সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দ্রব্যমূল্য, ন্যায়বিচারের ব্র্যান্ড ও টিকার খরচ

 কার্যকর বিরোধী দলহীন রাষ্ট্রে আমাদের মন্ত্রীরা কি কোনো অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীর ভয়ে অস্থিরতায় ভুগছেন?, নিশ্চিত করে তা বলা মুশকিল। এই প্রশ্ন কেন উঠছে তা ব্যাখ্যার জন্যএখানে দুটি উদাহরণ দেওয়া যায়। ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করা যাঁর পেশা, সেই ব্যবসায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আত্মপক্ষ সমর্থনে সম্প্রতি বলেছেন, ``দুর্ভাগ্য আমার, উকিল যখন পার্লামেন্ট মেম্বার হয়, ডাক্তার যখন হয়, তাকে কেউ বলে না যে উকিল কেন আসছে? কিন্তু আমি ব্যবসায়ী বলে আমার অপরাধ।`` 


নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং টিসিবি ট্রাকের পিছনে দীর্ঘ সারির পটভূমিতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যে ধরণের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস এ দেশে রয়েছে, তার আলোকে বলতেই হয় তিনি অপরাধী তো ননই, বরং ভাগ্যবান যে তার ছিটেফোঁটাও তাঁকে দেখতে হয়নি। তবে এ কারণে তাঁর ভুলে যাওয়া উচিত হবে না, সংসদে গত কয়েক দশকে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য ওক্ষমতাকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহারের যেসব কাহিনি অনেক সাংসদের ক্ষেত্রে শোনা যায়, তাতে জন-ধারণা নাকচ করা সহজ নয়। আর একথাও ঠিক একজন ডাক্তার বা আইনজীবীর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ ও নজির কমই। তার চেয়েও বড় কথা, স্বার্থের সংঘাত বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের প্রশ্নটি জনপ্রতিনিধিরা যত দিন প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোয় নিষ্পত্তি না করবেন, তত দিন ব্যাক্তিগতভাবে কেউ বিশেষ সুবিধা না নিলেও শুদ্ধতার সার্টিফিকেট লাভ করবেন - এমন প্রত্যাশা না করাই উচিত।


দ্বিতীয় উদাহরণটি কিছুটা গুরুতর এবং এতে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি্র প্রশ্ন জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১৯০ টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে পর্যালোচনা প্রকাশ করে সেই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের যে মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে, তা সরকারের তরফ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সরকারের এ অবস্থান জানাতে গিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ``গ্রামেগঞ্জে যাবেন, র‌্যাব ইজ অ্যা ব্র্যান্ড নেইম, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য র‌্যাব ব্র্যান্ড নেইম –।`` ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য র‍্যাব যদি ব্র্যান্ড নেইম হয়, তাহলে দেশের আদালত ও বিচারব্যবস্থার ভূমিকা কী? বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুমের অভিযোগগুলোকে `ন্যয়বিচার` অভিহিত করে উনি কি তাহলে সত্য স্বীকার করে নিলেন? নিজ দেশের বিচার বিভাগের কোন রুপ তিনি বর্হিবিশ্বের কাছে তুলে ধরলেন? এতে কি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হলো?  


দেশে শক্তিশালী বিরোধীদল নেই বলে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আক্ষেপ করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাহলে মন্ত্রীরা ছায়া দেখেই কী ঘাবড়ে যাচ্ছেন? নির্বাচন তো এখনও অনেক দূরে। তবে আরো বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন রাজনীতির বাইরে - একজন শীর্ষ আমলা। দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি ও নানাধরণের দূর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই। জবাবদিহির প্রধান জায়গা সংসদকে  মনোনীত বিরোধীদল কার্যকর ফোরামে পরিণত করবে এমন আশা কেউই করে না। ভরসা যা, তা হচ্ছে হাতে গোণা কয়েকটি পত্রিকা, আর নাগরিক গোষ্ঠী বা বেসরকারি সংগঠন। তো সেরকম দুটি প্রতিষ্ঠান - ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিরুদ্ধে তোপ ঝেড়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। 


রাজনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব সাধারণত রাজনীতিকেরাই দিয়ে থাকেন, অন্য কারও তা দেওয়ার কথা নয়। ব্যাতিক্রম যে মাঝেমধ্যে ঘটে না, তা নয়। কিন্তু আহমদ কায়কাউসের ক্ষেত্রে বিস্ময় হচ্ছে তাঁর ভাষা। তিনি টিআইবিকে উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশকে চোর বলবেন, ফাজলামি নাকি?...টিআইবিতে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি বিএইচপি। পরিবেশদূষণের কারণে কোম্পানিটি বারবার জরিমানার মুখে পড়েছে। কেন তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন? আমাদের খালি চোর বলবেন; এটা তামাশা পেয়েছেন?’


করোনার টিকা কেনার স্বচ্ছতা নিয়ে টিআইবি প্রশ্ন তোলায় তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে, করোনার টিকা ক্রয়ে গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আমি টিকা ক্রয়ের ক্ষেত্রে দর–কষাকষির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমরা নাকি দুর্নীতি করেছি! আমরা তো টিকাগুলো এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে কিনেছি।’ টিআইবি অবশ্য তাঁর  কথার জবাব দিয়ে তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে তারা টিকা কেনায় ঘুষের কথা বলেনি, ঘুষের তথ্য উঠে এসেছে তাদের জরিপে টিকা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে, যাঁরা টিকা নেওয়ার জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। আর টিকা কেনায় সরকারের দেওয়া খরচের হিসাবে যে বড় ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সে কথাটি তুলে ধরে তারা বলেছে, প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং হিসাবটা যেন প্রকাশ করা হয়। টিআইবি এবং তাদের মূল সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কোথা থেকে কত টাকা পায়, তার হিসাব নিয়মিত তাদের আলাদা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। তাতে অবশ্য অস্ট্রেলীয় কোম্পানি বিএইচপির কোনো উল্লেখ পাওয়া গেল না। আহমদ কায়কাউসের তথ্যের সূত্র কী, তিনি যদি এবার প্রকাশ করতেন, তাহলে আমরা নতুন কিছু জানতে পারতাম।  


টিকা কেনায় হিসাবের গরমিল সামান্য কিছু টাকার নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত মার্চে জানিয়েছেন, করোনার টিকা কেনা ও টিকাদান কার্যক্রম মিলে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আর স্বাস্থ্য সচিবের হিসাব অনুযায়ী শুধু টিকা কেনার জন্যই খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। টিআইবি বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখছে টিকার প্রাক্কলিত ক্রয়মূল্য ও টিকা ব্যবস্থাপনার প্রাক্কলিত মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। বেশি হলে তা হতে পারে ১৬ হাজার ৭২১ কোটি। তাহলে টিআইবির `তামাশা`র জবাবে মূখ্য সচিব হিসাবটা প্রকাশ করলেন না কেন? তিনি তো বলছেন দর-কষাকষিতে তিনি ছিলেন। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, আমাদের অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আমরাই টিকা সবচেয়ে বেশি দামে কিনেছি। নেপাল যে টিকা প্রতি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশি টাকার হিসাবে ৩৬২ তে, সেখানে আমরা কিনেছি তার প্রায় চার গুণ ১ হাজার ৫৫৯ টাকা দামে। টিআইবিসহ আমাদের সবার তাহলে উচিত ছিল দেশের পক্ষে দর কষাকষির যোগ্যতা-দক্ষতার তারিফ করা! আর বিশ্বব্যাংকের প্রকাশ করা নথি বলছে তারা মাত্র ১২ কোটি ডলার বা এক হাজার কোটি টাকার মত টিকা কেনায় সহায়তা করেছে, সেটাও ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিউট ও বেক্সিমকোর কাছ থেকে। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যে টিকা এসেছে তার দাম তো সব দেশের বেলায় এক হওয়ার কথা, কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার দর নির্ধারণ করেছে। আমাদের নিজস্ব ক্রয় ৯ কোটি ডোজের কিছু বেশি। সেই ৯ কোটি ডোজের গড়েই আমাদের টিকার দাম প্রতিবেশিদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এখন তাহলে আমরা কি টিআইবিকে বলবো যে তারা যেন সরকারকে বাহবা দেয়? 


