সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

In Bangladesh’s sham election, the only real contest is geopolitical

On 7 January, Bangladesh’s prime minister, Sheikh Hasina, is set to claim re-election in what some observers have called “staged polling”, the opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) has termed a “dummy election” and   The Economist  has described as a “farce”. Desperate to avoid a genuine democratic exercise, Hasina’s government has preemptively removed its only real challenger from the field. More than twenty thousand BNP activists are behind bars, as are key BNP leaders, and the opposition party has decided to boycott the election rather than contest an unfair vote. The farce is best explained with the facts. For the 300 directly elected seats in Bangladesh’s parliament, the ruling Awami League has official nominees in 263 constituencies. In addition, it also has 269 party members standing as “independent” candidates, meaning there are two or sometimes even more Awami League candidates in many places – and that’s not counting the candidates of other parties allied to ...

৭ জানুয়ারির আয়োজন থেকে যেসব শিক্ষা মিলছে

  শত্রুর ( বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি অথবা সরকারবিরোধী যে কোনো দলের নাম পড়া যেতে পারে) মুখে ছাই দিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নামক আয়োজন প্রমাণ করে দিচ্ছে, দেশে আসলেই চমক লাগানো উন্নয়ন হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যে হলফনামা দিতে হয়, সম্পদের বিবরণ ও আয়কর দেওয়ার প্রমাণ দিতে হয়, তা থেকে প্রার্থীদের সম্পদ ও আয় বৃদ্ধির যেসব চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে যারা উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করেন, তাদের নিশ্চয়ই মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় বৃদ্ধির হিসাব নিয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশই থাকতে পারে না। সপ্তাহ দুয়েক ধরে সংবাদমাধ্যমে প্রার্থীদের সম্পদ ও আয় দুটোই কমেছে, এমন কারও কথা শোনা গেল না। শতকারা নব্বুই শতাংশের সম্পদ বেড়েছে, কারও ৪ গুণ, কারও ৪০০ গুণ, সর্ব্বোচ্চ ৬০০ গুণের বেশি । বর্তমান যুগে কারো কাছে নগদ টাকা কোটিরও বেশি থাকতে পারে, এমনটা ধারণা করাও কঠিন। কিন্তু আছে; কারও কারও কাছে কয়েক কোটি নগদ টাকা আছে।  তবে সরকারবিরোধীরা নির্বাচন না করায় নির্বাচন শুধু যে একতরফা হচ্ছে, তা নয়; সরকার–সমর্থকদের সমৃদ্ধির চিত্র প্রকাশের ব্যাপারটাও একতরফা হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ক্ষমতার রাজনীতির সঙ্গে ’ব্যাংক ডাকাত’, ’শে...

Forced voting to fool the world?

Bangladesh has had two elections since the system of a non-partisan caretaker government overseeing elections was abolished. One was boycotted by most of the parties except the allies of the ruling Awami League, and the other was participated in by all the registered and unregistered parties. In reality, neither could be termed participatory, as voters were practically disenfranchised on both occasions. As we approach the third consecutive election to be held under the AL administration—which has so far been a restaging of 2014, due to the boycott by opposition parties—one question that worries everyone is: how will the world react? It is clear why Awami League is so desperate to make January 7, 2024 look like a genuine competition, without any real competitors. Allowing aspirants of ruling party tickets to run as independents against ruling party nominees has already resulted in numerous bloody, internecine conflicts. Discontent among the ruling party’s allies, too, makes the future o...

ভারত কেন গণতন্ত্রের বদলে স্থিতিশীলতার কথা বলছে

শুরুতেই চলতি সপ্তাহের দুটো খবরের দিকে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথমটি  বাংলাদেশের সরকারি বার্তা সংস্থা, বাসসের  ১৭ ডিসেম্বরের একটি প্রতিবেদন। এতে তারা জানিয়েছে, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেছেন, ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী। কারণ, তিনি স্বৈরাচার থেকে  দেশকে মুক্ত করেছেন।’ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে দেশটির অবস্থান’ শীর্ষক একটি আলোচনায় তিনি ছিলেন মূল বক্তা। তিনি আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ’বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় তিনি এখানে দারুণ আনন্দ দেখতে পাচ্ছেন।’   দ্বিতীয় খবরটিও ভারতের আরেকজন সাবেক কূটনীতিকের বক্তব্যসম্পর্কিত, যা তিনি ১৮ ডিসেম্বর ঢাকাতেই একটি দৈনিকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেছেন। বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কে নির্বাচিত হবেন, সে বিষয়ে দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটা বোঝা যে নির্বাচনে আসতে হবে।...

