সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাংলাদেশ কেন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মডেল হবে

  ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই একটা মডেল হিসাবে নিয়েছে এবং নতুন নতুন নজির তৈরি করছে । এ বছরেই ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সূচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ’আমরা তাকিয়ে আছি, বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে, এটা নিশ্চিত করতে যে সেখানে ওই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের একটি শক্তিশালী নজির তৈরি হবে।’ বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মডেল তৈরির সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন যে বেশ অবিচল, একের পর এক বিভিন্ন পদক্ষেপে তা এখন নিশ্চয়ই স্পষ্ট হয়েছে।  একদিকে ক্ষমতায় ফেরার জন্য ব্যাকুল বিরোধীদল বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এবং গত দুটি নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার কারণে ক্ষুব্ধ বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের এ সব পদক্ষেপ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। বিপরীতে, আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীরা একে তাদের ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্র হিসাবেই চিত্রিত করছে। এর সম্ভাব্য কারণ হয়তো তারা সত্যিই বুঝতে পারছে যে সত্যিকার নির্বাচন বলতে যা ...

Why is the EU pulling out of observing our election?

After exactly 4 years and 11 months, we saw with huge disappointment that the European Union has decided not to deploy a full-fledged election monitoring mission in Bangladesh for the coming parliamentary elections. It was  October 18, 2018,   that the then EU delegation chief in Dhaka communicated their decision to the then chief election commissioner K M Nurul Huda that they would not be sending an election observation mission. At that time the EU didn’t give any reason for its decision. It, however, said that they would send two experts with a mandate to work on the electoral process and submit their recommendations to the European Commission. Since then we have not heard anything about their visit, recommendations, and the purpose of such exercise. This time, the EU has explained the reasons behind its decision for refraining from election monitoring to the Election Commission. But there was no public announcement. According to EC Secretary Jahangir Alam, the EU decision h...

হেফাজত–কান্ডে সংখ্যার ’ভুল’ কি শুধু অধিকারের

  ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকায় সমাবেশ ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনাবলি নি:সন্দেহে সমসাময়িক কালে রাষ্ট্রে তোলপাড় তৈরি করা একটি ঘটনা। সে দিনের সমাবেশ ঘিরে হঠাৎ যে উত্তাপ ও তান্ডব ঘটে গেছে, তার প্রভাব রাজনীতিতে এখনো গভীরভাবে অনুভূত হয়। কিন্তু ঘটনাটি সম্পর্কে সব প্রশ্নের যে উত্তর মিলেছে, সে কথা কেউই বলতে পারি না । সরকারিভাবে বলা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ন্যূনতম শক্তিপ্রয়োগ করে হেফাজতের সমাবেশে অবস্থানকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির আজও নিরসন ঘটেনি। ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বরের সমকাল পত্রিকার একটি সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে, ’হেফাজতের তান্ডবের শ্বেতপত্র’। তার নীচে একটু ছোট করে দুটো তথ্য দেওয়া আছে, ’মৃতের সংখ্য ৩৯ জন’, এবং ’জামায়ত নিষিদ্ধের দাবি’। শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করেছিল বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত একটি গণকমিশন, যার সদস্যসচিব ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। সমকালের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সরকারি উদ্যোগে কমিশন গঠন না করায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে ওই গণকমিশ...

Odhikar duo’s convictions are regrettable

  Most recently, Bangladesh again found a place in global media headlines. Sadly, it was for convicting and imprisoning two of its most prominent human rights defenders, Adilur Rahman Khan and Nasiruddin Elan of Odhikar. This is the first awarding of jail term to any human rights defender in Bangladesh in since independence. Adilur founded  human rights organisation Odhikar in 1994. With an initial slow start, it soon became a leading independent rights monitoring group. Since then, it has been diligently documenting all kinds of violations of human rights by both state agencies, and non-state actors.   Odhikar’s annual reports on rights dating back to 2004 are still available on the organisation’s website. These reports contain well-sourced data about custodial deaths, crossfires, extrajudicial killings, detentions without trial, use of force to break up political and union protests, violences against minorities and women, border killings, and most other violations ...

Do Bangladeshis want democracy?

