সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

When uprising upends South Asia’s geopolitics

India is now grappling with the delicate task of finding a sanctuary for the ousted Sheikh Hasina, who had long been a steadfast and trusted ally in South Asia. The decision is aimed at preventing further deterioration in its already strained relations with Bangladesh. Meanwhile, the new interim government, led by Nobel laureate Dr. Yunus, seems to be gathering momentum and is poised to reshape the regional political landscape. Once celebrated as an “Iron Lady” for bringing stability—an essential prerequisite for business, whether for democratic or authoritarian powers—Hasina’s dislodgement by a popular uprising now compels every major global player to reassess their strategies. Hasina’s fall from power has been marked by a violent and disgraceful exit, which resulted in approximately 1,500 deaths, including children. This tragic outcome underscores one of the bloodiest modern-day attempts by any dictator to cling to power. Her efforts crumbled when security chiefs refused to shoot civ
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

চোরতন্ত্রের সুবিধাভোগীরা ছাড় পাবে না তো ?

  এখন প্রতিদিনই খবরের তালিকায় কোনো না কোনো রাজনীতিক এবং সাবেক আমলার গ্রেপ্তারের খবর ছাপা হয়। প্রথম আলোর হিসাবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে (১ থেকে ৭ অক্টোবর) সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭ হাজার ১৮ জন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে পলায়নের দুই মাসে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা কত, তা জানা সম্ভব না হলেও একটা ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায় অক্টোবরের আগে ধরপাকড় ছিল খুবই সীমিত। পুলিশি ব্যবস্থা ভোঙ্গে পড়াই মূলত তার কারণ। বিধ্বস্ত থানাগুলোর বিকল্প খোঁজা অথবা সেগুলো মেরামত করে ব্যবহারোপযোগী করার জন্যও কিছুটা সময় কেটে গেছে।  আটককৃতদের মধ্যে কতজন রাজনীতিক, কতজন আমলা, কিম্বা কতজন অর্থনৈতিক অপরাধী – তার কোনো বিশদ হিসাবও জানা যায়নি। অন্তত: কোনো সংবাদমাধ্যমে সেরকম বিশ্লেষণ চোখে পড়েনি।  আইন–শৃঙ্খলাবাহিনীর যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজটি শেষ হয়েছে কিনা, তা–ও স্পষ্ট নয়। শুরুর দিকে পুলিশের শীর্ষপর্য়ায়ের কয়েকজন এবং সশস্ত্রবাহিনীর জনা তিনেক পদস্থ কর্মকর্তাও  গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু তাতে যে এসব বাহিনীর ভেতরের অন্য অপরাধীরা পার পাবে না, তা কেউই জোর দিয়ে বলতে পারে না। বিশেষত:

We need a human rights agenda for transition to democracy

The transition from autocracy to democracy that we are currently undergoing has been described by United Nations Human Rights Chief Volker Türk as "a historic opportunity to ensure governance is anchored in human rights, inclusivity, and rule of law." In a statement on August 16, he added, "The transition ahead presents a historic opportunity to reform and revitalise the country’s institutions, to restore fundamental freedoms and civic space, and to give all in Bangladesh a part in building the future." As we move forward with several reform agendas that can be implemented within a short timeframe, it is essential to have a national conversation on what "governance anchored in human rights" should truly look like. Despite repeated denials by successive governments since independence, numerous UN human rights reports have documented various violations and shortcomings in political, social, and cultural rights. The past 15 years, however, have seen the most

চাপের মুখে নতিস্বীকার বিতর্ক ও অপপ্রচার

  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে উদ্ভুত গণ–অভ্যূত্থানে স্বৈরশাসনের অবসানের পর অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুস অর্ন্তভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন। তাঁর কথায়  ছাত্র–তরুণদের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা হচ্ছে এই নতুন বাংলাদেশ। কিন্তু নতুন বাংলাদেশের রুপ ঠিক কেমন হবে এবং তার রুপায়ণ ঘটবে কীভাবে, এর কোনো কিছুই যেহেতু আগে থেকে ঠিক করা নেই, তাই নানা ক্ষেত্রে সংস্কার, এমনকি নতুন করে তৈরির প্রশ্ন উঠেছে। তবে সুদিনের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ হতে থাকলে মানুষ যে খুব দ্রুতই ধৈর্য্য হারাতে পারে, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাই সরকারের মধ্যে কোনো দ্বিধা বা দোদুল্যমানতার আলামত মোটেও কাম্য নয়। নির্বাচনের আগে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একধরনের ঐকমত্য তৈরি হলেও সংস্কারের প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়ে মতভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিলের ঘটনা এর একটা বড় নজির। সংস্কার কমিশনগুলো গঠনের ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়ার পেছনেও রাজনৈতিক চাপই মূখ্য বলে ইঙ্গিত মিলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনার কথা বলা হয়েছে, সেই আলোচনাও মূলত সংস্কার স

সেই সংক্রামক হাসি মিলিয়ে গেল

  বাংলাদেশে নারীরা এখন সাংবাদিকতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সরব উপস্থিতি খবরের কাগজের পাতায়, টেলিভিশনের পর্দা ও বেতার তরঙ্গে এখন নিয়মিত ধ্বনিত হয়। কিন্তু আজ থেকে চার–পাঁচ দশক আগে রাতেরবেলায় বার্তাকক্ষে কোনো নারী খবর লিখছেন বা কোন পাতায় কোন প্রতিবেদন কী শিরোনামে ছাপা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, এমন দৃশ্য ছিল ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রম যাঁরা তৈরি করার সাহস দেখিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম উর্মি রহমান।  উর্মি আপা সংবাদে সাংবাদিকতা করেছেন আশির দশকে। তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রাতেও টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া  অনুষ্ঠান পর্যালোচনা – যাকে সাধারণত সমালোচনা বলে গণ্য করা হতো – করতেন। পরে কিছুদিন প্রেস ইনিস্টিটিউট অব বাংলাদেশ ( পিআইবি) হয়ে লন্ডনে চলে আসেন বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসাবে। ঢাকায় এবং লন্ডনে সাংবাদিকতায় আমি তাঁর অনুগামী হলেও কখনো একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি। তবে লন্ডনে আসার পর তাঁর সংক্রামক হাসির সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠতে খুব একটা সময় লাগে নি।  উর্মি রহমান যখন বিবিসির বাংলা বিভাগে কাজ করেছেন, তখন ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের একটা রীতি চালু ছিল, যা পরিচিতি পেয়েছিল ’ফ্রেশ ব্লাড পলিসি’ নামে। অর্থাৎ, বিবিসির

ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থান: আমরা কেমন পরিবর্তন চেয়েছিলাম

  ক্রিকেটীয় স্কোরের মতো বললে বলতে হয়, স্বৈরশাসন অবসানের পর আজ প্রথম অর্ধশত দিন পার হচ্ছে। তবে এই দিনগুলো এতটাই ঘটনাবহুল ও ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গেছে যে আমাদের অনেকেরই স্মৃতি ঝাপসা হতে শুরু করেছে। স্মৃতি ঝাপসা হতে শুরু করলে অবশ্য অনেকেই অতি সহজে বলতে পারেন, আমরা কি এমন পরিবর্তন চেয়েছিলাম?  জুলাই–আগস্টের অশান্ত দিনগুলোতে শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টার যে নৃশংস রুপ প্রকাশ পেয়েছে, তার পূর্ণ চিত্র এখনও প্রকাশ পায়নি। বগুড়ার শিশুশিক্ষার্থী জুনায়েদ ইসলাম রাতুল মৃত্যুর সঙ্গে ৪৮দিন পাঞ্জা লড়ে গত সোমবার ঢাকার  ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছে। আরও যে তিনশতাধিক আহত এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, তারা সবাই বাড়ি ফিরবে কি না, কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না।  ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে যে অর্ন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তাদের দায়িত্বগ্রহণের আগে তিন দিন দেশে সরকার কীভাবে চলেছে, তা অনেকটাই অজানা। সারা দেশে কোথাও পুলিশ ছিল না। ক্ষুব্ধ জনতার রোষ প্রথমেই যাদের ওপর পড়েছে, তারা হলো পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী। সারা দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে অন্তত ৪৫০টি ‘আক্র

ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর প্রস্তুতি প্রয়োজন কেন

কূটনীতির আলোচনায় গত এক দশকে আমরা যে কথাটি সবচেয়ে বেশি শুনেছি, তা হলো ’ভারত-বাংলাদেশ বন্ধৃত্ব এখন অনন্য উচ্চতায়’। কিন্তু, গত সপ্তাহে আমরা শুনলাম, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। এটি তাঁর কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা ছিল না, বরং সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের যৌথ সম্মেলনের নির্দেশনা।  আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রাজনাথ সিংয়ের এই বক্তব্যে তিনি যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন। অবাক হওয়ার কথাটা কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে তিনি বলতেই পারেন। সুতরাং ’ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধবিগ্রহের কোনো আশঙ্কা’ না থাকার কথাও  তিনি যে বলবেন, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল যে রাজনৈতিক পরিবর্তন, সে বিষয়ে ভারতের সরকারি মহলের মূল্যায়ন যে ভুল এবং বিপজ্জনক – এই কথাটুকু স্পষ্ট করে বলা খুবই জরুরি।  দুই কারণে এই ভুলের কথা বলা দরকার। প্রথমত: ইউক্রেন এবং গাজায় যে সংঘাত চলছে, তা বিদেশি শক্তির আগ