সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

DSA took away Mushtaq

Writer Mushtaq Ahmed paid the ultimate price for his freedom of expression, and it’s a matter of shame for us all that it happened in the year of the Golden Jubilee of Bangladesh's independence. Ironically, the law that was applied against Mushtaq in accusing him of harming the image of the country for criticising the current state of affairs, the Digital Security Act (DSA), has itself earned global notoriety. Even in the most cautious diplomatic condemnation of the DSA, the UN Human Rights High Commissioner Michelle Bachelet termed it an ``ill-defined” piece of legislation “used to punish criticism of the Government.” According to the European Union (EU), “some of its provisions risk going beyond the stated purpose of fighting digital crime.” The defenders of human rights, however, were not so polite in expressing their outrage.  Amnesty International said “The Digital Security Act criminalises many forms of freedom of expression, and imposes heavy fines and prison sentences for l

ইউক্রেন সংকট আমাদের জন্যও দুঃসংবাদ

মার্ক্সবাদ ও লেনিনবাদে বিশ্বাসীদের কাছে সমাজতন্ত্রের পথপ্রদর্শক রাষ্ট্র হিসাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের যে বিশেষ মর্যাদা ও ভালোবাসা ছিল, তাতে অনেকেই এখনও মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছেন। লেনিনের দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তার কোনো অংশই যে আর লেনিন নির্দেশিত পথে নেই, চীনও যে এখন নতুন ধরণের পুঁজিবাদী পথে সমৃদ্ধি খুঁজে নিচ্ছে, সে কথা অনেকের কাছে শুধুই পাশ্চাত্যের অপপ্রচার। পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশগুলোর মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে তাই রাশিয়া কিম্বা চীনের যে কোনো চ্যালেঞ্জ এদের অনেককেই কিছুটা উজ্জীবিত করে তোলে। ইউক্রেন সংকটও কোনো ব্যতিক্রম নয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়ায় অন্যায় সামরিক অভিযান-হস্তক্ষেপ ও তার পরিণতিতে ঘটে যাওয়া মানবিক বিপর্যয়গুলোর কারণে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও প্রায় শূণ্যের ঘরে। এ রকম পটভূমিতে  ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনমুখী তৎপরতার বিষয়ে কিছুটা নিস্পৃহতার নীতি বেশ যৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই সংকটের সম্ভাব্য প্রভাব-প্রতিক্রিয়া আমাদের কারও জন্যই উপেক্ষণীয় নয়।   সম্ভাব্য প্রাণহানি ও মানবিক দূর্যোগের আশঙ্কার বাইরেও ইউক্রেন সংকটের প্রত্যক্

নির্বাচন কমিশনের নাম প্রস্তাব নিয়ে লুকোচুরি কেন

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য রাজনৈতিক দল ও কয়েকটি পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা নামগুলো নিয়ে যে লুকোচুরি চলছে, তাকে শুধু বিস্ময়কর নয়, বরং কিছুটা উদ্দেশ্যমূলকই বলতে হবে। নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর দাবির মুখে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি প্রস্তাবিত নামগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে, যদিও সাচিবিক সহায়তা দেওয়ায় অসতর্কতায় সাতজনের নাম দুবার করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এধরণের ভুল অন্তত আর যার কাছে হোক, রাষ্ট্রের সবচেয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছে প্রত্যাশিত নয়। তারপরও তালিকার এক-তৃতীয়াংশ নামে আমাদের করিৎকর্মা আমলাদের প্রতি রাজনীতিকদের অগাধ আস্থার প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে। তবে রাজনীতিকরা আমাদের কাছ থেকে যা আড়াল করতে চান, তা হলো কাকে, কোন বিবেচনায় তাঁরা বেছে নিয়ে একটি সাংবিধানিক পদে আসীন করতে চাইছেন। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে ১৮টি দল কোনো নাম দেয়নি, তাদের অধিকাংশের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়াট সাজানো এবং তাদের মূল আপত্তি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে। কিন্তু, যেসব দল তাদের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছে, তারা তা প্রকাশ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ, বাছাইপ্রক্রিয়ার এ অংশটি বিশেষভ

বর্জনপীড়িত নির্বাচন কমিশন বাছাই কমিটি

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির নিষ্ফল সংলাপের পর সংক্ষিপ্ততম সময়ে আইন তৈরির মাধ্যমে গঠিত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বধীন একটি অনুসন্ধান কমিটি আরও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে যোগ্য ব্যাক্তি বাছাই করছে। ক্ষিপ্রতার কথা বলছি, কেননা রাজনীতিকদের মধ্য থেকেই কথা উঠেছে , `২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ নাম দেওয়া সম্ভব নয়`(খেলাফতের ভারপ্রাপ্ত আবদুল আজিজ, সমকাল)। তারপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনের মনোনয়ন ও ব্যাক্তিগত আবেদন মিলিয়ে মোট ৩২৯ জনের নাম প্রস্তাব পেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি।  অনুসন্ধান কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া গেছে ১৩৬ জন এবং পেশাজীবীদের কাছ থেকে ৪০ জন। বাকিরা স্বমনোনীত। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলগুলো সবাই ১০টি করে নাম দিলে তার সংখ্যাই হতো ৩৯০। সেদিক দিয়ে কমিটির কাজ অনেকটাই কমেছে। দৈনিক সমকাল জানিয়েছে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বিএনপি, তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক এবং ডান ও বাম ধারার ১৮টি দল ( প্রথম আলোর হিসাবে ১৫) সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা দেয়নি

