দেশে প্রথমবারের মত করোনা শনাক্ত হওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার ফি নির্ধারণ করেছেন। এতোদিন সরকারিভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা বিনামূল্যে হওয়ায় সরকার মনে করছে অধিকাংশ মানুষ অপ্রয়োজনে এই পরীক্ষা করিয়েছে। কোনো উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করিয়েছে। সরকারের এই মনে করার সঙ্গে বাস্তবতার যে কত ফারাক তা গত কয়েকমাসের পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতার ছবিগুলোই বলে দেয়। পাতা ওল্টানোর প্রয়োজন হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে লাইনে রোদে পুড়ে অপেক্ষা করতে করতে পরীক্ষা করাতে না পেরে যে অসুস্থ বৃদ্ধ শাহবাগের রাস্তায় মরে পড়েছিলেন, তাঁর কথা এতোদিনে অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন। কিন্তু, মুগদা, শাহবাগ, মহাখালির ফুটপাতে রাতেরবেলাতেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অসুস্থ মানুষের দীর্ঘসারিতে অপেক্ষার কষ্টকর অভিজ্ঞতা যাঁদের হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে তাঁদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমলাদের এই বক্তব্য কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা ছাড়া অন্য কিছু নয়। উপসর্গ নেই কিন্তু তারপরও পরীক্ষা করিয়েছেন – এমন ব্যাক্তি অবশ্যেএকেবারে যে নেই, তা নয়। আর, এই তালিকায় সবার আগে মনে পড়ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের কথা...