সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জাতীয় বাজেট: ২ হাজার টাকা ও আয়করের রিটার্ন কেন অযৌক্তিক

বহুল নন্দিত চলচিত্রকার সত্যজিত রায় গরিব চাষী ফজল মিয়ার মুখ দিয়ে তাঁর দর্শকদের শুনিয়েছিলেন, ”ভরপেট না–ও খাই/ রাজকর দেয়া চাই”। চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখানো কল্পকাহিনিতে এ কথাগুলোর আগে–পিছে আরো যেসব কথা আছে, সেগুলো বর্তমানের বাস্তব জীবনে উচ্চারণে রাষ্ট্রদ্রোহের ঝুঁকি আছে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে যে আইনের অপব্যবহারের কথা ওই আইন রচনাকারী আইনমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন, সংসদে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আইনটি হওয়ার পর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু গড়ে প্রতিদিন সাড়ে চারটি করে মামলা হয়েছে, সেহেতু সব কথা বলা কি সম্ভব?  


আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে নানারকম বিচার–বিশ্লেষণে এখন সংবাদমাধ্যম মুখর। মূল্যস্ফীতি, মন্দ ঋণ ও ঋণ খেলাপির ভারে ন্যুব্জ ব্যাংকিং খাত, ডলারের টানাপোড়েন, বিদ্যূৎ–সংকট, শিল্প–বাণিজ্যের নানামুখী চ্যালেঞ্জ, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে না পারার মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ নিয়ে নানাধরনের দাবি কিম্বা সুপারিশ তুলে ধরছেন। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কোনো সমিতি নেই, যারা সংঘবদ্ধভাবে তাদের কথাগুলো তুলে ধরতে পারে। কাজটা রাজনৈতিক দলের হলেও রাজনীতি এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে খেটে খাওয়া মানুষের দাবি নিয়ে জনসভা বা প্রতিবাদ–বিক্ষোভও তেমন একটা চোখে পড়ছে না। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা সামলাতে হবে এসব খেটে খাওয়া মানুষকেই। কেননা সরকার নতুন নিয়ম করছে ৪৩ ধরণের নাগরিক সেবা নিতে হলে করদাতার পরিচয়পত্র ( ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) টিআইএন থাকতে হবে এবং তাকে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডির মতো  টিআইএন নেওয়া বাধ্যতামূলক করায় কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু টিআইএনের জন্য দুই হাজার টাকা করে বাধ্যতামূলক কর নির্ধারণ, যাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ’উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার গৌরবের’ ভাগীদার হিসাবে বর্ণনা করেছেন, তাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, তা নিয়ে ধন্দে আছি। জুলুম ছাড়া অন্য কোনো পরিভাষা কারও কি জানা আছে?  

 

রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের মন্তব্যের অর্থ কি তাহলে এই দাঁড়ায় যে, দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য যত ধরনের পণ্য ও সেবা কেনা হয়, সেগুলোতে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট দেওয়া উন্নয়নের গৌরবের অংশ নয়? বাজেট প্রস্তাবে আয়করযোগ্য ন্যূনতম আয়ের সীমা বাড়িয়ে পুরুষদের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা আর নারীদের জন্য সাড়ে চার লাখ করা হয়েছে। অথচ, ওই পরিমাণ অর্থ আয় না হলেও নাগরিক সেবার তালিকার ৪৩টির যে কোনোটি পেতে হলে তার জন্য দুই হাজার টাকা দিতে হবে। তালিকার মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে, ”বছরের যেকোনো সময় ১৬ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল বেতন গ্রহণ করলে, সরকারি বা কর্তৃপক্ষের, করপোরেশনের, আইন দ্বারা সৃষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।” যেভাবেই অঙ্ক করা হোক না কেন, ওই ব্যক্তির আয় বছরে ১ লাখ ৯২ হাজারের বেশি হয় না, কিন্তু তাকে টিআইএনের রিটার্ন জমার প্রমাণ পেতে দুই হাজার টাকা দিতে হবে। 


গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগের জন্য করদাতার কর পরিশোধের সার্টিফিকেট থাকার বাধ্যবাধকতা থাকতেই পারে। কিন্তু একই বাধ্যবাধকতা সিটি করপোরেশন এলাকায় গ্যাসের আবাসিক সংযোগের বেলায় চাপিয়ে দেওয়া কীভাবে ন্যায্য হয়? সিটি করপোরেশনের নাগরিক জীবন সচল রাখতে যেসব নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি করপোরেশনের সীমানার মধ্যেই টিনের ঘর বা দোচালায় ভাড়া থাকেন, তাঁরা কি আবাসিক গ্যাস সংযোগের মত নাগরিক সেবা পাওয়ার অধিকার রাখেন না? 


ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল তো ঢাকায় উচ্চবিত্তদের এক রকম, আর নিম্নবিত্তের আরেক রকম। নিম্নবিত্ত পরিবারের বাচ্চারা ইংরেজি মাধ্যমের যেসব স্কুলে যায়, সেগুলোর মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও, সেগুলোর মান উন্নয়নে সরকার কার্যকর কিছু করেছে বলে চোখে পড়ে না। এখন ওইসব স্কুলের দরজাও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর বাচ্চাদের জন্য বন্ধ করা হবে এই নতুন টিআইনের রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতায়। এগুলো গৌরবের অংশীদার করা, নাকি আরো প্রান্তিকে ঠেলে দেওয়া?  


শুধু পিস্তলের লাইসেন্স, সিটি করপোরেশন এলাকায় গাড়ি ও বাড়ি কেনা বা তার বিপণনে কমিশন এজেন্টদের কাছ থেকে উচ্চ হারে কর আদায়ের উদ্যোগে বিরোধিতা নয়, বরং বাহবাই দেওয়া যায়। কেননা, নানা খবরে দেখা গেছে পিস্তল মূলত ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদেরই বেশি প্রয়োজন হয়। মাস্তানির ওপর যেহেতু কর নেই, পিস্তল কিনতে গেলে তার ওপর বড় অঙ্কের কর বসালে বরং ভালোই হতো। সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি–গাড়ি যারা কিনছেন, তাদেরও আয়রোজগার বেশ উঁচু মাত্রার। কিন্তু তাদের জন্য যা বাধ্যতামূলক হবে, সেই একই বাধ্যবাধকতা একজন মুদিদোকানির ট্রেড লাইসেন্স, কিম্বা ফেসবুকে কাপড় বিক্রি করা উদ্যোক্তার বেলায় কীভাবে যৌক্তিক হয়?


কয়েক বছর ধরে দেশে মাথাপ্রতি গড় আয় বৃদ্ধির তথ্য বেশ ফলাও করে প্রচারিত হয়ে আসছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যে আয়বৈষম্যও বাড়ছে, তা প্রায় অনুচ্চারিতই থেকে যায়। অর্থনীতিবিদেরা মাঝেমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও রাজনীতিক ও আমলাদের এবিষয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই।  আয়বৈষম্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সম্পদের বৈষম্য। অর্থাৎ হাতে গোনা লোকের হাতে পাহাড়সমান সম্পদ জমেছে, এর বিপরীতে বৃহৎ অংশের মানুষের কাছে যে সম্পদ আছে, তা খুবই সীমিত। 


সম্পদের এই বৈষম্য দূর করতে অর্থনীতিবদেরা  সম্পদের ওপর করা বাড়ানোর কথা বলে আসছেন। পুঁজিবাদী অর্থনীতির শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোতে এখন অতিমুনাফার ওপর বিশেষ কর উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের সময়ে বিশ্বে জ্বালানির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি কোম্পানির মুনাফাও বেড়েছে অস্বাভািবক হারে। ওইসব দেশে তাই মুফতে পাওয়া মুনাফার উপরে উচ্চ হারে কর আরোপ এখন প্রায় প্রতিবছরই ঘটছে। বাজেটের মাধ্যমে  সম্পদ পুন:বন্টনের মাধ্যমে সামাজিক ন্যয়বিচার এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য থেকেই এটি করা হচ্ছে। অথচ আমরা ধনীদের নানা ধরনের কর সুবিধা দিয়ে উল্টো নিম্ন আয়ের লোকজনকে আরও প্রান্তিকে ঠেলে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।  


বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য দুই দেশেই আয়কর দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আয়কর রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের সঙ্গে ন্যূনতম কর আরোপ কোনোভাবেই ন্যয্য পদক্ষেপ নয়। যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশগুলোতে রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে, কোনো আয় না থাকলেও তা দিতে হয়; না হলে নির্ঘাত জরিমানা। কিন্তু বাধ্যতামূলক কোনো কর কিম্বা বিশেষ কোনো ফি নেই। সবচেয়ে বড় কথা করদাতার ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষিত। সরকারের অন্য কোনো বিভাগ , সেবা সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সেই তথ্য চাইতে পারে না। একজন নাগরিকের সম্পদ কতটা, তিনি কী পরিমাণে আয় করেছেন এবং কতটা কর দিয়েছেন, সেটা কেবলমাত্র সেই নাগরিক ও কর অফিসের মধ্যকার বিষয়। ব্যাংকের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,  নাগরিক সেবাদানকারী সিটি কর্তৃপক্ষ কারোরই সেই তথ্য জানার আইনগত অধিকার নেই এবং কোনো সুযোগ নেই।  


