সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুক্ষ্ম কারচুপি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ’নৈশভোট’ – – –

  আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার আগে যদি নাটকীয় কিছু না ঘটে, তাহলে শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে প্রধানত আওয়ামী লীগ প্রার্থী বনাম আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর লড়াই। চাপ ও প্রলোভনের বিভিন্ন কৌশল দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা যতই বাড়ানো হোক, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো দল নয়, দলেরই নকল বা ডামি প্রার্থী অথবা বিদ্রোহী, যাদের পরিচয় দাঁড়াবে স্বতন্ত্র প্রার্থী।  মঙ্গলবার সমকালের শিরোনাম ছিল, ’স্বতন্ত্র আতঙ্কে নৌকা’; যুগান্তর বলেছে, ’নৌকা পেয়েও টেনশনে’ এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন–এ ’টেনশনে মাঝিরা মাঠে স্বতন্ত্র’।  তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাধিক্য দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও আওয়ামী লীগকে ভাবাচ্ছে। প্রতি আসনে গড়ে তাদের ১৩ জন মনোনয়ন চেয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে আবার ৭০ জনের পুননির্বাচনের আশা ছিল। ফলে দলীয় প্রার্থীদের অনেকেরই শেষ পর্যন্ত বিপদ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পেলেই যে জেতার মতো প্রয়োজনীয় শক্তি–সামর্থ্য সবার থাকে না, তার প্রমাণ তো দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, যিনি এখন বলতে শুরু করেছেন তিনি ’ফকিন্নির ছেলে’

How did Bangladesh fare in UN’s human rights review?

The recently-concluded Universal Periodic Review (UPR) of Bangladesh’s human rights records has been quite a surreal event. When the local media reported arrests of more than10,000 BNP activists, including its top leaders, centring the party’s October 28 rally, diplomats in Geneva were told that Bangladesh had ensured abundant political space for the opposition. Law minister Anisul HUq, who led the Bangladesh delegation and placed its progress report on implementing recommendations of the 2018 UPR, said that Bangladesh was fully committed to upholding fundamental principles and legal obligations of human rights. Certainly, there was no dearth of diplomatic niceties among the representatives of 110 countries, as almost all of them applauded Bangladesh for engaging in the process. But the recommendations they put forward were nothing close to praising the state of human rights in Bangladesh; rather they reflected deep concerns over the worsening situation. But the minister in his post-UP

ধরপাকড়, কারাদন্ড ও গুপ্ত হামলার ’স্বচ্ছ’ নির্বাচন

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ১০ জুলাই তাদের শীর্ষ সংবাদে বলেছিল, আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে পুরোনো মামলা সচল করার উদ্যোগ। পরদিনও আরেকটি খবরে তারা জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে থাকা ২৫টি মামলা বাছাই করেছে এবং সেগুলো তদন্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত শেষ করে মামলা শুনানির ব্যবস্থা নিতে ডিএমপির ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে। এসব খবরের সূত্র ছিল পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের একটি সভার ফাঁস হওয়া কার্যবিবরণী। ১৭ জুলাই ভয়েস অব আমেরিকাও ইংরেজিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম হচ্ছে, ’বাংলাদেশি পুলিস অ্যাকিউজড অব কনস্পায়ারিং এগেইনেস্ট অপজিশন ক্যান্ডিডেটস।’ গত কয়েক দিনের পত্রিকার পাতাগুলো দেখলে কারো মনে কোনো সন্দেহ থাকলে তা নিশ্চয়ই দূর হয়ে গেছে। বিভিন্ন পত্রিকার পরিসংখ্যানে গরমিল দেখা গেলেও মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা ও দন্ডিত হওয়ার নতুন রেকর্ড হয়েছে।  সমকাল লিখেছে, ছয় মামলায় ১৩৬ জনের সাজা দেওয়ার কথা। যুগান্তর বলছে সাত মামলায় ১৪০ জনের দন্ড হওয়ার কথা। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর খবর হচ্ছে, চার বছর আগে মৃত আবু তাহের দাইয়াকেও দেওয়া হয়েছে দেড় বছরের জেল। মৃত ব্যক

Can we trust the EC at all?

  Events leading to the schedule announcement of our 12th parliamentary election appear to have eerily similar to those before the  previous two much discredited and disputed elections. This time apart from serious disagreements among the most potent challengers centering  the election management process, the Election Commission’s consistently inconsistent statements and decisions show it lacks the courage and capacity to act decisively and independently. Otherwise, chief election commissioner Kazi Habibul Awal’s address to the nation would not have been full of contradictions.  CEC Awal admitted that “the EC has been noticing differences among the political leadership regarding the polls, particularly on the issue of the institutional system of elections,” and that “consensus and solutions are needed,’ but announced the voting schedule without any resolution of the disputes. He then expects the nation to trust him when he said,  “We believe the upcoming polls will be free and fair, im

