সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর প্রস্তুতি প্রয়োজন কেন

কূটনীতির আলোচনায় গত এক দশকে আমরা যে কথাটি সবচেয়ে বেশি শুনেছি, তা হলো ’ভারত-বাংলাদেশ বন্ধৃত্ব এখন অনন্য উচ্চতায়’। কিন্তু, গত সপ্তাহে আমরা শুনলাম, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। এটি তাঁর কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা ছিল না, বরং সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের যৌথ সম্মেলনের নির্দেশনা।  আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রাজনাথ সিংয়ের এই বক্তব্যে তিনি যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন। অবাক হওয়ার কথাটা কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে তিনি বলতেই পারেন। সুতরাং ’ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধবিগ্রহের কোনো আশঙ্কা’ না থাকার কথাও  তিনি যে বলবেন, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল যে রাজনৈতিক পরিবর্তন, সে বিষয়ে ভারতের সরকারি মহলের মূল্যায়ন যে ভুল এবং বিপজ্জনক – এই কথাটুকু স্পষ্ট করে বলা খুবই জরুরি।  দুই কারণে এই ভুলের কথা বলা দরকার। প্রথমত: ইউক্রেন এবং গাজায় যে সংঘাত চলছে, তা বিদেশি শক্তির আগ

What reforms does the media need in Bangladesh?

  The insurrection that toppled the autocratic regime of Sheikh Hasina has cost at least 800 deaths including 92 children. It has also taken the lives of five journalists, according to Voice of America. The extreme brutality employed by the security forces and the supporters of Awami League also maimed thousands of others, and again those injured include journalists, though their exact numbers are yet to be determined.  Though those victims belonging to the media were largely being targeted by police and AL activists, regrettably there were quite a few who were subjected to protesters’ backlash. Several TV channels and newspaper offices have been attacked, disrupting their broadcasts and publications. In Khulna, the press club was set on fire. In Chittagong and several other places, there have been attempts to attack and set fire to press clubs.  It is, therefore, crucial to introspect why democracy-supporting protesters attacked one of the most important institutions of democracy: the

রক্তাক্ত জুলাইয়ের নৃশংসতার বিচারকে অগ্রাধিকার দিন

ইয়ামিনের নাম হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা, কিংবা মনে রাখিনি। ইয়ামিন হচ্ছে সেই ছেলে, যাকে মড়ার মতো পড়ে থাকা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল পুলিশের সাঁজোয়া যানের ছাদে। সেখান থেকে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেয় পুলিশের এক সদস্য। তাঁর একটি পা আটকে যায় সাঁজোয়া যানের চাকায়। এরপর দেখা গেল, সেই পুলিশ গাড়ি থেকে নেমে আহত ইয়ামিনকে পিচঢালা সড়কের ওপর টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে নিচ্ছেন। তখনো ওই তরুণ জীবিত। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া তো দূরের কথা, সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে আরেক পাশে ফেলে দেওয়া হলো তাঁকে। ভিডিওটি প্রথম যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে, তখন বিশ্বাস হয়নি এমন বর্বর নিষ্ঠুরতা বাংলাদেশে ঘটতে পারে। মনে হয়েছিল, এটা হয়তো গাজার ছবি, যেখানে ইসরায়েলী সেনারা ফিলিস্তিনিদের মানুষ গণ্য করেন না।  ইয়ামিনের জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলোর করুণ ভিডিওটি ১৮ জুলাইয়ের হলেও তার এক বা দু’দিন পর ইন্টারনেট আবার সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সেটাই যে পুলিশের চরম নিষ্ঠূরতার একমাত্র নজির ছিল না, তা পরের দিনগুলোয় স্পষ্ট হতে থাকে। ষ্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটার প্রায় চার সপ্তাহ হতে চলেছে, অথচ এখনো নতুন নতুন অজানা–অদেখা ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে এবং কল