সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইজরায়েলের সঙ্গে অঘোষিত সম্পর্ক কেন অনুচিত

স্বদেশ ছাড়াও অন্য আরেকটি দেশের মুক্তির জন্য সরাসরি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গৌরবের অধিকারী হিসাবে বাংলাদেশিদের একটা আলাদা ও অনন্য অবস্থান রয়েছে। কোনো ভাড়াটিয়া সেনা হিসাবে নয়, কিম্বা কোনো রাষ্ট্রীয় অনুরোধেও নয়। দখলদারিত্ব থেকে একটি জাতির মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ের প্রতি   রাজনৈতিক উপলব্ধি ও সংহতি থেকেই ছিল অসামরিক নাগরিকদের এই ঐতিহাসিক অংশগ্রহণ। সেই দ্বিতীয় রাষ্ট্রটি হচ্ছে ফিলিস্তিন। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের অল্প পরেই বাংলাদেশ থেকে হাজারে হাজারে তরুণ ইজরায়েলী দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে বীরত্বর্পূণ ইতিহাস রচনা করেছেন। মিশরের আল আখবার পত্রিকার ইংরেজি সংস্করণে ২০১৪ সালের এক নিবন্ধে এ সম্পর্কে দুটি হিসাব পাওয়া যায়। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা, পিএলও‘র প্রধান অংশ ফাতাহ‘র লেবানন শাখার সম্পাদক ফাতি আবু আল আরাদাতের ভাষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিটে ছড়িয়ে থাকা ছাড়াও শুধু বাংলাদেশি যোদ্ধাদের একটা আলাদা ব্যাটালিয়নও ছিল। পত্রিকাটি ১৯৮৮ সালের যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের সূত্র উল্লেখ করে বলছে তাদের হিসাবে প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি ফিলিস্তিনিদের জন্য লড়াই করেছেন।

Why removing ‘except Israel’ from passport is problematic

What the Foreign Minister AK Abdul Momen said on May 20 about his ministry's predicament is nothing unique. Expressing his regret about   Prothom Alo   journalist Rozina Islam's arrest, he said, "As foreign ministry, we have to face questions over this." Dropping the words "except Israel" from the declaration of validity of the Bangladesh passport, too, made him and his ministry face questions that are quite intriguing and not so easy to brush aside. The BBC Bangla on May 24 reported that following the publication of the news, the foreign minister called Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal and was told that the decision had been taken six months before. It indicates that this was done without any assessment of any political fallout or legal consequences. Despite his assertion that "there has been no change in Bangladesh's position towards Israel as it still does not recognise Israel," the unintended consequences of the controversial change are

রোজিনার পর সংবাদমাধ্যমকেও মুক্ত করা চাই

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অন্যায় নিগ্রহ ও লাঞ্চনার শিকার রোজিনা ছয়দিনের কারাদূর্ভোগ কাটানোর পর তাঁর   প্রাপ্য অধিকার অনুযায়ী জামিন পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে দুটি আইনে মামলা হয়েছে, সেগুলো জামিনযোগ্য এবং সে কারণে শুরুতেই তিনি এই জামিন পেতে পারতেন। তাই তাঁর ছয় দিনের কারাদূর্ভোগের দায় কার, সেই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে এবং ধারণা করি সে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে রিমান্ডের বিষয়টিও আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। আদালত প্রথম দিনেই রোজিনাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে এটি নিয়ে আর আলোচনার প্রয়োজন নেই, বিষয়টি মোটেও তা নয়। মামলা হলেই রিমান্ড চাওয়া ও পাওয়ার একটি চর্চা এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাকে যে পুলিশ আমলেই নেয় না, আইনজীবির উপস্থিতি, অসুস্থ হলে চিকিৎসার বাধ্যবাধকতা এগুলো যে দিনের পর দিন উপেক্ষিত হয়ে চলেছে, তা কিন্তু কম উদ্বেগজনক নয়। রোজিনার প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাঁরা নিরলসভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের এ রকম জোরালো ভূমিকা একটা নতুন নজির তৈরি করেছে। এটা ঘটেছে

পাসপোর্টের এই পরিবর্তন কেন ইসরায়েলের জন্য উপহার

  আশির দশকের গোড়ার দিকে আমার প্রথম পাসপোর্টে তিনটি দেশের ক্ষেত্রে তা বৈধ হবে না বলে লেখা ছিল। দেশগুলো হলো ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তাইওয়ান। দক্ষিণ আফ্রিকা তখন বর্ণবাদের কারণে বৈশ্বিক বর্জনের মুখে ছিল। তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব ছিল না চীনের কারণে। আর ইসরায়েলের কথা তো নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্ণবাদের অবসান ঘটার পরই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আমাদের পাসপোর্ট সেখানে ভ্রমণের জন্য বৈধ। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো নেই, কিন্তু নীরবে পাসপোর্টের ব্যতীত (exclusion) তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এর কারণটা ছিল কতিপয় ব্যবসায়ীর বাণিজ্যিক আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা। তাঁরা এমনকি ঢাকায় তাইওয়ানের বাণিজ্যিক লিয়াজোঁ অফিস খোলার অনুমতি দিয়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক ঝামেলার জন্ম দিয়েছিলেন। সেই অনুমতি শেষ পর্যন্ত আর দেওয়া হয়নি। তবে পাসপোর্টের ব্যতীত তালিকায় নামটি না থাকায় তাঁদের তাইওয়ানে যাওয়া-আসায় বাধাটা দূর হয়েছে। ইসরায়েলের বিষয়টাও খামাখা হচ্ছে, এমনটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। কার বা কাদের বাণিজ্যিক আকাঙ্ক্ষা কাজ করছে বাণিজ্য প্রতিবেদকেরা খোঁজ করলে

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হরণে পুরোনো হাতিয়ার

প্রথম আলোয় ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন অনুসন্ধানী খবর ছাপানোর কারণে সুখ্যাতি পাওয়া সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের কারাগারের পথে খাঁচায় আটক মুখ কিম্বা সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পদস্থ আমলার গলা চেপে ধরার ছবিগুলো শুধু যে সাংবাদিকদের জন্য কষ্টের ও ক্ষোভের, তা নয়; প্রথম আলোর পাঠক কিম্বা পাঠক নন এমন সাধারণ মানুষকেও এসব ছবি পীড়িত করেছে, ক্ষুব্ধ করেছে। গত কয়েকবছর ধরে দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্রমাগত সংকোচন নিয়ে দেশ-বিদেশে উদ্বেগ যে বাড়ছে, তা নতুন কোনো কথা নয়। সম্পাদক পরিষদও খোলাসা করে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তারা বিশেষ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিবর্তনমূলক বিভিন্ন বিধানের বিরুদ্ধে। তারা হয়রানি ও ভীতিকর পরিবেশ তৈরির কারণে স্বেচ্ছানিয়ন্ত্রণ বা সেল্ফ সেন্সরশিপের কথাও বলেছে। এই ‘ কথা না বলতে পারার স্বাধীনতা ‘ র যে দমবন্ধ করা পরিবেশ, রোজিনার ছবিগুলো যেন তারই প্রতীক হিসাবে সময়ের স্বাক্ষ্য হয়ে রইল। সরকারি আমলাদের রোজিনাকে বেআইনীভাবে অন্তরীণ রাখা, দেহ তল্লাশি, মোবাইল ফোন জব্দ করা এবং অসুস্থ হওয়ার পরও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ঘটনাগুলোতে জাতীয় মা

