সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: বাতিল ছাড়া অপব্যবহার বন্ধ হবে কীভাবে

  গত প্রায় সাড়ে চার বছরের মামলার যেসব হিসাব বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গবেষকরা করেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ হয়েছে মূলত সরকার কিম্বা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা এবং মুক্তচিন্তা দমনে। এসব মামলার অধিকাংশই হয়েছে নেতা কিম্বা রাষ্ট্রের মর্যাদাহানির অভিযোগ তুলে। তারপর আছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ। মামলায় সংক্ষুব্ধ পক্ষ সব সময় রাষ্ট্র বা সরকার না হলেও সরকারের মদদপুষ্ট কিম্বা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যাক্তিরা। আইনটি ভিন্নমত, সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে যে কারণে তা হলো, আইনটির অনেকগুলো ধারাই অজামিনযোগ্য। ফলে কাউকে শিক্ষা দিতে হলে জেলের ভাত খাওয়ানোর এক মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে এটি, যেমনটি এককালে ছিল বিশেষ ক্ষমতা আইন।  ঈদের ছুটির আগে ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিনে পাশাপাশি দুটো সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা’ অভিন্ন শিরোনামের নিচে পাশাপাশি ছাপা হওয়া সংবাদ দুটির নিজস্ব শিরোনাম ছিল যথাক্রমে – ’মেয়েটার কিডনিতে সমস্যা’ এবং ’ঋণ করে ছেলের মামলার খরচ যোগাচ্ছি’। মামলায় অভিযুক্ত দুজন সদ্য কৈশোর পেরুনো তরুণ–তরুণীর মায়েদের ব

সত্য যাচাই কঠিন হওয়ার কালে বিদ্যানন্দ-বিতর্ক

সবকিছু চোখে দেখার পরই বিশ্বাস করতে হয় বলে আমাদের যা শেখানো হয়েছিল, তা এখন অচল হয়ে গেছে। ‘আমরা কোনো কিছুই কি আর দেখে বিশ্বাস করতে পারব না?’ (ক্যান উই নো লঙ্গার বিলিভ এনিথিং উই সি?) শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমস ৮ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন ছেপেছে। প্রতিবেদনে অনেক ছবি আছে। একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নাচছেন। ছবিটি বিশ্বাসযোগ্য। কিন্তু ছবিটি কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) তৈরি। তারও কয়েক দিন আগের কথা। নিউইয়র্কের আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আগের কথা। তাঁর বর্তমান আবাস ফ্লোরিডায় মার-এ লাগোতে এফবিআই বিভিন্ন গোপন নথির সন্ধানে যখন তল্লাশি চালায়। সেদিনেই ছবি ছড়িয়ে পড়ল যে এফবিআইয়ের সদস্যরা তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নিউইয়র্কের আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগেই ছবিটা টুইটারে আট লাখ মানুষ দেখেছে। বিবিসির ডিজইনফরমেশন ওয়াচ ছবিটি ভুয়া এবং এআই দিয়ে তৈরি বলে চিহ্নিত করে। এ তো গেল ছবির কথা। কিন্তু ১১ এপ্রিল আরও এক ধাপ এগোনোর খবর দিয়েছে বিবিসি। তা–ও সেটি পাশ্চাত্যের কোনো দেশ নয়, আরব দেশ, কুয়েতের। ক

দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ

  সরকার ১০ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কমিশনারের শূণ্য পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বাছাই ও সুপারিশ করার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে প্রধান করে গঠিত বাছাই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান, মহা–হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন ও সর্বশেষ অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।  আপাতদৃশ্যে আইন আক্ষরিকভাবে অনুসরণ করে গঠিত এ কমিটি গঠন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। কারণ দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ৭(১) বলছে : কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে নিম্নবর্ণিত পাঁচ জন সদস্য সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠিত হইবে, যথা:- (ক) প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারক; (খ) প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক; (গ) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক; (ঘ) সরকারী কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান; এবং (ঙ) অবস

Is the US really happy with our election plan?

