সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করোনা মোকাবিলা: রোগী হওয়ার অপরাধ ও বুলেটিন

মহামারির কালে খবরের জন্য মানুষের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ থাকায় ক্রান্তিকালীন শোনা, দেখা ও পড়া (ক্রাইসিস লিসেনিং, ভিউয়িং এবং রিডিং) বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। সুতরাং, সরাসরি সম্প্রচারের যুগে সম্ভবত সংবাদ সম্মেলনগুলোর দর্শকসংখ্যাও বেশি। জনপ্রিয় ধারাবাহিক কিম্বা টি টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখার জন্য টিভির সামনে যেরকম ভিড় থাকে, এখন টিভি বা মোবাইল স্ক্রিনের সামনেও প্রায় ততটাই চোখ নিবদ্ধ থাকে। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনারোগী ধরা পড়ার কাছাকাছি সময় থেকেই সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আইইডিসিআর দৈনিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য এবং নির্দেশনা দেওয়া শুরু করে। আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা রীতিমত দেশের সর্বাধিক উচ্চারিত নামে রুপান্তরিত হন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে মাঝেমধ্যে যুক্ত হতে শুরু করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা জারির পর ডিজিটাল বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনও ডিজিটাল মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়। তবে, ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনের বদলে তা রুপ নিয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠের

Why COVID-19 is not a leveller

When COVID-19 reached some of the most protected and powerful people of the world like the resident of Number 10, Downing Street and the best known royal Prince Charles or forced Prime Minister Trudeau to self-isolate, many people described this virus as a great leveller. Top grade protection details deployed by security agencies failed to detect its mysterious invasion. The global contagion has affected most of the seven billion people of the planet in various ways. Yet, can it truly be called a leveller? Can it be termed as a non-discriminatory enemy which is what it initially appeared to be? Some facts are so unbelievably contrasting that one has to wonder whether such variations are at all possible. One such fact is while COVID-19 makes millions of people across the world jobless, and trillions of dollars have been wiped off the value of stock markets, yet it also made the richest billionaires even richer.  The Guardian  on April 15 reported that the world's wealthiest pers

করোনা মোকাবিলা: আইন ও নির্দেশনার হযবরল

করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় সমন্বয়হীনতার অভিযোগ গত কয়েকসপ্তাহ ধরেই আলোচিত হচ্ছে। অভিযোগগুলো যে একেবারে ভিত্তিহীন নয়, তার সর্বসাম্প্রতিক প্রমাণ হচ্ছে ৬৪ জেলার ‘ ত্রাণ কাজের সুসমন্বয়ের ‘ দায়িত্ব সচিবদের ওপর অর্পণ। প্রশ্ন উঠেছে স্মরণকালের নজিরবিহীন একটি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বয়হীনতা মানুষের ভোগান্তিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ – এই দুই আইনের কোনোটিই যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। ২০ এপ্রিল জারি করা সরকারি আদেশে জেলা পর্যায়ে সচিবদের শুধু এই একটি কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তা হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রম। করোনাভাইরাসের কারণে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পর কর্মহীন হয়ে পড়া অভুক্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজটি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় স্থান পেল। তবে, এই পদক্ষেপে অবস্থা কতটা বদলাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কেননা, ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে সচিবদের জন্য খুব একটা সহজ হওয়ার কথা নয়। আর, এই কাজটির জন্য যদি তাঁদের জেলা প্

করোনাকালে সাংবাদিকতার বিপদ ও রুপান্তর

করোনাভাইরাস মহামারির ছোবল বিশ্বের কোনো দেশ এবং কোনো জনগোষ্ঠীকেই যেহেতু ছাড় দেয় নি, সেহেতু গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতাও এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অন্য সবকিছুর মতই গণমাধ্যমও আর তার ছকবাঁধা নিয়মে চলছে না। লকডাউন, কারফিউ কিম্বা চলাচলে নিয়ন্ত্রণের কারণে ছাপা কাগজ বিতরণ ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় বিঘ্ন সৃষ্টির কারণে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমেছে। কিন্তু, অনলাইনে পাঠকসংখ্যা বেড়েছে নাটকীয় হারে। টিভির দর্শকসংখ্যাও বেড়েছে। শ্রোতারা আবার রেডিওমুখী হয়েছেন। পাঠক-দর্শক-শ্রোতার চাহিদা পূরণে সাংবাদিকতা এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বর্পূণ ও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক সংকট এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময়ে এরকম পাঠক-শ্রোতাদের আগ্রহকে ক্রাইসিস রিডিং /লিসেনিং বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।   মানুষ যখন তার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে আস্থা রাখার মত তথ্য ও বিচার-বিশ্লেষণ আশা করে তখন সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে সেই প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা যে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে – এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু, এই প্রত্যাশা পূরণে গণমাধ্যম যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে তাও নজিরবিহীন। মোটাদাগে এই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে : নানাধরণে

