সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Victimising Shams shows why DSA should go

  The timeline of arrestingProthom Alo journalist Shamsuzzaman Shams is very telling. According to the police documents, a case under the Digital Security Act against Shams was registered with Tejgaon police station at 02:15 a.m. on Wednesday by Syed Golam Kibria, general secretary of Jubo League’s Dhaka North Ward 11 unit. In less than two hours, members of the Criminal Investigation Department (CID) reached Shams’ home in Savar, accompanied by a sub-inspector from the local police station. The speed of police response to this case indicates that the ruling party man did not bring it on a whim. Now, a case has been filed against the newspaper’s editor-publisher, Matiur Rahman. Remember the announcement made by law minister Anisul Haque that the home ministry had instructed the police that journalists would no longer be arrested under the DSA until an investigation was complete? Why was that instruction not complied with by Tejgaon police? This incident is a clear proof that the pledge

গণতন্ত্র সম্মেলন: কর্তৃত্ববাদ মোকাবিলার নীতি কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে

  এ লেখা যখন পড়ছেন, তখন বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আহুত দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথম দিনের বক্তব্য সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আপনারা জেনে গেছেন। আলাদা করে যুক্তরাষ্ট্রের এই গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন নিয়ে গত দু’বছর ধরে অনেক বিতর্কই হয়েছে। বিতর্ক এখনও চলছে, তবে ভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে। দ্বিতীয় সম্মেলনটি এক বছর পর হওয়ার কথা থাকলেও তা তিন মাস পিছিয়েছে। সমালোচকেরা অবশ্য সময়ের দিক থেকে পেছানো নয়, সম্মেলনের লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে থাকার দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন। ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে যুক্তরাষ্ট্রেরই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ট্রুম্যান সেন্টার ফর ন্যাশনাল পলিসির ভাইস–প্রেসিডেন্ট জন টেমিন লিখেছেন, দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না, প্রয়োজন হচ্ছে কর্তৃত্ববাদ মোকাবিলার নীতি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও বলছে, সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর অনেকেই যে গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে, তার তেমন একটা প্রমাণ নেই। সেখানে যারা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি যাচাইয়েরও কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই। প্রথম সম্মেলনটি হয়েছিল ২০২১ সালের ৯ ও ১০ ডিসেম্বর। তখন অবশ্য বাংলাদেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়  র‍্যাবের সা

Time to discard EVMs instead of repairing

  The recent image of a Jubo League leader carrying a ballot unit panel of an electronic voting machine (EVM) after snatching it during a by-poll in Chattogram’s Boalkhali upazila is the latest addition to a growing list of examples as to why EVMs may not be suitable for conducting a free and fair election in Bangladesh. Neither the assistant presiding officer nor the on-duty members of the law enforcement agencies were able to prevent the mighty Jubo League’s union level leader Nirmalendu Dey Sumon from taking the EVM ballot unit panel away.  They were unable to recover it either; Awami League’s union President Ratan Chowdhury recovered the panel and returned it to the polling centre.  This incident occurred only a few days after Chief Election Commissioner (CEC) Kazi Habibul Awal said no one has yet made a sound and objective complaint about the use of EVMs and the commission has taken a stand in favour of EVMs after conducting several tests. Would the CEC now, at the least, agree th

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট মিয়ানমারের ধাপ্পা নয় তো?

  বাংলাদেশ, ভারত, চীন এবং আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকদের রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি দেখাতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সর্বশেষ পদক্ষেপটি বেশ চমকপ্রদ। এ সব দেশের কূটনীতিকদের ৯ মার্চ রাখাইন রাজ্যের মংডু এবং সিতওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বলা হয়, মিয়ানমার সরকার দ্রুতই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। অবশ্য তারা কোনো তারিখ দেয়নি, কিন্তু হঠাৎ করেই একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে হাজারখানেকের কিছু বেশি রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য। পরে জানা গেল এ উদ্যোগের পিছনে চীন সরকারেরও কিছু ভূমিকা আছে এবং ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ প্রক্রিয়ায় তাঁর সরকারের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। স্মরণ করা দরকার, ২০১৭ সালের নভেম্বরে, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে, অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বেসামরিক সরকার তাদের ভাষায় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছিল। তখনো চীন সেই চুক্তির জন্য মিয়ানমারকে উৎসাহিত করেছিল। এরপর জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যতবারই রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং মিয়ানমার থেকে তাদের বিতা

৯৭ সালে জন মেজর মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে তখনকার বিরোধীদল বিএনপির সংসদ বয়কট ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে মধ্যস্থতার কথা বলেছিলেন তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর। ১৯৯৭ সালে ঢাকা সফরের সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময়ে জন মেজর তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কমনওয়েলথ থেকে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি–না। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অবমুক্ত করা নথিতে এই তথ্য পাওয়া যায়।  জানুয়ারি ১৯৯৫ থেকে মে ১৯৯৭ পর্যন্ত সময়ের ডাউনিং স্ট্রিটের এসব নথি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল আর্কাইভ  বেশ আগেই অবমুক্ত করলেও এ তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়নি। নিয়মিত বিরতিতে সরকারের বিভিন্ন পুরোনো গোপনীয় নথি অবমুক্ত করার রীতির অংশ হিসাবে সর্বসাম্প্রতিক নথি অবমুক্ত করা হয় গত ৩০ ডিসেম্বর। তবে তখন যেসব নথি অবমুক্ত করা হয়, এটি তার অংশ নয়। এগুলো ঠিক তার তার আগের দফায় অবমুক্ত হওয়া নথির অংশ। সর্বসাম্প্রতিক নথিগুলো পর্যালোচনার সময়ে অধিকতর অনুসন্ধানে এই নথিটির দেখা মেলে।  এতে মূলত জন মেজরের ঢাকা সফরের বিস্তারিত বিবরণ এবং সফরের আগে ও পরের কি

১৪ দলে ইসলামপন্থীদের আগ্রহ ও বামপন্থীদের হতাশা

    ১৪ দলে ইসলামপন্থীদের নেওয়া না–নেওয়ার প্রশ্নে টানাপোড়েন চলছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। জোটটির বামপন্থী শরিকেরা আপত্তি তুলেছেন বলেও এসব খবরে লেখা হযেছে। মূলত: বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যাতে ইসলামপন্থীদের পাল্লা ভারী না হয়, সেটাই হচ্ছে ১৪ দলের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। রাজনীতিতে এ ধরনের হিসাব–নিকাশ নতুন কিছু নয়। ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সখ্যতা কিম্বা সমঝোতা গড়ে তোলার প্রতিযোগিতায় আওয়ামী লীগও নতুন নয়। তবে এখন নতুন করে প্রসঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, কেননা নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।  অতীতও একই সাক্ষ্য দেয়। নির্বাচনের সময় হলেই ইসলামপন্থী দল ও গোষ্ঠীগুলোর কদর বাড়ে। অন্য সময়ে বামপন্থীদের সঙ্গো বন্ধনটা টিকিয়ে রাখতে যতটুকু প্রয়োজন মনে হয়, ততটুকু ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখাই মোটামুটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রয়াত শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ২০০৬ সালে নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ পাঁচ দফার একটি চুক্তি করেছিল। পরে অবশ্য জোটের মধ্যে প্রচন্ড বিরোধিতা ও  বিতর্কের মুখে আওয়ামী লীগ সেই চুক্তি বাতিল করে। তবে দুবছর পরে যখন সেই নির্বাচন হয়, তখন নজিবুল বাশার মাইজভান্

