ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অতিসম্প্রতি খুবই গুরুতর কিছু কথা বলেছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় গত শনিবার মিরপুর-১ নম্বরের দারুস সালাম বালুর মাঠে তাঁর দলীয় এক আলোচনা সভার বক্তব্য। ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের ওপর কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে না – বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন, ’তারা বলে, ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের লোকজনের কোনো ক্ষতি হবে না। কী সুন্দর কথা ! আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় আসলে এক রাতের মধ্যে বাকিটা শেষ করে দেবে। এটা তাদের ভেতরের কথা।’  তাঁর এই বক্তব্যের ভিত্তি ও উদ্দেশ্য কী, তা মোটেও পরিষ্কার নয়। তাঁর কথায় যে ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসা ও সহিংসতার আশঙ্কার কথা আছে, তা কি কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যভিত্তিক কথা? নাকি অনুমান? চলতি দফা আন্দোলনে বিএনপি  এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার নীতি অনুসরণ করেছে বলে দেখা যায়না; বরং উল্টোটাই ঘটছে। আগে সভা–সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ মারধর করে তাদের হটিয়ে দিত, আর এখন বিএনপিকে মাঠে থাকতে না দেওয়ার কাজটা দলীয় লোকজনই করছে। তাতে অস্ত্রের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।   ওবায়দুল কাদেরের কথা যদি অনুমাননির্ভর হ

It was in December 2010 that the United Nations General Assembly (UNGA) designated August 30 as the International Day of the Victtims of Enforced Disappearances, in order to express its deep concern about the increase in enforced disappearances across the world, as well as harassment, ill-treatment and intimidation of witnesses of disappearances or relatives of persons who have disappeared. Though there has been  widespread allegations of enforced disappearances in Bangladesh, particularly  from the second term of the current Awami League government, no credible and independent investigation has been carried out into any of the alleged incidents.  First came wholesale denial of the allegations; then began the ridiculing of accusers. And presently, authorities - in their desperate attempt  to suppress the facts - have resorted to intimidating anyone who dares to speak up The result, however, is a hugely varied number of disappeared persons being referred to by human rights groups, local

জাতিসংঘের ভাষায় ‘টেক্সট বুক এথনিক ক্লিনজিং’ মিয়ানমারের যে গণহত্যা, সেই নিষ্ঠুরতার শিকার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে চলতি সপ্তাহে। এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর আশ্রয় ও মানবিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে যেসব বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের সাহায্যের পরিমাণ ও সহানুভূতি ক্রমেই শেষ হয়ে আসছে।  ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত মোট সাতবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর ওসিএইচএ (ওচা) রোহিঙ্গাদের জন্য মোট ৬০০ কোটি ডলারের মতো জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তাদের সাহায্য পাওয়ার গড় হার ৬৩.৬ শতাংশ। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশেরও কম অর্থের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।  এ পর্যন্ত আদায় হওয়া সাহায্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে দিয়েছে ১৬২ কোটি ডলার, যা প্রায় ২৭ শতাংশের মতো। তবে গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ ২১০ কোটি ডলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিপরীতে চীন মাত্র একবার চার লাখ ডলার দিয়েছে এবং রাশিয়া দিয়েছে মোট ২০ লাখ ডলার। ওচার ফিন্যান্সিয়াল

  গত মঙ্গলবার ঢাকার এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অকপটে স্বীকার করেছেন, তাঁর বক্তৃতার সময়ে ’মশার দিকে নজর রাখতে গিয়ে তিনি একটি কথা বলতে ভুলে গেছেন।’ তিনি রাজস্ব কর্মকর্তাদের যে কথাটি বলতে ভুলে গিয়েছিলেন, তা হলো, একজন কর দেবেন, আরেকজন দেবেন না, তা যেন না হয়। বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, এনবিআর ভবনে যখন অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তখন একজনকে মশা মারার ব্যাট হাতে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। জানা যায়, অর্থমন্ত্রীর মশা–আতঙ্কের কারণ হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর ডেঙ্গু হয়েছিল। ডেঙ্গুর কষ্ট তিনি তখন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।  তারপর আরও চার বছরের বেশি কেটে গেছে; তাঁর সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, ডেঙ্গু বিস্তারের রেকর্ড করেছে। স্বাধীনতার পর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ব্যপকতায় পাঁচ শতাধিক প্রাণ হরণ করে এই রোগের জীবাণুবাহী মশককুল সারা দেশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে রেখেছে। মন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় ছিন্ন করে এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, অথচ বিষধর প্রাণী তাঁকে তটস্থ করে রেখেছে। অর্থমন্ত্রী এ করুণ পরিস্থিতির জন্য কাকে দায়ী করবেন? দেশের ক্ষমতায় তাঁরা একটানা ১৫ বছ

Last week, British director Daniel Gordon’s new documentary Billion Dollar Heist was released. The film highlights the seriousness of cybersecurity issues the world faces today. Unfortunately, the subject of Gordon’s documentary is our central bank, the Bangladesh Bank, which was almost robbed of around a billion dollars by hackers in one of the worst instances of cybercrime in the world. Reviews published in some of the leading international newspapers, including The Guardian and The Financial Times, remind us that the 2016 heist remains quite a mystery.  Nearly three years after the heist, our government enacted the Digital Security Act, 2018, promising it to be “an Act to make provisions for ensuring digital security and identification, prevention, suppression and trial of offences committed through digital device and for matters ancillary thereto.” But instead, from its beginning, it has been another tool for suppressing free speech and political dissent in the country. According t

