সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিএনপির সাংসদদের শপথ প্রশ্নে অবাস্তব প্রত্যাশা

বিএনপির অর্ধডজন সাংসদের পাঁচজন শপথ নিয়ে একাদশ সংসদে যোগ দেওয়ায় যে অবিশ্বাস ও বিস্ময়সূচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এটা প্রত্যাশিত ছিল না। কেন তা প্রত্যাশিত ছিল না , সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। যাঁরা ধারণা করেছিলেন যে বিএনপি শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে, বিএনপির প্রতি তাঁদের এই বিশ্বাস বা আস্থা বিস্ময়কর। শপথ না নেওয়ার বিষয়টি বিএনপির অঙ্গীকার ছিল, নাকি হুমকি ছিল – প্রথমত সেটি বিচার করা দরকার।   বিষয়টিকে দলের নেতাদের অনেকেই একটি অঙ্গীকারের মত করে প্রচার করেছেন। কিন্তু, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়া ওই ছয়জনের অন্য কেউ শপথ নেবেন না এমন কোনো ঘোষণা দিয়েছেন বলে কোনো খবর চোখে পড়ে নি। বিপরীতে, একটা জোরালো ধারণা তৈরি হয়েছিল যে সরকারের সঙ্গে দরকষাকষির হাতিয়ার হিসাবে হুমকি দিতেই একথাটি বলা হচ্ছে। পাঁচজন সাংসদ এবং দলীয় মহাসচিবের ব্যাখ্যায় এখন প্রমাণ হচ্ছে দ্বিতীয় ধারণাটিই ঠিক ছিল। তবে, দরকষাকষিতে তাঁরা কিছু পেয়েছেন কিনা, দেশবাসীর কি লাভ হলো সেসব প্রশ্ন আলাদা। মির্জা ফখরুলের শপথ না নিয়ে আসন হারানোতে অবশ্য তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের তীব্রতারই ইঙ্গিত মেলে ।   যাঁরা বিএনপির ‘ হুমক

রাজপথে ইউরোপ, আফ্রিকা

১৫ বছরের এক কিশোরী ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরে আলোড়ন তুলেছে। স্কুলের ক্লাস বর্জন করে প্রথমে সে একাই রাস্তায় বসেছে প্রতিবাদ জানাতে। এরপর তার সহপাঠীরা এবং আস্তে আস্তে দেশ এবং দেশের বাইরেও ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে সে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। মন্ত্রী-সাংসদরা তাঁর কথা শুনছেন, সে জনসভায় বক্তৃতা করছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তার ব্ক্তৃতার সময়ে সেই পার্লামেন্ট সদস্যরা মুর্হুমুর্হু করতালি দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানিয়েছে। এই কিশোরীর নাম গ্রেটা থর্নবার্গ। ইতোমধ্যেই তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীর ধ্বংস হবে জেনেও রাজনীতিকরা কিছু করছেন না বলে তার অভিযোগ এবং সেকারণেই তার প্রতিবাদ। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বক্তৃতায় রাজনীতিকদের কাছে তার প্রশ্ন ছিল ব্রেক্সিটের মত বিষয়ে তোমরা যতটা সময় দিয়েছো, মাথা ঘামাচ্ছো, আমাদের ধরিত্রীকে অনিবার্য ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে তার কত ভাগ সময় ব্যয় করেছো? জ্বালানি তেল, কয়লা এবং ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই অস্থির হয়ে উঠেছেন। ডানপন্থী গণমাধ্যমগুলো, এমনকি, সে মানসি

প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই হবে কবে ?

