সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সংবিধান সংস্কারে জাতীয় সমঝোতা কি অসম্ভব কিছু

সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধান নিয়ে যে জনমত সংগ্রহ ও জাতীয়ভিত্তিক সংলাপগুলো করছে, তাতে বেশ ভালোই সাড়া মিলছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন নাগরিক গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল, বিদ্বজ্জনেরা কেমন সংবিধান দেখতে চান, তা নিয়ে বিতর্ক ও মতবিনিময় করছেন। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণের মৌলিক ভিত্তি তথা রাষ্ট্রকাঠামো ও ক্ষমতার বিন্যাস সম্পর্কে নাগরিকদের এতটা উৎসাহ সম্ভবত: এর আগে আর দেখা যায়নি। সংস্কার কমিশনের সূত্র থেকে জেনেছি, অনলাইনে তাঁরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন এবং মতামত দেওয়ার জন্য সপ্তাহখানেক সময় বাকি থাকতেই ৩০ হাজারেরও বেশি পরামর্শ তাঁদের কাছে জমা পড়েছে। নাগরিকদের এ আগ্রহ থেকে যে বার্তাটি স্পষ্ট হয়, তা হচ্ছে তাঁরা চান তাঁদের মতামত যেন গুরুত্ব পায়। দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে ক্ষমতাধরদের কিছু বলার বা তাঁদের প্রশ্ন করার কোনো অধিকার সাধারণ মানুষের ছিল না। প্রতি পাঁচ বছরে একবার ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে অধিকার, সেটুকুও তাঁরা হারিয়েছিলেন। এই পটভূমিতে নাগরিকদের প্রথম চাওয়া হচ্ছে, তাঁদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়া। ভোট দেওয়ার অধিকার, কথা বলার অধিকার, প্রশ্ন করার অধিকার, সংগঠন করার
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

ইন্টারনেটে ভাইরালের যুগে সাংবাদিকতা

  এখন থেকে মাত্র দুই দশক আগেও খবরের জন্য আমরা প্রধানত: সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ঘটনার খবর রেডিও–টিভিতে সবসময় পাওয়া যেত না। যদি পাওয়াও যেত, তাতে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রধানত: থাকত মূল ঘটনা। কিন্তু খুঁটিনাটি বিবরণ, কিম্বা তার পটভূমি ও সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জানা ও বোঝার জন্য সংবাদপত্রই ছিল ভরসা। ২০০৪ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকের যাত্রা শুরু হলো। আমাদের অঞ্চলে তা জনপ্রিয় হতে আরও কয়েক বছর সময় কেটে গেছে। ২০০৫ এ আসলো আরেক বিস্ময় – ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব। পরের বছর ২০০৬ এ এসেছে মাইক্রোব্লগিং নামের আরেক মাধ্যম টুইটার, যাতে মাত্র ১৪০ অক্ষরে খবর প্রচারের চল শুরু হয়। এরপর যোগ হয়েছে আরও আরও অনেকগুলো প্লাটফর্ম।  প্রথম প্রথম এসব মাধ্যমের বিষয়ে অনেকের মনেই কিছুটা সংশয় ও সন্দেহ ছিল। অনেকে জড়তাও অনুভব করতেন। কিন্তু গত এক থেকে দেড় দশকে এর প্রসার এতটাই ঘটেছে যে মূলধারার সংবাদমাধ্যমকে এখন রীতিমতো এই নতুন বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। লড়াইটা সহজ নয়। কেননা সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমগুলো অনেককে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতায়িত করেছে। হাজার হাজার তো

স্বৈরতন্ত্রের কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার নিকৃষ্ট পরিণতি

ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কথিত মন্তব্যে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণ এবং সম্প্রতি মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতায় পরস্পরবিরোধী মন্তব্য – এই দুইয়ের একটি যে অসত্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তাঁর দপ্তর যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা–ও অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশাপূর্ণ। তিনি সর্বশেষ বিবৃতিতেও মতিউর রহমান চৌধুরীকে অসত্য কথা বলার বিষয়টি স্বীকার যেমন করেন নি, তেমনি এমন দাবিও করেননি যে তাঁকে ভূলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।  ৫ আগস্ট যদি তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রশ্নে অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তা খুবই গুরুতর হিসাবে বিবেচিত হতে বাধ্য। কেননা তা ছিল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের তথ্য। আবার যদি তিনি মানবজমিন সম্পাদকের কাছে আলাপচারিতায় অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তাঁর কাছে যে দেশবাসী প্রশ্নের জবাব চাইতে পারে, তা হলো অর্ন্তবর্তী সরকার যখন সবকিছু গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছে, দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টা চলছে, তখন তিনি কেন এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন? তাঁর উদ্দেশ্য

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে স্বৈরশাসকের ফেরা সহজ

  গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যর্থতা ও স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রুপ প্রত্যক্ষ করার পর অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদকালে যে সব বিষয়ে সংস্কারের আলোপ চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের পতনের পর নির্বাচনকে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যম হিসাবে যেভাবে প্রতিষ্ঠার কথা ছিল, তা থেকে প্রধান দুই দলই বিচ্যূত হয়েছিল। পরিণতিতে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা দখলের হিংসাত্মক খেলায় পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নির্বাচনকে নানা রকম প্রহসনে পরিণত করে।  এই সমস্যার এক অতি সরলীকৃত সমাধান হিসাবে বলা হচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।  সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনে একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে তারা সংসদের আসন পাবে। এ আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নাম দল আগাম ঘোষণা করতেও পারে, আবার না–ও পারে। নাম প্রকাশ করা হলে সেটা হবে মুক্ত তালিকা

When uprising upends South Asia’s geopolitics

India is now grappling with the delicate task of finding a sanctuary for the ousted Sheikh Hasina, who had long been a steadfast and trusted ally in South Asia. The decision is aimed at preventing further deterioration in its already strained relations with Bangladesh. Meanwhile, the new interim government, led by Nobel laureate Dr. Yunus, seems to be gathering momentum and is poised to reshape the regional political landscape. Once celebrated as an “Iron Lady” for bringing stability—an essential prerequisite for business, whether for democratic or authoritarian powers—Hasina’s dislodgement by a popular uprising now compels every major global player to reassess their strategies. Hasina’s fall from power has been marked by a violent and disgraceful exit, which resulted in approximately 1,500 deaths, including children. This tragic outcome underscores one of the bloodiest modern-day attempts by any dictator to cling to power. Her efforts crumbled when security chiefs refused to shoot civ

চোরতন্ত্রের সুবিধাভোগীরা ছাড় পাবে না তো ?

  এখন প্রতিদিনই খবরের তালিকায় কোনো না কোনো রাজনীতিক এবং সাবেক আমলার গ্রেপ্তারের খবর ছাপা হয়। প্রথম আলোর হিসাবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে (১ থেকে ৭ অক্টোবর) সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭ হাজার ১৮ জন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে পলায়নের দুই মাসে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা কত, তা জানা সম্ভব না হলেও একটা ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায় অক্টোবরের আগে ধরপাকড় ছিল খুবই সীমিত। পুলিশি ব্যবস্থা ভোঙ্গে পড়াই মূলত তার কারণ। বিধ্বস্ত থানাগুলোর বিকল্প খোঁজা অথবা সেগুলো মেরামত করে ব্যবহারোপযোগী করার জন্যও কিছুটা সময় কেটে গেছে।  আটককৃতদের মধ্যে কতজন রাজনীতিক, কতজন আমলা, কিম্বা কতজন অর্থনৈতিক অপরাধী – তার কোনো বিশদ হিসাবও জানা যায়নি। অন্তত: কোনো সংবাদমাধ্যমে সেরকম বিশ্লেষণ চোখে পড়েনি।  আইন–শৃঙ্খলাবাহিনীর যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজটি শেষ হয়েছে কিনা, তা–ও স্পষ্ট নয়। শুরুর দিকে পুলিশের শীর্ষপর্য়ায়ের কয়েকজন এবং সশস্ত্রবাহিনীর জনা তিনেক পদস্থ কর্মকর্তাও  গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু তাতে যে এসব বাহিনীর ভেতরের অন্য অপরাধীরা পার পাবে না, তা কেউই জোর দিয়ে বলতে পারে না। বিশেষত:

We need a human rights agenda for transition to democracy

The transition from autocracy to democracy that we are currently undergoing has been described by United Nations Human Rights Chief Volker Türk as "a historic opportunity to ensure governance is anchored in human rights, inclusivity, and rule of law." In a statement on August 16, he added, "The transition ahead presents a historic opportunity to reform and revitalise the country’s institutions, to restore fundamental freedoms and civic space, and to give all in Bangladesh a part in building the future." As we move forward with several reform agendas that can be implemented within a short timeframe, it is essential to have a national conversation on what "governance anchored in human rights" should truly look like. Despite repeated denials by successive governments since independence, numerous UN human rights reports have documented various violations and shortcomings in political, social, and cultural rights. The past 15 years, however, have seen the most