  The recent survey by Open Society Foundation titled ‘Open Society Barometer: Can democracy deliver’ appears to have rekindled some hope as it found that, globally, 86 percent people have faith in democracy. Perhaps it’s even more encouraging for us as the percentage of faithfuls in democracy in Bangladesh is five percent higher than the global average. However, to overlook the small print would mean not noticing the danger signals as democratic backsliding globally, and in our homeland, could lead us to a nightmarish situation.  It is already ironic that while we are observing the International Democracy day today, the most authoritative evaluation of the state of democracy worldwide, V-dem Institute’s Democracy Report 202 3 noted that “Advances in global levels of democracy made over the last 35 years” were “wiped out.” V-Dem Institute, under the University of Gothenburg  in Sweden produces the largest global dataset on democracy for 202 countries from 1789 to 2022. V...

সেলফি কূটনীতি, বাণিজ্য ও নির্বাচনী রাজনীতি

কূটনৈতিক পরিসরে গেল সপ্তাহ ছিল বাংলাদেশের জন্য সম্ভবত সবচেয়ে ঘটনাবহুল, নজরকাড়া ও আলোচিত। বহু দশক পরে ঢাকার মাটিতে পা ফেলেন ইউক্রেন আগ্রাসনের জন্য প্রায় একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তারপর শিল্পোন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর জোট জি ২০–এর শীর্ষ সম্মেলনে আয়োজক ভারতের আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা দিল্লি যান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সেলফি তোলা এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিশেষ সৌজন্য প্রকাশের ঘটনা।  ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা নিয়ে যতটা কৌতুহল ও জল্পনা ছিল, তা ততটা আলোচিত হলো না। এরপর ঢাকায় ঝটিকা সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল এমানুয়েল মাখোঁ বাংলাদেশিদের মন জয় করতে যা করে গেলেন, তার রেশ এখনও তরতাজা। কয়েকটা দিন যে সরকারের জন্য বেশ ফুরফুরে ছিল, সন্দেহ নেই। তবে তার স্থায়িত্ব নিশ্চিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য...

The global leaders supporting Yunus are not villains

It’s quite intriguing to see that the attack aimed at Bangladesh’s Nobel Laureate Prof Muhammad Yunus has turned into a campaign against more than a hundred laureates and some leading global figures. It all started after they issued a statement expressing concerns about alleged judicial harassment of Prof Yunus, as well as threats to democracy and human rights. The campaign is particularly at odds with the prime minister’s offer to welcome international experts and lawyers to visit Bangladesh and assess legal proceedings centering Yunus. Following the statement, local authorities condemned the global leaders saying that the latter have attacked “ Bangladesh’s legal system and judiciary.” Some of their reactions are hysterical. For example, the vice-chancellor of the country’s top educational institution, Dhaka University, has gone to the extent of terming those global personalities ‘people without principles’.  Criticising others is a right that we all have, but the criticism must ...

নীরবে গণতন্ত্র ধ্বংস, না সুষ্ঠু নির্বাচন

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানামুখী জল্পনার মধ্যে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ২ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সদস্যদের কী ধরণের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তার একটি বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক পত্রিকা অনলাইনে নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনটির অনুবাদ  প্রকাশ করেছে।  ইত্তেফাক–এর অনলাইনে শিরোনামটির বাংলা করা হয়েছে নীরবে ধ্বংস করা হচ্ছে একটি গণতন্ত্র। মূল শিরোনামের একটি অংশ অনুবাদে বাদ পড়েছে, যাতে ছিল অযুত সংখ্যক (মিলিয়নস) বিচারের মুখোমুখি। বিএনপিকে উদ্ধৃত করে তারা বলেছে, দলটির পঞ্চাশ লাখ সদস্যের আনুমানিক অর্ধেকই মামলার আসামি। কেউ কেউ ডজনখানেক, আবার কেউ কেউ এমনকি  কয়েক শ মামলার আসামি। এদের দিন কাটে আদালতের বারান্দা অথবা কাঠগড়ায়। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজনের অভিজ্ঞতার বিবরণও রয়েছে।  এর ঠিক চারদিন পর ঢাকার পত্রিকা  দৈনিক সমকাল ’পুরোনো মামলা চাঙ্গা, যোগ হচ্ছে নতুনও’ শিরোনামের প্রতিবেদনে লিখেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার এবং এগুলোর  আসামির সংখ্...