বেশ কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা খুব জোর দিয়ে বলতে শুরু করেছেন বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায়। এ জন্য তথাকথিত আন্দোলনের নামে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে। গত ২৬ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে জানান, বিগত দিনে নির্বাচন ও এর প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। এ জন্য তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তাঁর ওই বিবৃতির সপ্তাহ দুয়েক পর ১০ আগস্ট বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে যুবলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির নিবন্ধন বাতিল ও দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়েও একই ধরনের স্মারকলিপি তারা দিয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাদের দাবির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। সহিংসতা করে বিদেশিদের বার্তা দিতে চায়, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র।  আপাত

  Most of us now know a term “gayebi mamla” which is used to describe fake or fictitious cases filed against opposition activists, including leading politicians. For nearly a decade, police have been using this tactic to deter activists taking part in anti-government politics, by lodging false cases for incidents of violence, use of explosives, and so on. Subsequent media investigation usually reveals that no such incident ever took place on the given date, time, and place. There are a number of reported cases in which the accused include people who died years ago, or were living in another country when the alleged incident happened.  Now our Election Commission seems to be following a same path. It has selected some organisations for the purpose of election observation which exist only on paper. A recent  investigation by Prothom Alo has revealed that a number of those organisations stopped functioning years ago. Its investigation into 32 out of the 68 organisations selected by the

উন্নত গণতন্ত্রে সরকার , সরকারপ্রধান, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল এবং বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যুতে প্রায়ই জনমত জরিপ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কখনো বিশ্ববিদ্যালয়, কখনো সংবাদমাধ্যম, আবার কখনো বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব জরিপ করায়। বেশ কিছু পেশাদার জরিপকারী প্রতিষ্ঠানও আছে, যারা শুধু জরিপের কাজ করে। এসব জরিপ আমাদের গণমাধ্যমগুলোর অনলাইন ভোটের মতো নয়, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধু সেই ওয়েবসাইটের নিয়মিত ব্যবহারকারীদের মতামত ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের প্রায় দুই দশক বার্ষিক জরিপে রাজনীতির গতিপ্রকৃতির চমৎকার প্রতিফলন দেখা যেত। কিন্তু গণতন্ত্রের ক্ষয়সাধনের সঙ্গে সঙ্গে সেই চর্চা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়িক প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে জরিপ করতে গেলে সরকারের সায় আছে কিনা সেটা দেখা হয়, নইলে পেশাদার বিশেষজ্ঞরা বা তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো ওই দায়িত্ব নিতে চান না। কথা বলার ভয়ের মতো মতামত জানতে চাওয়াতেও এক ধরনের ভয়ের আসর পড়েছে। গণতন্ত্র প্রসারে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, আইআরআই এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা এখনো মাঝে মধ্যে স্পর্শকাতর রাজন

  আমাদের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় হঠাৎ নীরবে এক বড় পরিবর্তন ঘটে গেছে। এমনকি বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলেও যার চল ছিল না, তা–ই এখন চালু হয়েছে। তবে, কীভাবে তা সম্ভব হলো, তা অস্পষ্ট ও রহস্যময়। ঢাকার কয়েকটি আদালতের যে ছবি ও বিবরণ পাওয়া গেছে, তাতে তা কায়রো বা মস্কোর আদালত কি না, সেই বিভ্রমেরও আশঙ্কা আছে। আদালতের কাঠগড়ার জায়গায় এসেছে লোহার খাঁচা। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। চিড়িয়াখানার পোষা প্রাণীদের যে ধরনের খাঁচায় রাখা হয়, সে রকম খাঁচা।  হয়তো কারও কারও মনে প্রশ্ন উঠছে, কাঠগড়ার বদলে খাঁচার ব্যবস্থায় সমস্যা কী? সমস্যা দুটি – প্রথমত, আইনের চোখে ন্যায্যতা ও সমতার নীতি অনুযায়ী আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার আগপর্যন্ত যেহেতু আসামীকে নির্দোষ গণ্য করতে হয়, সেহেতু তার প্রতি এমন কোনো আচরণ করা যায় না, যা নিবর্তনমূলক ও বিচারের আগেই তাঁর প্রতি দোষীর ন্যয় আচরণ বলে প্রতীয়মান হয়। দ্বিতীয়ত, খাঁচায় আটকে রাখা অমানবিক, মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণকারী ও নিষ্ঠুর আচরণ।  আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫–এর (৫)–এ বলা হচ্ছে, ”কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্চনাকর দন্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও

  The highly publicised appearance of a new poll monitoring group appears to have impressed many of us in Bangladesh with their high-level interactions with the Election Commission, ministers and a few other politicians. They were joined by quite a few foreigners, too, who have expressed their full confidence in the EC’s ability to organise fair elections. It was probably the current EC’s first formal meeting on the issue of election monitoring with some ‘’to be monitors.’’ Though chief Election Commissioner Kazi Habibul Awal and four other commissioners spent about an hour meeting those local and foreign so-called observers, there was no communique or statement issued on the EC’s behalf. Unfortunately, colleagues in the media who have covered the event didn't tell us anything beyond what the chief of the local monitoring organisation and his foreign companions told them. As far as we know, the EC is yet to announce the list of the poll monitoring organisations who recieved their a