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বয়ান নিয়ে ধন্দে আছি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার নিয়মিত পর্যালোচনায় ৯০ ভাগের মতো দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির প্রশংসা করে গঠনমূলক সুপারিশ করেছে। আইনমন্ত্রীর এই প্রায় বিশ্বজয়ে মন্ত্রিসভার অন্যরা নিশ্চয়ই ঈর্ষান্বিত হচ্ছেন! তবে আমি অবাক হচ্ছি, উনি শতভাগ না বলে ৯০ শতাংশ কেন বললেন? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেনেভা থেকে ভিডিও সংযোগে যুক্ত হয়ে আনিসুল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার রিপোর্টগুলো আবারও মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। দেখলাম তিনি বলেছেন; কানাডা ও স্লোভাকিয়া বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম—এরা সবাই আমাদের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।  প্যালেস দ্য নেশনস–এর দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যালায়েন্স অব সিভিলাইজেশনস রুমে পর্যালোচনা অধিবেশনের পুরোটা সময় আমি ছিলাম। আমি ভুল শুনেছি কি না, তা যাচাইয়ের জন্য জাতিসংঘের ওয়েব টিভিতে থাকা অনুষ্ঠানের ভিডিও আবারও শুনলাম। কানাডার প্রতিনিধি মিস ওয়ালেসকা রিভেরার মুখে কোনো সমালোচনা আমি শুনতে পেলাম না। আপনারাও শুনে দেখতে পারেন। স্লোভাকিয়ার দুসান মাতুলের বক্তব্যের শুরুতে তাদের

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী প্রমাণ করছে?

  আমরা জানি, ২ নভেম্বর একাদশ সংসদের সমাপণী অধিবেশন শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। বহুল বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীতেও বলা আছে, সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসাবেও নির্বাচনের ৯০ দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে নভেম্বরের শুরুতেই। এর অর্থ হচ্ছে এ সময়ে সরকারের রুটিন কাজের বাইরে সবকিছু কার্যত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় চলার কথা।   সংবিধানের ১২৬  অনুচ্ছেদ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছে, ’নির্বাচন কমিশনকে তার কার্য সম্পাদনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে।’ সংবিধানের এ অনুচ্ছেদের বাধ্যবাধকতা সংবিধানের অন্য কোনো বিধান বা অন্য কোনো আইনের ওপর নির্ভরশীল নয়।  সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে, নভেম্বরে সরকার যেভাবে বিরোধী দল বিএনপিকে দমনে অভিযান চালাচ্ছে, তাতে  ইসির ভূমিকা কী? ইসিকে তাই স্পষ্ট করতে হবে, তারা বিরোধীদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে নির্বাহী শাখাকে বলেছে কি না। ৪ নভেম্বরের সংলাপের আগে ইসি কি বিরোধী দল বিএনপি যাতে তাদের দলীয় রীতি  ও নীতি অনুযায়ী সংলাপে যোগদানের ব

Our Election Commission’s critical failings

Chief election commissioner Kazi Habibul Awal’s latest plea to the parties to take initiatives to solve the ongoing political crisis is quite intriguing. Though his admission that a political crisis really exists is at odds with the government’s claim of a conducive environment, his argument that the commission neither has the capacity nor the mandate to resolve it is only reneging itself of authority and responsibility. If it believes that there’s a crisis which makes ensuring a free and fair election impossible, how can it justify proceeding with holding an election without resolving the crisis?  The EC’s much publicised dialogue with all the registered parties took place after the 90-days countdown began till the 12th national election. Now the EC stands to have sufficient legal authority to ask the executive branch for taking all necessary steps to create a fair and competitive environment. Many observers had thought that, ahead of the dialogue the EC would take required steps to e

যেনতেন নির্বাচনে রাজনৈতিক সমাধান নেই

  নৃশংসতার শিকার হয়ে যাঁরা প্রাণ হারান, তাঁদের মৃত্যুতে কষ্ট পায় না, এমন মানুষ বিরল। সব সহিংসতাই তাই নিন্দনীয় এবং সবারই তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা। গত ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় আরও সহিংসতার ধারাবাহিক ঘটনাক্রমে তাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা সবাই উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত। কিন্তু গাজায় দখলদার ইসরায়েলিদের নৃশংসতার সঙ্গে ঢাকার ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতার যাঁরা তুলনা টেনেছেন, তাঁরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তিসংগ্রামের সীমাহীন ত্যাগ এবং চলমান গণহত্যার প্রতি যে অবিচার করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।  এরকম চরম অসম তুলনার পটভূমিতে আমরা কি বোকার মতো জানতে চাইতে পারি, ঢাকার ঘটনায় কোনপক্ষকে কার সঙ্গে তুলনা করা হলো? মারমুখী পুলিশের যে নিষ্ঠুরতা এবং তাদের পাশাপাশি ’শান্তি’র লাঠিধারীদের হামলা, হতাহতের পরিসংখ্যান, গ্রেপ্তার এবং গণহারে মামলার খবর ও ছবি দেখে ধন্দে পড়ে যাই। দুর্ভাবনা তৈরি হয়, তাহলে কী প্রতিপক্ষ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এগুলো থামবে না?      দুই. ২৮ অক্টোবর ঢাকায় কী ঘটেছিল, তা নিয়ে সরকারি ভাষ্য ও বিএনপির ভাষ্য সম্পূর্ণ আলাদা এবং বিপরীতমুখী। নয়াপল্টন ও তার আশপাশে সংঘাত যখন চলছিল ত