Bargaining for victory is anything but an election

  Exactly six months ago, BNP’s secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir, who is now in prison charged with subversive acts in nearly a dozen new cases,  expressed his apprehension that the government wanted to keep BNP out of the election. Police reportedly filed these new cases after the violent ending of BNP’s grand rally on October 28. He already had about 84 cases pending, stemming from his party’s campaign for reintroduction of election time caretaker government since 2013, after the ruling party Awami League unilaterally abolished it, relying on its super majority in parliament and a controversial court verdict.  On July 15, Fakhrul told journalists that by randomly implicating BNP leaders and activists in false cases, reviving cold cases, and fast tracking trials the government wanted to ensure it would keep BNP out of the election race. By the time polling schedule was announced, his apprehension became true, as most of his senior colleagues and thousands o...

সরকার কি আসলেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনছে?

  নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের পরেও বিভিন্ন রকমের চাপ আসতে পারে। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির অশুভ পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।’ ৯ ডিসেম্বর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের একথা বলেন। এর আগে, ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বলেন – আগামী বছরের মার্চের দিকে দেশে ‘‌দুর্ভিক্ষ ঘটানোর’ দেশী-বিদেশী পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর বক্তব্যটি যে গুরুতর উদ্বেগ ও আশঙ্কার জন্ম দিতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে দেশে যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে পড়েছে।  সরকার যেখানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো সাফল্য দেখাতে পারছে না, তখন এরকম উদ্বেগজনক সম্ভাবনার কথা তথ্যভিত্তিক না হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। শুধু নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিদেশিদের ষড়যন্ত্রে তাল মিলিয়ে বিপর্যস্ত বিএনপি দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে পারে – এমন দাবি রাজনৈতিক প্রচারে সুবিধা দিলেও তা খুবই বিপজ্জনক এ...

We must raise our voices against injustices everywhere at once

It’s ironic that the 75th anniversary of two international instruments - the Universal Declaration of Human Rights (UDHR) and the UN Convention on Genocide - is being observed when the world is witnessing the killing spree on and forced displacement of Palestinians in Gaza via Israel’s military operation. This is the worst attack on Palestinians since the one that took place during the creation of the Jewish state, which Palestinians call Nakba (or, catastrophe). The creation of Israel resulted in the expulsion of at least 750,000 Palestinians from their homes and 78 percent of historic Palestine being overtaken. The remaining 22 percent was divided into what are now the occupied West Bank and the besieged Gaza Strip. After 75 years, it’s been feared that now, three times more Palestinians will be driven out from Gaza. The human rights declaration was approved by the UN general assembly on December 10, 1948, a day after the first human rights treaty, the Genocide Convention(the first h...

সুষ্ঠূ নির্বাচন : স্থিতিশীলতা নষ্টের যুক্তি কি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নয়

  বাংলাদেশের আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশের বাইরে আর্ন্তজাতিক পরিসরে যে আগ্রহ ও উদ্বেগ একটু বেশি, তা ইতিমধ্যে মোটামুটি স্পষ্ট হয়েছে। অনেকের ধারণা, বিভিন্ন দেশের বাড়তি আগ্রহের কারণ ভূ–রাজনীতির প্রশ্ন, আবার কারও কারও মতে বাণিজ্যিক স্বার্থ। তবে নির্বাচনে মানুষ যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে এবং তার স্বচ্ছ্বতা ও প্রতিযোগিতা সুষ্ঠূভাবে হয়, সে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র। তারা নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষে নয় বলে বারবার মন্ত্র উচ্চারণ করলেও সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের অনুসারীরা অভিযোগ করে চলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।  কয়েকটি বৃহৎ শক্তির পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাশিয়া সরাসরি বলেছে, বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবির আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সরকার প্রকাশ্যে এমন কিছু না বললেও সেখানকার পত্র–পত্রিকা ও বিশ্লেষকেরাও বলছেন, সুষ্ঠূ নির্বাচন দাবির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা হচ্ছে। চীনও এবিষয়ে পিছিয়ে নেই। তারা কোনো দেশের নাম সরাসরি ন...

দেশীয় রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের ভিন্ন পাঠ

  বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবির আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। গত ২২ নভেম্বর রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় এ অভিযোগ করেন। তিনি সেখানেই থামেন নি, বরং আরও বলেছেন যে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী মহাসমাবেশ আয়োজনে বিরোধী দলের সঙ্গে পরিকল্পনা করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তাঁর ওই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। দুই পরাশক্তির মধ্যে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক অভিযোগ নতুন কিছু নয়, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্য অভিযোগ নতুন সংযোজন।  গত সপ্তাহে একটি টিভি চ্যানেলে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মন্টিটস্কির বিশেষ সাক্ষাৎকার শুনলাম। সাক্ষাৎকারের প্রথম প্রশ্নই ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদের কথিত নাক গলানোর বিষয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের স্পর্শকাতরতার পটভূমিতে নির্বাচনী মৌসুমে এর...