It was probably the most challenging diplomatic assignment any diplomat could have wished for. Foreign Minister AK Abdul Momen’s meeting with Secretary of State Anthony J Blinken on April 10 was understandably a delicate one, not least for the unusually harsh   public criticism of the US by Prime Minister Sheikh Hasina that preceded it, but for convincing his host that Bangladesh can deliver a free and fair election.    The apparent silence on the part of Washington about the allegations that the US is “trying to eliminate democracy” in Bangladesh and “can overthrow the government of any country,” suggests that it didn’t have the same impact as those made by Pakistan’s Imran Khan. On March 31, 2022, the US rejected claims made by Imran Khan , Pakistan's then prime minister, that the Biden administration was trying to oust him when he was about to lose his majority in parliament. No wonder, in response to a question from the media, our foreign ministry spokesperson Seheli Sabrin was

Myanmar, Bangladesh, and the global game over Rohingya repatriation

In early March, Myanmar’s military junta took diplomats from Bangladesh, India, China and the Association of Southeast Asian Nations (ASEAN) countries to Maungdaw and Sittwe in Rakhine state, on the country’s western coast, to show apparent preparations to begin repatriation of the Rohingya. The diplomats were told that the Myanmar authorities want to start piloting the repatriation process soon, but without any clear date given. One may recall that in November 2017, months after a military crackdown on the Rohingya drove vast numbers of them out of Rakhine, Myanmar’s civilian government of the time, led by Aung San Suu Kyi, signed a bilateral agreement with Bangladesh for repatriating what it called “Forcibly Displaced Myanmar Nationals”. Bangladesh was then grappling with hundreds of thousands of Rohingya refugees who had poured in across the border from Rakhine; their number in Bangladesh now is more than one million. China mediated that bilateral deal to help Myanmar, an ally, temp

OHCHR echoes our concerns about the DSA

After four years of consultations with UN experts, Law Minister Anisul Haque has now outrightly rejected the most crucial part of their recommendations, saying the government won’t repeal sections 21 and 28 of the Digital Security Act (DSA) . He promised more consultations on amending other parts of the law and stopping its abuse. We learnt of this after the recommendations made by the Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR) were published in the Bangla daily Prothom Alo .  Before delving into the OHCHR’s recommendations , it must be noted here that well before the DSA was enacted, there were widespread concerns about its likely impact on freedom of expression as the proposed provisions appeared harsher than the preceding law, the Information and Communication Technology (ICT) Act 2006. Media representatives including the Editors’ Council were at the forefront of demanding amendments in the draft legislation. They identified sections 21, 25, 28, 31, 32 and 43 of the p

স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ‘শিক্ষা দেওয়া’ হচ্ছে প্রথম আলোকে?

  প্রথম আলো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করতে সাত বছরের এক বাচ্চার মুখে যা আসার কথা নয়, তার মুখ দিয়ে সেটাই প্রচার করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। তারা এমন কথাও বলল যে পত্রিকাটি এমনকি বাচ্চাটির নামও বদলে দিয়েছে। একটি সাধারণ খবরকে বিকৃত করে কী অসাধারণ বিতর্ক তৈরি করা সম্ভব, তার এক অনন্য নজির আমরা দেখতে পেলাম। প্রতিবেদনটি পড়লে যে কারওরই বুঝতে পারার কথা যে শিরোনাম ও উদ্ধৃতিতে প্রকাশিত মতামত ‘আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব’ কথাগুলো শিশুটির নয়, দিনমজুর জাকির হোসেনের। প্রতিবেদনের সঙ্গে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি সবুজ নামের শিশুটির ঠিকই, তবে ছবির পাশে উদ্ধৃতিটির সঙ্গে জাকির হোসেনের নামই ছিল। ছবি ও উদ্ধৃতির এ মিশ্রণ অনেকের কাছে অসংগতিপূর্ণ মনে হতে পারে, কিন্তু তা কীভাবে ফৌজদারি অপরাধ হয়? নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় এবং মানুষের প্রকৃত আয় কমতে থাকায় জীবনযাপন দুঃসহ হয়ে পড়ার কষ্টের কথা কি স্বাধীনতা দিবসে কেউ বলতে পারবে না? ষড়যন্ত্রের অভিযোগকারীরা কতজন মূল প্রতিবেদনটি কিংবা তার পরের সম্পাদিত প্রতিবেদন ও তার ব্যাখ্যা পড়েছেন? চিলে