সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বর্ষসেরা ইংরেজি শব্দ ও বাংলাদেশের ব্যাংকিং

  বিশ্বের নানাপ্রান্তের নানা ঘটনায় এমন অদ্ভুত মিল পাওয়া যায় যে বিস্মিত না হয়ে উপায় থাকে না। মাত্র গেল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ইংরেজি অভিধান ’মেরিয়াম ওয়েবস্টার’ জানিয়েছে যে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি যে শব্দটির অর্থ তাদের অনলাইনে খোঁজা হয়েছে, সেটা হচ্ছে গ্যাসলাইটিং। তাদের বিচারে তাই গ্যাসলাইটিং হচ্ছে ২০২২ সালের ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার বা বর্ষসেরা শব্দ। বছরজুড়ে অনলাইনে শব্দটির অর্থ খোঁজা বেড়েছে ১৭৪০ শতাংশ। তো শব্দটির মানে কী? ইংরেজি থেকে বাংলা করলে যেটা দাঁড়ায় তা হচ্ছে, নিজের সুবিধার জন্য কাউকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করার চর্চা বা অনুশীলন। অন্যকে নিয়ন্ত্রণ বা তার কাছ থেকে  নিজের জন্য সুবিধা আদায়ে কারসাজি করা, চরম বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া বা সরাসরি প্রতারণা বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মেরিয়াম ওয়েবস্টার এর সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে বলেছে, এটা হচ্ছে একজনকে দীর্ঘসময় ধরে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করা। ভুক্তভোগী ব্যাক্তিকে তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা, বাস্তবতার উপলব্ধি কিম্বা স্মৃতির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভ্রান্ত করা অথবা  তার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানো এবং আত্মমর্যাদার ক্ষতিসাধন করে একজনের মানসিক স্থিতিশী...

Why sleepwalk into more sanctions?

Our foreign ministry, reportedly, has informed a parliamentary standing body that Bangladeshi expatriates involved in “anti-government activities” abroad will be brought under law. One report published in this newspaper on October 28, titled ‘ Expats involved in anti-govt activities to face music’ noted that the report submitted by the ministry officials in said, “Sadly, besides playing a positive role in protecting the interests of Bangladesh and sending remittances, many of the expats are engaged in propaganda against Bangladesh and the government. The government is working to bring those who are engaged in anti-government activities and giving provocative and completely fabricated statements to book.”  Apparently, it may sound like a patriotic duty of the government to counter anti-Bangladesh propaganda. However, the word “anti-government” in the statement clearly implies that it has nothing to do with patriotism, but to silence critics of the government. And the efforts or act...

কূটনীতিকেরা কি সত্যিই বাড়াবাড়ি করছেন

১৪ নভেম্বর জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক আলোচনায় বলেছেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে বলে তাঁদের জানিয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেবে বলে তাঁর আশা। ইতো নাওকি এটুকু বলে থেমে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যে খুশি হতেন এবং বিরোধী দল বিএনপিকে জাপানি রাষ্ট্রদূতের আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানাতেন, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সাম্প্রতিক ইতিহাস সেরকমই স্বাক্ষ্য দেয়।  চলতি বছরের ৬ এপ্রিল ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়ে এসেছিলেন। তারও অনেক আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেনারেল এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেওয়াতে  ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংকে তদবির করার ব্যবস্থা করে দিয়ছিলেন তাঁর পূর্বসুরিদেরই একজন। তিনি বা তাঁর ডেপুটি কিম্বা মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো কর্মকর্তা বিদেশি কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার...

Why provoke the opposition and punish citizens?

The diatribes meted out by the ruling Awami League leaders to the opposition BNP ahead of its scheduled grand rally in Dhaka has reached a new level of squabble in politics, making people nervous and worried over a potential confrontation. Friends and acquaintances have one common question to any journalist they meet: what's going to happen on December 10? These worries are not unreasonable. Recent developments, especially the evermore resurgence of the BNP’s grassroots and supporters to defy all those obstacles put up by the ruling party, their cohorts and police makes it clear that the opposition is very much alive and kicking, and has not run out of steam in the last 16 years since its unpleasant exit from power.  Actions that have been replicated in each of the divisional rallies, so far, seems to be from the same playbook that includes not granting the preferred venue, enforcing a localised transport strike, clearly aimed at preventing people to attend the opposition rally, an...

পরিবহন ধর্মঘট কেন রাজনৈতিক হাতিয়ার

মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধান। ২২ ও ২৮ অক্টোবর, ঘটনাস্থল খুলনা। দুটি জনসভা—প্রথমটি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আর দ্বিতীয়টি চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের। প্রথম সমাবেশটির কারণে খুলনা বিভাগজুড়ে তিন দিন ধরে সব সড়কে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সমাবেশটিতে লোকজনকে বাস ও ট্রাকে চড়ে স্লোগান দিয়ে যোগ দিতে দেখলাম। তাঁরা কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হননি। (রংপুরে বিএনপির সমাবেশ ও একই দিনে ঢাকায় আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনের সমাবেশের তুলনা মোটেও যৌক্তিক নয়। ক্ষমতাসীন দল সব সময়ই যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি আওয়ামী লীগের সম্মেলন যে মাঠে হয়েছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনার নিরাপত্তার কারণে অন্য কোনো দল কখনো সেটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলে মনে হয় না।) ইসলামী আন্দোলন যেভাবে সমাবেশ করতে পেরেছে, সেটাই হওয়ার কথা। সংগঠন ও সভা–সমাবেশের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৮-এর নির্বাচনের সময় সংলাপে পাওয়া আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এবং ত...

When will impunity for crimes against journalists end?

On November 2, 2022, as the world observes the International Day to End Impunity for Crimes against Journalists for the ninth year, it's only proper to remind our readers a sad but glaring fact about how Bangladesh is doing in this regard. Just two days before, a Dhaka court,  for the 93rd time , granted the Rapid Action Battalion's (Rab) request for more time to complete their investigation into the killings of journalist couple Sagar-Runi. Though no one should ever foretell any judicial action, in this case, people's presumption that the investigating official would certainly hit a century in seeking time extensions should be forgiven. It is also the 10th anniversary of the UN Plan of Action on the Safety of Journalists and the Issue of Impunity. Ironically, more than 10 years have passed since those ghastly double murders took place on February 11, 2012. It's not just the murders of Sagar Sarowar and Meherun Runi that remain unsolved; according to the Unesco Observat...

যেসব কারণে এই ঋষি সেই ঋষি নন

ভারতে ব্রিটিশরাজের শাসন অবসানের ৭৫ বছর পর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত খোদ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় এ অঞ্চলে এবং তার বাইরে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিপুল আগ্রহ ও উৎসাহ তৈরি হয়েছে। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি যেমন বলেছেন ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ২৪০ কোটি মানুষের কমনওয়েলথে তরুণদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কীভাবে বা কোন যোগ্যতায় এমন চমক দেখাতে সক্ষম হলেন, তা নিয়েও চলছে নানা ধরনের আলোচনা, বিতর্ক ও বিচার-বিশ্লেষণ। তাঁর ৪২ বছরের জীবনকাহিনি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনায় অবশ্য যা দেখা যায় তাতে বলতেই হয়, এই ঋষি সেই ঋষি নন। বরং তাঁর নাটকীয় উত্থানের পেছনে যেমন আছে মেধা ও নিষ্ঠা, তেমনই আছে অভিবাসী পিতা–মাতার সযত্ন নজর এবং অল্প বয়সেই বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হওয়া। বস্তুত ঋষি ব্রিটেনের রাজার চেয়েও ধনী এক প্রধানমন্ত্রী। ঋষি সুনাক নিজের ব্রিটিশ পরিচয় সম্পর্কে ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘আমি আদমশুমারিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশের ঘরটিতে টিক চিহ্ন দিই। আমি পুরোপুরি ব্রিটিশ, এটি আমার জন্মভূমি, এটি আমার দেশ। তবে আমার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হ...