সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইভিএম নিয়ে কমিশনের অহেতুক একগুঁয়েমি

সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে দৃঢ় বা অবিচল থাকবে, সেটাই সবার প্রত্যাশা। কোনো ধরনের রাজনৈতিক চাপের মুখে নমনীয়তা দেখিয়ে বিতর্কিত হওয়ার ঝুঁকি না নেওয়াই তাদের জন্য প্রত্যাশিত। সুতরাং, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তারা হয়তো আশা করছে, জাতি তাদের ধন্যবাদ জানাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের প্রাপ্য দাঁড়াচ্ছে উল্টো। কেননা, নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষের মধ্যে একমাত্র ক্ষমতাসীন দল ছাড়া অন্য সবাই এই হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছে। অথচ, কমিশন অভ্যন্তরীণ ভিন্নমত এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের আপত্তি উপেক্ষা করে ছয়টি আসনের ৯০০-এর মতো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের প্রশ্নে কমিশন আপাতদৃষ্টে যে অনমনীয় অবস্থান নিয়েছে, তা তাদের প্রতি আস্থার বদলে সন্দেহ ও সংশয় বাড়াচ্ছে। এই সন্দেহ ও সংশয়ের কারণ কিন্তু কমিশন নিজেই। ২২ নভেম্বর পুলিশ কর্মকর্তাদের সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য থেকে আমরা জেনেছি যে জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ: অক্ষমতা ঢাকতেই কি মূর্তির প্রয়োজন?

পর্যবেক্ষণ করতে হবে মূর্তির মতো,  নির্বাচন কমিশন  সচিবের এ উক্তিতে অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছেন। কিন্তু আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এই কথাটা শেষ পর্যন্ত না পুরো নির্বাচনে আমাদের সবার ওপরেই প্রযোজ্য হয়ে যায়। ভোট হবে এমনই, যেখানে আমাদের সবাইকে মূর্তির মতোই অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে তা প্রত্যক্ষ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ খুব বেশি দিনের ঘটনা নয়। ১৯৯১-এর নির্বাচনেও পর্যবেক্ষণের কথা কেউ শোনেনি। আমাদের দেশে এর শুরু গত শতাব্দীর শেষ দশকে, ১৯৯৫-এর জানুয়ারিতে ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) গঠন এবং তার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণও খুব বেশি দিনের কথা নয়। আগে সাধারণত কূটনীতিকেরাই তাঁদের মূল্যায়ন নিজ দেশের সরকারগুলোকে জানিয়ে দিতেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের শুরু ইউরোপে ১৯৯০-এ প্যারিস চার্টারের মাধ্যমে। এরপর জাতিসংঘ ২০০৫ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালা নেয়। ডিক্লারেশন অব প্রিন্সিপ্যালস ফর ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভেশন অ্যান্ড কোড অব কনডাক্ট ফর ইন্টারন

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও অবাধ হচ্ছে কি?

দেশের ভেতরে ও বাইরে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে, আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। উদ্বেগ প্রধানত দুটি। প্রথমত, নির্বাচনের আগে ও পরে শান্তি বজায় থাকবে তো? দ্বিতীয়ত, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে সবাই থাকবে তো? প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে? কারও কারও ধারণা, ক্ষমতাসীন দল এমন নির্বাচন চায় না, যেখানে ক্ষমতা হারানোর ন্যূনতম ঝুঁকি আছে। সুতরাং, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমসুবিধার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। উপরন্তু, ভোটের দিনে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনের কৌশল অনুসরণে ক্ষমতাসীন দল সফল হলে বিরোধীদের সাময়িক প্রতিবাদ সামাল দেওয়া সরকারের পক্ষে খুব একটা কঠিন হবে না। নির্বাচনে তাদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টায় অতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ ও দমন–পীড়নের কারণে বিরোধীরা হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। তবে বিরোধীরা মোটামুটি একটা অবস্থান তৈরি করতে না পারলে নির্বাচনের পর তাদের ওপর মামলা-হামলা আরও বাড়বে এবং দলটি অস্তিত্বের ঝুঁকিতে পড়বে। আরেকটি মত হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে উদারপন্থী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মিত্র বা ঘনিষ্ঠদের বৃহত্তর জোট যদি ভোটারদের মধ্যে আবেদন সৃষ্টি করে ভো

