সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজনীতি রাজনীতিকদের জন্য কঠিন হয়েছে কেন

আইনপ্রণেতা – জনপ্রতিনিধি বা সাংসদদের আর্ন্তজাতিক ইউনিয়ন, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা সংসদে আছি শুধু হ্যাঁ বা না বলার জন্য‘। কথাটি তিনি বলেছেন তিনি যে সংসদে আছেন, সেই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সম্পর্কে। গত ১২ জুন তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বাজেট সংলাপে আরও বলেছেন, ‘অনেকেই বলেন, বাজেট হতে হবে অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই। এখানে যেন কোনো অপচয় না হয়। কিন্তু আমরা যে আলোচনা বা বিতর্ক করব, তার ভিত্তিটা তো ঠিক থাকতে হবে।‘ সাংসদদের মতামত সরকারের কাছে কতটা গুরুত্বহীন তা বোঝাতে বাজেট প্রণয়নের আগে তাঁদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কোনো ধরনের আলোচনা না হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘বাজেটের গুণগত মান পরিবর্তনে সাংসদেরা তেমন একটা কিছু করতে পারছেন না।’ সাবের হোসেন চৌধুরী সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি আরও বলেছন যে ‘আরেকটা ভূমিকা রাখতে পারে রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমাদের সরকারি দল বা মুখপাত্র বাজেটের সঙ্গে সঙ্গেই বলে দেন যে বাজেটটা ভালো এবং এখানে সাধারণ মানুষে

On players ‘taking the knee’: Sportspersons deserve praise for standing up against injustices

Imagine a scenario where players are being booed for making gestures that contain a political statement, but when play resumes and the players clinch stunning successes, spectators in the same gallery go wild in celebrations. This is what we have been witnessing in the United Kingdom for quite some time, as footballers (taking the cue from sportspeople in the United States) started "taking a knee" since last year to highlight racial injustices and show support to the Black Lives Matter (BLM) movement. Frustrated in seeing such contradictory behaviour from spectators, a prominent British jurist, former Chief Prosecutor Nazir Afzal, tweeted on June 13, the day England won against Croatia in Euro 2020, "Some booing the knee & then cheering Raheem Sterling for scoring the winner just after he got his Honour for his work on racism, is some level of hypocrisy." The issue of fighting racial injustice has drawn widespread support globally, but it has also given right-wi

জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভোট না দেওয়ার যুক্তি কী?

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ যে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার সহিংসতা ও প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে এবং দেশটিতে সমরাস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবটির বিপক্ষে আমরা ভোট দিইনি। সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবটির বিপক্ষে একমাত্র ভোটটি দিয়েছে বেলারুশ। বাংলাদেশ যেহেতু প্রস্তাবটির পক্ষেও ভোট দেয়নি, সেহেতু বেলারুশের সঙ্গী হওয়াও অসম্ভব ছিল না। বেলারুশের সঙ্গে কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা গড়ার উদ্যোগের পটভূমিতে এ রকম হতেই পারে। প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে ১১৯টি দেশ। এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে মিয়ানমারের চলমান সংকটের বিষয়ে কোনো প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। নিউইয়র্ক টাইমস ঐতিহাসিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শুক্রবারের ভোটটি শীতলযুদ্ধ অবসানের পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চতুর্থ ভোট, যাতে কোনো দেশে সামরিক শাসনের নিন্দা জানানো হলো। আরও বিরল হচ্ছে কোনো দেশে সমরাস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান। আমরা যেমন অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের পক্ষে দাঁড়াইনি, তেমনই সামরিক শাসনের নিন্দাও জানাইনি। বাংলাদেশ কেন সংখ্যাগরিষ্ঠের দলে দাঁড়াতে পারেনি, তার একটা ব্যাখ্যাও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থা

নদীর দেশে নৌকাচক্র ঘিরে এত বিস্ময় !

আমাদের দেশে শিশুকাল থেকেই পড়ানো হয়, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। অন্য  কথায়, বাংলাদেশ হচ্ছে নদীর দেশ। নদীর দেশে নৌপথে যাত্রার ভরসা নানা ধরনের নৌযান এবং নানা ধরনের নৌযানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি আমরা নৌকা নামের আদি অযান্ত্রিক দাঁড়টানা বাহনটিকে। নদী আছে, নৌকাও আছে; অথচ দেশে কোনো নৌকাচক্র ( ক্লাবের বাংলা প্রতিশব্দ হিসাবে চক্র প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব অবশ্যই আবাহনীর) থাকবে না, এটা কেমন কথা।  নদীর দেশে রাজধানী ঢাকারও চারিদিকে নদী – বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু। তো সেই ঢাকাতেও কোনো নৌকাচক্র ছিল না। অন্তত, গতসপ্তাহের আগে অবধি সাধারণ মানুষের জানা ছিল না। যাঁরা এ-জাতীয় ঘাটতি পূরণের মহান দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে ঢাকায় একটি বোট ক্লাবের জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের তাই জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্য। অবশ্য, এবিষয়ে পথিকৃত হলো চট্টগ্রাম। দেশের প্রথম নৌকাচক্র বাণিজ্য নগরীতেই চালু হয়েছে প্রায় তিন দশক আগে এবং তার অবস্থান সমুদ্রবন্দরের পাশে। বিমানবন্দরটিও অবশ্য একেবারে লাগোয়া। নৌকাচক্র প্রতিষ্ঠার জাতীয় পুরস্কার চট্টগ্রামের প্রাপ্য হলেও রাজধানীর আলাদা গুরুত্ব বিবেচনায় ঢাকা নৌকাচক্রের প্রতিষ্ঠাতাদেরও কিছু একটা

ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে প্রতিবাদের অধিকার কেন থাকবে না

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এর কারণে বড়ধরণের সব সামাজিক আয়োজন প্রায় বছর দেড়েক বন্ধ থাকার পর শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি ৭-এর শীর্ষ বৈঠক হয়ে গেল, তাকে কেন্দ্র করে আমরা চমকপ্রদ কিছু প্রতিবাদের ছবিও দেখলাম। বিভিন্ন ধরণের স্বার্থ ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বিশ্বনেতাদের বৈঠকগুলোর সময় এধরণের প্রতিবাদ অনেকদিন ধরেই করে আসছে। কখনও কখনও তা সহিংসও হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নৈরাজ্যবাদীদের জন্য। তবে এবারের প্রতিবাদের আকার ছিল ছোট এবং কোনো সহিংসতা ঘটেনি। বৈচিত্র এবং সৃজনশীলতায় অবশ্য কোনো ঘাটতি ছিল না। শীর্ষ বৈঠকের আয়োজনগুলো ছিল লন্ডন থেকে প্রায় তিনশো মাইল দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কর্ণওয়ালের সমুদ্রতটের অবকাশকেন্দ্র সেন্ট আইভসে। ওই অবকাশকেন্দ্র ঘিরে অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি এলাকা তৈরি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতাধর নেতাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আর প্রতিবাদকারীদের জন্য নির্ধারিত ছিল কিছুটা দূরবর্তী সমুদ্রতট এবং শহর। স্বাস্থ্য অধিকার, পরিবেশবাদী, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণপন্থী, যুদ্ধবিরোধী, মানবাধিকারকর্মী, এনজিওকর্মী, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্য, ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরের সমর্থকদের আলাদা আলাদা অনেকগুলো প্রতিবাদ-

Can the G7 finally bring an end to the pandemic?

Yesterday, leaders of the industrialised nations, known as G7, started their first day of discussions at the English seaside county Cornwall—the first meeting since the Covid-19 pandemic started, which has already claimed more than 3.75 million lives and the livelihoods of over a billion people. According to a survey by Gallup in 117 countries, pandemic-induced economic impacts were felt disproportionately on developing countries, where half of their workers lost jobs. Yet, there is no sign of the virus being under control. Despite the pandemic being one of the biggest and deepest crises the world has been passing through since the beginning of 2020, there seems to be very little action being taken in a globally coordinated way. It is a bigger crisis than the global financial crisis of 2008 following the collapse of the Lehman Brothers, said former British Prime Minister Gordon Brown, who was at that time at the helm of Britain, the fourth largest economy in the world. Last Sunday, ex-

জি সেভেনের বৈঠক করোনা মহামারির ‘দুই-ধারার’ ব্যবধান কি ঘুচাতে পারবে

  টিকার জন্য যখন উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্ব রাজনীতিতে বিপরীত মেরুতে থাকা পরাশক্তিগুলোর কাছে ধর্ণা দিচ্ছে , তখন শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেনের নেতারা কোভিড ১৯ মহামারির মধ্যে প্রথমবারের মতো সশরীরে এক শীর্ষবৈঠকে মিলিত হচ্ছেন । ইংল্যান্ডের পর্যটন শহর কর্ণওয়ালের সেন্ট আইভসে আজ শুক্রবার যখন এই বৈঠক শুরু হবে তখন বিশ্বে মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে সাইত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে । জনমত জরিপ সংস্থা গ্যালাপের ১১৭টি দেশে পরিচালিত সমীক্ষা বলছে যে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এই মহামারির অস্বাভাবিক অর্থনৈতিক প্রভাবে শ্রমশক্তির অর্ধেকই তাদের চাকরি হারিয়েছেন । কিন্তু ভাইরাসটি যে কবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিশ্ব তার কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না । ২০২০ সালের শুরু থেকে এই মহামারি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং গভীর সংকটের রূপ নেওয়ার পরও বিশ্বব্যাপী সমন্বিতভাবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তেমন একটা নেওয়া হয়নি । ২০০৮ সালে বিনিয়োগ ব্যাংক লেম্যান ব্রাদার্সের পতনের পর যে বৈশ্বিক আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছিল , এ