আহমদ কায়কাউস বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘উনারা (সিপিডি) বলেন, আমাদের বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে। আমাদের কোন প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে, বলেন?` তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (সিপিডি) সব সময় আমাদের দুর্নীতিবাজ বানিয়ে দিচ্ছেন। হোয়াট ইজ দিস (এটা কী)? ...আমরা এই মাটির সন্তান। আমরা আমাদের কাজ করছি। সব সময় নেতিবাচক কথা বললে তো হবে না।’ সিপিডির ওয়েবসাইটে যে পরিচালনা কাঠামো দেওয়া আছে তাতে এমন কাউকে পাওয়া গেল না, যিনি এই মাটির সন্তান নন। আর রাস্তা ও সেতু নির্মাণের মতো অবকাঠামো খাতে খরচের ক্ষেত্রে আমরা যে উন্নত দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি, সিপিডির বোধহয় উচিত ছিল সে জন্য জাতির অংশ হিসাবে নিজেদের অভিনন্দিত করা! 


(২১ এপ্রিল, ২০২২-`র প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত।)


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে স্বৈরশাসকের ফেরা সহজ

  গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যর্থতা ও স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রুপ প্রত্যক্ষ করার পর অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদকালে যে সব বিষয়ে সংস্কারের আলোপ চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের পতনের পর নির্বাচনকে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যম হিসাবে যেভাবে প্রতিষ্ঠার কথা ছিল, তা থেকে প্রধান দুই দলই বিচ্যূত হয়েছিল। পরিণতিতে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা দখলের হিংসাত্মক খেলায় পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নির্বাচনকে নানা রকম প্রহসনে পরিণত করে।  এই সমস্যার এক অতি সরলীকৃত সমাধান হিসাবে বলা হচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।  সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনে একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে তারা সংসদের আসন পাবে। এ আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নাম দল আগাম ঘোষণা করতেও পারে, আবার না–ও পারে। নাম প্রকাশ করা হলে সেটা হব...

How to Describe the Awami League Accurately?

In an article titled ‘How Not to Describe the Awami League’ , published in this paper, British journalist David Bergman rightly underscores the importance of accuracy in labeling a political party—particularly when such labels carry potential legal consequences. Those familiar with Bergman’s work over the years know that he has consistently taken on politically sensitive and controversial subjects, often at significant personal and professional cost. His courage and commitment to journalistic integrity deserve recognition. Bergman is correct in asserting that “while serious criticisms of the Awami League are both valid and necessary, they must be proportionate and grounded in fact.” His analysis focuses primarily on the legal validity and appropriateness of labeling the Awami League as “fascist” or “Nazi.” He argues that comparing the party to the Nazi regime trivialises the scale of Nazi atrocities and misrepresents the complexities of Bangladeshi politics. Indeed, any historical comp...

ঘৃণা চাষের উর্বর ভূমি ও রাজনৈতিক সংকট

  দেশে একের পর এক অস্থিরতা সৃষ্টির বেশ কয়েকটি ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। এগুলোর কোনোটিই প্রত্যাশিত ছিল না। অনেকেই এগুলো নির্বাচন যাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত সময়ে না হয়, তার জন্য পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টির পিছনে প্রধানত: দুটি শক্তিকে দায়ী করা হচ্ছে – একটি হচ্ছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পলাতক নেতৃত্বের সাংগঠনিক উদ্যোগ; অপরটি হচ্ছে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) সুবাদে সমাজে প্রভাব বিস্তারে দক্ষতা অর্জনকারী কিছু প্রভাবক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। এসব প্লাটফর্ম বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।  আপনি যদি কাউকে অপদস্থ বা হেয় করতে চান, তাহলে তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান সম্ভবত:  সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো একটি প্লাটফর্ম – বাংলাদেশে এটি ফেসবুক এবং ইউটিউব। বৈশ্বিক পরিসরে অবশ্য এক্স (সাবেক টুইটার) এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোয় এই সোশ্যাল মিডিয়া কী ভূমিকা রেখেছে, তা জাতিসংঘ তদন্...