রাজনীতির নীরব রুপান্তর

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিকল্প যে চরম রাজনৈতিক নিপীড়ণ এবং নির্বাচনের মৌশুমেও যে তা থেকে রেহাই মিলবে না এই উপলব্ধি থেকেই বিরোধীদল বিএনপি এবং তার জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই ভোটের লড়াইতে নেমেছে। গ্রেপ্তার কিম্বা মামলা দেওয়া বন্ধ এবং সভা-সমাবেশের স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে সংলাপে সরকারের আনুষ্ঠানিক আশ্বাসের পরও ঢাকা এবং রাজশাহীতে জনসভা করতে গিয়েই ঐক্যফ্রন্ট টের পেয়েছে ওইসব আশ্বাস কতটা মূল্যহীন। এখন অসম জমিনে ভোটের লড়াইতে তারা কতটা কী অর্জন করতে পারবে, তা ৩০ ডিসেম্বর বোঝা যাবে।   নির্বাচনের ফল ভবিষ্যতে শাসনব্যবস্থায় কোনো গুণগত পরির্বতন আনতে পারবে - এমনটা কেউই আশা করেন না। রাজনীতিকরা যেসব অঙ্গীকার করেন সেগুলো ভুলে যাওয়া মুহুর্তের ব্যাপার মাত্র। বিএনপি-জামাত জোটের সরকারের অপশাসনের বিপরীতে সুশাসনের অঙ্গীকার ছিল মহাজোটের। ক্রসফায়ারের গল্প শোনানো বন্ধের অঙ্গীকার ছিল। বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। আশংকার কথা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নের বিষয়ে জবাবদিহি করা কিম্বা আগামী পাঁচ বছরে কী কী অনিয়ম দূর করা হবে সেসব বিষয়ে কোনো

ইইউর পর্যবেক্ষক না পাঠানো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে

আসন্ন নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক পরিসরে আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তারা বাংলাদেশকে জানিয়ে দেয়। সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানানো না হলেও কমিশনের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘেরিনির এক নীতিনির্ধারণী বক্তৃতায় তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। গত ১১ অক্টোবর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ভবিষ্যৎ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেন, কোনো পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া তাঁদের কাজ নয়। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অবাধে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। ২৮টি দেশের জোট ইইউর সিদ্ধান্তের কারণে বিরোধীদের এই দাবির আর কোনো প্রাসঙ্গিকতা আছে কি না, সেটিই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কম্বোডিয়ায় বিরোধী দলকে বেআইনি ঘোষণা করে যে বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করা

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থেকেই গেল

সংলাপে রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই গেল। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে এই আশ্বাসের বাইরে সরকারের পক্ষ থেকে আপাতত আর কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যদি নতুন কোনো ঘোষণা না দেন, তাহলে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা শিগগির দূর হবে এমনটি আশা করা যায় না। আপাতদৃশ্যে মনে হচ্ছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের প্রস্তাবগুলো সংবিধানসম্মত কি না, তা নিয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দ্বিতীয় দফা আলোচনায় যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তা সংবিধানের মধ্যেই সম্ভব বলে তাঁদের দাবি। তাঁদের প্রস্তাব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে একজন উপদেষ্টা ও ১০ সদস্যের উপদেষ্টাবিশিষ্ট নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ও ১০ জন উপদেষ্টার বিষয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে এটা সংবিধানসম্মত নয়। এই দাবি মেনে নিলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়েও বলা হয়েছে, এটা হলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। এই বক্তব্যে স্পষ্টতই ধারণা মেলে য

বৈরী পরিবেশে সাংবাদিকতা

বহুদিন আগে – ঠিক কতদিন তার অবশ্য কোনো নির্ভরযোগ্য হিসাব আমার জানা নেই - সবধরণের অন্যায় - অবিচার - অনিয়মের কথা সাংবাদিকদের কলমে বেরিয়ে আসে বলে তাদের নাম হয়েছিলো কলমযোদ্ধা । কেউ কেউ আবার সাহসের জন্য নির্ভীক কলমসৈনিক অভিধাও পেয়েছেন । কিন্তু , সেই যুদ্ধ এখন নতুন রুপ পেয়েছে । বিশ্ব জুড়েই কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরতন্ত্রী শাসকরা এখন সাংবাদিকতাকে তাঁদের আক্রমণের এক নম্বর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন ।   স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার বিশ্বের যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আইনগত সুরক্ষা পেয়ে থাকে সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের গণশত্রু   অভিহিত করে চলেছেন । রাজনৈতিক স্বার্থে অসত্য বলায় অভ্যস্ত ট্রাম্প সত্যকে ভুঁয়া খবর বা ফেক নিউজ আখ্যা দিয়ে সাংবাদিকতা পেশাকে শুধু তাঁর দেশেই যে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তা - ই নয় , বাকি বিশ্বেও সাংবাদিকদের জীবন বিপন্ন করে তুলছেন । বিশ্বজুড়ে সম্প্রতি যে হত্যাকান্ড আলোড়ন তুলেছে তার শিকার একজন সাংবাদিক – জামাল খাসোগি । ভিনদেশের মাটিতে খাসোগি