করোনা মোকাবিলায় বন্দী মুক্তির তালিকা বাড়ান

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে দেশের কারাগারগুলো থেকে লঘু অপরাধে দন্ডিত আসামীদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এই নির্দেশের আলোকে লঘু অপরাধে দন্ডিত ৩৭০০ জনের একটি তালিকাও তৈরি হয়েছে (৩৭০০ আসামির মুক্তির প্রস্তাব, প্রথম আলো, ৮ এপ্রিল, ২০২০)। তবে, এখনও কেউ মুক্তি পাননি। আমাদের কারাগারগুলোতে বন্দী রয়েছেন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। করোনার কালে আদালতগুলোর কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কেউ জামিন পাননি। কিন্তু, অপরাধ তো থেমে থাকেনি এবং বন্দীসংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং গ্রেপ্তার দুটোই চলছে। করোনার কোনো ওষুধ নেই এবং এই অদৃশ্য কিন্তু অতিছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে শারীরিক অন্তত দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখা। সাধারণত ফাঁসির আসামীরা নি:সঙ্গ বা সলিটারি অবস্থায় বন্দী থাকেন। আর, ভিআইপি মর্যাদার অধিকারীরাও কিছটা নিসঙ্গতার সুযোগ নিতে পারেন।   কিন্তু, প্রায় ৮৯ হাজার বন্দীর প্রায় কারোরই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সুযোগ নেই

চিকিৎসাসেবী কি সংক্রমণের উৎস হবেন?

দেশের সবচেয়ে বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের সময়ে আমাদের ডাক্তাররা হঠাৎ করেই খলনায়ক (ভিলেন) হয়ে গেছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে অবশ্য কোভিড নাইন্টিন প্রতিরোধের লড়াইয়ের প্রথমসারিতে থাকা   ডাক্তার, নার্স, প্রাথমিক সেবাদানকারী এবং অন্যান্য চিকিৎসাসেবাদানকারীদের যেখানে নায়কের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম করে ঘরে ঘরে অবরুদ্ধ নাগরিকরা রাতেরবেলায় হাততালি দিয়ে এবং বাদ্য বাজিয়ে এসব চিকিৎসাসেবীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু, আমাদের দেশের ছবিটা আলাদা। সাধারণ শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি ও জ্বর (শ্বা স কা জ) উপসর্গের কথা শুনলেই ক্লিনিকের নগরী ঢাকার সব ক্লিনিক-হাসপাতাল-চেম্বারের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসা না পেয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণ সময়ে ডাক্তারদের দেখা পেতে যত লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়, কিম্বা তদবিরের প্রয়োজন হয় , করোনাকালে তার চেয়েও দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে চিকিৎসাসেবা। প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিস্থিতি কীভাবে তৈরি হলো? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমন চাকমার মৃত্যুর জন্য তিনি যেসব হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাননি হয়তো সেসব জায়গার ডাক্তারদের চাকরিচ্যূত করা যাবে। কিন্তু, আরও যে শত শত মানুষ

Concern for Kajol during the pandemic

Does anyone know what had happened to Utpal Das? If you cannot remember who Utpal is, no one would blame you. Because, he is not a celebrity like all those familiar faces on our TV screens. Utpal, however, was in the news for quite some time in 2017, following his abduction and eventual return after two and a half months from confinement by his abductors. Before his abduction, Utpal was working as a journalist at a little-known online news portal called Purbapashchimbd.news. Till today, neither Utpal nor the law enforcing agencies have told us where he was for such a long period and who were behind his mysterious disappearance. There's a popular perception in society that those involved with the media are well looked after by the media. So, it was expected that the media fraternity would investigate this case and reveal the truth. Unfortunately, it didn't happen. Utpal's silence is akin to that of all other survivors of alleged enforce disappearances in the last decade