চীন কেন বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছে

কোয়াডে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে যথেষ্ট খারাপ করবে বলে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে দেশ-বিদেশে সীমিত পরিসরের একটা কূটনৈতিক আলোড়ন দেখা গেছে। মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ঢাকা, ওয়াশিংটন ও বেইজিং থেকে ওই মন্তব্যের পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। দিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো হলেও বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পাল্টা জবাবটি এসেছে একজন ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্ন সূত্রে। সোজা কথায়. চীনা রাষ্ট্রদূতের কথায় সবাই একটু নড়েচড়ে বসেছেন। চীনা রাষ্ট্রদূত তাঁর কথায় যে হুঁশিয়ারির সুর ছিল, তা হালকা করার চেষ্টায় একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পররাষ্ট্রনীতির প্রতিনিধিত্ব করে যে পত্রিকা, সেই গ্লোবাল টাইমসের নিবন্ধ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি মোটেও হালকা হয়নি। বলা চলে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বরং রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের মন্তব্যের যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগের ইঙ্গিতর্পূণ জবাবে

মমতার জয়ে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের হাল কী হবে

সম্প্রতি ভারতে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হলো চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। কিন্তু সব আলোচনা যেন শুধু পশ্চিমবঙ্গকে ঘিরে। ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ও ভারতে শিক্ষা সংস্কারের জন্য খ্যাত লর্ড মেকলে বলেছিলেন, বাংলা আজ যা ভাবে ভারত তা ভাববে আগামীকাল। যদিও বক্তব্যটি ছিল অখন্ড ভারত নিয়ে, তবুও ধরে নেওয়া যৌক্তিক যে এই গৌরবের সমঅংশীদার বাংলার পূর্ব ও পশ্চিম দুই অংশই। ২ মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই সুপরিচিত ভারতীয় লেখক সলিল ত্রিপাঠি এই বক্তব্যটি উদ্ধৃত করে আশাবাদ প্রকাশ করেন যে হিন্দুত্ববাদী বিভাজনের রাজনীতির ধারক বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের সূচনা ,যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু হলো, তা ভারতের অন্যান্য অংশেও অনুসৃত হবে। কেরালা এবং তামিলনাড়ুতেও বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আসাম অবশ্য ব্যাতিক্রম হয়েই রইল।   সলিল ত্রিপাঠির মত আশাবাদীর সংখ্যা অনেক। অনেকে এমন কথাও বলতে শুরু করেছেন যে এই পাহাড়সম প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে নির্বাচন জয়ের মাধ্যমে ভারতে মোদিবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার লাভ করছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ‘দিদি, ও দিদি‘ বলে দিনের পর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

মুক্ত সংবাদমাধ্যমের চাই পূর্ণ গণতন্ত্র

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আসলে মালিকের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকরা রুটি-রুজির প্রয়োজনে আত্মমর্যাদা জলাঞ্জলি দিয়ে সাংবাদিকতা পেশার সততা ও আস্থা হারিয়েছেন – এমন সমালেচনায় গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তপ্ত। শালীনতার বিচারে আসলে একে উত্তপ্ত বললেও কম বলা হয়। তিনটি দৈনিক পত্রিকা, দুটি টেলিভিশন চ্যানেল, একটি এফ এম রেডিও এবং একটি অনলাইন সংবাদের পোর্টালের স্বত্ত্বাধিকারী বসুন্ধরা গোষ্ঠী। এই শিল্পগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভিরের বিরুদ্ধে একজন তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ও তাঁর আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলার খবর তাঁদের কোনো সংবাদমাধ্যমই প্রকাশ করেনি। ফলে, ওইসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সম্পাদক ও সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব ও নীতিবোধের প্রশ্ন সমালোচিত হচ্ছে।   এই একটি খবরকে কেন্দ্র করে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা যাঁরা এতোদিন সরকারের সমালোচনা করে আসছি, তাঁদের প্রতিও অনেকে কটাক্ষ করছেন। এটি দূর্ভাগ্যজনক, তবে সাংবাদিকতার নিত্যসঙ্গী একটি বিড়ম্বনা। অন্য কথায় একে বলে পেশার বিপদ (প্রফেশনাল হ্যার্জাড)। এরকম আরও অনেক পেশাগত বিড়ম্বনা সাংবাদিকতার অনুসঙ্গ। তবে, সাংবাদিকতায় সবচেয়ে ব