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে এত দিনের আলোচনা-বিতর্ক সবই যখন অর্থহীন হয়ে উঠছিলো তখন দূর্নীতি দমন কমিশনকে ধন্যবাদ যে তাঁরা বিষয়টিতে নতুন করে মনোযোগী হয়েছেন। কমিশনের আরও বেশি করে ধন্যবাদ প্রাপ্য যে তাঁরা বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে প্রচলিত ধারণার বাইরেও রাষ্ট্রের দূর্বলতার অন্য একটি দিক প্রকাশ করে দিয়েছেন। বিদেশে টাকা পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণে তাঁরা যদি রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে বেরুতে সক্ষম হন তাহলে নিশ্চয় তাঁরা আরও বেশি বাহবা পাবেন! এত দিন আমরা জেনে এসেছি – বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে দুই উপায়ে - আমদানী-রপ্তানির হিসাবে জালিয়াতি অর্থাৎ, আন্ডার ইনভয়েসিং কিম্বা ওভার ইনভয়েসিংয়ে, নয়তো হুন্ডির মাধ্যমে। কমিশন সম্প্রতি বিএনপির স্বেচচ্ছানির্বাসিত নেতা তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ইংল্যান্ডের তিনটি ব্যাংক হিসাবের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ায় জানা গেল ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে ব্যাক্তিগত হিসাবেও বিদেশে টাকা পাচার ঘটছে। কমিশন মামলাটি না করলে হয়তো জানাই যেতো না যে ব্যাংকিংখাতের গলদ আওয়ামী লীগ শাসনের ১০ বছরেও দূর হয় নি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ব্যাংকিং মাধ্যমে

হাতিরঝিল ক্যান্সারের সহনীয় নিরাময় !

রাষ্ট্রের ওপর একটি স্বার্থভিত্তিক গোষ্ঠীর বেআইনী প্রভাব খাটানোর প্রতীকটি প্রায় ২১ বছর পর দখলমুক্ত হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবনটিকে এখন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সোজা কথায় আদালতের হস্তক্ষেপে সরকারী জায়গা সরকারের কাছে ফেরত এসেছে। তবে, জায়গাটির ওপর বেআইনীভাবে নির্মিত ১৬তলা স্থাপনাটি যাঁরা তৈরি করেছিলেন তাঁরা আদালতের নির্দেশমত ভবনটি সরিয়ে নিতে পারেন নি। এরকম একটি ভবন কারো পক্ষে সরিয়ে নেওয়া সম্ভবও নয়। এটি অপসারণের একমাত্র পথ হচ্ছে তা ধ্বংস করে তার আবর্জনা সরিয়ে ফেলা, যার খরচ বিজিএমইএকেই বহন করোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   পুরো ভবনটি কখন, কীভাবে ভাঙা হবে, তা এখন রাজউকের মাথাব্যাথা। ১৯৯৮ সালে যখন এই ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় তখন থেকে শুরু করে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এই ভবনটিকে অবৈধ ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত পালাক্রমে যতগুলো সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা কেউই এই বেআইনী দখলদারি উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নেয় নি। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল – আওয়ামী লীগ ও বিএনপি – উভয় দলেই পোশাক শিল্প মালিকদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকাই যে এর কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি,

সরকারের ১০০ দিন: জনমনে অস্বস্তি রয়েই গেছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয়বারের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে আজ । আওয়ামী লীগের ২০১৮ - এর নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রথম ১০০ দিন বা প্রথম বছরের লক্ষ্য হিসেবে আলাদা কিছু চিহ্নিত ছিল , বিষয়টা এমন নয় । এর আগের দুটি নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৪ ও ২০০৮ – এর ইশতেহারেও ১০০ দিনের কর্মসূচি ছিল না । তবে সকালের চেহারা দেখে যেমন বাকি দিনটা কেমন যাবে — এমন ধারণা করায় আমরা অভ্যস্ত , তেমনি শতদিনের কার্যক্রমের আলোচনা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক নয় । প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি এবং তার মূল্যায়নের ধারণাটি বিশ্বে অবশ্য নতুন কিছু নয় । অনেক দেশেই রাষ্ট্রনেতারা তাঁদের সরকারের দিশা এবং বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে এই শুরুর দিনগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন । তবে এর সূত্রপাত যুক্তরাষ্ট্রে । যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যেই সরকারের অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশ নীতিবিষয়ক প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন । এগুলোর