সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্রিটেনের ট্রাম্প ও ব্রেক্সিট মন্ত্রীসভা

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর কথায় ব্রিটেনের ট্রাম্প নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। অতি-উচ্চাকাঙ্খী হিসাবে পরিচিত আলেকজান্ডার বরিস ডি ফেফেল জনসনের তরুণবয়সের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ব্রিটিশ ভোটারদের ০.৩ শতাংশেরও কমসংখ্যক ভোটে তিনি   ব্রিটিশ আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল সংকট সমাধানের অঙ্গীকার করে সরকার গঠন করেছেন। প্রতিদ্বন্দীর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হলেও ক্ষমতাসীন দল, কনজারভেটিভ পার্টির দুই-তৃতীয়াংশেরও কম সদস্যের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ঈর্ষণীয় উদ্যম ও আকর্ষণক্ষমতার কারণে তিনি সমর্থকদের কাছে যেমন সমাদৃত, ঠিক তেমনই সমালোচকদের কাছে ভাঁড়ামো এবং বাকপটুতায় অসত্যকে সত্য হিসাবে প্রচারে অভ্যস্ত হিসাবে নিন্দিত। সত্যকে হেলায় অবহেলা এবং অসত্যতে বিকল্প সত্য ( অল্টারনেটিভ ট্রুথ) প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ব্রিটেনের ট্রাম্পের অভূতর্পূব মিল আছে। মাথার ফোলানো চুল ছাড়াও তাঁদের উভয়ের মধ্যে আরও যেসব বিষয়ে মিল পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে আছে উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার, বর্ণবাদী আদর্শের প্রতি প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন, ধনীদের প্রতি পক্ষপাতম

সুবিধাবাদিতার গুরু ও রাজনীতি

গত ১৪ জুলাইর পর থেকে বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে ‘ মৃত ব্যাক্তির সমালোচনা করতে নেই ‘ । তবে, তাঁরা কখনো মীর জাফর কিম্বা হিটলারের সমালোচনা থেকে বিরত থেকেছেন, এমন নয়। বিশ্বাসঘাতকের প্রতিশব্দ হিসাবে তাঁরা মীর জাফর আলী খানের নামকেই ব্যবহার করে এসেছেন। আর ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিটলারও যে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত ছিলেন সেই তথ্যও ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে কোনো দ্বিধা বা সংশয়ের জন্ম দেয় নি। সাবেক সেনাশাসক ও বর্তমান সংসদের প্রয়াত বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সৌভাগ্য যে রাজনৈতিক বিশ্বাস ভঙ্গ কিম্বা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দীর্ঘ ইতিহাস তিনি অনেককেই ভুলিয়ে দিতে পেরেছেন। বাংলাদেশের সর্বসাম্প্রতিক ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশের মোট ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে ২২ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক হিসাবে যাঁর পতন ঘটেছিল, তখনও ওই সোয়া দুই কোটি ভোটারের জন্ম হয়নি। দেশের প্রথম সফল গণতান্ত্রিক গণজাগরণের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাঁরা দিয়েছিলেন, সেই তিন জোট   – ১৫ দল, ৭ দল এবং ৫ দল যে একটি অভিন্ন রুপরেখায় স্বাক্ষর করেছিল তার অঙ্গীকারগুলোর কথা এই বিপুলসং

গণমাধ্যম: নতুন বৈশ্বিক অঙ্গীকার কতটা আন্তরিক ?

স্বাধীন সাংবাদিকতা কী ধরণের আক্রমণের মুখে তার কতগুলো প্রতীকি ছবি আছে। ২০১৪-১৫ সালে কায়রোর আদালতে লোহার খাঁচায় সাদা-কালো খোপের ছাপওয়ালা কয়েদির পোশাকে হাজির ৩জন সাংবাদিকের ছবি সেগুলোর অন্যতম। কাতারি মালিকানাধীন বৈশ্বিক টিভি আল-জাজিরার ওই তিনজন সাংবাদিকের মধ্যে আগে থেকেই সুপরিচিত ছিলেন অষ্ট্রেলীয় পিটার গ্রেস্ট। মিশরের নতুন স্বৈরশাসক আল-সিসির সরকার পিটার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন এবং আদালত তাঁদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়। বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদ এবং পাশ্চাত্যের নেতাদের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য চাপের কারণে ৪০০ দিন কারাভোগের পর পিটার ছাড়া পান। সেই পিটার গ্রেস্ট গত ১১ জুলাই লন্ডনে ‘ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ‘ র বৈশ্বিক সম্মেলনে প্রশ্ন করেন যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার কথা যেসব গণতান্ত্রিক দেশে উচ্চারিত হয়, সেসব দেশ আদতে এই স্বাধীনতার সুরক্ষায় আন্তরিক কিনা? ‘ ডিফেন্ড মিডিয়া ফ্রিডম ‘ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সম্মেলনের যৌথ উদ্যোক্তা ও আয়োজক – যুক্তরাজ্য এবং কানাডা। শতাধিক দেশের প্রায় ৬০ জন মন্ত্রীসহ দেড় হাজারেরও বেশি সাংবাদিক এই সম্মেলনে

ফেসবুকে নিয়ন্ত্রণ ও সংসদে বিএনপি

‘ তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ ‘ শিরোনামের এক আলোচনা সভায় দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বর্পূণ তথ্য দিয়েছেন বয়োজৈষ্ঠ্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বিষয়টিকে সুখবর অভিহিত করে বলেছেন যে কোনো তথ্য নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা সরকার আগামী সেপ্টেম্বরেই অর্জন করতে যাচ্ছে । সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এবারের নির্বাচনে কেউ গুজব ছড়াতে সক্ষম হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন এতোদিন তাঁরা ফেসবুক, ইউটিউবের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না। কিন্তু, আগামী   সেপ্টেম্বরের পরে তাঁরা এই ক্ষেত্রে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা অর্জন করবেন। নিয়ন্ত্রণ কথাটি খোলামেলাভাবে জানিয়ে দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। রাষ্ট্রের কতোকিছুতে নিয়তই কতধরণের নিয়ন্ত্রণই তো ঘটে, কিন্তু কেউ তা স্বীকার করে না। এই যেমন ধরুন, সরকারের নিয়ন্ত্রণের কারণেই বিরোধীদল সভা-সমাবেশের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েও তা পায় না। পুলিশ-প্রশাসন-আদালত সবজায়গাতেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের কথা শোনা যায়। স্বাধীন বলে কথিত কয়েকটি কমিশনের কথাও এখানে উল্লেখ করা যায়। যেমন : এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন –