সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গুম না হয়ে থাকলে স্বাধীন তদন্তে আপত্তি কেন

গুমের অভিযোগ নিয়ে জোর আলোচনার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সরকারের একটা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া গেছে। `গুম` শব্দটি ব্যবহার না করে সরকার বলেছে, কোনো ব্যাক্তি নিখোঁজ বলে জানানো হলে স্বজনদের দেওয়া তথ্য যথাযথ আইন অনুযায়ী তদন্তসাপেক্ষে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারের এ বক্তব্যে কি কিছুটা নতুনত্ব আছে? যদিও একই সঙ্গে বলা হয়েছে,  গুমের শিকার বলে ধারণা করা ব্যাক্তি অনেক ক্ষেত্রেই ফেরত এসে প্রমাণ করেছে গুমের অভিযোগ ঠিক নয়।


সরকার যাদের `নিখোঁজ` বলছে, তাদের উদ্ধারের জন্য তদন্ত, অর্থাৎ অভিযোগে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাইয়ের প্রয়োজনের কথাটা আগে শোনা যায়নি, বরং তাকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা দেশের ভিতরে রাজনৈতিক বক্তৃতায় এখনো একই কথা বলে চলেছেন। অভিযোগের তদন্ত প্রয়োজন, সে কথা স্বীকার করতে চান নি। তদন্ত কেন প্রয়োজন, তা মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া সরকারের বক্তব্যে কিছুটা হলেও উঠে এসেছে। যখন বলা হচ্ছে, 'দুষ্কৃতকারীরা' আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে 'অপহরণ'-এর মতো অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে বলে একটি প্রবণতা সরকার লক্ষ্য করছ, তখন এ তদন্ত অপরিহার্য। সবটাই তো আর পরিচয় ব্যবহার করা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এধরনের অপরাধ করছে না, তা প্রমাণ করতে হলেও তদন্ত প্রয়োজন।  


এ তদন্তই সবার চাওয়া। তবে তদন্তটা বিশ্বাসযোগ্য ও সবার কাছে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য তা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যবস্থায় হওয়া চাই। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি সেটাই। গুমের শিকার পরিবারগুলোও তা-ই চায়। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার সদ্য বিদায় নেওয়া প্রধান মিশেল ব্যাশেলেতও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের সুপারিশ করে তাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করে গেছেন। শুধু গুম তো নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যদের বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ , তা সে হোক নির্যাতন-নিপীড়ণ, হেফাজতে মৃত্যু, কিম্বা বিচারভির্ভূত হত্যা - এ সব অভিযোগের তদন্তে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি নতুন কিছু নয়। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় এ সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু পুলিশ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুগত্যের সুবাদে ওই সুপারিশ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে রেখেছে প্রায় দেড় দশক ধরে। নিজেদের অপরাধের তদন্ত নিজেরা করার নামে এক অদ্ভুত সুবিধা ভোগ করে চলেছে।


গুমের অভিযোগ সম্পর্কেও এক অদ্ভূত যুক্তি হাজির করা হচ্ছে। অভিযোগ করলেই হবে না, সেটা প্রমাণের দায়িত্বও অভিযোগকারীর। অভিযোগ যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যদের বিরুদ্ধে, তখন একজন সাধারণ নাগরিক তা প্রমাণ করবে কীভাবে? গুমের জন্য অপহরণের সময়ে যেসব কৌশল অনুসরণের অভিযোগ আছে, তা প্রায় একই রকম। তাঁরা আসেন সাধারণ পোশাকে, ব্যবহার করেন কালো কাচে ঢাকা গাড়ি , যার নম্বরপ্লেটও আড়াল করা থাকে। যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়, সেখানকার সিসিটিভি হয় ভেঙ্গে দেওয়া হয়, নয়তো ফুটেজ জব্দ করে ফেলা হয়। যাঁরা ফিরে আসেন, তাঁরা এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে মুখ খোলার সাহস থাকে না। আবার অনেকের বেলায় দেখা যায়, দীর্ঘবিরতির পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। অথচ নিখোঁজ হওয়ার সময় থেকে গ্রেপ্তার দেখানোর মধ্যবর্তী সময়, যা কয়েক দিন থেকে কয়েক মাসও হয়ে থাকে, সে সময়টুকুর হিসাব মেলে না। পরিবার ও পড়শিরা তাকে তুলে নেওয়ার স্বাক্ষ্য দিলেও বলা হয় পলাতক অবস্থায় তাকে আটক করা হয়েছে। এসব ভাষ্য গুমের লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত। 


সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গুমের প্রায় সব অভিযোগের তথ্য জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দেওয়া হয়েছে। জেনেভায় চলমান মানবাধিকার পরিষদের ৫১ তম অধিবেশনে গুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি, ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের সর্বসাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বক্তব্য দেওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কবে, কতজন বা কটি অভিযোগের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে? কেননা, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টতি গত মে মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এবং তাতে বলা হয়েছে, সরকার আটজনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। কমিটির কাছে বিবেচ্য অভিযোগ জমা পড়েছিল ৮৮টি, যার মধ্যে এখনো ৮১টির কোনো সুরাহা হয় নি বা অনিষ্পন্ন অবস্থায় আছে। তাহলে কি যে আটজনের তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতেও অসম্পূর্ণতা আছে? আমরা এগুলোর কিছুই জানি না, অভিযোগকারী  অথবা ভুক্তভোগীদের স্বজনরাও জানেন না। অথচ, এসব তথ্য জানা স্বজনদের অধিকার। আর সাধারণ মা্নুষ তথ্যগুলো পেলে কোন অভিযোগ সত্য, আর কোনটি সরকারি  ভাষ্যমতো ভিত্তিহীন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সবার জন্য সহজ হবে। সরকারি ব্যাখ্যা ও আশ্বাসের পরও বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ব্যাশেলেতের সুপারিশ মেনে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।


জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে যেসব অভিযোগ গেছে সেগুলোই সব নয়। দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে গত এক দশকের কিছুটা বেশি সময়ে গুমের ঘটনা ঘটেছে ছয় শতাধিক। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনাগুলোর ভিত্তিতেই তাদের এ পরিসংখ্যান। এর যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে সরকার নাম-ঠিকানা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়ে এসব সংগঠনকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু ইত্যবসরে হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তালিকায় তারা ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ৬২৩ জনের গুম হওয়ার কথা বলেছে। তাদের হিসাবে, এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি ১৫৩ জনের এবং জীবিত আছেন ৩৮৩ জন , যাদের কেউ বাড়ি ফিরেছেন, আর বাকিরা আছেন জেলে। গুম হওয়ার পর মরদেহ মিলেছে ৮৪ জনের। বাকি তিনজনের কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি। গুমের অভিযোগ নিয়ে যে বিতর্ক ও সমালোচনা, তার সমাধানে এর প্রত্যেকটির সত্যতা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। 


গুমের অভিযোগ ওঠার পর যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁদের পরিবার আর কোনো মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক চাপ নিতে চাইবে না, সেটাই স্বাভাবিক। তাই তাঁরা তাঁদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেন না। কিন্তু তাদের মধ্যেও দু-একজন যে অভিযোগ করেন নি, তা-ও নয়। যেমন রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান বলেছেন তাঁকেও উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং তিনি গুম থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁর গুমজীবনের সময়গুলো এবং তখন যা ঘটেছে তার কি কোনো জবাবদিহিতার প্রয়োজন নেই? সেটা কেবল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের কাঠামোতেই সম্ভব।  

 

সরকারের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নিখোঁজের সব ঘটনাকে 'গুম' হিসাবে অভিহিত করা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর একটি প্রবণতায় পরিণত হয়েছে - এমন দাবি যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ ছাড়া কারো কাছেই গ্রহণীয় নয় । অভিযোগগুলো কতটা তথ্যভিত্তিক, তার প্রমান যাচাইয়ের জন্য জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতি আহ্বান জানানোর আগে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা আমাদের সরকারকেই করতে হবে। কূটনৈতিক লবিং আর রাজনৈতিক বক্তৃতা এর বিকল্প নয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সদস্য পদে আগামী ১৪ অক্টোবরের নির্বাচনে বাংলাদেশ বিজয়ী হলেই এসব অভিযোগ কেউ বিস্মৃত হবে না। বাংলাদেশ এর আগেও ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত এক মেয়াদে মানবাধিকার পরিষদে সদস্য ছিল, কিন্তু প্রশ্নগুলো তখনো উঠেছে।   


বাংলাদেশ মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা থেকে কখনোই সরে যায়নি উল্লেখ করে মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায় সরকারের প্রতিনিধি বলেছেন, ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে সরকার গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ ঠিক সেসময়েই গুমের শিকার পরিবারগুলোর সদস্যদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাকে `রাষ্ট্রবিরোধী` ও `সরকারবিরোধী` অভিহিত করে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন অধিকারের রেজিস্ট্রেশন নবায়নের আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এগুলো কি সহযোগিতার ঠিক উল্টো বার্তাই দেয় না? 


(২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এর প্রথম আলো প্ত্রিকায় প্রকাশিত।)


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Bangladesh is vexed by and wary of Modi’s unstinting support to Sheikh Hasina

In the run-up to Bangladesh’s general election in January 2014, New Delhi took the unusual step of sending a top diplomat from its external affairs ministry to Dhaka to persuade General Hussain Muhammaed Ershad, the country’s former military ruler, to participate in the polls. Big questions had been raised over the fairness of the election. The incumbent government was led by Sheikh Hasina’s Awami League, and the leader of the opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) had been placed under virtual house arrest, with police and roadblocks around her house in Dhaka. The BNP and other opposition parties were threatening to boycott the election. Ershad, the head of the Jatiya Party, was perceived as a potential kingmaker, able to bring to power whichever of Bangladesh’s two main parties he supported, but he was also threatening to withdraw from the election.  After a decade of Modi’s reign in India, people in Bangladesh are angry at their government cosying up to a Hindutva regime in N

একটি জরিপ, নৈরাশ্য ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্ন

উন্নত গণতন্ত্রে সরকার , সরকারপ্রধান, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল এবং বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যুতে প্রায়ই জনমত জরিপ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কখনো বিশ্ববিদ্যালয়, কখনো সংবাদমাধ্যম, আবার কখনো বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব জরিপ করায়। বেশ কিছু পেশাদার জরিপকারী প্রতিষ্ঠানও আছে, যারা শুধু জরিপের কাজ করে। এসব জরিপ আমাদের গণমাধ্যমগুলোর অনলাইন ভোটের মতো নয়, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধু সেই ওয়েবসাইটের নিয়মিত ব্যবহারকারীদের মতামত ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের প্রায় দুই দশক বার্ষিক জরিপে রাজনীতির গতিপ্রকৃতির চমৎকার প্রতিফলন দেখা যেত। কিন্তু গণতন্ত্রের ক্ষয়সাধনের সঙ্গে সঙ্গে সেই চর্চা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়িক প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে জরিপ করতে গেলে সরকারের সায় আছে কিনা সেটা দেখা হয়, নইলে পেশাদার বিশেষজ্ঞরা বা তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো ওই দায়িত্ব নিতে চান না। কথা বলার ভয়ের মতো মতামত জানতে চাওয়াতেও এক ধরনের ভয়ের আসর পড়েছে। গণতন্ত্র প্রসারে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, আইআরআই এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা এখনো মাঝে মধ্যে স্পর্শকাতর রাজন

ভিসা নিষেধাজ্ঞা গুরুতর, সাংবাদিক নির্যাতন কী

একই দিনের দুটি সংবাদ শিরোনাম, ’৯ মাসে ২১৭ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার: আইন ও সালিশ কেন্দ্র’ এবং ’পিটার হাসের বক্তব্য স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর চাপ, সমাবেশে সাংবাদিকনেতারা’। দুটো খবরই সাংবাদিকতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে। তবে একটি খবর, যাতে আছে সেই সব সাংবাদিকদের কথা, যাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শারীরিক ক্ষতি অথবা গ্রেপ্তার ও মামলার কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন; আর অন্যটিতে ভবিষ্যতে কোনো গণমাধ্যমকর্মী যুক্তরাষ্ট্র যেতে চাইলে ভিসা না পাওয়ার কারণে তিনি বা তাঁর যে সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা। সাংবাদিকদের নিপীড়ন–নির্যাতন ও হয়রানির বিষয়ে গবেষণার কাজ ও তা প্রকাশের দায়িত্ব পালন করেছে একটি মানবাধিকার সংগঠন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার দুশ্চিন্তায় প্রতিবাদী হয়েছেন সাংবাদিকদের অপেক্ষাকৃত নতুন একটি প্লাটফর্ম জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট।  বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিয়মিত কাজের একটি হচ্ছে বিভিন্ন নিপীড়ন–নির্যাতন ও হয়রানির মত অধিকার লংঘনের তথ্য সংগ্রহ করা এবং তারই অংশ হিসাবে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ পেশা সাংবাদিকতার ওপর তাদের আলাদা মনোযোগ। তাদের প্রকাশিত হিসাব