Genuine elections vs participatory sham

The message from Charles Whiteley, the European Union ambassador to Bangladesh, that the EU will not send election observers to the next parliamentary election if it is not participatory appears to be intended to encourage all political parties to make the next election inclusive. The EU ambassador communicated this message to the BNP, the main opposition, on Sunday when they met in Dhaka. Media reports suggest a similar message has been passed on to the government as well. Though participation or inclusiveness of an election is an important prerequisite, can it alone make elections credible or fair? Unfortunately, the 2018 experience proved otherwise.  If a participatory election means that the maximum number of political parties and independent candidates will take part in the race, then the 2018 national election was truly participatory. Even most other by-elections held afterwards, including the latest six by-polls to the parliamentary seats vacated by BNP MPs, were somehow partici

The ongoing economic peril and our plundered future

On March 2, 2023, this daily reported that Moody’s, a major global rating agency, had downgraded its outlook of Bangladesh’s banking system from stable to negative. The report called this ‘a crushing development’ making ‘foreign transactions trickier and costlier for businesses and banks.’ It also noted that the latest downward revision came after the lowering of ratings of the Social Islami Bank and putting up the ratings of seven Bangladeshi banks’ under review for downgrades in December.  Reading the story took me back to a recently published book titled ‘ Lunthito Bhabishyat: Bangladesher Orthonaiitik Shonkoter Chaalchitra’ (A Plundered Future: The Realities of the Bangladesh’s Economic Crisis), in which Zia Hasan, a well-known researcher on development and economics, examined what prompted international financial institutions and rating agencies change their assessments of Bangladesh economy within a few months. Hasan, in his essay, argues that though Moody’s announcement of placi

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অজুহাত আর নয়

  দিন দুয়েক  আগে বরিশালের একটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালের সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী ই–মেইলে আমাকে কিছু নথির কপি পাঠিয়েছেন। নথিটি তাঁর একটি মামলার অভিযোগপত্র। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলার আসামী। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের ছবি ধারণ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলাটি হয়। ছবিটি প্রকাশ্য জায়গার এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর প্রকাশ্য কর্মকান্ড জনস্বার্থসর্ম্পকিত হওয়ায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্ন ওঠারও কোনো অবকাশ নেই। তবু মামলা হয় এবং তিনিসহ আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই সপ্তাহ জেল খাটার পর তিনি জামিন পান। পুলিশ জব্দ করা ভিডিও ফুটেজ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠালে ছবিতে কারো চেহারা চেনা না যাওয়ায় অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দে্‌য়া হয়েছে।  এর মধ্যে মামুনুরকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়েছে। তাঁর আশঙ্কা অভিযোগপত্র দেওয়ার কারণে এখন তাঁকে আর জামিন দেওয়া হবে না এবং বিচার চলাকালে তাঁকে জেল খাটতে হবে। তা ছাড়া রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তির অভিযোগের কারণে মামলায় সুবিচার মিলবে না বলেই তাঁর ভয়। ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ না মেলা

ব্লেয়ার কি বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শকের ভূমিকা নিচ্ছেন?

সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার প্রায় অঘোষিত এক সফরে গত সপ্তাহান্তে ঢাকা ঘুরে গেছেন। আগে থেকে এই সফরের কথা বাংলাদেশ সরকার কিম্বা তাঁর ইনিস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ থেকেও ঘোষণা করা হয় নি। সফরের সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও বাংলাদেশ সরকার কিম্বা তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকেও কিছু জানানো হয়নি। তবে ইনিস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের ওয়েব সাইটে তাঁদের কাজের যে বর্ণনা  দেওয়া আছে তাতে বলা আছে, ’’তাঁরা বিশ্ব জুড়ে রাজনৈতিক নেতাদের নীতি, কৌশল এবং তা বাস্তবায়নের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং তাঁরা এ কাজে প্রযুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন”।  তাঁর এই বেসরকারি সফর সম্পর্কে বাংলাদেশের সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, টনি ব্লেয়ার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক ও ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরও পরিদর্শন করেছেন। তবে এসব আনুষ্ঠানিকতার বাইরে তাঁর সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে  কোনো তরফেই কিছু বলা হয়নি। বাংলাদেশে মি ব্লেয়ারের এনজিও