When politics is all about partying

The one issue dominating British politics for weeks is nothing other than the partying going on at the heart of the government, at 10 Downing Street, the office-cum-residence of the prime minister. This scandalous partying, now dubbed as “Partygate'' by the British media, raises serious questions about not only the standards in public life, but whether one of the world’s oldest democracies can still cling on to it’s global standing. Prime minister Boris Johnson’s influence and grip over the nearly 200-years-old party, the Conservatives, has been quite remarkable and unprecedented.  Boris Johnson’s electoral successes, both in the Brexit referendum and in the 2019 general election, almost made him larger than his party. A veteran of British political journalism, Andrew Marr, wrote in the New York Times, that the Conservatives are in an agonised, self-flagellating panic. Should they get rid of Boris Johnson, their populist leader, whose deceit and breaking of lockdown rules has i

গুমের শিকার কারা ভূমধ্যসাগরে হারিয়ে গেছেন

গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা ‘মায়ের ডাক’ নামের যে সংগঠন গড়ে তুলেছেন, সেই সংগঠনের এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাঁরা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে দুই মন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিহিত করেছেন। নাগরিক ঐক্য, জাসদ ও বাম জোটসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। যেসব মন্তব্য নিয়ে এসব প্রতিবাদ, তাতে কী ছিল?  উভয়মন্ত্রীই গত শনিবার একই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত থাকার প্রশ্নে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে ওই মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘ নয়, জাতিসংঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের একটি তালিকা দিয়েছিল। পরে দেখা গেল, ভূমধ্যসাগরে অনেক লোকের সলিলসমাধি হয়েছে।   পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ নতুন তথ্য, আগে কেউ কখনো এমন কথা বলেনি। তবে ভুমধ্যসাগরে সলিল সমাধি হওয়া বাংলাদেশিদ

কূটনীতি নাকি ন্যয়বিচার নিষেধাজ্ঞা সামলাবে

র‍্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাড়বার আর সম্ভাবনা নেই বলে ঘোষণা থেকে ধারণা মেলে যে সরকার কূটনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করায় কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকদের কাছে কথাগুলো বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ইঙ্গিত মিলছে, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে যে সব পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে, তার সবই মূলত হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে্র উদ্যোগে। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে কেবলই আন্তর্জাতিক পরিসরে অপপ্রচার হিসাবে বিবেচনা করছে, অভিযোগের সত্য-মিথ্যা যাচাই বা মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করছে না। এই কৌশল কতটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত? পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে গিয়ে বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে আমরা যে সাড়া পেয়েছি ,তাতে আর নিষেধাজ্ঞার কোনো আশঙ্কা দেখি না। অন্য কোথাও এর প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞায় অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেনি। অন্য কোনো দেশ যে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটেনি, সেটি সত্যিই সরকারের জন্য স্বস্তিদায়ক একটি বিষ

লবিং কখন দেশদ্রোহ, আর কখন নয়?

  ৩০ জানুয়ারি সমকাল-এ `সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপিঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী` শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগে ৪০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছে। পত্রিকান্তরে অবশ্য খরচটা বিএনপি-জামাতের বলে তাঁকে উদধৃত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, নিজের দেশের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য বিরোধীদলের বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের ঘটনা নজিরবিহীন। একই দিনে একই কাগজে `চট্টগ্রামে হাছান মাহমুদঃ দেশদ্রোহ করেছেন বিএনপি নেতারা` শিরোনামের আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, তথ্যমন্ত্রী বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ধ্বংস করতে বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেওয়া ও লবিস্ট নিয়োগ করা দেশদ্রোহী কাজ।  এর আগে, ২৬ জানুয়ারি, সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪টি এবং ২০১৯ সালে ১টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি ৩টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে।' জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ওয়েব সাইটে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ বিধিতে মন্ত্রীদের বিবৃতি দেওয়ার যে হালনাগাদ  বিধান আছে, তাতে `জনস্বার্থে গুর

The CEC’s pre-poll slumber and the question of ballot stuffing

Can anyone remember such degradation of a constitutional body like what our Chief Election Commissioner K M Nurul Huda has done? His defence for the indefensible failure in fulfilling his constitutional duties was not only filled with untruths and misrepresentation of facts, but was also, to some extent, distasteful. His attempts to discredit and humiliate fellow commissioner Mahbub Talukdar by describing him as `a person infected with disease` is quite shocking ( Business Insider, 29 January, 2021). Someone’s medical expenses cannot be an issue of contention, unless there is specific proof of fraud. Besides, simple decency requires seeking permission from the concerned person before revealing their personal information, including ailment. The CEC’s responses to the main allegation against the Election Commission about stuffing ballot boxes the night before the 11th parliamentary elections on December 30, 2018 after four years clearly manifest an attempt to rewrite history. His explana