে তৃতীয় দফা আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছে বলে খবর বেরিয়েছে।    তবে গত দুই দফাতেই তাদের আমন্ত্রণে  অর্ধেকের মত দল সাড়া দেয়নি। প্রথম দফায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষা করার আমন্ত্রণ, আর দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন  আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ গ্রহণ।  এখন বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুল