গত প্রায় সাড়ে চার বছরের মামলার যেসব হিসাব বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গবেষকরা করেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ হয়েছে মূলত সরকার কিম্বা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা এবং মুক্তচিন্তা দমনে। এসব মামলার অধিকাংশই হয়েছে নেতা কিম্বা রাষ্ট্রের মর্যাদাহানির অভিযোগ তুলে। তারপর আছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ। মামলায় সংক্ষুব্ধ পক্ষ সব সময় রাষ্ট্র বা সরকার না হলেও সরকারের মদদপুষ্ট কিম্বা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যাক্তিরা। আইনটি ভিন্নমত, সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে যে কারণে তা হলো, আইনটির অনেকগুলো ধারাই অজামিনযোগ্য। ফলে কাউকে শিক্ষা দিতে হলে জেলের ভাত খাওয়ানোর এক মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে এটি, যেমনটি এককালে ছিল বিশেষ ক্ষমতা আইন। ঈদের ছুটির আগে ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিনে পাশাপাশি দুটো সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা’ অভিন্ন শিরোনামের নিচে পাশাপাশি ছাপা হওয়া সংবাদ দুটির নিজস্ব শিরোনাম ছিল যথাক্রমে – ’মেয়েটার কিডনিতে সমস্যা’ এবং ’ঋণ করে ছেলের মামলার খরচ যোগাচ্ছি’। মামলায় অভিযুক্ত দুজন সদ্য কৈশোর পেরুনো তরুণ–তরুণীর ...