সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লবিং ও তদবিরে কি সবকিছুর সমাধান মেলে

পত্রিকার পাতায় খবর পড়লাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিদেশে লবিস্ট নিয়োগকারীদের দেশের কথা চিন্তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন । গত সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় তিনি বিদেশি লবিস্ট নিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করবেন না।’ সরকার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখার জন্য যেসব লবিস্ট নিয়োগ করেছিল, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি  জানিয়েছেন। লবিং বিতর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ভালো হতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি ব্যক্তি, দল ও সরকারের পক্ষে কোন লবিস্ট, কতদিন, কত অর্থের বিনিময়ে কী কাজ করেছেন, তার বিবরণ প্রকাশ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে তৃতীয় দেশের সহায়তা চাওয়ার যেসব খবর বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা অবশ্য তাঁর বক্তব্যে মেলেনি।   সরকার যদি লবিস্টদের চুক্তি সত্যিই বাতিল করে থাকে, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। কেননা, যেসব কাজের জন্য সরকার গোটা পাঁচেক লবিস্ট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে যেসব কাজ করিয়েছে, তাতে তেমন কোনো ...

When even judicial exoneration can’t keep journalists safe

Another day, another attack on the press in Bangladesh. Unfortunately, this latest attack was brutal and the target was a journalist working far away from Dhaka, the capital, which meant he had little or no protection and institutional support for doing the most difficult job of holding the powerful accountable. The horrific death Golam Rabbani Nadim met with last week in Jamalpur’s Bakshiganj upazila was the  result of merciless beating by some musclemen allegedly on the orders of the local union parishad chairman Mahmudul Alam.  Nadim was attacked the very day he learnt that a court had exonerated him from defamation charges brought under the most dreaded Digital Security Act (DSA) by chairman Mahmudul Alam for publishing a story about the latter’s alleged bigamy. In many conservative societies,  bigamy is considered a crime - or at the least moral degradation. UP chairmen are entrusted with the responsibility of issuing character certificates to residents within their ...

ভিসার হুমকিতে প্রার্থীর ইন্তেকাল না করা নির্বাচন

বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যাতে গণতান্ত্রিক হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ভিসার হুমকি ঘোষণার পর দেশে তিনটি মহানগরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমটি হয়েছে ভিসা নীতি ঘোষণার মাত্র একদিন পর। তবে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিস্ময়করভাবে গলা মিলিয়ে ওই ভিসানীতিকে স্বাগত জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সরকারের যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সরকারের সুর বদলাতে শুরু করেছে এবং কোনো ধরনের হুমকিকে পরোয়া না করার ঘোষণাও এসেছে। এরপর অনুষ্ঠিত হলো খুলনা ও বরিশালের সিটি নির্বাচন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনগুলো কেমন হলো, তার নানা রকম মূল্যায়ন পাওয়া যাচ্ছে,যা কিছুটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যতাড়িত।  নির্বাচন কমিশনের মূল্যায়নে ‘সার্বিক অর্থে সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাচন হয়েছে। কমিশন সন্তুষ্ট।’ তবে এই সুন্দর নির্বাচন ও সন্তুষ্টির একটা মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বরিশালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের হামলায় আহত হলেও ’ইন্তেকাল’ না করায় তাঁর কাছে আ...

Shouldn’t the EC be saying how it will make elections free and fair?

As the mainstream political parties have been engaged in endless squabbling on how the next general election can be a credibly fair and inclusive one, our law minister, Anisul Huq, has informed Jatiya Sangsad that the Election Commission has already formulated its work plan to make the upcoming national election “transparent, impartial, fair, free and peaceful.” The law minister further said that the EC wants to ensure equal opportunities for all parties in the elections and ensure that no government agency files any case to harass anyone. He informed the lawmakers that the EC has finalised an 11-point decisions for the next election.      The decisions he listed are nothing special or unique. The only one that’s probably new is the move to appoint more qualified officials from the EC as returning officers. Other decisions - such as preventing attacks on candidates, their supporters, houses and business establishments and taking swift action as per law if such a thin...