বাজেটের প্রস্তাব অনুযায়ী এখন যে ব্যবস্থা হচ্ছে তাতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত আয়রোজগারের হিসাব কতজনের হাতে যাবে, তার কোনো হিসাব পাওয়াই মুশকিল।  দেখা যাবে ছেলেমেয়ের বিয়ের বেলায় আত্মীয়স্বজন এখন হবু আত্মীয়ের সহায়সম্পদের হিসাব জানতে নাগরিক সেবা সংস্থাগুলোর অফিসের ঘুষখোরদের দ্বারস্থ হবে। তিতাস গ্যাস, সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো প্রতিষ্ঠানগূলোয়  ঘুষের ব্যবসা আরো জমজমাট হবে। 


তারপর নাকি কর এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হবে, যাঁদের কাজ হবে করদাতা খুঁজে বেড়ানো। এসব এজেন্টরাও এখন নাগরিকদের ব্যাক্তিগত তথ্য সহজেই জানতে পারবে, যার অপব্যবহারের আশঙ্কা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ট্যাক্স রিটার্নের এ অপব্যবহারের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে কর আদায় বাড়ানো ও মানুষকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করার ভিন্ন পরিকল্পনা তৈরির কথা ভাবা দরকার। বছর বছর মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের যে কথা শোনানো হচ্ছিল, তার বাস্তবায়ন তো এত বছরেও হলো না। তাহলে নাগরিকেরা ৪৩ দপ্তরে সম্পদের বিবরণ জানাবেন কেন?


(৮ জুন ২০২৩–এর প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত।)






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Bangladesh is vexed by and wary of Modi’s unstinting support to Sheikh Hasina

In the run-up to Bangladesh’s general election in January 2014, New Delhi took the unusual step of sending a top diplomat from its external affairs ministry to Dhaka to persuade General Hussain Muhammaed Ershad, the country’s former military ruler, to participate in the polls. Big questions had been raised over the fairness of the election. The incumbent government was led by Sheikh Hasina’s Awami League, and the leader of the opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) had been placed under virtual house arrest, with police and roadblocks around her house in Dhaka. The BNP and other opposition parties were threatening to boycott the election. Ershad, the head of the Jatiya Party, was perceived as a potential kingmaker, able to bring to power whichever of Bangladesh’s two main parties he supported, but he was also threatening to withdraw from the election.  After a decade of Modi’s reign in India, people in Bangladesh are angry at their government cosying up to a Hindutva regime ...

অরাজনৈতিক আন্দোলনের করুণ রাজনৈতিক মূল্য

কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র–ছাত্রীদের আন্দোলনে  কদিন ধরে যা ঘটে চলেছে, তা যেমন বেদনাদায়ক, তেমনই নিন্দনীয় ও ক্ষোভের কারণ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে ক্ষমতাসীন সরকারের সমর্থক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে একইদিনে দেশের তিন জায়গায় ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশে বিরল।  এবার আরও যেসব ঘটনা আমাদের স্তম্ভিত করেছে, অভিভাবকদের চোখ অশ্রুসিক্ত করেছে, এসব মৃত্যুর পরও সরকারের রাজনৈতিক দম্ভ বজায় রাখার চেষ্টা, যা আরও প্রাণহানির কারণ হয়েছে। ছয়জন তরুণের প্রাণ বিসর্জনের পরও কোটা সংস্কারের দাবিতে সরকার ”নীতিগতভাবে একমত” – একথাটি বলে  আলোচনায় না ডেকে সময়ক্ষেপণ করেছে। আইনমন্ত্রী কথাটি যখন বললেন, তার আগেই আরও জীবন গেল, শত শত মানুষ আহত হলো, দেশের সম্পদ নষ্ট হলো। রাজনৈতিক গরিমা ছাড়া এর আর কোনো কারণ আছে কি? ছাত্রলীগ পরিচয়ে অন্ত্রধারীদের তান্ডব, পুলিশের চরম নিষ্ঠুরতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের গড়পরতা মারধর ও লাঞ্চিত করার যে দৃশ্যগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তা কোনো অভিভাবকের পক্ষেই ভোলা সম্ভব নয়। এসব ঘটনার বিবরণ উদ্ধৃত না করে শুধু নিষ্ঠুর ...

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে স্বৈরশাসকের ফেরা সহজ

  গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যর্থতা ও স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রুপ প্রত্যক্ষ করার পর অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদকালে যে সব বিষয়ে সংস্কারের আলোপ চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের পতনের পর নির্বাচনকে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যম হিসাবে যেভাবে প্রতিষ্ঠার কথা ছিল, তা থেকে প্রধান দুই দলই বিচ্যূত হয়েছিল। পরিণতিতে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা দখলের হিংসাত্মক খেলায় পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নির্বাচনকে নানা রকম প্রহসনে পরিণত করে।  এই সমস্যার এক অতি সরলীকৃত সমাধান হিসাবে বলা হচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।  সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনে একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে তারা সংসদের আসন পাবে। এ আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নাম দল আগাম ঘোষণা করতেও পারে, আবার না–ও পারে। নাম প্রকাশ করা হলে সেটা হব...