সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দূর্বল গণতন্ত্রে নির্বাচন নয়, ক্ষমতা ভাগাভাগিই শ্রেয়

‘ দূর্বল গণতন্ত্রে নির্বাচন নয়, ক্ষমতা ভাগাভাগিই শ্রেয় ‘ পাশ্চাত্যের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের এই নতুন তত্ত্ব অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু, না এটি কারো কোনো প্রলাপ নয়, বরং নতুন ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন)। প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি না গড়ে নির্বাচনী গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল যে ব্যর্থ হয়েছে সেটি মেনে নিয়েই ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পথ হিসাবে এই নতুন তত্ত্ব হাজির করেছে এলএসই-অক্সর্ফোড কমিশন অন স্টেট ফ্র্যাজিলিটি। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস (এলএসই) এবং অক্সর্ফোড ছাড়াও আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন এবং স্টানর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক এবং উন্নয়ন তহবিলের ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। এই কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে দূর্বল বা ঠুনকো গণতন্ত্রে প্রয়োজনে নির্বাচন বিলম্বিত করে প্রতিদ্বন্দীদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। ‘ এস্কেপিং দ্য ফ্র্যাজিলিটি ট্র্যাপ ‘ র্শীষক প্রতিবেদনটি গত ১৯ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ চৌদ্দটি দেশের ওপর পরিচালিত গবেষণা পর্যালোচনা ছাড়াও ...

কমনওয়েলথে গণতন্ত্রায়ণ

১. কমনওয়েলথের কথা উঠলেই বাংলাদেশে অনেকেরই মনে পড়ে স্যার   স্টিফেন নিনিয়ানের কথা। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি- এই দুই দলের জেদাজেদির রাজনীতিতে মধ্যস্থতার চেষ্টায় কমনওয়েলথের মহাসচিব এমেকা আনইয়াকুর প্রতিনিধি হিসাবে ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। নির্বাচনের একটা গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসাবে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে অনড় আওয়ামী লীগের (জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে) দেশ অচল করা আন্দোলনের মুখে অচলাবস্থা নিরসনে সেসময়ে এগিয়ে এসেছিলো কমনওয়েলথ। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদের নাক গলানোয় তখন অবশ্য আমাদের জাত যায় নি। ১৯৯১ সালে কমনওয়েলথ হারারে ঘোষণা গ্রহণ করে যাতে প্রথমবারের মত গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার করা হয়। বাংলোদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ১৯৯৪ সালে তাদের মধ্যস্থতার উদ্যোগটি ছিল একটি সাহসী প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে বিচ্যূতির কারণে এই হারারে ঘোষণার আলোকেই ২০০২ সালে কমনওয়েলথ জিম্বাবের সদস্যপদ স্থগিত করে এবং পরের বছর দেশটি নিজেরই জোট থেকে বেরিয়ে যায়। সংস্থাটি নিয়মিতভাবে সদস্য দেশগুলোর নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করে থাকে। বাংলাদেশেও সামরিক...

কোটা সংস্কারের যুবকম্প ঘিরে কিছু প্রশ্ন

কোটা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে তিন দিনের টানা উত্তেজনার পটভূমিতে প্রধানমন্ত্রী কোনো কোটাই রাখার প্রয়োজন নেই বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার আলোকে সরকারি আদেশ কী জারি হয়, তা জানার জন্য আমাদের হয়তো আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের যে ইতি ঘটেছে, তাতে সন্দেহ নেই। সুতরাং ঘটনাক্রমের স্মৃতি তাজা থাকা অবস্থায়ই এর একটা পর্যালোচনা প্রয়োজন। এই আন্দোলনকারীদের প্রথম বৈশিষ্ট্য তাঁদের বয়স। তাঁরা সারা বিশ্বে ‘মিলেনিয়ালস’ বা সহস্রাব্দের প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় প্রযুক্তি তাদের হাতের মুঠোয়। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে তাঁদের অনেকেই হাঁটতে শুরু করার আগেই মোবাইল ফোনে ছড়াগান শুনে অথবা কার্টুন দেখে অভ্যস্ত। প্রচলিত রীতিনীতি, আচারব্যবস্থা, যোগাযোগমাধ্যমের ওপর এই প্রজন্ম যে খুব নির্ভরশীল নয়, তার প্রমাণও তারা প্রতি পদে দিয়েছে। গভীর রাতে মোবাইল ফোনে তাদের সম্প্রচারের ক্ষমতাও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে যে ধরনের জমায়েতের জন্য দিনের পর দিন, কখনো কখনো মাসের পর মাস সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়, বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্য...

জাতিসংঘেও কোটা সংস্কারের প্রশ্ন

১ সরকারী চাকরিতে চালু কোটাব্যবস্থা সংস্কারের প্রশ্নে গত কিছুদিন ধরে যে আন্দোলন এবং জোর বিতর্ক চলছে তার যুক্তিগুলোর দিকে নজর দেওয়ায় সরকারের ন্যূনতম আগ্রহ না দেখানো খুবই দূর্ভাগ্যজনক। বিপরীতে,   আবেগনির্ভর     রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রসঙ্গ টেনে খোঁজা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। যেটি অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। অথচ, বিষয়টি এমন নয় যে এই কোটাব্যবস্থায় বঞ্চিত হচ্ছেন শুধুমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতাকারী কিম্বা রাজাকার-আলবদরদের বংশধররা।    ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ খুব সীমিত। ফলে, রাজনীতিতে পিছিয়ে থাকা নারীদের এগিয়ে নিতে সংসদে তাদের জন্য কোটা চালু হয় কয়েক দশক আগে। প্রধানমন্ত্রী এবং বড় দুই দলের প্রধান নারী এবং তাঁরা প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হলেও সামগ্রিকভাবে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনও যথেষ্ট নয়। ফলে, জাতীয় সংসদে সেই নারী কোটা বহাল আছে এবং আসনসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলেও নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল বিধিতে কোটা পূরণের বাধ্যবাধকতা রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণত কোটার...

রোহিঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা

গেল সপ্তাহে ঢাকায় একটি আঞ্চলিক ফোরামের শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়ে গেল। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় দেশগুলোর এই ফোরাম, বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) এর নিরাপত্তাপ্রধানদের এই বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমে এক অদ্ভূতরকমের নিস্পৃহতা লক্ষ্যণীয়। বৈঠকের আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের কোনো বিবরণ সংবাদপত্রের পাতায় স্থান পায়নি, বিশ্লেষণ তো দূরের কথা। বিমসটেক সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ২০১৭ সালের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তাপ্রধানদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই অঞ্চলের প্রথাগত এবং অপ্রথাগত অভিন্ন নিরাপত্তা হুমকিগুলো মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করা এবং তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের ওপর বৈঠকে জোর দেওয়া হয়। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ডকে নিয়ে এই আঞ্চলিক জোটটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল   ১৯৯৭ সালে। তখন সদস্য দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর দিয়ে এই জোটের পরিচিতি ঠিক করা হলেও পরে তাতে যুক্ত হয় নেপাল এবং ভুটান। এরপর, আদ্যক্ষরগুলো ঠিক রেখে নাম বদলানো হয়। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই আঞ্চলিক ...