জাতীয় বাজেট: ২ হাজার টাকা ও আয়করের রিটার্ন কেন অযৌক্তিক

বহুল নন্দিত চলচিত্রকার সত্যজিত রায় গরিব চাষী ফজল মিয়ার মুখ দিয়ে তাঁর দর্শকদের শুনিয়েছিলেন, ”ভরপেট না–ও খাই/ রাজকর দেয়া চাই”। চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখানো কল্পকাহিনিতে এ কথাগুলোর আগে–পিছে আরো যেসব কথা আছে, সেগুলো বর্তমানের বাস্তব জীবনে উচ্চারণে রাষ্ট্রদ্রোহের ঝুঁকি আছে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে যে আইনের অপব্যবহারের কথা ওই আইন রচনাকারী আইনমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন, সংসদে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আইনটি হওয়ার পর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু গড়ে প্রতিদিন সাড়ে চারটি করে মামলা হয়েছে, সেহেতু সব কথা বলা কি সম্ভব?   আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে নানারকম বিচার–বিশ্লেষণে এখন সংবাদমাধ্যম মুখর। মূল্যস্ফীতি, মন্দ ঋণ ও ঋণ খেলাপির ভারে ন্যুব্জ ব্যাংকিং খাত, ডলারের টানাপোড়েন, বিদ্যূৎ–সংকট, শিল্প–বাণিজ্যের নানামুখী চ্যালেঞ্জ, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে না পারার মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ নিয়ে নানাধরনের দাবি কিম্বা সুপারিশ তুলে ধরছেন। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কোনো সমিতি নেই, যারা সংঘবদ্ধভাবে তাদের কথাগুলো তুলে ধরতে পারে। কাজটা রাজনৈতিক ...

Misinterpreting visa threats won’t do us any good

The welcoming reactions from the mainstream opposition parties to the recently announced visa policy by the United States for Bangladesh was predictable, as they have been relentlessly complaining about the systematic destruction of a credible electoral institution. But the often confused reactions from the government and the ruling party seem surreal, as if this foreign intervention in favour of a free and fair election in the country is a blessing for them, too. The official reaction given by the foreign ministry was so welcoming that Matthew Miller, spokesperson of the US Department of State, said, “We were heartened by the announcement from the government yesterday (May 24) that welcomed the steps that we took.” The foreign ministry statement, perhaps, was symptomatic of the consistently inconsistent statements made by the minister-in-charge. We have heard countless times from Foreign Minister AK Abdul Momen that his government does not want any country to get involved in Banglades...

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি: বিদেশি রাষ্ট্রের হুমকিকে স্বাগত জানানোর ঐকমত্য

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়ার হুমকি নিয়ে রাজনীতিকেরা যতটা আলোচনা ও বাহাস করছেন , ততটা আসল নিষেধাজ্ঞার বেলায় হয়েছে বলে মনে হয় না । নিষেধাজ্ঞাটি যেহেতু ছিল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং তার কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে , সম্ভবত সে কারণেই নিষেধাজ্ঞাকে কোনো দল তাদের পক্ষে নেওয়া পদক্ষেপ হিসেবে দাবি করেনি । কিন্তু ভিসার হুমকিকে ক্ষমতাসীন দল খুব জোরেশোরেই দাবি করছে যে এতে বিরোধী দল বেকায়দায় পড়েছে এবং সরকারের নির্বাচন পরিকল্পনার প্রতি এটি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রকাশের সমতুল্য । বিরোধী দলগুলো , এমনকি সরকারের মনোনীত বিরোধী দলও মনে করে , ভিসার হুমকিতে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলই চাপের মুখে পড়েছে । একটি বিদেশি রাষ্ট্রের হুমকিকে স্বাগত জানাতে এ ধরনের জাতীয় ঐকমত্য বিরলই বটে ! সব দেশেই ভিসার আবেদন নানা সময় নানা কারণে প্রত্যাখ্যাত হয় । কাকে নিজেদের দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে বা হবে না , সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একান্তই সেই দেশের । ২৩ মে যখন ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের ...